Banner Advertise

Sunday, April 22, 2012

[chottala.com] Re: Driver Azam might have been victim of secret killing



Understanding the Impact of Sheikh Mujibur Rahman's Political Philosophy in Contemporary Bangladesh Politics

Abid Bahar

All his life Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman fought for democracy but personally he was intolerant to the existence of any opposition in politics. He formed the BKSAL one party rule killing the infant democracy of Bangladesh, ruining Bangladesh economy to the "bottomless basket case" in a little more than three years, and set the beginning of India-love through being generous to India. During his rule even goom killings in Dhaka university continued. He brought the Hill Tracts chaos after he said "Tomra Bangali Hoya Jow" (You better become Bengalis).

Worst of all, Awami League faithfully follows the Chour dokholi (cadre politics) of Sheikh Mujibur Rahman. "Mujib boosted "Where is Sheraj Sikder?"

We ask Hasina where is Shagor couple? We ask where is our Berubari? Where is our water in the Padma, and Tista? Water is a provincial jurisdiction in India. Why our dadas and didis remain silent to our cries in Tista and Tipaimukh? Why Hasina is giving free transit to India? In this who are the neo-razakars? Why every protest against Indian aggression is termed as unpatriotic by the AL?

We know after the independence we are Bangladeshis, why shall we still be called Bengalis? Why India is dividing Bengal by erecting fence and how come we are still Bengalis when no West Bengali "progressive dada" complains to India? Bengali identity for what? Why do we have to look through the eyes of West Bengali Indians to be proud of ourselves as being secular/ progressive? Even Tagore (an Indian) hated to be called a Bengali.

 India is selling us the India made secularism of national division and vengeance and in the process robbing our resources!

What is wrong in saying we are proud Bangladeshis, we know what is good for us?

To Mujibbadis it is even wrong to call ourselves Bangladeshis. In a democracy it is constitutionally illegal to criticize either Mujib and the AL nepotism (Mujibbadi "bhai culture")

Is'nt Hasina's Mohajot with the newly appointed district governors another name for Mujib's BKSAL?
BDAF

London, UK

|
Report Abuse
|
Judge it!
|
#4
Mar 21, 2012
 
Star wrote:
Pakistan and Bangladesh playing Final of ASIA CUP and Hindian kicked Out....
Brothers are playing, win win situation for us...
Yh it's good to see BD & Pakistan in the final. It's about time these two stuck it to India, LOL.
BDAF

London, UK

|
Report Abuse
|
Judge it!
|
#5
Mar 21, 2012
 
@ bal paikka gese (great name, btw):

I believe BD should remain/become secular (yes I'm aware the constitution was changed to make it an "Islamic" country).

I think the problem with a lot of us sub-continentals is that we see everything as a reaction to Hinduism. Because Hinduism sucks big fat donkey balls in so many ways, we just don't want to be a part of that.

So we go to the other end of the extreme. We begin debating just how superior Islamic theocracy is over Hindu theocracy. We look at how India treats it's poor and "untouchables" as exemplifying that.

However everything should not be a reaction to Hinduism. If you look at secular countries vs religious theocracies, it quickly becomes obvious that secular democracies are ALWAYS more stable & superior to theocracy (Islamic or otherwise).

It's not hard to see why this would be the case. It allows for a more equal representation amongst people who inevitably differ in their views/visions for the future. Theocracies do not. They are inherently unstable, particularly during crises (because not everyone will agree which direction to go during a crises).

I thought I should mention that, because I felt it needed to be said.

I agree that we shouldn't view ourselves through the lenses of West Bengali Indians either. A fair amount of time has passed since partition where our cultures (despite having common ties linguistically & ethnically) have deviated in certain important ways. I feel the common Bangladeshi has a much greater appreciation for an egalitarian society than your typical West Bengali Hindu. They still look down on the poor/suffering (as do many other Indians). In this sense, they are fundamentally "Indian", where as we are not. Crossing the two does not make much sense, culturally or politically.

I also think it's important that we stress a new direction for Bangladesh, quite apart from India. It's silly to say we are "Indians" - only ignorant people or those with an agenda would say that. You can view the obvious cultural differences between Indians and Bangladeshis anywhere the two are (some say even physical differences, but I am talking about IMPORTANT differences). We are sufficiently distinct from our closest Indian relatives, the West Bengalis, so why the hell would we find compatibility with the rest of the DIVERSE Indian population?

I think we should be a proud country, culture (distinct) & not allow this to be derailed by constant talk of uniting with India (which Indians keep bringing up, it seems).

