Banner Advertise

Friday, February 22, 2013

Re: [chottala.com] ফের উত্তাল শাহবাগ- গগনবিদারী স্লোগান জয় বাংলা জামায়াতী সন্ত্রাসের খবরে মুহূর্তেই হাজারো মানুষের ঢল প্রজন্ম চত্বরে



Dear chottala group,

Let me make it clear, without Police support shaha bag is a traffic intersection. I was there to see the fact.. I love my country ... I love my freedom ...  But not their agenda which is clearly against Islamic value in this country. 

They are crossing the redline ... 

But I will ask anyone not join them because these noton progotno are afraid to say . Bangladesh is a 90%+ Muslim country..  Islamic value is my priority.
They did not even designate a space for prayer. I hope they do this by now..


Funny !!!  They are calling khader Siddique Rajakar, if he was a razakar I will ask my own two brothers(freedom fighters) not to say against this Govt. they will be labeled as razakar.

My prediction is police will revolt against this govt.. Saying " we can not kill anymore people just to keep in power".. 

                 
 
Sent from my iPad

On Feb 23, 2013, at 7:14 AM, "SyedAslam" <Syed.Aslam3@gmail.com> wrote:

 

শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৩, ১১ ফাল্গুন ১৪১৯


প্রজন্ম চত্বরে ॥ অবস্থানের ১৮ দিনে ॥ ফের উত্তাল শাহবাগ- গগনবিদারী স্লোগান জয় বাংলা
জামায়াতী সন্ত্রাসের খবরে মুহূর্তেই হাজারো মানুষের ঢল প্রজন্ম চত্বরে
স্টাফ রিপোর্টার ॥ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসিসহ জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার দাবিতে ফের উত্তাল শাহবাগ। শুক্রবার দুপুরে জামায়াত-শিবির à¦" সমমনা উগ্রপন্থীদের দেশব্যাপী তা-বের খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রজন্ম চত্বরে এসে জড়ো হয় হাজার হাজার প্রতিবাদী জনতা। এরপর পরই মিছিল আর সেøাগানে উত্তাল হয়ে à¦"ঠে রাজপথ। ক্ষোভে-বিক্ষোভে উত্তাল প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলন নিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমার দেশ সম্পাদককে গ্রেফতারের দাবি à¦"ঠে মঞ্চ থেকে। এ ছাড়া সাংবাদিকদের à¦"পর জামায়াত-শিবিরের হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানান প্রজন্মযোদ্ধারা। শাহবাগ থেকে কাঁটাবন পর্যন্ত দফায় দফায় লাঠি জামায়াতের তা-বের প্রতিবাদে সন্ধ্যা সাতটায় গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বানে তাৎক্ষণিকভাবে সারাদেশে বিক্ষোভে শরিক হয় প্রতিবাদী জনতা। এদিকে আন্দোলনের ১৮তম দিনে সারাদেশে গণস্বাক্ষর à¦" ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। তবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদ সকাল থেকে দখল করে আন্দোলনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় জামায়াত-শিবিরসহ মৌলবাদী গোষ্ঠী। সন্ধ্যার পর শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ থেকে সবাইকে রাজপথে নেমে স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীকে প্রতিহত করার ডাক দেন প্রজন্মযোদ্ধারা। তারা বলেন, যুদ্ধাপরাপধীদের বিচার à¦" জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ না হà¦"য়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না। 
সন্ধ্যার পর নতুন কর্মসূচী ঠিক করতে বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারী নেতারা। রাত নয়টা পর্যন্ত বৈঠক চলছিল। তবে বৈঠক থেকে শাহবাগের আন্দোলন ২৪ ঘণ্টা চালিয়ে যাà¦"য়ার ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে। সন্ধ্যার পর শাহবাগের মূল মঞ্চে আন্দোলন শুরু হয়। ফলে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। স্বরূপে ফিরে আসে শাহবাগ। বৃহস্পতিবার রাতে ২৪ ঘণ্টার আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। মহাসমাবেশ থেকে ঘোষণা করা হয় নতুন কর্মসূচী। নতুন কর্মসূচী অনুযায়ী আজ বিকেল তিনটায় রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে সমাবেশ হà¦"য়ার কথা। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এই কর্মসূচী পরিবর্তনà¦" হতে পারে। বৈঠক শুরুর আগে আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার প্রজন্ম চত্বরে এসে বলেন, এখন থেকে আমরা ২৪ ঘণ্টা রাজপথে থাকব। আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
আবারà¦" উত্তাল শাহবাগ ॥ শুক্রবার ছিল প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনের ১৮তম দিন। এ দিন দেশব্যাপী ছিল নানা কর্মসূচী। শাহবাগে বিকেল তিনটায় ছিল সাংস্কৃতিক কর্মসূচী à¦" প্রতিবাদ সমাবেশ। কিন্তু সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের উপস্থিতি ছিল প্রজন্ম চত্বরে। কিছু মানুষ সকালে বিক্ষোভ করে। দুপুরের পর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জামায়াত-শিবিরের নাশকতা, দেশের বিভিন্ন জেলায় গণজাগরণ মঞ্চে হামলা, অগ্নিসংযোগ, শহীদ মিনার ভাংচুরসহ শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর দখলের চেষ্টার খবর ছড়িয়ে পড়লে খ- খ- মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে আসতে থাকে প্রতিবাদী মানুষ। বিকেল তিনটার মধ্যে জড়ো হয় হাজারো প্রতিবাদী মানুষ। জাদুঘরের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নামে জনতার ঢল। সন্ধ্যার আগে আন্দোলনকারীরা জাদুঘরের সামনে থেকে উঠে শাহবাগ চত্বরে আগের অবস্থানে ফিরে আসে। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। ক্ষোভে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। প্রতিবাদী কণ্ঠে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয় ‘জামায়াত-শিবির রাজাকার-এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়। জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ না হà¦"য়া পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা ঘরে না ফেরার অঙ্গীকার করেন। আন্দোলনে অংশ নিয়ে অভিনেত্রী সুবর্না মুস্তাফা বলেন, যারা ধর্ম নিয়ে- ইসলাম নিয়ে রাজনীতি করে। ইসলামের নামে অপব্যাখ্যা দেয় তাদের আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। তাদের বিচার হবেই। মানুষ জেগে উঠেছে। জেগে à¦"ঠেছে শাহবাগ। তারুণ্যের জয় হবেই। তিনি সবাইকে আন্দোলনে শরিক হà¦"য়ার আহ্বান জানান। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রজন্ম চত্বরে ২৪ ঘণ্টার কর্মসূচী প্রত্যাহার করা হয়। শাহবাগের রাস্তা দিয়ে চলাচল শুরু হয় সব ধরনের যানবাহন। 
