Banner Advertise

Friday, October 31, 2014

[chottala.com] Fw: Sitar concert and Dance performance on Nov 7th at the Dakshina Fall Festival 2014



 


 

Sitar & Dance on Nov 7th at the Dakshina Fall Festival 2014

Daniel  Phoenix Singh  Dance Company presents DC's 11th Annual Festival &Arts
Nov 6th to Nov 8th http://www.dakshina.org/

 Nov 7th : Sitar Concert followed by Dance program

Sitar ~ Alif Laila

Tabla ~ Nitin Mitta

Tanpura ~ Sangeeta Agrawal

Bharata Natyam & Kuchipudi Dance ~ Dr Ananda Shankar Jayant
 
Time: 8pm

Venue: Shakespeare Theater, Sidney Harman Hall
             610 F Street NW Washington DC 20004

Buy tickets at http://www.dakshina.org/ with 20% discount code : alif2014


spacer (1K)
spacer (1K) spacer (1K) spacer (1K) spacer (1K)
© 2014 aliflailasitar spacer (1K) spacer (1K) spacer (1K)

Unsubscribe | Privacy policy




__._,_.___

Posted by: Miro Jangi <mjangi@yahoo.com>


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___

Thursday, October 30, 2014

[chottala.com] জঙ্গীদের অর্থ দিয়ে খালেদা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছেন/



সরকারের মন্ত্রীদের কথায় আদালতের রায় পাল্টায় না। আদালত স্বাধীনভাবে রায় দেয়। সরকারের পক্ষ থেকে বিচার বিভাগের কাজে কোন হস্তক্ষেপ নেই। অনেকে বলেন, সরকারের সঙ্গে জামায়াতের আঁতাত হয়েছে। কিন্তু নিজামীর রায় প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে স্বাধীনতার শত্রু জামায়াত-শিবিরের কোন আঁতাত হতে পারে না। খালেদা জিয়া শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও জঙ্গীদের অর্থ যোগান দিয়ে সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছেন।
অনেকে মন্তব্য করেন, সরকারের সঙ্গে জামায়াতের আঁতাত হয়েছে। নিজামীর রায় প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে স্বাধীনতার শত্রু জামায়াত-শিবিরের কোন আঁতাত হতে পারে না।
হরতাল হরতাল খেলা বাদ দিতে হবে। আজ দেশে কী ধরনের হরতাল হচ্ছে তা আপনারা দেখছেন। কিন্তু কাল কোন কোন কাগজে লেখা হবে শান্তিপূর্ণ হরতাল পালিত হয়েছে। আজ টিভি খুলে দেখুন তারা প্রচার করছে দেশে জামায়াতের হরতাল চলছে। তিনি বলেন, জঙ্গীবাদের উত্থান হয়েছে খালেদার হাত ধরে। আর জামায়াতের উত্থান হয়েছে জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। ১৭ আগস্ট বোমা হামলার সঙ্গে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কোন সম্পর্ক নেই বলে খালেদা জিয়া বলেছিলেন। কিন্তু আজ সেটা মিথ্যা প্রমাণিত। পশ্চিমবঙ্গের আইএস জঙ্গীগোষ্ঠী প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করছে বলে খবর বেরিয়েছে। খালেদা জিয়া শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও জঙ্গীদের অর্থ যোগান দিয়ে সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছেন। মেনন বলেন, রাজাকার, জঙ্গী ও সাম্রাজ্যবাদীদের অশুভ আঁতাত এই দেশটাকে অস্থির করতে চাইছে। তাই মৌলবাদ, রাজাকার ও জঙ্গীবাদের পাশাপাশি সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধেও লড়াই শাণিত করতে হবে।
খালেদাপন্থী বিএনপি চক্র রাজাকার, জঙ্গীবাদ বিরোধী লড়াইয়ে আমাদের বাধা দিচ্ছে। খালেদা জিয়া অশান্তির প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তাই নিজামীর ফাঁসির রায় হওয়ায় উনি খুশি হতে পারেননি।


__._,_.___

Posted by: Gonojagoron Moncho <projonmochottar@gmail.com>


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___

[chottala.com] আপীল বিভাগের রায়ের অপেক্ষায় ॥ কামারুজ্জামান মুজাহিদ সাকা




আপীল বিভাগের রায়ের অপেক্ষায় ॥ কামারুজ্জামান মুজাহিদ সাকা
ট্রাইব্যুনালে অপেক্ষমাণ আরও ৫ মামলা
০ মীর কাশেম আলীর রায় রবিবার 
০ দশ মামলায় ১১ জনের সাজা হয়েছে 
০ সুপ্রীমকোর্টে দুই মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি 
০ ফাঁসি কার্যকর হয়েছে কাদের মোল্লার 
০ পলাতক তিনজন- বাচ্চু রাজাকার, চৌধুরী মাঈনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খানের চূড়ান্ত সাজা হয়েছে


__._,_.___

Posted by: Gonojagoron Moncho <projonmochottar@gmail.com>


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___

Wednesday, October 29, 2014

[chottala.com] নিজামীকে মন্ত্রী করা ছিল মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের গালে কষে চড়