We need to develop self-sufficiency & sustainability, and these should be our most important goals.

I love the simple shada-sheedey culture that most common folk in BD have. It's a credit to their resilience and easy-going friendliness. I wouldn't trade it for any other "culture". So let's make it count with progressive development & technical excellence.


2012/4/22 Abid Bahar <abid.bahar@gmail.com>

 
 Hasina;s Robbers Distributing Robbed Money At Midnight

SURANJIT SIR: IT WILL TAKE ONLY TEN MORE MINUTES: MANOBZAMIN

http://www.mzamin.com/index.php?option=com_content&view=article&id=40504:2012-04-12-16-04-53&catid=49:2010-08-31-09-43-32&Itemid=83


2012/4/22 Abid Bahar <abid.bahar@gmail.com>

 
রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অপকর্ম !
লিখেছেন দেশী বাবুর্চি ১১ এপ্রিল ২০১২, সকাল ০৯:৫৫


প্রথম আলো
রেলমন্ত্রীর এপিএসের গাড়ি হঠাৎ পিলখানায়
একটি গাড়ি। তিনজন যাত্রী। একজন চালক। কয়েক লাখ টাকা। রাত প্রায় ১১টা। ধানমন্ডি ৩ নম্বর সড়ক থেকে ছুটে চলা। গন্তব্য কাছেই, জিগাতলা। পথে বিজিবির সদর দপ্তর, পিলখানা। হঠাৎ চালকের সেখানে ঢুকে পড়া। রাতভর 'আটকে থাকা'। দিনভর আলোচনা, গল্প-ডালপালা। অতঃপর দুটি তদন্ত কমিটির ঘোষণা।
গাড়ির তিন যাত্রী হলেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ইউসুফ আলী মৃধা, তাঁর নিরাপত্তা কর্মকর্তা রেলওয়ের কমান্ড্যান্ট এনামুল হক ও রেলমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ওমর ফারুক তালুকদার। মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ ১৩-৭৯৯২) চালাচ্ছিলেন এপিএস ফারুকের ব্যক্তিগত চালক আজম খান। গন্তব্য—রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাসা। বাকি সব ঠিক আছে, গোল বাধিয়েছে টাকা।
ঘটনা সম্পর্কে রেলমন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, 'আজম দুই বছর ধরে আমার গাড়ি চালায়। কিন্তু সোমবার রাতে সে আমাকে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের চেষ্টা করে। মন্ত্রী মহোদয়ের বাসায় যাওয়ার পথে হঠাৎ করে গাড়িটি সে বিজিবি সদর দপ্তরে ঢুকিয়ে দেয় এবং চেঁচামেচি করে বলতে থাকে, গাড়িতে অনেক টাকা আছে। তাঁর হইচই শুনে বিজিবির সদস্য ও সেনাসদস্যরা সেখানে আসেন। তাঁরা আমাদের বিজিবির নিরাপত্তাকক্ষে নিয়ে বসিয়ে রাখেন। গতকাল সকালে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আমাদের ছেড়ে দেন।'
রেলের পূর্বাঞ্চলের জিএম ইউসুফ আলী মৃধা প্রথম আলোকে বলেন, 'পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে নতুন একটি ট্রেন চালু হবে। সেটি শায়েস্তাগঞ্জে থামবে কি থামবে না, সে বিষয়ে কথা বলার জন্য আমি মন্ত্রী মহোদয়ের বাসায় যাচ্ছিলাম। এর আগেও বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার জন্য আমি মন্ত্রীর বাসায় গিয়েছি। সোমবার রাতে আমি ফারুক ভাইকে (মন্ত্রীর এপিএস) ফোন দিয়ে বলি, মন্ত্রী মহোদয়ের বাসায় যাব। ফারুক ভাই আমাকে ধানমন্ডিতে যেতে বলেন। সেখানে তাঁর এক আত্মীয়ের বাসায় যাই এবং ফারুক ভাইয়ের সঙ্গে গাড়িতে উঠি। মন্ত্রী মহোদয়ের বাসায় যাওয়ার পথে গাড়িচালক হঠাৎ করে পিলখানায় ঢুকে পড়ে। সে আমাদের সবার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।'