প্রজন্ম চত্বর দখলের চেষ্টা ॥ জুমার নামাজ শেষে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর দখলের চেষ্টা চালায় জামায়াত-শিবির গোষ্ঠী। পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে শাহবাগে রà¦"না হয় তারা। বায়তুল মোকাররমে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর কয়েক শ’ জামায়াত-শিবির কর্মী শাহবাগের উদ্দেশে রà¦"না দেয়। তারা মৎসভবন পর্যন্ত এলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। এদিকে কাঁটাবন থেকে শাহবাগ দখলের উদ্দেশে রà¦"না দেয় জামায়াত-শিবির। পুলিশী বাধার মুখে এক পর্যায়ে তারা পিছু হটে। সঙ্গে সঙ্গে শাহবাগে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। শাহবাগের পুরো এলাকা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘিরে ফেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় শাহবাগের মিডিয়া সেন্টারে প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনের কর্মসূচী হিসেবে গণস্বাক্ষর কর্মসূচী চলছিল। বিকেল তিনটায় ছিল নির্ধারিত প্রতিবাদী গানের অনুষ্ঠান। তবে সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের ভিড় ছিল শাহবাগে। 
পরিকল্পিত হামলার দাবি সাইবারযোদ্ধাদের ॥ গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের কর্মসূচী নস্যাত করতে পরিকল্পিতভাবেই জামায়াত-শিবির দেশের বিভিন্নস্থানে হামলা চালিয়েছে বলে মনে করেন শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের সাইবারযোদ্ধারা। গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক সাইবারযোদ্ধা ডা. ইমরান এইচ সরকার তাৎক্ষণিক বলেন, আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচী ছিল জুমার নামাজ শেষে বিশেষ দোয়া প্রার্থনা। সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করতে এই কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। এই কর্মসূচী যাতে সফল হতে না পারে সেজন্য নামাজ শেষের আগেই বিভিন্ন স্থানে তারা হামলা চালায়। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। সরকারকে কঠোর হস্তে এসব সন্ত্রাসী কর্মকা- দমন করবে বলেà¦" আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ইমরান বলেন, গণজাগরণে ভয় পেয়েই জামায়াত-শিবির এ নাশকতা চালিয়েছে। পূর্ব ঘোষিত সকল কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে বলেà¦" জানান তিনি। সাইবারযোদ্ধা মারুফ রসুল এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, জামায়াত-শিবির ’৭১এ যে কায়দায় ধর্মের নামে নারী নির্যাতন à¦" মানুষ হত্যা করেছে। একই কায়দায় আমাদের এই আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করা হচ্ছে। জামায়াত-শিবির কখনà¦" ইসলামকে রক্ষা করেনি। এরা ইসলামের অপব্যবহার করে ইসলামের ক্ষতিই করেছে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের আহ্বান জানাই এদের প্রতিহত করার জন্য। শুক্রবার তারা প্রগতিশীল মিডিয়া কর্মীদের à¦"পর হামলা চালিয়েছে। এর মাধ্যমে তারা তাদের স্বরূপে ফিরেছে বলেà¦" মন্তব্য করেন তিনি। 
২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে সন্ধ্যার পর জাগরণ মঞ্চে ইমরান বলেন, শুক্রবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে সাংবাদিকদের à¦"পর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। এ সময় তিনি শাহবাগের আন্দোলন ২৪ ঘণ্টা চালিয়ে যাà¦"য়ারà¦" ঘোষণা দেন। এর আগে তিনি পল্টনে জামায়াত-শিবিরের হামলা আহত সাংবাদিকদের দেখতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। 
প্রার্থনা ॥ যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবির চক্রের হাতে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বাদ জুমা প্রতিটি মসজিদে বিশেষ দোয়াসহ প্রতিটি মন্দির, গির্জা à¦" প্যাগোডায় এবং অন্য ধর্মাবলম্বীদের উপসনালয়ে নিজ নিজ ধর্মীয় রীতিতে প্রার্থনা কর্মসূচী ঘোষণা করা হয় বৃহস্পতিবারের প্রজন্ম চত্বরের মহা-সমাবেশ থেকে। 
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে শাহবাগের কর্মসূচীকে সমর্থন করে দোয়ার আয়োজন করা হলেà¦" সকাল থেকেই জামায়াত-শিবির গোষ্ঠী মসজিদ দখল করে। সংক্ষিপ্ত দোয়া অনুষ্ঠিত হলেà¦" খবর সংগ্রহে সাংবাদিকরা মসজিদে প্রবেশ করতে চাইলে জামায়াত-শিবির তাদের à¦"পর হামলা চালায়। এ ছাড়া রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হà¦"য়ার খবর পাà¦"য়া গেছে। তবে দোয়া কর্মসূচী ভ-ুল করতে সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদ দখল করে জামায়াত-শিবির চক্র। শাহবাগের চলমান আন্দোলনের বিরুদ্ধে তারা বক্তব্য দেয়। 
রাজধানীর খিলগাঁà¦" বৌদ্ধ মন্দিরে গণজাগরণ মঞ্চের ঘোষণা অনুযায়ী প্রার্থনা হয়। যোগ দেয় সব বয়সের মানুষ। শহীদদের আত্মার শান্তি জন্য, সুশাসন আর দারিদ্র্যমুক্ত দেশের জন্য একাগ্রচিত্তে প্রার্থনা করে তারা। এ যেন এক অন্য রকম প্রার্থনা। যা বিশেষ কোন ধর্মের বা গোত্রের জন্য নয়। এ প্রার্থনা শুধু বাংলার জন্য। বাঙালীর জন্য। বৌদ্ধ মন্দিরের চার ভিক্ষু এ প্রার্থনা পরিচালনা করেন। এরা হলেন- আনন্দ মিত্র তোর, করুনা ভিক্ষু, তিরোসাতু ভিক্ষু à¦" ধর্মানান্দা ভিক্ষু।
করুনা ভিক্ষু প্রার্থনা শেষে বলেন, অন্যান্য দিনের মতো এদিন সকালে আমাদের প্রার্থনা শুরু হলেà¦" আজকের প্রার্থনায় আমরা গণজাগরণ মঞ্চের ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে à¦" ভাষা আন্দোলনে শহীদ এবং সাম্প্রদায়িকতার কারণে যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের আত্মার শান্তি চেয়ে প্রার্থনা করেছি। শুক্রবার সকালে তেজগাঁà¦"য়ের হলি রোজারিà¦" গীর্জা, আসাদ গেটের সেন্ট ক্রিস্টিনা চার্চসহ রাজধানীর বিভিন্ন গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মন্দিরে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। 
২২ সন্দেহভাজন আটক ॥ শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ à¦" এর আশপাশের এলাকা থেকে ২২ সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত সময়ে তাদের আটক করা হয়। প্রাথমিকভাবে তাদের জামায়াত-শিবিরের কর্মী বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল জলিল এ তথ্য জানান। তিনি আরà¦" জানান, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হà¦"য়া যাবে।
৬ দফা দাবিতে গণস্বাক্ষর ॥ ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে ৬ দফা দাবির প্রতি একাত্মতা জানানো মানুষের গণস্বাক্ষর কর্মসূচী শুরু হয় সকাল থেকেই। কেন্দ্রীয়ভাবে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে মিডিয়া সেন্টারে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। স্পীকারের কাছে লেখা ৬ দাবির নিচে নিজের নাম à¦" পাশে স্বাক্ষর করেন সর্বস্তরের মানুষ। দিনভর চলে গণস্বাক্ষর। সন্ধ্যা পর্যন্ত স্বাক্ষর জমা হয় হাজারের বেশি। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ আন্দোলনের প্রতি একাত্ম হয়ে কর্মসূচীর প্রতি সমর্থন জানান। এ ছাড়াà¦" দেশের বিভিন্ন স্থাগে জাগরণ মঞ্চসহ অফিস, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ স্ব-স্ব অবস্থান থেকে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2013-02-23&ni=126591
৯
শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৩, ১১ ফাল্গুন ১৪১৯