নিজামীকে মন্ত্রী করা ছিল মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের গালে কষে চড়/
আদালতের পর্যবেক্ষণ॥ 
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধী ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীকে বাংলাদেশের মন্ত্রী করাটা ছিল মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের গালে চড় দেয়ার শামিল। বুধবার যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীকে মৃত্যুদ- দিয়ে দেয়া রায়ের পর্যবেক্ষণে এ কথা বলেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এদিকে, নিজামীর যুদ্ধাপরাধ মামলায় সাক্ষ্য-জেরা শেষে চূড়ান্ত রায় ঘোষণায় প্রায় এক বছর বিলম্বের বিষয়ে আপোস হয়েছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে আসা বক্তব্যের জবাব দিয়ে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, আমরা আপোস এবং সমঝোতা করি না। তা করলে আইন ও সংবিধানের জন্যই করি। আমাদের কেউ নির্দেশও দেয় না। আমরা আমাদের বিবেক-বুদ্ধি, আইন ও সংবিধান দ্বারা পরিচালিত হই। বুধবার এ মামলার বহু প্রতীক্ষিত রায় পড়া শুরুর আগেই এ মন্তব্য দেন ট্রাইব্যুনাল।
রায়ের পর্যবেক্ষণে ট্রাইব্যুনাল বলেন, নিজামী মনপ্রাণ দিয়ে শুধু বাংলাদেশের বিরোধিতাই করেননি, তিনি পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরী, আজহারুল হক ও হুমায়ুন কবিরের হত্যাকা-ের সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতা সাক্ষ্যের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে। অথচ এই নিজামীকেই বাংলাদেশের মন্ত্রী করা হয়েছিল, যা ছিল বড় ধরনের ভুল এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের গালে কষে চড়।
পর্যবেক্ষণে আলবদর বাহিনী সম্পর্কে ট্রাইব্যুনাল বলেন, নিজামী শুধু আলবদর বাহিনীর প্রধানই ছিলেন না, এটি গঠনের ক্ষেত্রেও মূল হোতা ছিলেন। এ ছাড়া ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি নিখিল পাকিস্তান ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন, যা বর্তমানে ছাত্রশিবির নামে পরিচিত। আলবদর বাহিনী ছিল ছাত্রসংঘের 'এ্যাকশন সেকশন'। স্পষ্টতই ছাত্রসংঘ ও আলবদরের ওপরে নিজামীর দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ ছিল।
পর্যবেক্ষণে ট্রাইব্যুনাল বলেন, নিজামী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যবহার করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ১১ থেকে ১৪ নম্বর অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধে উস্কানির যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, একাত্তরের ৩ আগস্ট চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউটে ইসলামী ছাত্রসংঘের সভায় পাকিস্তানকে 'আল্লাহর ঘর' বলেন। স্পষ্টতই তিনি এবং তাঁর দল জামায়াতে ইসলামী ইসলামের মূল কথার বিকৃতি ঘটিয়ে রাজনীতিতে ব্যবহার করেছেন। আদালত তাঁর পর্যবেক্ষণে আরও বলেছেন, আলবদর একটি ক্রিমিনাল সংগঠন তো বটেই, একই সঙ্গে এটি একটি সাম্প্রদায়িক সংগঠনও। সে সময় ধর্মের অপব্যাখ্যা করে প্রচুর তরুণকে এ সংগঠনটি বিভ্রান্ত করেছিল, যাদের নেতা ছিলেন নিজামী। উল্লেখ্য, স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সমরনায়ক জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া ২০০১ সালে সরকার গঠনের সময় মন্ত্রিসভায় নিয়েছিলেন নিজামীকে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের ওই সরকারে পাবনা-১ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য নিজামীকে প্রথমে কৃষিমন্ত্রী করা হয়েছিল। পরে তিন বছর শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে জামায়াত এখনও রয়েছে। তবে জোট শরিক দলের আমিরের মৃত্যুদ- নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি তারা।
একাত্তরে আলবদর বাহিনীর প্রধান নিজামী বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর গোলাম আযমের মতোই পালিয়ে গিয়েছিলেন। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পর পালাবদলে ক্ষমতায় যাওয়া জিয়ার অনুমতি নিয়ে ১৯৭৮ সালে নিজামী বাংলাদেশে ফেরেন।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের পূর্বসূরি সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের প্রধান নিজামী দেশে ফেরার পর প্রথমে জামায়াতের ঢাকা মহানগরীর আমিরের দায়িত্ব নেন। এরপর সহকারী জেনারেল থেকে সেক্রেটারি জেনারেল হন তিনি। ২০০০ সাল থেকে দলটির আমিরের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
ট্রাইব্যুনাল আপোস করে না ॥ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেছেন, আমরা আপোস এবং সমঝোতা করি না। তা করলে আইন ও সংবিধানের জন্যই করি। আমাদের কেউ নির্দেশও দেয় না। আমরা আমাদের বিবেক-বুদ্ধি, আইন ও সংবিধান দ্বারা পরিচালিত হই। নিজামীর রায় ঘোষণা শুরুর আগে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন এ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ ছিল। আমরাও অপেক্ষা করেছি এই ভারডিক্ট কবে দিতে পারব। এ অপেক্ষার কারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মহল ও গণমাধ্যমে নানা কথা উঠে এসেছে। কিন্তু এসব কথা আমাদের আমলে নেয়ার সুযোগ নেই। আমরা এর জবাব দিতে পারি না, জবাব দেয়া উচিতও হবে না। তবে একটি কথা বলতে চাই- ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনের মূল কথা হলো, না শুনে বিচার করা যায় না। ট্রাইব্যুনাল সব সময়ই আইন ও সংবিধান মেনে চলার চেষ্টা করে। আইন পর্যালোচনা করে আমরা রায় দেই। আমাদের ওপর কারও কোন নির্দেশ নেই। আমরা বলতে গেলে বোবার মতো থাকি। টক শোতে বা গণমাধ্যমে যাঁরা সমালোচনা করেন, তাঁদের মনে রাখা উচিত আমরা কোন জবাব দিতে পারি না।'
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যানের বক্তব্যের পর ২০৪ পৃষ্ঠার রায়ের সংক্ষিপ্ত অংশ পড়া শুরু করেন ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি মোঃ আনোয়ারুল হক। এরপর ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসাইন রায়ের পর্যবেক্ষণ অংশ পড়েন। সবশেষে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।


__._,_.___

Posted by: Gonojagoron Moncho <projonmochottar@gmail.com>


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___

Monday, October 27, 2014

[chottala.com] Fw: A Symbol Of Humanity !!!!!





