নিউইয়র্ক : বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা বাঙালী অধ্যূষিত জ্যাকসন হাইটস এর একটি স্কুল অডিটরিয়ামে হলভর্তি বাংলাদেশী কমিউনিটির লোকজনের সামনে 'টাউন হল' মিটিং এ বক্তব্য দেন। স্থানীয় কংগ্রেস উয়োম্যান গ্রেস মেং এর সভাপতিত্বে ও উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন সূচকের ব্যাপক প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে বাংলাদেশ বিশ্বে অর্থনৈতিকভাবে 'ইমাজিং টাইগার' হিসেবে অবির্ভূত হবে বলে মত প্রকাশ করেন।
তিনি দ্ব্যার্থহীন কন্ঠে বলেন বাংলাদেশ এযাবৎ কালের মধ্যে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সাথে কাজ করছে। বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ততা, মাতৃমৃত্যু-শিশুমৃত্যুর হার কমানো, শিক্ষার মান উন্নত হওয়া, গনতান্ত্রিক কাঠামো সূদৃঢ় করা, আইটি সেক্টরে অভূতপূর্ব সাফল্য, গার্মেন্টস সেক্টরের সংস্কার ও বেতনবৃদ্ধি এবং শ্রমীক নেতা আমিনূল হত্যার বিচার শুরু করাকে অভিনন্দিত করেন।বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্যে বাংলাদেশে অবস্থানের শেষ কর্মদিবস পর্যন্ত নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন বলে মন্তব্য করেন।
উপস্থিত বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের কতিপয় প্রশ্নের জবাবে একজন অভিজ্ঞ কূটনীতিকের পরিচয় দেন। অনুষ্ঠানে জামাত-শিবিরের বিপুল সংখ্যক নারী-পূরুষের উপস্থিতি লক্ষ্যনীয় ছিল এবং তারা ব্যাপকভাবে প্রশ্নের স্লিপ সংগ্রহ করে ড্যান মজীনার কাছে পাঠান। সভার শেষে "জয় বাংলা" স্লোগান দিয়ে বক্তব্য শেষ করার সাথে সাথে উপস্থিত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমীক লীগ, ছাত্রলীগ সহ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোকজন স্লোগানে স্লোগানে হল মূখরিত করে তোলেন এবং ড্যান মজিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের নেতৃত্বে অন্যান্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দের মধ্যে অন্যতম সহ সভাপতি আকতার হোসেন, সৈয়দ বশারত আলী, নাজমূল ইসলাম, লুৎফুল কবির, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দন দত্ত ও আব্দুর রহিম বাদশাহ, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, শ্রমীক লীগ সভাপতি কাজী আজিজুল হক খোকন, ছাত্রলীগের সভাপতি জেড এ জয় ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর এইচ মিয়া, হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদ নেতা শিতাংসু গুহ, মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হাসান, কমিনিটি লিডার শরাফ সরকার, খোরশেদ আলম, মাফ মিসবাহ, মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনির, শ্রমীক ইউনিয়ন নেতা মিলন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
__._,_.___