Related:
জামায়াতী মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করায় মসজিদে মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিত
স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ শুক্রবার জুমার নামাজের সময় জামায়াতে ইসলামীর বয়ান à¦" মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করায় শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের চৌধুরী। ময়মনসিংহ শহরের চকবাজার বড় মসজিদে ঘটেছে এই ঘটনা। ময়মনসিংহ রেলà¦"য়ে শ্রমিক লীগ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের চৌধুরী অভিযোগ করে জানান, জুমার নামাজ পড়ার জন্য শুক্রবার স্থানীয় বড় মসিজদে যান। নামাজের আগে জামায়াত ইসলামী নেতারা নাস্তিক আখ্যা দিয়ে ঢাকার শাহবাগ আন্দোলনে জড়িতসহ নানাজনের নামে মিথ্যাচারমূলক বক্তব্য দিলে প্রতিবাদ করেন তিনি। এসময় মসজিদের . . .

গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বানধর্মকে পুঁজি করে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না http://www.kalerkantho.com/index.php?view=details&type=gold&data=news&pub_no=1161&cat_id=1&menu_id=0&news_type_id=3&news_id=326896#.USbunh2u8vw
22 Feb 2013   06:19:52 AM   Friday BdST   E-mail this

নির্ঘুম ১৮ রাতের ইতিহাসে প্রজন্ম চত্বর


নতুন কর্মসূচি কবে কোথায় নিজস্ব প্রতিবেদকhttp://www.kalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=news&pub_no=1161&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=1নতুন প্রত্যয়ে একুশ : ভাষা শহীদদের বাংলায় রাজাকারদের ঠাঁয় নাই:http://www.thedailysangbad.com/?view=details&type=gold&data=Cook&pub_no=1333&menu_id=13&news_type_id=1&val=124182



__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] Day 19, Shahbag Movement: Youths rises again to Rally at Rayerbazar today



Day 19, Shahbag Movement: Youths rises again to Rally at Rayerbazar today

As the Jamaat-Shibir and its alliases unleashed a reign of terror targeting the Shahbag movement, protesters returned to the Shahbag intersection yesterday afternoon, about 16 hours after the nonstop movement was wrapped up.

Protesting against the countrywide violence, burning and tearing down of national flag and damaging Shaheed Minars in Dhaka and other districts, the Blogger and Online Activist Network began demonstrating all over the country since 7:00pm.

In Dhaka, Imran H Sarker, convener of the Network, issued an ultimatum to the government to arrest within 24 hours Mahmudur Rahman, acting editor of daily Amar Desh for "publishing motivating stories and instigating the violence".

"We have decided to continue our demonstrations round the clock until our demands are met," he said and added, "Our demand is simple. The organisations liable for war crimes during the Liberation War in 1971 must be banned."

He said the Shahbag protesters demanded exemplary punishment to those who attacked journalists during the violence. "The Jamaat-Shibir carried out attacks across the country to foil our prayer-programme," he said.

At 3:00pm today, protesters will hold a rally at Rayerbazar Baddhabhumi (mass killing ground) as announced on Thursday, but will carry national flags in protest at the Jamaat-Shibir men burning and tearing down the national flag, organisers said last night.

Organisers also urged the people to demonstrate with national flags across the country in protest against the violence.

The mass-signature campaign will resume at 10:00am today before the national museum and will continue till 10:00pm for a second day.

Imran said protesters carrying national flags would resist Sunday's hartal called by the Islamist parties.

He also formally wrapped up yesterday's protests around 11:00pm, saying the movement would continue today as announced on Thursday.