On Monday, October 27, 2014 8:37 PM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:




On Monday, October 27, 2014 8:37 PM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:




| A KIND Heart |বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট ঢাকা ছেড়ে উড়ল আকাশে। জানালা দিয়ে নিচের ছোট ছোট বাড়িঘর দেখছি। হঠাৎ কে যেন বলে উঠল, আপনাকে প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করছেন। ঠিক সেই মুহূর্তে আমি অত্যন্ত দ্রুততায় পৌঁছে গেলাম ঘটনাস্থলে তথা বিমানের সামনের দিকে। প্রধানমন্ত্রী বসে আছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কোলে আমার মায়ের মাথা। আমার মায়ের নিঃশ্বাস বইছে প্রচণ্ড ধীরলয়ে। তার সারা শরীর ধীরে ধীরে গ্রাস করছে বরফ শীতলতা। আমি জানি না কী হতে যাচ্ছে। আমি হতবিহ্বল। হঠাৎ কানে এলো, 'দাঁড়িয়ে দেখছ কী! তাড়াতাড়ি পায়ে মালিশ শুরু কর। ওনার শরীর দ্রুত তাপমাত্রা হারাচ্ছে।' কথাটি বললেন কোনো এমবিবিএস ডাক্তার নন। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে। তারপর সবাইকে বললেন আমার মাকে বিমানের সিটে তুলে দেওয়ার জন্য। এরপর প্রধানমন্ত্রী বিমানবালাদের বললেন কুসুমগরম পানিতে এলাচ, লবণ ও চিনির মিশ্রণে শরবত বানাতে। এ শরবত পান করানো হলো আমার মাকে। মায়ের শরীরের তাপমাত্রা তখনো স্বাভাবিক হয়নি। আমি মায়ের পায়ে মালিশ করে চলছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতি ১০ মিনিট অন্তর শরবত পানীয় আর স্যালাইন পানি খাওয়ানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর উৎকণ্ঠা দেখে বাংলাদেশ বিমানের ক্রুরা ছিলেন মনিটরিংয়ে ব্যস্ত। তারা স্যালাইন ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত শরবত তৈরি করছেন। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসকও ব্যস্ত মাকে নিয়ে। ১০ মিনিট অন্তর ব্লাড প্রেসার এবং পালস পর্যবেক্ষণ করে চলেছেন তিনি। প্রতিবার পর্যবেক্ষণ করে তা আবার জানিয়ে আসছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এতেই ক্ষান্ত ছিলেন না, পাশাপাশি আমার কাছেও ১০ মিনিট পরপর অবস্থা 'এখন কেমন?' জানতে চাচ্ছিলেন। এভাবে তিন ঘণ্টা যায়; ধীরে ধীরে আমার মা চোখ খুললেন। তার শরীর তখন আস্তে আস্তে ফিরে পাচ্ছে কিছুটা তাপমাত্রা। এই টানা তিন ঘণ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিছুই নিলেন না মুখে। ক্ষুধা, পিপাসা, ঘুম, বিশ্রাম কিছুই যেন আর তাকে স্পর্শ করছে না। মুখজুড়ে তার সে কী উদ্বেগ আর ব্যাকুলতা। নিজের ব্যক্তিগত ব্যাগ খুলে বের করে দিলেন কিছু ওষুধ। আসলে ততক্ষণে দিবালোকের মতো আমাদের কাছে পরিষ্কার যে, দেশের স্নেহময়ী মা থাকলে আর দরকার নেই কোনো সার্টিফিকেটধারী পাস করা ডাক্তার। আসলেই তো তাই! পরবর্তীতে ধীরে ধীরে জননেত্রী আমাকে বললেন, পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় ভুটানের অধিবাসীরা উঁচু জায়গায় গিয়ে লো প্রেসার হলে এই পানীয়ের শরণাপন্ন হয়। আমাদের দেশের মায়ের এই আচরণে আমার চোখ দিয়ে কেবল অঝর অশ্রুই বের হলো। কৃতজ্ঞতা জানানোর কোনো ভাষা যে আমার জানা ছিল না। আমার এই জীবন দিয়ে ঋণ শোধ করলেও তা তো প্রয়োজনের চাইতে অনেক কম। একজন প্রধানমন্ত্রী কোথায় আর আমি কোথায়? ব্যবসায়ী পরিবারে আমার জন্ম। আমার মা মনোয়ারা হাকিম আলী এফবিসিসিআইর প্রথম সহ-সভাপতি। আমিও ব্যবসা করছি। মা-ছেলে দুজনই এবার প্রধানমন্ত্রীর ইতালি সফরের সঙ্গী ছিলাম। বিমানে মা ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছি আসনে। বাথরুম থেকে ফেরার পথে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী নিজে ছুটে গিয়ে মাকে বুকে জড়িয়ে নেন। তার ভালোবাসার পরশে সুস্থ হয়ে ওঠেন আমার মা মনোয়ারা হাকিম আলী। অতীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মায়াবী কাজের অনেক গল্প শুনেছি। এবার আমার মায়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী যা করলেন এর কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমাদের পরিবারের নেই। শুধু বিমানে নয়, ইতালি সফরকালে প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিনই খোঁজ নিয়েছেন মায়ের। এমনকি দেশে আসার পরও খবর নিয়েছেন কেমন আছেন আমার মা।-রিয়াদ আলী
| A KIND Heart |
বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট ঢাকা ছেড়ে উড়ল আকাশে। জানালা দিয়ে নিচের ছোট ছোট বাড়িঘর দেখছি। হঠাৎ কে যেন বলে উঠল, আপনাকে প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করছেন। ঠিক সেই মুহূর্তে আমি অত্যন্ত দ্রুততায় পৌঁছে গেলাম ঘটনাস্থলে তথা বিমানের সামনের দিকে। প্রধানমন্ত্রী বসে আছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কোলে আমার মায়ের মাথা। আমার মায়ের নিঃশ্বাস বইছে প্রচণ্ড ধীরলয়ে। তার সারা শরীর ধীরে ধীরে গ্রাস করছে বরফ শীতলতা। আমি জানি না কী হতে যাচ্ছে। আমি হতবিহ্বল। হঠাৎ কানে এলো, 'দাঁড়িয়ে দেখছ কী! তাড়াতাড়ি পায়ে মালিশ শুরু কর। ওনার শরীর দ্রুত তাপমাত্রা হারাচ্ছে।' কথাটি বললেন কোনো এমবিবিএস ডাক্তার নন। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে। তারপর সবাইকে বললেন আমার মাকে বিমানের সিটে তুলে দেওয়ার জন্য। এরপর প্রধানমন্ত্রী বিমানবালাদের বললেন কুসুমগরম পানিতে এলাচ, লবণ ও চিনির মিশ্রণে শরবত বানাতে। এ শরবত পান করানো হলো আমার মাকে। মায়ের শরীরের তাপমাত্রা তখনো স্বাভাবিক হয়নি।
আমি মায়ের পায়ে মালিশ করে চলছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতি ১০ মিনিট অন্তর শরবত পানীয় আর স্যালাইন পানি খাওয়ানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর উৎকণ্ঠা দেখে বাংলাদেশ বিমানের ক্রুরা ছিলেন মনিটরিংয়ে ব্যস্ত। তারা স্যালাইন ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত শরবত তৈরি করছেন। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসকও ব্যস্ত মাকে নিয়ে। ১০ মিনিট অন্তর ব্লাড প্রেসার এবং পালস পর্যবেক্ষণ করে চলেছেন তিনি। প্রতিবার পর্যবেক্ষণ করে তা আবার জানিয়ে আসছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এতেই ক্ষান্ত ছিলেন না, পাশাপাশি আমার কাছেও ১০ মিনিট পরপর অবস্থা 'এখন কেমন?' জানতে চাচ্ছিলেন। এভাবে তিন ঘণ্টা যায়; ধীরে ধীরে আমার মা চোখ খুললেন। তার শরীর তখন আস্তে আস্তে ফিরে পাচ্ছে কিছুটা তাপমাত্রা। এই টানা তিন ঘণ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিছুই নিলেন না মুখে। ক্ষুধা, পিপাসা, ঘুম, বিশ্রাম কিছুই যেন আর তাকে স্পর্শ করছে না। মুখজুড়ে তার সে কী উদ্বেগ আর ব্যাকুলতা। নিজের ব্যক্তিগত ব্যাগ খুলে বের করে দিলেন কিছু ওষুধ।
আসলে ততক্ষণে দিবালোকের মতো আমাদের কাছে পরিষ্কার যে, দেশের স্নেহময়ী মা থাকলে আর দরকার নেই কোনো সার্টিফিকেটধারী পাস করা ডাক্তার। আসলেই তো তাই! পরবর্তীতে ধীরে ধীরে জননেত্রী আমাকে বললেন, পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় ভুটানের অধিবাসীরা উঁচু জায়গায় গিয়ে লো প্রেসার হলে এই পানীয়ের শরণাপন্ন হয়। আমাদের দেশের মায়ের এই আচরণে আমার চোখ দিয়ে কেবল অঝর অশ্রুই বের হলো। কৃতজ্ঞতা জানানোর কোনো ভাষা যে আমার জানা ছিল না। আমার এই জীবন দিয়ে ঋণ শোধ করলেও তা তো প্রয়োজনের চাইতে অনেক কম। একজন প্রধানমন্ত্রী কোথায় আর আমি কোথায়? ব্যবসায়ী পরিবারে আমার জন্ম। আমার মা মনোয়ারা হাকিম আলী এফবিসিসিআইর প্রথম সহ-সভাপতি। আমিও ব্যবসা করছি। মা-ছেলে দুজনই এবার প্রধানমন্ত্রীর ইতালি সফরের সঙ্গী ছিলাম। বিমানে মা ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছি আসনে। বাথরুম থেকে ফেরার পথে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী নিজে ছুটে গিয়ে মাকে বুকে জড়িয়ে নেন। তার ভালোবাসার পরশে সুস্থ হয়ে ওঠেন আমার মা মনোয়ারা হাকিম আলী। অতীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মায়াবী কাজের অনেক গল্প শুনেছি। এবার আমার মায়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী যা করলেন এর কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমাদের পরিবারের নেই। শুধু বিমানে নয়, ইতালি সফরকালে প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিনই খোঁজ নিয়েছেন মায়ের। এমনকি দেশে আসার পরও খবর নিয়েছেন কেমন আছেন আমার মা।
-রিয়াদ আলী







