Banner Advertise

Wednesday, September 2, 2015

[chottala.com] হিলারির ফাঁস হওয়া ই-মেইলে ইউনূসের তদ্বিরের তথ্য



হিলারির ফাঁস হওয়া ই-মেইলে ইউনূসের তদ্বিরের তথ্য

 গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ ফিরে পাওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সহায়তা চেয়েছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গ্রামীণ ব্যাংকের ওই পদ ফিরে পেতে হিলারির সঙ্গে লবিং অব্যাহত রেখেছিলেন তিনি। সম্প্রতি হিলারির ফাঁস হয়ে যাওয়া ই-মেইলগুলোর বেশ কয়েকটি প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। প্রকাশিত কয়েকটি মেইলে দেখা যায়, গ্রামীণ ব্যাংক প্রশ্নে বাংলাদেশ সরকারকে প্রভাবিত করতে হিলারির কাছে বারবার তদ্বির করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদকজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর হিলারির প্রায় সাত হাজার ই-মেইল প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে তিন শতাধিক ই-মেইলে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ এসেছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটিতে গ্রামীণ ব্যাংক প্রসঙ্গ রয়েছে। বেশকিছু মেইলে হিলারির জবাব গোপন রেখেছে তারা। হিলারির কাছে পৌঁছুতে মেলানি নামে একজন কর্মকর্তার কাছে মেইল পাঠিয়েছিলেন ড. ইউনূস। এমন একটি ই-মেইল হিলারিকে পাঠিয়ে মেলানি লিখেন, ইউনূস এখনও গ্রামীণ নিয়ে উদ্বিগ্ন। 
তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে হিলারির বৈঠক এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে শেখ হাসিনার অংশ গ্রহণের ফাঁকে গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে আলোচনার অনুরোধ জানিয়ে ইউনূসের পক্ষ থেকে পাঠানো ওই মেইলে লেখা হয়েছে, 'প্রিয় মেলানি, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভায় যোগ দিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ওয়াজেদের যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ১৬ সেপ্টেম্বর হিলারি ক্লিন্টনের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। সে সময় বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে গ্রামীণ ব্যাংক ইস্যু নিয়ে আলোচনার অনুরোধ রইল। ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পরামর্শে আমি আমাদের সমস্যা সম্পর্কে জানাতে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত চেয়েছি। কিন্তু ছয় সপ্তাহ ধরে কোন সাড়া নেই।' 
'আমি প্রেসিডেন্টের স্বাধীনতা পদক (প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম) পাওয়ায় বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সবাই আমাকে শুভেচ্ছা জানালেও প্রধানমন্ত্রী এবং তার দলের পক্ষ থেকে টু শব্দও করা হয়নি। সুতরাং দেখতেই পাচ্ছেন সমস্যা কতটা জটিল রূপ নিয়েছে। আমার মনে হয় আমি এ ব্যাপারে আপনাকে ধারণা দিতে এবং কী করতে হবে তা সম্পর্কে ধারণা দিতে পারব। সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ। এইচকে (হিলারি) শুভেচ্ছা দেবেন। শীঘ্রই দেখা হবে।- ধন্যবাদান্তে ইউনূস।' এই মেইলটি পাঠানো হয় ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ইংরেজী দৈনিক ডেইলি স্টারে গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য উদ্ধৃত করে প্রকাশিত খবরের প্রসঙ্গ টানা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, 'বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সব সংবাদপত্রই একই ধরনের সংবাদ ছেপেছে। এটি প্রধানমন্ত্রী হাসিনার জাতীয় সংসদে দেয়া বক্তব্যের ওপর। আমার নাম উল্লেখ করা না হলেও প্রতিবেদনের উল্লেখযোগ্য অংশ আমাকে নিয়েই। সম্ভব হলে আমার সম্পর্কে তার ভয়ঙ্কর মনোভাব দূর করার উপায় বের করুন। আমি আপনাকে শান্তির দূত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। তা না হলে এটা ভয়াবহ রূপ নেবে। প্রধানমন্ত্রী হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় যোগ দিতে নিউইয়র্কে আসবেন এবং তখন সম্ভবত সেক্রেটারি এইচ (হিলারি) এর সঙ্গে তার দেখা হবে।'
মেইলের নিচে ডেইলি স্টারের একটি প্রতিবেদন তুলে দেয়া হয়। 'ইউনূস ও হাসিনার চলমান বিরোধ' শিরোনাম দিয়ে মেলানি মেইলটি পাঠান হিলারিকে।