Earlier in the day, people from all walks of life started gathering at the protest venue from around 2:00pm, chanting slogans against Jamaat-Shibir.

In port city Chittagong, thousands of protesters thronged the protest venue chanting slogans against Jamaat-Shibir. An angry mob damaged windowpanes of the offices of Diganta Television and daily Sangram -- two media houses linked with Jamaat -- near Cheragi Pahar Mor, reports our district correspondent.

Shahidul Islam Shamim, a service holder who joined the Shahbag protest yesterday, said as activists of Jamaat and its affiliated organisations attacked police and journalists their politics must be banned.

"Leaders of these parties should be given exemplary punishment," he said.

"We have been here for the last 17 days. We must not leave Shahbag," said Fazle Masudur Rahman, another protester.

Zahirul Islam, a businessman, agrees and says: "It seems they [Jamaat] won't let me live in my own country."

The Shahbag movement began on February 5, hours after Jamaat assistant secretary general Abdul Quader Mollah was sentenced to life in prison for rape, killing and genocide in 1971. Protesters say a life term is too lenient a punishment for Mollah, known as the "Butcher of Mirpur" for his notorious role in the killing of hundreds during the war. Protesters have been demanding capital punishment to Mollah and all other war criminals.

On Thursday, issuing an ultimatum to the government to bring war crimes charges against Jamaat-e-Islami and initiate the legal process by March 26 to ban the party, the Shahbagh protesters announced a series of countrywide programmes beginning yesterday.

The programmes include special prayers at mosques after Juma prayers as well as at churches, pagodas and temples yesterday and holding more grand rallies, demonstrations and cultural programmes at different parts in Dhaka and other divisional cities.

Organisers had also told on Thursday night that although the protesters would not keep the Shahbag intersection occupied for 24 hours from yesterday, they would gather at the venue the day before the war crimes tribunal is to deliver a verdict.

Video:



__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] Re: বিয়ে করে অনুষ্ঠানিকতা করার আগেয় শহীদ হয়ে চলে গেলেন তোফায়েল বিয়ে করে অনুষ্ঠানিকতা করার আগেয় শহীদ হয়ে চলে গেলেন আমাদের প্রিয় মুখ তোফায়েল।





2013/2/23 Abid Bahar <abid.bahar@gmail.com>

পাবনায় জামায়াত-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ২


শাহীন রহমান, জেলা প্রতিনিধি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
পাবনা: পাবনায় জামায়াতের ডাকা আধা বেলার হরতাল চলাকালে গুলি বিনিময়ে আলাল হোসেন (২০) ও সিরাজুল ইসলাম (২৩) নামের দুইজন নিহত হয়েছেন। এসময় ২ জন গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হন বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।

জামায়াতের পক্ষে নিহত ২জনকে শিবিরকর্মী বলে দাবি করা হয়েছে।

শনিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে সদর উপজেলার পাবনা-ঢাকা মহাসড়কের বাঙ্গাবাড়িয়া নামক স্থানে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

2013/2/23 Abid Bahar <abid.bahar@gmail.com>


2013/2/23 Abid Bahar <abid.bahar@gmail.com>


2013/2/23 Abid Bahar <abid.bahar@gmail.com>

বিয়ে করে অনুষ্ঠানিকতা করার আগেয় শহীদ হয়ে চলে গেলেন তোফায়েল
বিয়ে করে অনুষ্ঠানিকতা করার আগেয় শহীদ হয়ে চলে গেলেন আমাদের প্রিয় মুখ তোফায়েল।
Length: ‎1:59






__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও বঙ্গবন্ধু by তোফায়েল আহমেদ




ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও বঙ্গবন্ধু
তোফায়েল আহমেদ


আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি- 'বঙ্গবন্ধু দিবস।' আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন। ১৯৬৯-এর এই দিনে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে তথা বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে আমার সৌভাগ্য হয়েছিল ইতিহাসের মহামানব জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে 'বঙ্গবন্ধু' উপাধিতে ভূষিত করার। তিনি যখন বঙ্গবন্ধু উপাধি পান তখন তার বয়স মাত্র ৪৯ বছর। সমকালীন প্রথম সারির নেতারা সবাই ছিলেন তার চেয়ে বয়সে অনেক বড়। তথাপি বাংলার ছাত্র-জনতা কৃতজ্ঞচিত্তে নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবকেই বঙ্গবন্ধু উপাধি প্রদান করে। শেখ মুজিবুর রহমানের নামের আগে বঙ্গবন্ধু উপাধিটি ইতিহাসের যে প্রেক্ষাপটে যুক্ত হয় তা আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা। লোকমান্য বালগঙ্গাধর তিলক, রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি, বিপ্লবী অরবিন্দ, বাঘা যতীন, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, মহাত্দা মোহন দাস করমচাঁদ গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু, মজলুম নেতা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ, মজলুম নেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শেরেবাংলা একে ফজলুল হক বা কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ_ এদের কেউই তাদের নামের আগে যুক্ত উপাধিসমূহ শেখ মুজিবের বঙ্গবন্ধু উপাধি পাওয়ার মতো এমন ঘটা করে পাননি। পৃথিবীর খুব অল্পসংখ্যক নেতাই গণমানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে ১০ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে এমন ঘটা করে গৌরবোজ্জ্বল উপাধির অধিকারী হয়েছেন।