__._,_.___

Posted by: Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com>


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___

Sunday, October 26, 2014

Re: [chottala.com] পিয়াস করিমের পর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা কিসের আলামত?



Piash Karim was my personal friend and colleague. He was one of the nicest persons
I have seen in my life, He never told anything against the trial of war criminals but just suggested  the trial to be more credible so that there is no debet raise about it. He was 13 years old in 1971 but for his stance for independence he was arrested by Pakistani army. Later his father released him giving bond signature. His father was compelled to become a peace committee member but saved lot of Bangalees from Pakistani army.

Many razakars are now inside Awame League and hoding the certificate of freedom fighters and those who mentioned their name are now forbidden to go to Shahid Minar. 
regards,
Mahboob Hossain
 
Dr. M. Mahboob Hossain
Associate Professor
Microbiology Program
Department of Mathematics and Natural Sciences
BRAC University
66, Mohakhali, Dhaka-1212
BANGLADESH
Tel: 88-02-8824051 Ext. 4060 (Office)
88-02-9631422 (Residence)
Cell: 88-01715107660


On Friday, October 24, 2014 8:01 AM, "Shahadat Hussaini shahadathussaini@hotmail.com [chottala]" <chottala@yahoogroups.com> wrote:


 
পিয়াস করিমের পর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা কিসের আলামত?
অবশেষে সংকীর্ণতা এবং নীচতার জয় হল। শালীনতা, মানবিক মূল্যবোধ এবং শাশ্বত সত্যের পরাজয় হল। আপাদমস্তক ভদ্রলোক পিয়াস করিমের লাশকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে দেয়া হল না। সরকার প্লাটুনের পর প্লাটুন পুলিশ দিয়ে শহীদ মিনার ঘেরাও করে রেখেছিল যাতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিয়াস করিমের লাশ শহীদ মিনারে নিতে না পারে। এর আগে আওয়ামী লীগের লাঠিয়াল বাহিনী বিশেষ করে কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের তথাকথিত নেতারা ঘোষণা দিয়েছিল যে পিয়াস করিমের লাশ কোন অবস্থাতেই আনতে দেয়া হবে না। আনার কোন প্রচেষ্টা হলে তারা সেটি রুখে দেবে। পিয়াস করিমের পরিবার বিনয়ী এবং ভদ্র। নাগরিক সমাজের যারা শহীদ মিনারে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছিলেন তারাও সকলে ভদ্র এবং বিনয়ী। তারা কেউই আওয়ামী লীগ ও ছাত্র লীগের ঝটিকা বাহিনীর সাথে লাঠালাঠির পক্ষপাতী ছিলেন না। পিয়াস করিমের সহধর্মিনী ড. আমেনা মোহসীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একজন অধ্যাপিকা। তিনি ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে একটি দরখাস্ত করেন। সেই দরখাস্তে তিনি তার স্বামীকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের অনুমতি দেয়ার জন্য ভিসি আরেফিন সিদ্দিকীকে অনুরোধ করেন। যেহেতু ছাত্রলীগ এটির বিরোধিতা করেছে তাই আরেফিন সিদ্দিকীর ঘাড়ে কয়টি মাথা আছে যে ছাত্রলীগের বিরোধিতা করে। সুতরাং আরেফিন সিদ্দিকী ড. আমেনা মোহসীনের দরখাস্ত নাকচ করেন। তখন বিএনপি এবং নাগরিক সমাজ ঘোষণা করে যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিক আর নাই দিক, তারা লাশ শহীদ মিনারে নিয়ে যাবেন। ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং সরকারের ঠেঙ্গাড়ে বাহিনী রূপে বিপুল সংখ্যক পুলিশকে শহীদ মিনারের চারদিকে মোতায়েন করা হয়। এমন একটি পরিস্থিতিতে সরকারি দলের সাথে কোনরূপ সংঘর্ষে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মরহুমের পরিবার এবং নাগরিক সমাজ। তখন তারা শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের স্থান হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটকে নির্বাচন করেন। কিন্তু অগ্রপশ্চাদ বিবেচনা করে শেষ মুহূর্তে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের পরিকল্পনাও বাতিল করা হয়। স্থির হয় যে ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোড়ে অবস্থিত তার বাসাতেই শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের ব্যবস্থা থাকবে।
উল্লেখ করা যেতে পারে যে মরহুমের লাশ স্কয়ার হাসপাতালের মরচুয়ারি বা হিমঘরে রক্ষিত ছিল। শুক্রবার সকাল ৯ টায় সেখান থেকে বের করে তার ধানমন্ডি বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অতঃপর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জোহরের নামাজের পর তার দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। তারপর বনানী গোরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়। এভাবেই একজন নিষ্পাপ নিষ্কলুষ নির্মোহ মানুষকে মৃত্যুর পরেও অপমান এবং গালিগালাজ সয়ে চির বিদায় নিতে হল। তাই তো প্রথমেই বলেছি যে অবশেষে সংকীর্ণতা এবং নীচতার জয় হল। শালীনতা, মানবিক মূল্যবোধ এবং শাশ্বত সত্যের পরাজয় হল।
দুই
১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ হয় তখন পিয়াস করিমের বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। ঐ বয়সে রাজাকার হওয়া যায় না। তার পিতা নাকি শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন। সেই কারণে যদি পিয়াস করিমের লাশ শহীদ মিনারে আসতে না পারে তাহলে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীর পিতার কারণে তাদের লাশও শহীদ মিনারে আসতে পারবে না। ছাত্র লীগসহ ৭টি ছাত্র সংগঠন বলেছে যে, পিয়াস করিম নাকি একজন কুখ্যাত ব্যক্তি। তারা তাঁর একটি কুখ্যাতিও দেখাক তো। তেমনি যুদ্ধাপরাধের পক্ষে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে একটি বাক্যও তারা দেখাক। ট্রাইবুনালের স্বচ্ছতা নিয়ে তো দেশে বিদেশে অসংখ্য প্রশ্ন রয়েছে। সে প্রশ্ন তুললেই নাকি রাষ্ট্রদ্রোহী হয়ে যায়। তাহলে তো দেশে হাজার হাজার রাষ্ট্রদ্রোহী রয়েছে।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ভিসি সাহেবের অনুমতি নিতে হবে এমন কথা তো বিগত ৬২ বছরে (১৯৫২-২০১৪) শুনিনি। ভিসি সাহেব এবং ছাত্র নেতারা বলুন তো, এ পর্যন্ত কত শত শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠান শহীদ মিনারে হয়েছে এবং তার মধ্যে কয়জন পারমিশন নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। এ সম্পর্কে একটি শ্বেত পত্র প্রকাশ করা হোক।