__._,_.___

Posted by: Gonojagoron Moncho <projonmochottar@gmail.com>


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___

[chottala.com] Felani: India brutal and callous



Felani: India brutal and callous 
কিশোরী ফেলানী হত্যার জন্য তার বাবা দায়ী : ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
It was reported in many Bangladesh media, and also in Indian media on 1 September 2015 that the Indian National Human Rights Commission (NHRC) recommended that the govt of India should pay 5 lakh Rupees to the family of Felani. The recommendation by NHRC is an admission of the crime committed by the Indian govt. and secondly, compensation to the victim is a part of justice to the victim as well as a deterrent to govt. lapses in its rule of law. It reminds the aphorism, "Not only must Justice be done; it must also be seen to be done." 

But today, 2 September 2015, it was reported that the Indian Home ministry blamed Felani's father for her death, and thus rebuffing and spurning its NHRC recommendation! The Indian govt.'s brutality and callousness know no limit.

India has continued to kill unarmed poor villagers at the border by mindlessly trampling the Geneva Convention on killing of unarmed people. "According to Odhikar statistics, the BSF had killed at least 20 Bangladeshis and injured 29 until May 31 in 2015 along the borders while 1,055 were killed and 948 were injured between January 1, 2000 and May 31, 2015.(New Age report, http://newagebd.net/125920/20-bangladeshis-killed-by-bsf-in-2015/#sthash.Q3A5hMBn.hfuvz0NK.dpbs)
 
The BNP did not organise even a small human chain for Felani, when the entire country was furious and grief-stricken. Hasina govt attacked a group, which raised 3 lakh taka for the family of Felani and was led by Sector Commander of freedom war, Wing Comm (Retd) Hamidullah Khan, Bir Bikram. The govt. also banned meetings in the area and hid Felani's father for quite some time (http://dailyalochona.blogspot.co.uk/2011/02/alochona-dead-felani-bigger-threat-to.html). The kangaroo courts in India, even after appeal, passed a 'not guilty' verdict for the accused of Felani murder. 

We must fight on for justice not only in Bangladesh, but also in the rest of the world.

(Please click to read the Amar Desh report, 2 September 2015)
The report is as follows:
কিশোরী ফেলানী হত্যার জন্য তার বাবা দায়ী : ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যার দায়, তার বাবা নুরুল ইসলামের। ভারতের মানবাধিকার কমিশনের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবে, এক চিঠিতে এ মন্তব্য করেছে, দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, ওই কিশোরীকে মৃত্যু মুখে ঠেলে দিতে অবৈধ উপায়ে ভারত থেকে বেরুনোর চেষ্টা করেন তার বাবা। তবে, বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বলছে, ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এমন বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামে বাংলাদেশ ভারত- সীমান্তে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নিহত হন ফেলানী খাতুন। এরপর বিএসএফ আদালতে অমিয় ঘোষের বিরুদ্ধে বিচারে ২০১৩ সালে অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে রায় দেন। রায় পুনর্বিবেচনার জন্য বিএসএফ আদালতে সংস্থাটির মহাপরিচালক আদালতে আবেদন করেন। ২০১৫ সালেও তাকে নির্দোষ বলে রায় দেন বিএসএফ আদালত।
যদিও আদালতে অমিয় ঘোষ ফেলানীকে গুলি করে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরবর্তীতে এবছরের জুলাই মাসে ভারতীয় মানবাধিকার সংস্থা সুরক্ষা মঞ্চ দেশটির সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট দায়ের করে। ৬ অক্টোবর এই রিটের শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে।
এরই মধ্যে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ফেলানির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে দেশটির সরকারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। এই নোটিশ দেয়ার প্রেক্ষিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের মানবাধিকার কমিশনকে জানায়, ফেলানীর হত্যার জন্য দার বাবা নুরুল ইসলাম দায়ি। কারণ, ফেলানী ও তার পরবিবার ভারতে অবৈধভাবে বসবাস করছিল এবং দালালদের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছিল। একারণে ফেলানীর বাবা তাকে চাপ দিয়েছে মই ব্যবহার করে অবৈধভাবে বাংলাদেশে আসার জন্য ।
তবে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বলছে, বিএসএফ সদরদপ্তরের জারি করা হয়েছিল কেউ প্ররোচিত করলেও সীমান্তএলাকায় নিরস্ত্র মহিলা বা শিশুদের সশস্ত্র অপরাধী থেকে পৃথক করতে হবে। কিন্তু অমিয় ঘোষ এই সার্কুলার অবজ্ঞা করেছে। এছাড়া কোন নিরস্ত্র মহিলা বা শিশুকে এভাবে হত্যা করার কোন যৌক্তিকতা থাকতে পারেনা বলেও মনে করে ভারতীয় মানবাধিকার কমিশন।