অপর যাত্রী এনামুল হক রেলওয়ের কমান্ড্যান্ট ও ইউসুফ আলী মৃধার নিরাপত্তা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, 'জিএম স্যার আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তাঁর আদেশেই আমি কমলাপুর থেকে তাঁর সঙ্গে যাই। ধানমন্ডি থেকে গাড়ি নিয়ে মন্ত্রী মহোদয়ের বাসার দিকে যাওয়ার পথে হঠাৎ করেই আজম গাড়িটি পিলখানায় ঢুকিয়ে দেয়। আমরা তখন তাকে বলি, "তুমি কই যাচ্ছ?" সে বলে, "আপনারা সবাই গাড়ি থেকে নেমে যান। নইলে আমি সিনক্রিয়েট করব।" এর পরই সে হইচই শুরু করে দিলে বিজিবির সদস্যরা এগিয়ে আসে। এরপর সারা রাত আমাদের একটি কক্ষে বসিয়ে রাখে বিজিবির সদস্যরা। তবে তারা সবাই ভালো ব্যবহার করেছে।"'
গত রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গাড়িচালক আজম বিজিবির হেফাজতে থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তবে ঘটনার রাতেই তিনি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের কাছে দাবি করেছেন, গাড়িতে অনেক টাকা ছিল। গাড়ি নিয়ে পিলখানায় ঢুকে পড়লে ওমর ফারুক তাঁকে বলেন, 'এখান থেকে তোমাকে ৩০ লাখ টাকা দিব, গাড়ি ঘুরিয়ে আমাদের বাইরে দিয়ে আসো।'
জানতে চাইলে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, 'রাতের বেলা তিনজন লোক একটি গাড়িয়ে নিয়ে পিলখানায় প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের পরিচয় নিশ্চিত না হওয়ায় পিলখানার ভেতরে বসিয়ে রাখা হয়। সকালে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।'
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি হয়েছে। জিএম ইউসুফ আলী মৃধার বিষয়ে তদন্ত করবেন রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) শশী কুমার সিং। ওমর ফারুক তালুকদারের বিষয়ে তদন্ত করবেন মন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) আখতারুজ্জামান। দুটি কমিটিকেই আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
টাকা, গন্তব্য এবং সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য: চালক আজম হঠাৎ করে এমন ঘটনা কেন ঘটালেন, জানতে চাইলে মন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুক বলেন, 'আজম ইদানীং মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিল। গাড়িতে আমার ব্যক্তিগত কিছু টাকা ছিল, ২৫ লাখ। আজম বিজিবিতে আমাদের নামিয়ে দিয়ে সেই টাকা নিয়ে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল। সে আমাদের তিনজনের মোবাইলও ছিনিয়ে নিয়েছিল।'
এত রাতে মন্ত্রীর বাসায় কেন যাচ্ছিলেন জানতে চাইলে ওমর ফারুক বলেন, 'শায়েস্তাগঞ্জে নতুন রেলওয়ে নিয়ে কিছু সমস্যার বিষয়ে পরামর্শ নিতে রাতে মন্ত্রীর বাসায় যাচ্ছিলাম।' রাতে গাড়িতে এত টাকা নিয়ে বের হলেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমার ব্যবসায়িক টাকা। গাড়িতেই ছিল।' গাড়িতে নাকি ৭০ লাখ টাকা ছিল? 'এটি ঠিক নয়, ২৫ লাখ টাকা'—দাবি এপিএস ফারুকের। মন্ত্রীর এই এপিএস জানান, গতকাল সকালেই তিনি ওই টাকা তাঁর ব্যাংক হিসাবে জমা করে দিয়েছেন।
টাকার বিষয়ে রেলের জিএম ইউসুফ আলী মৃধা বললেন, 'গাড়িতে কী টাকা ছিল, কত টাকা ছিল, কিছুই আমি জানি না। ফারুক ভাই বলছেন, এগুলো তাঁর টাকা। আমি আর তাঁকে কিছু জিজ্ঞাসা করিনি। চালক আজম ওই টাকা নিয়ে পালাতে চেয়েছিল।'
এনামুল হক বলেন, 'টাকা কোথা থেকে এসেছে, আমি জানি না। আমি কোনো টাকা দেখিনি।'
সোমবার রাতে এটিএন নিউজকে টেলিফোনে দেওয়া বক্তব্যে গাড়িচালক আজম খান বলেন, 'রেলমন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুক গাড়িতে উঠে আমাকে বলে, "ধানমন্ডি ৩ নম্বরে যাও।" সেখানে যাওয়ার পর বলে, "গাড়ির সিটটা ভাঙো। একটা ব্যাগ উঠাও।" এরপর তিনজন লোক ওঠে। বলে, "জিগাতলার দিকে যাও।" আমি তখন বলি, "এত টাকা নিয়ে আমি গাড়ি চালাতে পারব না। অবৈধ টাকা। আমার ভয় লাগে।" এ সময় ওমর ফারুক বলেন, "কী বলো তুমি, উল্টাপাল্টা!" আমি এ সময় বিডিআরের (বিজিবি) ৪ নম্বর গেটের সামনে ছিলাম। আমি তখন গাড়ি ভেতরে ঢুকিয়ে দিই। তখন তারা আমাকে বলে, "তুমি ৩০ লাখ টাকা নিয়ে যাও। আমাদের বাইরে দিয়ে আসো।" তারা বলে, "৩০ লাখ টাকা! তোমার সারা জীবন আর কিছু করা লাগবে না।"'