আসল ঘটনা কি? আওয়ামী ঘরানার বিরুদ্ধে কথা বললেই এখন রাজাকার, পাকিস্তানপন্থী এবং রাষ্ট্রদ্রোহী হতে হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের উপ অধিনায়ক (অর্থাৎ জেনারেল ওসমানীর পরে সর্বোচ্চ ব্যক্তি) এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারও আই এস আইয়ের এজেন্ট হয়ে গেলেন। ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার মেজর জলিল এবং জেড ফোর্সের অধিনায়ক জেনারেল জিয়াউর রহমান তো অনেক আগেই রাজাকার এবং পাকিস্তানের দালাল হয়ে গেছেন।
তিন
যখন ধানমন্ডি থেকে বায়তুল মোকাররম পর্যন্ত প্রলম্বিত স্থানে পিয়াস করিমের লাশ দাফনের প্রক্রিয়া চলছিল তখন শহীদ মিনারে মঞ্চস্থ হচ্ছিল আরেক আজীব নাটক। এটি হল অবাঞ্ছিত করার নাটক। বাংলাদেশের ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে কয়েক জন অপরিপক্ক যুবক অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। পত্রিকান্তরের রিপোর্ট মোতাবেক গত শুক্রবার বরেণ্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, বুদ্ধিজীবী, সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক, পত্রিকার সম্পাদক, কলামিস্ট ও আইনজীবীসহ নয় বিশিষ্ট জনকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের নিয়ে অশ্লীল ভাষায় কটূক্তি করা হয়েছে।
শহীদ মিনারে এক সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডসহ কয়েকটি সংগঠন এ ঘোষণা দেয়। সংগঠনগুলো বর্তমান সরকারের লেজুড় হিসেবে পরিচিত।
অবাঞ্ছিতদের তালিকায় রয়েছেন- কলামিস্ট ও টিভি টকশোর পরিচিত মুখ ড. মাহফুজ উল্লাহ, বিশিষ্ট কলামিস্ট কবি ফরহাদ মজহার, ইংরেজি দৈনিক 'নিউএজ' সম্পাদক নূরুল কবীর, দৈনিক 'মানবজমিন' পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, প্রফেসর ড. আমেনা মহসিন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী, 'সাপ্তাহিক-২০০০' পত্রিকার সম্পাদক গোলাম মর্তুজা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. তুহিন মালিক।
চার
এদিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের বুদ্ধিজীবী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, বিশ্লেষক, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও আইনজীবীরা। অবাঞ্ছিত হওয়া প্রসঙ্গে ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বরেণ্য ব্যক্তির লাশ না রাখতে দেয়া নিয়ে কথা বললে যদি শহীদ মিনারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয় তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই। দেশের মানুষ তাদের মূল্যায়ন করবে। তবে তার আগে দেখতে হবে, সংগঠনের লোকগুলো কারা, তাদের পরিচয় কি। তাদের মদদ দিচ্ছে কারা।
অবাঞ্ছিত হওয়া প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক, মানবাধিকার কর্মী ফরহাদ মজহার বলেন, দেশ বিরোধী শক্তি, বিদেশি শক্তির দালালদের এ ধরনের কান্ড দেখে আমি হাসছি। কেননা শহীদ মিনার ছিল এ দেশের সেক্যুলারদের প্লাটফর্ম বা প্রতীক। যারা অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে একাট্টা। কিন্তু যারা গণতন্ত্রের জন্য, জনগণের অধিকারের কথা বলে, সংগ্রাম করে, তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার মাধ্যমে তারা শহীদ মিনারকেই ফ্যাসিবাদের প্রতীক এবং দিল্লীর বেদিতে পরিণত করেছে। দেশের জনগণ এটা মেনে নেবে না।
এ বিষয়ে নিউএইজ সম্পাদক নূরুল কবির বলেন, এটা অত্যন্ত হাস্যকর। কেননা তারা যাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে তারা প্রত্যেকেই সরকারের অগণতান্ত্রিকতা, অন্যায়-অত্যাচার, সরকারের অবৈধতা, বিরোধী দল ও বিরোধী মতের প্রতি অসহিষ্ণুতাসহ এ ধরনের বিষয়ে কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ মিনারকে ব্যবহার করে এ ধরনের সংগঠনগুলো অবৈধ সরকারকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে। কেউ অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে অবাঞ্ছিত ঘোষণাকারীরা তাদের বদনাম রটানোর চেষ্টা করে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান যারা আছে তারা ভুল করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কোন নাগরিকের শ্রদ্ধা না থেকে পারে না। কেননা তাদের কারণেই দেশটা স্বাধীন হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা যদি আওয়ামী লীগের রাজনীতি বুঝতে পারতেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুঝতে পারতেন, তাহলে লুটপাট ও অগণতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে যারা কথা বলছেন তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেন না। তাদের বয়স কম। তারা যখন প্রকৃত অবস্থা বুঝবেন তখন তারা আজকের অবস্থানের জন্য পরিতাপ করবেন।
মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, এ বিষয়টি অহেতুক, আমার কোনো মতামত নেই।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. তুহিন মালিক বলেছেন, সংবিধানের মৌলিক অধিকারে দেশের যে কোনো স্থানে নাগরিকের প্রবেশ করার অধিকার রয়েছে। যদি আইনের মাধ্যমে ঐ স্থানে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা না থাকে। কিন্তু কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কোনো নাগরিক প্রবেশ অধিকার থাকবে, আর থাকবে না এটা কোনো আইন দ্বারা নিষিদ্ধ করা হয়নি। তাহলে জনগণের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী এ আচরণ যা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের মদদে প্রকাশ্যভাবে ঘোষণা দিয়েছে। এটা শুধু ফৌজদারী শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয় বরং তা সংবিধানের মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন অবমাননার শামিল যা ২০১১ সালের পঞ্চদশ সংশোধনীতে সংবিধানের ৭ (ক) অনুচ্ছেদে সংযোজিত করে বলা হয় যে, যে বা যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে এবং এটাকে সহযোগিতা করবে উভয়েই মৃত্যুদ-তুল্য শাস্তি পাবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের উচিত সংবিধান অবমাননাকারীদের গ্রেফতার করা। 