__._,_.___

Posted by: Zoglul Husain <zoglul@hotmail.co.uk>


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___

[chottala.com] জাতীয় কবির জাতি-জাগানিয়া কবিতা ও গানের অবহেলা আর কতদিন?



জাতীয় কবির জাতি-জাগানিয়া কবিতা ও গানের অবহেলা আর কতদিন? 
প্রকাশের সময় : ২০১৫-০৯-০৩ Share on -        
মোহাম্মদ আবদুল গফুর 
: গত ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) বৃহস্পতিবার চলে গেল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। অন্যান্য বছরের মতো এবারও নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর অমর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। বাংলা সাহিত্যের দুই প্রধান কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম। উভয়েরই জন্ম ব্রিটিশশাসিত ভারতবর্ষে। তাদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশ শাসনামলেই ১৯৪১ সালে পরিণত বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। নজরুল ইসলাম দৈহিকভাবে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত বেঁচে থাকলেও ১৯৪২ সালের ১০ অক্টোবর এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে চৈতন্য ও বাকশক্তি হারিয়ে ফেলার কারণে বাকি জীবন তিনি জীবন্মৃত অবস্থায় কাটাতে বাধ্য হন। ফলে ব্রিটিশ শাসনামলেই তাঁর কবি জীবনেরও করুন পরিসমাপ্তি ঘটে।বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে নজরুল ইসলামই একমাত্র উল্লেখযোগ্য কবি যিনি প্রত্যক্ষভাবে ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। যেখানে অন্যতম প্রধান কবি ব্রিটিশ শাসকদের নিকট থেকে 'স্যার' উপাধি লাভ করেছেন, সেক্ষেত্রে পরাধীনতার বিরুদ্ধে কবিতা ও গান রচনার অপরাধে ব্রিটিশ শাসনামলে তাঁকে একাধিকবার কারাদ-ে দ-িত হতে হয়েছে। ব্রিটিশ বিরোধিতার উপাদান থাকার কারণে তাঁর একাধিক গ্রন্থ সা¤্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়।এসব কারণেই রবীন্দ্রনাথের কবি-খ্যাতির সূর্য যখন মধ্যগগণে, সে সময় সেই ১৯২৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর দেশের হিন্দু-মুসলিম নেতৃস্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের উদ্যোগে কলকাতার অ্যালবার্ট হলে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় সংবর্ধনা দেয়া হয়। আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংবর্ধনা সভায় সুভাষ চন্দ্র বসু কবিকে সংবর্ধনা জানিয়ে বলেন, 'আমরা যখন যুদ্ধে যাব সেখানে নজরুলের গান গাওয়া হবে। আমরা যখন কারাগারে যাব, তখনও তাঁর গান গাইব।' স্বাধীনতা সংগ্রামে নজরুলের এই ঐতিহাসিক ভূমিকা থাকার কারণেই তাঁকে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় কবি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের যে ঐতিহাসিক তাৎপর্যের কারণে তাকে জাতীয় কবি অভিধায় অভিহিত করা হয়, তার গুরুত্ব যেমন আমরা খুব কমই অনুধাবন করি তেমনি তাঁর চর্চার ক্ষেত্রেও আমরা একই রকম বিভ্রান্তির পরিচয় দিয়ে চলেছি। কথাটা কেন ওঠে, তার ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে। উনিশশ' সাতচল্লিশ সালে যখন উপমহাদেশে সা¤্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসনের অবসান হয় তখন যদি ভারতবর্ষ অখ- অবয়বে স্বাধীনতা লাভ করত তখন কি আজ যে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক বলে গর্ব করি, তা সম্ভবপর হতো? হতো না। কারণ ১৯০ বছর ধরে ইংরেজরা ভারতবর্ষ শাসনের মাধ্যমে একশ্রেণীর হিন্দুর মনে সাম্প্রদায়িকতার বীজ এমনভাবে বপন করতে সক্ষম হয় যে, তারা সাত সাগর তের নদীর ওপার থেকে আসা সা¤্রাজ্যবাদী ইংরেজদের তুলনায় এদেশের মুসলমানদেরই অধিক ঘৃণা করতে শুরু করে। এ কারণেই দেখা যায় ১৭৫৭ সালে পলাশী ট্র্যাজেডির ফলে আমাদের স্বাধীনতা সূর্য অস্ত গেলেও এরপর ১০০ বছর পর্যন্ত হিন্দুরা স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে কোনো ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে অবতীর্ণই হয়নি। প্রতিবেশী সম্প্রদায়ের অসহযোগিতার কারণে ঐসব স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রায় সবই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। শুধু তাই নয়, পলাশীর ১০০ বছর পর সমগ্র উপমহাদেশব্যাপী সিপাহি বিদ্রোহ নামের যে ব্যাপক স্বাধীনতা সংগ্রাম সংঘটিত হয় তাতেও প্রধানত মুসলমানরাই অংশগ্রহণ করে পরাজিত হয়। সর্বশেষ এ সিপাহি বিদ্রোহও ব্যর্থ হওয়ায় তৎকালীন হিন্দু বুদ্ধিজীবীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। নানা গদ্য ও পদ্য রচনার মধ্য দিয়ে তারা ব্যর্থ বিদ্রোহের জন্য মুসলমানদের ধিক্কার দিয়ে গদ গদ ভাষায় ইংরেজ শাসকদের প্রতি তাদের আনুগত্য নিবেদন করেন। এ সময় সাহিত্য স¤্রাট বঙ্কিম চন্দ্র 'সংবাদ ভাস্বরে' লেখেন, "হিন্দু প্রজা সকল দেবালয় সকলের পূজা দেও, আমাদের রাজ্যেশ্বর যুদ্ধজয়ী হইলেন।" আর কবি ঈশ্বরগুপ্ত লিখলেন :"যবনের যত বংশএকেবারে হবে ধ্বংসসাজিয়াছে কোম্পানীর সেনাগরু-জরু লবে কেড়েচাপ-দেড়ে যত নেড়েএই বেলা সামাল সামাল।"সা¤্রাজ্যবাদ সৃষ্ট এই হিন্দু সাম্প্রদায়িকতার পটভূমিতেই ভারতীয় মুসলমানদের পক্ষ থেকে ১৯৪০ সালে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ লাহোর অধিবেশনে দাবি তুলতে বাধ্য হয়েছিল যে, সমগ্র উপমহাদেশকে এমনভাবে হিন্দু ও মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে ভাগ করতে হবে, উপমহাদেশের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকাসমূহ একাধিক স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। ইতিহাসে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের এই প্রস্তাবই 'লাহোর প্রস্তাব' নামে এবং এই লাহোর প্রস্তাবভিত্তিক আন্দোলনই 'পাকিস্তান আন্দোলন' নামে খ্যাত হয়ে আছে।স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেকালে ওই আন্দোলনে অন্যতম তরুন নেতা হিসেবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তাঁর এ কাজের সমর্থনে তিনি পরবর্তীকালে তাঁর 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী'তে তার যুক্তি তুলে ধরেন এ ভাষায় : "অখ- ভারতে যে মুসলমানদের অস্তিত্ব থাকবে না এটা আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতাম। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হিন্দু নেতারা ক্ষেপে গেছেন কেন? ভারতবর্ষেও মুসলমান থাকবে। পাকিস্তানেও হিন্দুরা থাকবে। সকলেই সমান অধিকার পাবে।" [দ্রষ্টব্য : অসমাপ্ত আত্মজীবনীÑ শেখ মুজিবুর রহমান, ২০১২, পৃ. ৩৬]এবার পুনরায় নজরুল প্রসঙ্গে ফিরে আসি। কাজী নজরুল ইসলাম শুধু একজন কবিই ছিলেন না, ছিলেন এ দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের বাস্তব-সচেতন সমর্থক। ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব পাস হওয়ার পরই তিনি টের পেয়েছিলেন যে, এই প্রস্তাবের বাস্তবায়নের মাধ্যমে অদূর ভবিষ্যতে উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চলে মুসলিম-অধ্যুষিত একটি স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হবে। সেই অনাগত স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য উপযুক্ত নাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাঙালি মুসলমানদের সেকালের মুখপত্র দৈনিক আজাদ অফিসে ছুটে গিয়েছিলেন একটি কিশোর পাতা খোলার অনুরোধ নিয়ে। দৈনিক আজাদের ঐ কিশোর পাতাই ছিল 'মুকুলের মাহফিল'।  এখানেই শেষ নয়। কবি ওই সাহিত্য পাতার পরিচালকের নাম দিয়েছিলেন- 'বাগবান'। এ তথ্য আমরা পেয়েছি মুকুলের মাহফিল পাতার প্রথম পরিচালক মোহাম্মদ মোদাব্বেরের লেখা থেকে। ওই পাতার উদ্বোধন উপলক্ষে নজরুল 'মোবারকবাদ' নামে যে কবিতাটি লিখেছিলেন, তার প্রথম ক'টি চরণ ছিল নি¤œরূপ:"মোরা ফোটা ফুল, তোমরা মুকুল এস গুল মজলিসেঝরিবার আগে হেসে চলে যাবÑ তোমাদের সাথে মিশেমোরা কীটে খাওয়া ফুলদল, তবু সাধ ছিল মনে কতÑসাজাইতে ঐ মাটির দুনিয়া ফিরদাউসের মতো।আমাদের সেই অপূর্ণ সাধ কিশোর-কিশোরী মিলেপূর্ণ করিও বেহেশত এনো দুনিয়ার মহফিলে।"এই কবিতার শেষ দু'টি চরণ নি¤œরূপ :"সেই মুকুলেরা এস মহফিলে বসাও ফুলের হাটএই বাঙলীয় তোমরা আনিও মুক্তির আরাফাত।"ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ যেমন ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের ফসল, তেমনি এই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক ভিত্তি নির্মাণেও ছিল কাজী নজরুল ইসলামের জাগরণী গান ও কবিতার ঐতিহাসিক অবদান। সে নিরিখে নজরুল আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক জনক। কিন্তু তাঁর কোন্সব গান ও কবিতার কারণে তিনি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক জনক বা জাতীয় কবি। একজন কবির কবিতা ও গানের অনুষঙ্গ হতে পারে অনেক কিছুই। প্রেম, প্রকৃতি, মানবতা, স্বজাতিপ্রেম, স্বাধীনতা, নির্যাতিতের প্রতি দরদ, স্বধর্মপ্রীতি, জাতির জাগরণÑ এসবই একজন কবির কবিতা বা গানের অনুষঙ্গ হতে পারে।