এর শুরুটা হয়েছিল '৬৯-এর ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে। সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন ডাকসু কার্যালয়ে আমার সভাপতিত্বে এবং তিন ছাত্র সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম 'সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ' গঠন এবং জাতির উদ্দেশে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি ১১ দফা ঘোষণা করি। ৮ জানুয়ারি সম্মিলিত বিরোধী দল সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আটটি বিরোধী দলের ঐক্যফ্রন্ট কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে আট দফাভিত্তিক এক ঘোষণাপত্র প্রকাশ করে। ৯ জানুয়ারি দেশের আটটি বিরোধী রাজনৈতিক দলের ঐক্যের ভিত্তিতে 'গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পরিষদ' ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন কমিটি সংক্ষেপে 'ডাক' গঠন করে। ১২ জানুয়ারি ডাক প্রাদেশিক সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। আট দফা দাবির ভিত্তিতে ১৭ জানুয়ারি 'দাবি দিবস' পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১৭ জানুয়ারি বায়তুল মোকাররমে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পরিষদ তথা ডাক-এর এবং ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের জমায়েত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের বটতলায় অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্র সমাবেশে পুলিশি হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে ১৮ জানুয়ারি শনিবার ঢাকা শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ধর্মঘট পালনের আহ্বান জানানো হয়। ১৮ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সফল ছাত্র ধর্মঘট পালিত হয়। সকালে বটতলায় ছাত্র জমায়েতের পর খণ্ড খণ্ড মিছিল এবং সহস্র কণ্ঠের উচ্চারণ_ 'শেখ মুজিবের মুক্তি চাই, আইয়ুব খানের পতন চাই।' সন্ধ্যায় জিন্নাহ হলে (বর্তমানে সূর্যসেন হল) বিনা উসকানিতে ইপিআর ছাত্রদের ওপর লাঠিচার্জ করে। প্রতিবাদে ১৯ জানুয়ারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রদের স্বতঃস্ফূর্ত মিছিল, পুলিশের বাধা ও গুলিবর্ষিত হলে ছাত্রনেতা আসাদুল হক আহত হন। ২০ জানুয়ারি ঊনসত্তরের গণআন্দোলনের মাইলফলক। ১১ দফার দাবিতে ঢাকাসহ প্রদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূর্ণ ধর্মঘট পালন। এর পর ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ সার্জেন্টের গুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদুজ্জামান নিহত হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে শোকসভা। শোকসভায় আমার সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার পর শহীদ আসাদের রক্ত ছুঁয়ে শপথ গ্রহণ ও ২১ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে শহীদ আসাদের নামাজে জানাজা। জানাজার পর সংগ্রামী জনতার উদ্দেশে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করি : ২২ জানুয়ারি শোক মিছিল, কালোব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন, ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মশাল মিছিল, পরে কালো পতাকাসহ শোক মিছিল, ২৪ জানুয়ারি বেলা ২টা পর্যন্ত হরতাল। কর্মসূচি ঠেকাতে সরকার ১৪৪ ধারা জারি করে। সংগ্রামী ছাত্র-জনতা ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে প্রতিটি দিনের কর্মসূচিতে সর্বাত্দক অংশগ্রহণ করে। জানাজার পরে বিক্ষোভ মিছিলে লাখো মানুষের ঢল নামে। দেশের বিভিন্ন স্থানের পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ বেপরোয়া হয়ে গুলি চালালে সারা দেশে এদিন ছয়জন নিহত ও ১৪ জন আহত হন। ২২ জানুয়ারি ঢাকায় সব বাড়ি ও গাড়িতে কালো পতাকা আর প্রতিটি মানুষের বুকে কালোব্যাজ। সে এক অভাবনীয় দৃশ্য। ২৩ জানুয়ারি ঢাকা শহর মশাল আর মিছিলের নগরী। ইতিহাসের বৃহত্তম মশাল মিছিল। ২৪ জানুয়ারি হরতালে ছাত্র-গণমিছিলে পুলিশের গুলিতে ঢাকার নবকুমার ইনস্টিটিউটের ছাত্র মতিউর রহমান নিহত হন। ক্ষোভে ফেটে পড়া বিক্ষুব্ধ মানুষ সরকার সমর্থিত দৈনিক পাকিস্তান, মর্নিং নিউজ এবং পয়গাম পত্রিকা অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়। শহীদদের তালিকায় যুক্ত হয় আনোয়ার, রুস্তম, মিলন, আলমগীরসহ আরও অনেক নাম। দুপুরে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় পল্টন ময়দানে। আমার বক্তৃতার পর সেখান থেকে মিছিল জমায়েত হয় ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) মাঠে। সান্ধ্য আইন অমান্য করে বানের জলের মতো রাজপথে নেমে আসে লাখ লাখ মানুষ। গণরোষে কেঁপে ওঠে তথাকথিত লৌহমানব আইয়ুব খানের মসনদ। দেশব্যাপী গণআন্দোলনের ব্যাপকতা গণমানুষের জাতীয় মুক্তির চেতনায় যে আগুন ধরিয়েছিল তাতে প্রচণ্ড গণবিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে সংঘটিত হয় ২৪ জানুয়ারির গণঅভ্যুত্থান। ইতিহাসে যা খ্যাত হয়ে আছে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান নামে।