টাকাসহ গাড়িটি সোমবার সারা রাত পিলখানায় ছিল। টাকার পরিমাণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আনোয়ার হোসেন বলেন, 'টাকার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।'
দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে প্রশ্ন করেছিলেন, শোনা যাচ্ছে, গাড়িতে নাকি ৭০ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। এটা কি সরকারি টাকা? জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, 'প্রশ্নই আসে না।' আপনার এপিএস ওমর ফারুকের কাছে এত টাকা কোথা থেকে এল জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, 'এটা তাঁর ব্যক্তিগত টাকা। ফারুককে "ব্ল্যাকমেইল ও হাইজ্যাক" করার জন্য গাড়িচালক বিজিবির সদর দপ্তরে ঢুকে পড়ে। গাড়িতে ওই সময় রেলওয়ের মহাপরিচালক (পূর্ব) ইউসুফ আলী মৃধাও ছিলেন।'
মন্ত্রী বলেন, 'দেশীয় আইনে নিজের টাকা নিয়ে চলার অধিকার সবারই আছে। যদি তাদের আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ অর্থ পাওয়া যায়, এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) তা খতিয়ে দেখবে। এটা রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়।'
কিছু অসংগতি: প্রথম আলো গাড়িচালক আজম ছাড়া এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেছে। রেলওয়ের জিএম ইউসুফ আলী মৃধা বলেছেন, 'সোমবার সকালে আমি ঢাকায় এসেছি। অফিশিয়াল একটি মিটিং ছিল। রাতে মন্ত্রীর বাসায় যাওয়ার সময় এনামুলকে সঙ্গে নিয়ে যাই।'
এপিএস ওমর ফারুক বলেছিলেন, ইউসুফ আলী মৃধা মন্ত্রীর বাসা চেনেন না। তাই তাঁকে তিনি সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে দাঁড়াতে বলেন এবং সেখান থেকে (ইউসুফ আলী) গাড়িতে তুলে নেন। আর ইউসুফ আলী বলেছেন, তিনি ধানমন্ডি ৩ নম্বর সড়কে এক আত্মীয়ের বাসায় গেছেন। সেখান থেকে একসঙ্গে মন্ত্রীর বাসায় রওনা হন। তিনি এর আগেও মন্ত্রীর বাসায় গেছেন।
ইউসুফ আলী মৃধা ও ওমর ফারুক বলেছেন, গাড়িচালক আজম তাঁদের তিনজনেরই মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছেন। তবে এনামুল হক বলেছেন, মোবাইল ফোন তাঁর কাছেই ছিল।
টিভিতে দেওয়া গাড়িচালক আজমের বক্তব্যের সঙ্গে বাকিদের কারও বক্তব্যের মিল নেই। আজম বলছেন, গাড়িতে টাকা তোলা হয়েছে ৩ নম্বর সড়কের একটি বাড়ি থেকে। আর ওমর একবার বলেছেন, এগুলো তাঁর টাকা। আবার বলেছেন, তাঁর এক আত্মীয় লন্ডন থেকে এসেছেন। তাঁর আনা পাউন্ড ভাঙিয়ে এই টাকা করা হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ইউসুফ আলী মৃধা ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে পূর্বাঞ্চলের (ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট) মহাব্যবস্থাপক হিসেবে যোগ দেন। রেলওয়েতে বর্তমানে ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের সাত হাজার পদে নিয়োগ চলছে। এর মধ্যে গত কয়েক মাসে সাড়ে তিন হাজার নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। ইউসুফ আলী পূর্বাঞ্চলের নিয়োগ কমিটির প্রধান। নিয়োগ নিয়ে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ আছে—এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ইউসুফ আলী বলেন, 'একটা ঘটনা ঘটেছে। এখন লোকজন বানিয়ে বানিয়ে কত কথা বলবে।'