নজরুলের কবিতা ও গানের উপরে উল্লেখিত বিষয়ের সবকিছু বাদ দিয়ে প্রধানত তাঁর প্রেম বিষয়ক কবিতা ও গান চর্চায় একশ্রেণীর লোকের অতি উৎসাহ দেখে মনে হয় নজরুলকে এমন খ-িতভাবে উপস্থাপনের পেছনে তাদের একটা বিশেষ অসৎ পরিকল্পনা রয়েছে। নজরুলকে জাতীয় কবি বলা হয় এজন্য নয় যে, তার অসংখ্য কবিতা ও গানের মধ্যে কিছু প্রেমের কবিতা ও গানও রয়েছে। তাঁকে জাতীয় কবি বলা হয় এজন্য যে, জাতি তার সৃষ্টির মধ্যে এমন অসংখ্য কবিতা, গান ও গদ্য রচনার সন্ধান পায় যা তাদের জাতীয় এবং সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের ধারক-বাহক, এবং যা আমাদেরকে জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে সামনে এগিয়ে চলার পথে, জাতীয় জাগরণ, স্বাধীনতা ও পাশাপাশি বিশ্বমানবতার সর্বাঙ্গীন মুক্তির পথ খুঁজে পেতে সাহায্য করে। একটা স্বাধীন জাতির আশা-আকাক্সক্ষা পূরণে জাতীয় কবির মুল ভূমিকাও এখানে। অথচ একশ্রেণীর আলোচক ও উপস্থাপকের কল্যাণে জাতীয় জাগরণে নজরুলের এই গুরুত্বপূর্ণ অবদানের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকতে বাধ্য হচ্ছে আগ্রহী শ্রোতারা। এর ফলে নতুন প্রজন্মও জাতির মুক্তি ও জাগরণে জাতীয় কবির অবদানের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে, যার সুদূরপ্রসারী পরিণতি জাতির জন্য আত্মঘাতী প্রমাণিত হতে বাধ্য। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, আজ আমরা বাংলাদেশ নামের যে স্বাধীন রাষ্ট্রের গর্বিত নাগরিক, তার রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ভিত্তি নির্মাণে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, কাজী নজরুল ইসলাম ও সঙ্গীতশিল্পী আব্বাসউদ্দিন আহমদের ছিল ঐতিহাসিক ভূমিকা। বাঙালি মুসলমানের জাগরণে শেরে বাংলার ঐতিহাসিক ভূমিকা সকলেই একবাক্যে স্বীকার করেন। বাঙালি মুসলমানের সেই নবজাগরণকালে শেরে বাংলার বাগ্মিতা অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। সেই শেরে বাংলার জনসভা সার্থকভাবে জমে উঠতেই পারত না, ওইসব সভায় আব্বাসউদ্দিনের কণ্ঠে নজরুলের জাতি-জাগানিয়া গান পরিবেশিত হওয়া ছাড়া।দুঃখের বিষয়, নজরুলের যেসব জাতি-জাগানিয়া গান একদা জাতিকে জাগিয়ে তুলতে ঐতিহাসিক অবদান রেখেছিল, আজকাল তার চর্চা একেবারেই কমে যাচ্ছে। এটা খুবই খারাপ লক্ষণ। স্বাধীনতা সম্পর্কে একটা কথা প্রায়ই বলা হয় : স্বাধীনতা অর্জন করা যতটা কঠিন, তা রক্ষা করা তার চাইতেও ঢের বেশী কঠিন। এটা শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতা সম্পর্কেই নয়, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা সম্পর্কেও সমভাবে প্রযোজ্য। আর সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার মূল কাজই হচ্ছে জাতির সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষা ও শক্তিশালী করা। জাতীয় কবি নজরুলের জাতি-জাগানিয়া কবিতা ও গান অবহেলা করা হবে জাতির সাংস্কৃতিক পতনকে ত্বরান্বিত করা। এই আত্মঘাতী প্রবণতা থেকে আমরা কবে মুক্তি পাব?   - See more at: http://www.dailyinqilab.com/details/28066/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%93-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%A4%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8?#sthash.A1kqEPxE.dpuf


Copyright Daily Inqilab


__._,_.___

Posted by: Shahadat Hussaini <shahadathussaini@hotmail.com>


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___