২৫, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি সান্ধ্য আইন বলবৎ থাকে। ২৭ জানুয়ারি ঢাকায় গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে পশ্চিম পাকিস্তানে গণবিক্ষোভ। করাচি ও লাহোরে সেনাবাহিনী তলব এবং সান্ধ্য আইন জারি। ২৯ জানুয়ারি গুজরাটওয়ালায় সেনাবাহিনী তলব। গুলিবর্ষণে ৩ জন নিহত। ১ ফেব্রুয়ারি আইয়ুব খানের বেতার ভাষণ। বিরোধী দল এবং ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের প্রত্যাখ্যান। ৬ ফেব্রুয়ারি আইয়ুবের পূর্ব পাকিস্তান সফর। সংবাদ সম্মেলনে দেশরক্ষা আইন ও অর্ডিন্যান্সের প্রয়োগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা। ৮ ফেব্রুয়ারি দৈনিক ইত্তেফাকের ছাপাখানা নিউ নেশন প্রিন্টিং প্রেসের ওপর থেকে বাজেয়াপ্ত আদেশ এবং দৈনিক ইত্তেফাকের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার। ৯ ফেব্রুয়ারি সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পল্টন ময়দানে 'শপথ দিবস' পালন। পরিষদের সমন্বয়ক হিসেবে আমার সভাপতিত্বে পল্টন ময়দানে এক বিশাল সমাবেশে ১০ জন ছাত্রনেতা জীবনের বিনিময়ে ১১ দফা দাবি প্রতিষ্ঠা করার সংকল্প ঘোষণা করেন এবং শেখ মুজিবসহ সব রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার শপথ গ্রহণ করেন। এ দিন স্লোগান ওঠে 'শপথ নিলাম শপথ নিলাম মুজিব তোমায় মুক্ত করব', 'শপথ নিলাম শপথ নিলাম মাগো তোমায় মুক্ত করব।' ১১ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান প্রতিরক্ষা আইনে ধৃত রাজবন্দীদের বিনাশর্তে মুক্তি লাভ। ১২ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদের মুক্তি লাভ। ১৪ ফেব্রুয়ারি 'ডাক'-এর সারা দেশে হরতাল আহ্বান। পল্টন ময়দানের সভায় জনতা কর্তৃক নূরুল আমিন ও ফরীদ আহমদ লাঞ্ছিত। ১৫ ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হককে ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা। ১৫ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সান্ধ্য আইন জারি। আইয়ুব খানের 'আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা' প্রত্যাহার এবং প্যারোলে মুক্তি দিয়ে শেখ মুজিবসহ বিরোধী নেতৃবৃন্দকে গোলটেবিল বৈঠকে আমন্ত্রণ। ছাত্র-জনতা কর্তৃক প্যারোলে মুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান। ১৬ ফেব্রুয়ারি দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে ঢাকা। বাংলা একাডেমী সংলগ্ন স্টেট হাউসে অগি্নসংযোগ। পল্টনে লক্ষাধিক লোকের অংশগ্রহণে সার্জেন্ট জহুরুল হকের গায়েবানা জানাজা। ১৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে পূর্ণ দিবস হরতাল পালন। ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের রিডার শামসুজ্জোহাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে পাকিস্তানি সেনাদের বেয়নেট চার্জ করে নির্মমভাবে হত্যা। ২০ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫টায় সান্ধ্য আইন প্রত্যাহার। ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবসে আমার সভাপতিত্বে পল্টনের মহাসমুদ্রে সংগ্রামী ছাত্র সমাজের অগ্রনায়কদের সংগ্রামী শপথ এবং ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম প্রদান। সারা দেশ গণবিস্ফোরণে প্রকম্পিত। প্রচণ্ড জনরোষের ভয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি আইয়ুব খান কর্তৃক সব রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তি দান।

২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯-এর এই দিনে শেখ মুজিবের মুক্তিতে দৈনিক ইত্তেফাকের শিরোনাম_ 'ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার মুজিবসহ সকলের মুক্তি লাভ : কারাগার রাজবন্দী শূন্য পূর্ব বাংলার মাটিতে অবশেষে বাস্তিলের কারাগার ধসিয়া পড়িয়াছে। জনতার জয় হইয়াছে। গণদাবির নিকট নতিস্বীকার করিয়া দোর্দণ্ড প্রতাপ সরকার তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করিয়া পূর্ব বাংলার অগি্ন সন্তান, দেশগৌরব আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানসহ এই মামলায় অভিযুক্ত সকলকেই কুর্মিটোলার সামরিক ছাউনির বন্দীনিবাস হইতে গতকল্য (শনিবার) মধ্যাহ্নে বিনাশর্তে মুক্তি দিতে বাধ্য হইয়াছেন।' সেদিন ইত্তেফাকের সম্পাদকীয়তে আবেগমথিত ভাষায় লেখা হয়_ 'জয় নিপীড়িত জনগণ জয়, জয় নব উত্থান। আজ উৎসবের দিন নয়, বিজয়ের দিন, আজ আনন্দের দিন নয়, স্মরণের দিন। তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহৃত হইয়াছে। দুঃশাসনের কারা কক্ষ হইতে দেশের প্রিয় সন্তান শেখ মুজিব অন্যান্য সহবন্দীর সঙ্গে মুক্ত হইয়া আবার তার প্রিয় দেশবাসীর মাঝে ফিরিয়া আসিয়াছেন। শহীদী ঈদের সেনাদের অভিযান সফল হইয়াছে। গণজাগরণের প্রবল প্লাবনের পলি মাটিতে রক্তাক্ষরে লিখিত হইয়াছে নূতন এক ঊষার স্বর্ণ দুয়ার উন্মুক্ত করার অবিস্মরণীয় কাহিনী। তবুও আজ অহল্যা-প্রতিম পূর্ব বাংলা জাগ্রত। তার অশোক আকাশে ফাল্গুনের রক্ত সূর্যে নূতন প্রাণে পতাকা শিহরিত। মেঘের সিংহবাহনে নূতন প্রভাত আসিয়াছে। এই প্রভাতের সাধনায় তিমির রাত্রির তপস্যায় যাহারা আত্দাহুতি দিয়াছেন আজ বিপুল বিজয়ের ক্রান্তিলগ্নে তাহাদেরই আমরা সর্বাগ্রে স্মরণ করি। তাহাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে জানাই আমাদের অবনত চিত্তের অভিনন্দন।'

৬৯-এর ২৩ ফেব্রুয়ারি। শুরুতেই বলেছি এই দিনটি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন। সেদিনের রেসকোর্স ময়দান যারা দেখেননি তাদের বলে বোঝানো যাবে না সেই জনসমাবেশের কথা। আমরা যখন সেখানে পেঁৗছেছি, তখন রেসকোর্স ময়দানে মানুষ আর মানুষ। ১৪ লাখ মানুষ অধ্যুষিত ঢাকা নগরীর মানুষই শুধু নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রেন, বাস, ট্রাক, লঞ্চ-স্টিমারে বোঝাই হয়ে রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, কৃষক-শ্রমিক, সাধারণ মানুষ ছুটে এসেছে। ঢাকার মানুষ তো আছেই। অভিভূত হয়ে পড়লাম আমি। এত মানুষ তো একসঙ্গে কোনোদিন দেখিনি। আমার বন্ধুরাও স্তম্ভিত। কিন্তু কত সুশৃঙ্খল তারা। এরাই তো আমাদের শক্তি। অনেকেই পত্র-পত্রিকায় আমাদের নাম শুনেছেন, দেখেননি। তাদের সামনে আজ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ দাঁড়াবে। আমার আজও যখন মনে হয় সেদিনের সেই গণসংগ্রামের কথা, কী এক শিহরণে আমার চোখ ফেটে পানি এসে যায়। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা আবদুর রউফ, খালেদ মোহাম্মদ আলী, শামসুদ্দোহা, সাইফুদ্দীন আহমেদ মানিক, মোস্তফা জামাল হায়দার, মাহবুবউল্লাহ, ফখরুল ইসলাম মুন্সী, ইব্রাহিম খলিল, নাজিম কামরান চৌধুরী কার কথা না আজ আমার মনে পড়ে। মনে পড়ে কারাবন্দী শেখ মনি ভাইয়ের কথা। ষাটের দশকের সূচনা থেকে স্বৈরশাসক আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনগুলোর ঐক্যের তিনিই অন্যতম উদ্যোক্তা। আমাদের কাছে তার বিভিন্ন পরামর্শ আসত জেল থেকে। জেলে বন্দী ছিলেন আমাদের রাজ্জাক ভাইও। তার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। জেলের বাইরে ছিলেন সিরাজ ভাই, অর্থাৎ সিরাজুল আলম খান। তিনি যথেষ্ট সহায়তা করেছেন আমাকে বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে। কোথাও কোনো জটিলতা কিংবা বিবৃতিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন।