আমার দেশ


রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিতের এপিএস ৭০ লাখ টাকাসহ আটক

রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ওমর ফারুক তালুকদার 'ঘুষের' ৭০ লাখ টাকাসহ সোমবার গভীর রাতে ঢাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-র হাতে ধরা পড়েছেন। এ সময় ওই গাড়িতে তার সঙ্গে ছিলেন রেলওয়ের জিএম (পূর্বাঞ্চল) ইউসুফ আলী মৃধা। এই টাকা নিয়ে তারা রেলমন্ত্রীর জিগাতলার বাসায় যাচ্ছিলেন। প্রায় ১২ ঘণ্টা বিজিবির হাতে আটক থাকার পর রেলমন্ত্রীর চাপে গতকাল দুপুরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। ঘটনা তদন্তে রেলওয়ে মন্ত্রণালয় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। একটি কমিটির প্রধান করা হয়েছে মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিবকে (পিএস)। পৃথক কমিটি করা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) শশী কুমার সিংহকে দিয়ে।
মন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুক তালুকদার ও রেলের জিএম বিজিবির কাছ থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংবাদ সম্মেলন করে জানান, এ টাকার মালিক তার এপিএস। তিনি এপিএসের গাড়িচালককে এ ঘটনার জন্য দায়ী করে বলেন, ওমর ফারুক ব্যক্তিগত টাকা নিয়ে বাসায় যাওয়ার সময় চালক তাকে অপহরণ করে। যে গাড়িতে চড়ে তারা মন্ত্রীর বাড়িতে যাচ্ছিলেন, সেটিতে সংসদের স্টিকার সাঁটা ছিল।
রেলওয়ের বিভিন্ন সূত্র জানায়, এ টাকা নিয়ে মন্ত্রী ও তার এপিএস দু'ধরনের তথ্য দিয়েছেন। এপিএস বলেছেন, তিনি এ টাকা নিয়ে মন্ত্রীর বাসায় যাচ্ছিলেন। জিএম মৃধা ও তার দাবি—মন্ত্রী এই টাকার ব্যাপারে জানেন। তবে মন্ত্রী বলেছেন, এ টাকা নিয়ে এপিএস তার (মন্ত্রীর) বাসায় যাচ্ছিলেন না। তিনি টাকার ব্যাপারে কিছু জানেন না। দু'ধরনের বক্তব্যে সৃষ্টি হয়েছে রহস্যের ধূম্রজাল। টিভি ও অন্যান্য মিডিয়ার খবরে জানা যায়, ড্রাইভারও জানতো সে ঘুষের টাকা বহন করছে। সে এই অবৈধ টাকা বহনে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে মন্ত্রীর এপিএসের সঙ্গে তার বাদানুবাদ হয়। বিভিন্ন সূত্র জানায়, রেলওয়ের নিয়োগ-বাণিজ্যে মন্ত্রীর ভাগের একটি অংশ প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা তার জিগাতলার বাসায় পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন তারা। রেলওয়ের বিভিন্ন পদে প্রায় সাড়ে সাত হাজার লোক নিয়োগ চলছে।
এদিকে ওয়াকিবহাল সূত্রে জানা যায়, উেকাচের টাকার এই মহাকেলেঙ্কারির ঘটনায় বলির পাঁঠা হতে চলেছেন গাড়ির ড্রাইভার। কেন ঘুষের কথা বিজিবি সদস্যদের কাছে ফাঁস করলেন—এজন্য সবার এখন চক্ষুশূল। নির্দোষ এ ব্যক্তিকে ফাঁসিয়ে দিতে এখন নানা গল্প ফাঁদা হচ্ছে।
জানা যায়, রেলওয়েতে ওয়েম্যান, নাম্বার টিকার, খালাসি, জুনিয়র অডিটরসহ বিভিন্ন পদে সাড়ে ৭ হাজার লোক নিয়োগ চলছে। এ নিয়োগকে কেন্দ্র করে শুরু হয় ব্যাপক নিয়োগ-বাণিজ্য। চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে এক থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেয়া হয়। এ ঘুষের টাকা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বণ্টন চলছিল। ওই ঘুষের টাকা সংগ্রহের দায়িত্বে ছিলেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার ইউসুফ আলী মৃধা ও পশ্চিমাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার তোফাজ্জেল হোসেন। পূর্বাঞ্চলের ঘুষের টাকারই একটি অংশ নিয়ে তারা মন্ত্রীর বাসায় যাচ্ছিলেন।
