সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসিসহ ছয় দফা দাবিতে আজ শুক্রবার বিকেলে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে সমাবেশ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে সমাবেশ স্থল প্রতিবাদী জনতায় ভরে উঠেছে। সমাবেশ থেকে সব সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যান্য দিনের সমাবেশের মতো আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল সোয়া চারটার দিকে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে আজকের সমাবেশ শুরু হয়। জুমার নামাজ শেষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে প্রতিবাদী জনতা শাহবাগে আসতে থাকেন। এখনো আসছেন অনেকেই। স্লোগানে স্লোগানে সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি ও জামায়াত-শিবিরসহ সব সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
কঠোর নিরাপত্তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সমাবেশ স্থলে প্রবেশের ক্ষেত্রে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছেন। শাহবাগের বিভিন্ন প্রবেশপথসহ পুরো এলাকায় প্রচুরসংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে আছেন তাঁরা।
আনন্দের রেশ অব্যাহত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গতকাল বৃহস্পতিবার জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার সংবাদ পৌঁছালে উল্লাসে ফেটে পড়ে গোটা শাহবাগ চত্বর। হাজার হাজার মানুষ 'জয় বাংলা' স্লোগান দিয়ে, জাতীয় পতাকা উড়িয়ে আদালতের রায়কে স্বাগত জানান। সাঈদীর বিরুদ্ধে এই রায়ে তাঁরা ফুল ও পানি ছিটিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। কারও কারও চোখে ছিল আনন্দের জল। এ ছাড়া এই রায়ের পরপরই শুকরিয়া আদায় করে গতকাল বিকেলে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সাঈদীর ফাঁসির রায়ে আন্দোলনকারীদের এই আনন্দের রেশ এখনো বিরাজ করছে শাহবাগে।
আজ ও কালকের কর্মসূচি ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার গতকাল শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচি অনুযায়ী আজ বিকেলে প্রজন্ম চত্বরে সমাবেশ হচ্ছে। এ ছাড়া আজ জুমার নামাজের পর একাত্তরের স্বাধীনতা আন্দোলনের সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সব মসজিদে দোয়া করা হয়েছে। দেশের সব মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায়ও তাঁদের জন্য প্রার্থনা করা হবে। কাল শনিবার সব স্কুল-কলেজ-বাসা-বাড়িসহ দেশের সব জায়গায় যে যেখানেই থাকবেন, সেখান থেকেই তাঁকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের আহ্বান জানানো হয়েছে। আন্দোলনের শুরু একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ৫ ফেব্রুয়ারি কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই দিন বিকেলে কাদের মোল্লাসহ একাত্তরের মানবতাবিরোধী সব অপরাধীর ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নেন ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নেটওয়ার্কের সদস্যরা। এরপর সেখানে সমাজের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ গিয়ে যোগ দেন। এরপর সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। আর বাংলাদেশের কণ্ঠস্বরে পরিণত হয় শাহবাগ। আজ সেই আন্দোলনের ২৫তম দিন। এর মধ্যে রায়েরবাজার বধ্যভূমি, মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর ও মতিঝিলের শাপলা চত্বরে গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশ তিনটি সমাবেশ হয়েছে। এদিকে, আন্দোলনকারীদের ছয় দফা দাবির সমর্থনে আজও সকাল থেকে শাহবাগে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ চলছে।
[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.
* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]