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মরহুম ড. পিয়াস করিমের লাশ রাখার কথা ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদনও করে। কিন্তু ওইদিন আরও দু'টি সংগঠনকে অনুমতি দেয়া হয়েছে এই 'অজুহাতে' পিয়াস পরিবারের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করা হয়। আগেই অনুমতি দেওয়া হয় শ্লোগান ৭১ এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড নামের সংগঠনকে।
২টি সংগঠন অনুমতি নিলেও গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করে ২০টি সংগঠন। তারা মানববন্ধন, সভা-সমাবেশ ও প্রতিবাদী গান, নাটিকা পরিবেশন করে। দেশের এসব বুদ্ধিজীবীকে প্রতিহতের ডাক দিয়ে শহীদ মিনারে ব্যানার টাঙ্গায় 'সিপি গ্যাঙ' নামে একটি সংগঠন। ব্যানারে লেখা ছিল- মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সুশীল নামধারী বুদ্ধিবেশ্যাদের প্রতিহত করুন। ওই ৯ জনের ছবিতে লাল রঙের ক্রস চিহ্ন দেয়া ছিল।
এরপর দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় প্রতিবাদ সমাবেশ। সমাবেশ থেকে ওইসব বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি মেহেদী হাসান তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, দেশদ্রোহী পিয়াস করিমের লাশ শহীদ মিনারে আনার কথা বলায় এসব জ্ঞানপাপীদের শহীদ মিনারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।
তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় রাজাকাররা প্রকাশ্যে আমাদের বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু এসব জ্ঞানপাপীরা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিভিন্ন টেলিভিশন ও তাদের লেখনিতে দেশের বিরোধিতা করে আসছে।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের আহ্বায়ক কামাল পাশা চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জয়দেব নন্দী, জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি সামছুল ইসলাম সুমন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী সাজু, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক তানভীর রুশমত, বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মিঠু, ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, স্লোগান ৭১, প্রাণের ৭১, সিপি গ্যাং ও চারুশিল্পীরা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও লালনকারী সকল সংগঠনসমূহকে নিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্ভট অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভাসহ ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সভা ও সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়া হয়। এদিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ-প্রচারিত হলে নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় বিভিন্ন সংগঠন।
পাঁচ
শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গত শুক্রবার দুপুরে এক সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড নামের একটি সংগঠনের সভাপতি মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, এঁদেরকে 'দেশের সব শহীদ মিনারে' অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।
মেহেদী হাসান  বলেন, 'আমরা শুধু এই ৯ জনকেই অবাঞ্ছিত ঘোষণা করিনি, তাদের সঙ্গে "গং" শব্দটিও জুড়ে দেয়া হয়েছে। যারা মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ মিনারের চেতনা লালন ও ধারণ করে না, সেই সব গণ শত্রুদের শহীদ মিনারে আসার কোনো অধিকার নেই।'
এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, 'কী আর বলব। ফ্রি স্টাইলে চলছে সবকিছু। একটা অসুস্থ সমাজে বাস করছি আমরা। কথা নেই বার্তা নেই, তারা কীভাবে হঠাৎ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল? দেশে গণতন্ত্রের চর্চা না থাকায় আজ এ অবস্থা।' তিনি বলেন, 'যাঁদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো, তাঁদের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখেন। আমি একাত্তর সালের ২৬ মার্চ সকালে রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া অবস্থায় গ্রেপ্তার হয়েছি। চার দিন পর মুক্তি পাই। আমার সঙ্গে যারা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তাদের চারজনকে পাকিস্তানি সেনারা গুলি করে মেরে ফেলেছিল।' অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, সরকারের বিপক্ষে যাঁরা যৌক্তিক ও বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা করেন, তাঁদের হেয় করার জন্য সরকারের মদদপুষ্ট ২০-২৫ জন মানুষ এ কর্মসূচি পালন করেছে। এ ধরনের কর্মসূচি পালন করার মধ্য দিয়ে সরকারের ফ্যাসিবাদী চেহারার আরেকটা রূপ ফুটে উঠেছে। তাঁর মতে, যাঁরা এই কর্মসূচি পালন করেছেন, তাঁরা যদি সত্যিকার অর্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হয়, তাঁদের উচিত সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। কারণ এই সরকারই গণতন্ত্র ধ্বংস ও দুর্নীতির মহোৎসব করে।
 শেষ করার আগে একটি নিবেদন। সরকারের উদ্দেশ্যে বলছি, দয়া করে শহীদ মিনারকে দলীয়করণ করবেন না। রাজনৈতিক লাইনে অনেক কিছুরই বিভাজন হয়েছে। রাজনৈতিক লাইনে অনেক শ্রদ্ধাভাজন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি দ্বিখন্ডিত হয়েছেন। ১৬ কোটি মানুষের প্রাণ প্রিয় শহীদ মিনারের ওপর মেহেরবানী করে বিভাজনের খড়গ চালাবেন না। ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। দলের চেয়ে দেশ বড়।





