Banner Advertise

Wednesday, September 18, 2013

[chottala.com] ভারতকে বলার আছে অনেক কিছুই



মেজর সুধীর সাহা (অব.) : কলামিস্ট

 
বাংলাদেশের পুরো বর্ডারটি ভারত কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে আটকে দিয়েছে। এটা করতে গিয়ে তাদের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার বিপুল অংকের খরচকে মেনে নিতে হয়েছে। এর পরও ভারতের বিএসএফ প্রতি সপ্তাহেই কোনো না কোনো নিরীহ-নিরস্ত্র বাংলাদেশীকে গুলি করে হত্যা করছে। তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়ন না হওয়া, ছিটমহল জটিলতা জিইয়ে রাখা, টিপাইমুখ বাঁধ করার প্রস্তুতি নেয়া, সীমান্তে গুলি করে নিরস্ত্র বাংলাদেশীদের হত্যা করা এসব কিছু মোটেও একজন ভালো প্রতিবেশীর স্বাক্ষর রাখে না। ভারত বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বড় একটি দেশ। অর্থে, জনবলে, ভূমিতে সব দিক থেকেই ভারত বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বড় দেশ। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারত। তার তুলনায় বাংলাদেশ অতি ক্ষুদ্র একটি দেশ। বড় প্রতিবেশীর দায়িত্ব একটু বেশিই থাকে। দেওয়া-নেওয়ার হিসাব আন্তঃরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার রাজনীতিতে বিদ্যমান থাকলেও সবসময় বড় প্রতিবেশীকেই ছাড় দিতে হয় অপেক্ষাকৃত ছোট প্রতিবেশীকে। যেমনটা আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে দেখি, যেমনটা আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর মধ্যে দেখি। ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের মানুষ ভারতকে বড় প্রতিবেশী হিসেবে এবং প্রকৃত বন্ধু হিসেবেই দেখতে চায় সবসময়। ভারতকেও তেমনভাবেই ভাবতে হবে। মমতা ব্যানার্জির দোহাই দিয়ে তিস্তা বাস্তবায়ন না করে, সীমান্ত বিল পাস না করে, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে এবং সীমান্তে ফেলানীর মতো নিরীহ বাংলাদেশীদের হত্যা করে আর যা-ই দেখানো সম্ভব হোক না কেন, বন্ধুত্বের হাত বাড়ানো, বড় ভাইয়ের ইমেজ দেখানো সম্ভব নয়। আর্থিকভাবে, ব্যবসা সম্প্রসারণে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের যেমন ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন, ঠিক একইভাবে বাংলাদেশ যতই ছোট হোক, যেহেতু সে ভারতের প্রতিবেশী তাই তার বন্ধুত্বও ভারতের সমানভাবেই প্রয়োজন। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের যে সমস্যা ভারতকে গ্রহণ করতে হচ্ছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে তো ভারতের সেই সমস্যা গ্রহণ করতে হচ্ছে না! বাংলাদেশ-ভারত বিশাল সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বন্ধু হিসেবে পাশে পেতে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রকৃত বন্ধুত্বের একটি স্থায়ী সম্পর্ক গড়ার প্রয়োজনীয়তা ভারতের আছে। ফেলানী হত্যার বিচার প্রহসন এবং তিস্তা চুক্তি ও সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়গুলো ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করতে পারে- এই সহজ বিষয়টি ভারত সরকার এবং জনগণকে গভীরভাবে ভাবতে হবে।
কংগ্রেস সরকার যা পারছে না, বিজেপি সরকারের কাছ থেকে বাংলাদেশের মানুষ কী আর তা আশা করতে পারে? সুতরাং ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের বর্তমান কংগ্রেস সরকারকে আরও মনোযোগী হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। শিক্ষা-সংস্কৃতি আর কৃষ্টিতে যথেষ্ট মিল রয়েছে বাংলাদেশ এবং ভারতের জনগণের মধ্যে। সীমান্ত এলাকায় সুসম্পর্কের এক ধরনের সুবাতাস বইছে দুই দেশের সীমান্ত এলাকার মানুষের মধ্যে। এমন দুটি দেশের কর্তৃপক্ষের সতর্ক অবস্থায় বিবেচনা করা প্রয়োজন দু'দেশের আন্তঃরাষ্ট্রীয় বিষয়গুলো। আর বলাই বাহুল্য, এক্ষেত্রে বড় প্রতিবেশীকেই অধিক ছাড় দেয়ার মানসিকতা গ্রহণ করতে হবে।
মেজর সুধীর সাহা (অব.) : কলামিস্ট
 



__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___