বলছিলাম ২৩ ফেব্রুয়ারির কথা। একজন ছাত্রনেতার জীবনে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে? বাংলার অবিসংবাদিত নেতা যে মঞ্চে উপবিষ্ট, যার সামনে ১০ লাখেরও অধিক মানুষ, আমি সেই সভার সভাপতি। সেদিন ওই মঞ্চে বক্তব্য রেখেছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খালেদ মোহাম্মদ আলী, ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া) সাইফুদ্দীন আহমেদ মানিক, ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন) মাহবুবউল্লাহ এবং এনএসএফ-এর মাহবুবুল হক দোলন। আগেই বলেছি আমি ছিলাম সভাপতি, নিয়মানুসারে সব বক্তার শেষেই আমার বক্তৃতা দেওয়ার কথা। কিন্তু নেতা বক্তৃতা দেওয়ার পর আমি বলব এবং আমার ভাষণ কেউ শুনবেন এমন আশা করার ধৃষ্টতা আমি কেন, আমার বন্ধু নেতারাও ভাবেননি। তাই প্রিয় নেতার ভাষণের আগে আমাকে দাঁড়াতে হলো। যাকে গণসংবর্ধনা দিচ্ছি তিনি ভাষণ দেবেন সবার শেষে সেটাই সাব্যস্ত হয়েছিল। আমার জন্য অবশ্য ভাষণ দেওয়াটা তেমন জরুরি ছিল না, এর চেয়ে অনেক বড় একটা দায়িত্ব আমার ওপর অর্পণ করা হয়েছিল। সেটা হলো ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে জাতির অনুমোদন নিয়ে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানকে একটি উপাধি দেওয়া_ যা তার নামের সঙ্গে অবিনশ্বর হয়ে থাকবে। তখন আর অস্বীকার করার কোনো সুযোগ ছিল না, সবাই যা সত্য হিসেবে চোখের সামনে লক্ষ্য করেছে তা হলো সমগ্র জাতি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। গণসংবর্ধনায় এই অভিধা প্রদান নিয়ে আমরা সব ছাত্রনেতা আলোচনায় বসেছিলাম। আমরা একমত ছিলাম যে, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে যে জাতীয় ঐক্যের সৃষ্টি হয়েছে, সমগ্র জাতি আমাদের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা স্থাপন করেছে। সুতরাং, যে মানুষটি শুধু পূর্ব বাংলার মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা স্বাধিকারের জন্য তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় কারান্তরালে কাটিয়েছেন অকুতোভয়ে, যার প্রতিটি উচ্চারণ আপসহীন, যার লক্ষ্য সুস্থির অটল, যিনি মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন বার বার_ জাতি যাকে বুকে তুলে নিয়েছে, যাকে নেতা হিসেবে বরণ করে নিয়েছে, যার জন্য রক্ত দিয়েছে, তাকে গণউপাধিতে ভূষিত করার অধিকার আমাদের অবশ্যই আছে এবং ঐতিহাসিক কারণে এটা আমাদের কর্তব্যও_ এবং আমাদের সামনে সেই সুবর্ণ সুযোগ এসেছে। আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমাদেরই এক ছোট ভাই প্রিয় নেতাকে নিয়ে একটা কবিতা লিখেছিলেন যার নাম ছিল 'বঙ্গবন্ধু'। কবিতায় নেতাকে সে বঙ্গবন্ধু সম্বোধন করেছিল প্রতিটি চরণে। আমরা তো এর আগে 'বাংলার নয়নমণি', 'বঙ্গশার্দুল', 'অবিসংবাদিত নেতা', 'বাঙালির মুক্তিদাতা' প্রভৃতি বিশেষণে সম্বোধন করতাম। কিন্তু বঙ্গবন্ধু অভিধাটি আমাদের সবার কাছেই খুব ভালো লাগল। আমরা একমত হলাম। অবরুদ্ধ বাঙালি যেন সহস্রাধিক বছর অপেক্ষায় এমন একজন বন্ধুর জন্য। চোখের সামনে বন্ধুর অবয়ব ভেসে ওঠে। বন্ধু অর্থ কি? বিশাল ক্যানভাসে সেদিন বন্ধুর ভাবার্থ আমাদের সামনে সুস্পষ্ট ছিল। যিনি ভালোবাসেন। শুধু ভালোবাসেন না, ভালোবাসার জন্য আপসহীন এবং আমৃত্যু সংগ্রাম করে যান। যার ভালোবাসা নির্লোভ, নিঃস্বার্থ। শেখ মুজিব যখন বন্ধু তখন তিনি হয়ে উঠেন বাংলার প্রকৃতির বন্ধু, বাংলার ভাষা কৃষ্টি-সংস্কৃতির বন্ধু, বাঙালি জাতীয়তাবোধের বন্ধু, মুক্তি সংগ্রামের বন্ধু। সুতরাং, একমাত্র শেখ মুজিবই হতে পারেন বঙ্গবন্ধু। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা কাউকেই আর বলিনি যে তাকে আজ এরূপ সম্বোধনে ভূষিত করব। সভাপতির ভাষণ দিতে দাঁড়ালাম। জনগণের কাছে প্রশ্ন রাখলাম, যে নেতা তার যৌবন কাটিয়েছেন কারাগার থেকে কারাগারে। মৃত্যুভয় যার কাছে ছিল তুচ্ছ। এমনকি প্রধানমন্ত্রিত্বও ছিল যার কাছে তুচ্ছ। যে নেতা সবসময় বলেছেন আমি ক্ষুদিরামের বাংলার মুজিব, সূর্যসেনের বাংলার মুজিব। যিনি বলেছিলেন, বাংলার মানুষের জন্য আমি হাসিমুখে জীবন দিতে পারি_ সেই নেতাকে আমরা একটি উপাধি দিয়ে বরণ করতে চাই। ১০ লাখ জনতা তাদের ২০ লাখ হাত উঁচিয়ে সমস্বরে সম্মতি জানিয়েছিল। সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে ঘোষণা করলাম_ বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তান, হাজার বছরের মহাপুরুষ, নিপীড়িত-লাঞ্ছিত-প্রবঞ্চিত বাঙালির নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে 'বঙ্গবন্ধু' উপাধিতে ভূষিত করলাম। আজ থেকে তিনি আমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। লাখ লাখ কণ্ঠে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হলো_ জয় বঙ্গবন্ধু।