__._,_.___

Posted by: mahboob hossain <mahboob987@yahoo.com>


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___

Saturday, October 25, 2014

[chottala.com] AK Khandker: 'Agent of Pakistan'



এ কে খন্দকার পাকিস্তানের এজেন্ট: সফিউল্লাহ
২৫ অক্টোবর,২০১৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
আরটিএনএন

 
ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক এ কে খন্দকার মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না বরং তিনি ছিলেন ঘাঁপটি মেরে থাকা পাকিস্তানের এজেন্ট। যিনি মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস রচনা করতে পারেন তিনি আর মুক্তিযোদ্ধা থাকতে পারেন না।
 
এমন মন্তব্য করেছেন সেক্টরস কমান্ডারস ফোরামের বর্তমান সভাপতি কে এম সফিউল্লাহ।

শনিবার জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ঢাকা বিভাগের সেক্টরস কমান্ডারস ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
 
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি প্রতিরোধ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত কার্যকরের দাবিতে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
 
সফিউল্লার মতে, এ কে খন্দকার '১৯৭১: ভেতরে বাইরে' বই লিখে মুক্তিযুদ্ধের বিকৃতি করেছেন। এ কারণে এ কে খন্দকারকে এখন আর মুক্তিযোদ্ধা বলা যাবে না।
 
এ কে খন্দকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, 'শেখ মুজিবুর রহমান তার ভাষণে জয় পাকিস্তান বলেছেন এটা কখনো শুনিনি। উনি কীভাবে জানলেন? আমার জীবদ্দশায় কখনো 'জয় পাকিস্তান' শুনিনি। হয়তো 'জয় জিন্দাবাদ'ও বলতে পারতেন। কিন্তু সেটা তো এ কে খন্দকার সাহেব লেখেননি।'
 
এরপর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার প্রমাণ হিসেবে তিনি বিভিন্ন বই ও দলিলপত্র তুলে ধরেন।

সফিউল্লাহ বলেন, 'এ কে খন্দকার বলেছেন স্বাধীনতা যুদ্ধের নাকি কোনো রাজনৈতিক প্রস্তুতি ছিল না। কিন্তু সিদ্দিক সালিক তার 'উইটনেস টু সারেন্ডার' বইয়ের ৭৫ পৃষ্ঠায় বলেছেন ২৫ মার্চের রাতে ফার্মগেটে পাকিস্তানি বাহিনী বাধার সম্মুখীন হন।'
 