পরদিন দৈনিক ইত্তেফাকের শিরোনাম ছিল_ 'রেসকোর্সের গণমহাসমুদ্রে বক্তৃতারত শেখ মুজিবুর রহমান, প্রয়োজন হইলে সংগ্রাম করিয়া আবার কারগারে যাইব, কিন্তু দেশবাসীর সহিত বিশ্বাসঘাতকতা করিব না।' দৈনিক ইত্তেফাকের বিশেষ নিবন্ধে লেখা হয়, 'ঢাকার বুকে সর্বকালের বৃহত্তম গণসংবর্ধনা সভায় মুজিবের ঘোষণা। এই দিন ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে গণমহাসমুদ্রের সভার সভাপতি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলা ও বাঙালির স্বার্থে অবিচল ও অবিরাম সংগ্রামের কথা স্মরণ করাইয়া দিয়া ঢাকার ইতিহাসে সর্বকালের সর্ববৃহৎ জনসমাবেশের উদ্দেশে বলেন যে, আমরা বক্তৃতা-বিবৃতিতে শেখ মুজিবুর রহমানকে নানা বিশেষণে বিশেষিত করার প্রয়াস পাই। কিন্তু তার রাজনৈতিক জীবন বিশ্লেষণ করিলে যে সত্যটি সবচাইতে ভাস্বর হইয়া ওঠে তা হইতেছে মানব দরদী_ বিশেষ করিয়া বাংলা ও বাঙালির দরদী, প্রকৃত বন্ধু। তাই আজকের এই ঐতিহাসিক জনসমুদ্রের পক্ষ হইতে আমরা তাহাকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করিতে চাই। রেসকোর্সের জনতার মহাসমুদ্র তখন এক বাক্যে বিপুল করতালির মধ্য দিয়া ১০ লক্ষাধিক লোক তাদের ২০ লক্ষাধিক হস্ত উত্তোলন করিয়া এই প্রস্তাব সমর্থন করেন।'

ভাবতে আজ কত ভালো লাগে বর্তমান তরুণ প্রজন্ম রাজধানী ঢাকার শাহবাগে মিলিত হয়ে '৫২, '৬৯ ও '৭১-এর চেতনায় জাগ্রত হয়ে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের দাবিতে গোটা জাতিকে পুনর্জাগরিত করেছে। তরুণ প্রজন্মের জাগ্রত চেতনার সঙ্গে একাত্দতা জানাতে শাহবাগে গিয়েছিলাম। আমি স্বচক্ষে দেখেছি, স্বকর্ণে শুনেছি তাদের স্লোগান। গর্বে আমার বুক ভরে উঠেছে। ষাটের দশকে আমরা যেসব স্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করেছি_ 'জাগো জাগো বাঙালি জাগো', 'পদ্মা মেঘনা যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা', 'তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি', 'আমার দেশ তোমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ', এবং 'জয় বাংলা'। সেসব রণধ্বনি আজ ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হচ্ছে নবপ্রজন্মের কণ্ঠে। ছোট্ট সোনামণিরা মা-বাবার কোলে চেপে, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, গৃহবধূ, প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা, সবাই আজ যুদ্ধাপরাধীদের দাবি আদায়ে সমবেত হয়েছে শাহবাগের রাজপথে। তাদের কপালে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকার ব্যান্ড, গালে লেখা এবং দৃপ্ত কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছে 'জয় বাংলা' স্লোগান। হাতের ব্যানারে লেখা 'কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি।' এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। একদিন যে স্বপ্ন নিয়ে, যে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চেতনায় হাতিয়ার তুলে নিয়ে ১৯৭১-এ জাতির জনকের ডাকে প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা অর্জনে সশস্ত্র জনযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম, '৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর জেনারেল জিয়াউর রহমান তার সবকিছুই ধ্বংস করে দেওয়ার সর্বাত্দক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু সফলকাম হননি। স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আমাদের দীর্ঘদিনের সংগ্রামের সুফল আজ নবপ্রজন্মের চেতনার শোণিতে ধারিত ও প্রবাহিত হয়েছে। কোনো অপশক্তিই আর তাদের পশ্চাৎমুখী করতে সক্ষম হবে না। এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস। সুদীর্ঘকালের সংগ্রামী অভিজ্ঞতার আলোকে আজ আত্দবিশ্বাসের সঙ্গে বলছি, যে অসাম্প্রদায়িক আদর্শকে সামনে রেখে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির জনক_ সেই স্বপ্নের পতাকা বহনের শক্তি নবপ্রজন্ম অর্জন করেছে। সাফল্য আমাদের সুনিশ্চিত।


লেখক : আওয়ামী লীগ নেতা, সংসদ সদস্য, সভাপতি, শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

ই-মেইল :tofailahmed69@gmail.com





__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___