তিনি বলেন, 'এ কে খন্দকার স্বাধীনতাযুদ্ধে যাননি। তিনি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে কলকাতায় যান। আমরা যুদ্ধে গেছি মার্চ মাসে। আর উনি গেলেন মে মাসে।
 
গিয়ে সোজা উঠলেন হেডকোয়ার্টারে। বাকি সময় তিনি সেখানেই ছিলেন। তিনি কোথায় যুদ্ধ করেছেন? আবার ইতিহাস বিকৃতি করে বই লিখেছেন। এখন তাকে আর মুক্তিযোদ্ধা বলা যাবে না।'
 
সেক্টরস কমান্ডারস ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান আবু ওসমান চৌধুরী বলেন, যারা ইতিহাস বিকৃতি করেন তাদের প্রতিরোধ করতে তরুণ প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস শেখাতে হবে।
 
সেক্টরস কমান্ডারস ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন হাবীব বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন আর আওয়ামী লীগ আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন। বর্তমান অবস্থায় কারও আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই।
 
মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সেক্টরস কমান্ডার চিত্তরঞ্জন দত্ত ও জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ।
 
http://www.rtnn.net/bangla//newsdetail/detail/1/1/91812#.VEvJsCLF9po
 

 
 


__._,_.___

Posted by: Zoglul Husain <zoglul@hotmail.co.uk>


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___

Friday, October 24, 2014

[chottala.com] Re: মৃত্যুর সম য়ও গোলাম আ যমের ‘রাজন ীতি’ !!!!!!



It seems Golam Azam is deceased..I hope some Member of his family is  mourning this day..and some hint may his politics or religion that point it may not matter even if he converted to Jewish faith or  advocated..Zionist agenda..as long as he has right heir...any how thier is this issue many in their death bed may say things and some like Hassina assuarce no death incase you convert prior to death to Jewish Faith, well those are kind of what are called Deceptive trade practice to give some one false hope before death..well Jews also do not belive in reincarnation..life after death..

Well News is Golam Azam death body may be sent to Pakistan...well May Dr Kamal A company him..well Ayub Khgan has been many places..his immigration never was questioned may he be in pecae may be in Kolilash or May be  near River Hoogly..

Debasish Barua

....


__._,_.___

Posted by: gorba196138@yahoo.com


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___

[chottala.com] Fundraising lunch on this Sunday (October 26) for poor kidney patients of Bangladesh [1 Attachment]

[Attachment(s) from Mahfuzur Bangalibhai@hotmail.com [chottala] included below]

Imdad-Sitara Khan Foundation (ISKF), Sonar Bangla Foundation (SBF), and Technuf University are inviting you to join us in a fundraising lunch to help financially challenged & under served low-income kidney patients of Bangladesh.

 

  • Date & Time: October 26, 2014 (this Sunday) from 11:00 am to 2:00 pm
  • Venue:  Bombay Tandoor,  8603 Westwood Center Drive,  Vienna,  Virginia 22182

 

Keynote Speakers

  • Dr. Stevens Guest, a leading American Nephrologist and the honorary Director of Nephrology, ISKF
  • Imam M A Azeez (Salam Center, Sacramento, CA)  

 

~ Complementary Lunch will be served to confirmed attendees only.  Please confirm your attendance immediately in order for us to give exact headcount to the restaurant.  Your immediate confirmation is absolutely necessary for maximum space & food reservation. ~    

 

About 20 million people in Bangladesh are suffering from kidney disease.  About 40,000 of them die every year and 95% of them cannot afford the costly dialysis treatment.  A project to treat kidney patients in Bangladesh started under the umbrella of the Imdad-Sitara Khan Kidney Centers (ISKKC) in 2006.  ISKKC currently has nine kidney treatment centers that are located at Barisal, Bogra, Chiitagong, Dhaka, Dinajpur, Khulna, Kushtia, Moulovibazar, & Rajshahi.  All of these nine centers carried out about 17,000 dialysis in 2013 alone.  ISKKC plans to open more kidney treatment centers in near future throughout Bangladesh.  ISKF has already established itself as the premier dialysis provider and by far the largest institution in Bangladesh of its kind.  Without these clinics hundreds of destitute patients would not have access to life-saving dialysis procedures.

 
We are inviting you to attend a fundraising lunch to help under served low-income kidney patients in Bangladesh.  We are very hopeful that you will leave the program with a great sense of satisfaction as an expatriate making a positive and uplifting difference. You will be joining us to support a project that directly helps patients with End Stage Renal Disease (ESRD).  He or she could be one of your beloved ones living unattended without any hope of getting this life saving and costly treatment. You will join a project that achieved commendable quantitative growth and qualitative excellence.  
 
Your donation is tax exempt thru SBF, a US 501 (c)(3) organization.  You can also pay from your Zakat.
 
You can, 

  • Donate for a Patient's dialysis 
  • Donate a dialysis machine plus bed for $6,000 after your beloved one
  • Donate for Endowment Fund towards financially challenged patients 

 

Sincerely,

 

On behalf of Washington, DC Fundraising Volunteering Team,

Shah (Raja) Ahmed: 202-297-8442;  Faisal Quader: 301-526-7888;  Dipok Mia: 443-865-2591;  

Abu Kamal: 408-718-2472;  Firoz Kabir: 301-830-1418;  Azfar Hossain: 858-869-7738;  

Shamim Khan: 443-629-8625;  Imran Firoz: 443-756-9858;  Mahfuzur Rahman 301-646-3475 

 

For more details, please visit our web site  and read an overview and the following sites.


Presented in collaboration with Technuf University, ISKF (Imdad-Sitara Khan Foundation), and SBF (Sonar Bangla Foundation). 


 http://iskkc.org/images/akidney_top_en.gif Sonar Bangla Foundation




__._,_.___

Attachment(s) from Mahfuzur Bangalibhai@hotmail.com [chottala] | View attachments on the web

1 of 1 File(s)


Posted by: Mahfuzur <Bangalibhai@hotmail.com>


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___
Newer Posts Older Posts Home