সূত্র জানায়, এপিএসের গাড়িতে চড়ে মন্ত্রীর বাসায় যাচ্ছিলেন ইউসুফ আলী মৃধা। গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের বহনকারী গাড়িটি সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় দিয়ে জিগাতলা যাচ্ছিল। বিজিবির ৪ নম্বর গেটের সামনে গিয়ে চালক আলী আজম অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। এ সময় বিজিবি গেটে পাহারারত বিজিবি (সেনা) সদস্যরা এগিয়ে এলে ওমর ফারুক নিজেকে রেলমন্ত্রীর এপিএস পরিচয় দেন। চালক ও এপিএস অসংলগ্ন কথা বলায় তাদের গাড়ি তল্লাশি চালানোর কথা জানায় বিজিবি সদস্যরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা বিজিবি সদস্যদের দেখে নেবেন বলে হুশিয়ার করেন। এ সময় বিজিবি সদস্যরা তল্লাশি চালিয়ে গাড়িতে থাকা বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করেন। তাদের মোবাইল জব্দ করে গাড়ির ভেতরে অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়। রাত ১২টার দিকে গাড়িসহ তাদের বিজিবির সদর গেটে (৩ নম্বর) নেয়া হয়। ওই গেটে দায়িত্ব পালনকারী বিজিবি (সেনা) সদস্যরা অস্ত্র তাক করে গাড়িটি ঘিরে ফেলে বিজিবির ভেতরে নিয়ে যায়। ওমর ফারুক ও ইউসুফ আলীকে সদর দফতরের মূল গেটেই আটক রাখা হয়। গভীর রাতে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার জন্য জব্দ করা মোবাইল ফেরত দেয়া হলে ওমর ফারুক ও ইউসুফ আলী মৃধা বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান। একই সঙ্গে তাদের ছেড়ে দেয়ার জন্য বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে আপসের চেষ্টা চালান। কিন্তু ঘটনাস্থলে বিজিবির নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থা 'ফিল্ড সিকিউরিটি'সহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত থাকায় রফাদফা হয়নি। সারারাত তাদের বিজিবিতে আটক রাখা হয়।
সূত্র আরও জানায়, ওই ঘটনার সময় কর্মরত বিজিবির সদস্যরা বিষয়টি তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। তারা আটককৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করার প্রাথমিক সিদ্ধান্তও নেন। কিন্তু রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের চাপে তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হন বিজিবি সদস্যরা। তবে চালক আলী আজমকে ছাড়া হয়নি। তার বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
ওমর ফারুক যা বললেন : রেলমন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুক গতকাল বিকালে আমার দেশ-কে বলেন, আমার শ্যালক কনককে নিয়ে মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে জিগাতলায় মন্ত্রীর বাসার উদ্দেশে রওনা হই। পথে জিএম ইউসুফ আলী মৃধা আমাকে ফোন করে জানান, নতুন চালু হতে যাওয়া ট্রেনের বিষয়ে পরামর্শ করতে তিনিও মন্ত্রীর বাসায় যাবেন। আমি তাকে নিয়ে যাওয়ার পথে বিজিবি গেটে পৌঁছলে আমার চালক হঠাত্ করেই গাড়িটি বিজিবি গেটে ঢুকিয়ে দেয়। সে আমাদের হুমকি দিয়ে বলে, ভালো চাইলে আপনারা গাড়ি থেকে নামেন। অন্যথায় ঘুষের টাকাসহ ধরিয়ে দেব। তখন ব্যক্তিগত টাকা নিয়ে আমি কোথায় যাব তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যাই। এ সময় বিজিবির গেট থেকে বিজিবি সদস্যরা এসে আমাদের মোবাইল ফোন জব্দ করেন। পরে আমাদের বিজিবির ৩নং গেটে নেয়া হয়। সেখানে আমি বিজিবি কর্মকর্তাদের বিষয়টি বোঝানোর পর তারা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। একজন মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তা গভীর রাতে আমাদের মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দিলে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাই। তিনি আরও জানান, ঘটনার সময় তার কাছে ২৫ লাখ টাকা ছিল। আমার শ্যালক গত ৬ এপ্রিল লন্ডন থেকে এসেছেন। ওই টাকার মালিক শ্যালক কনক। টাকার উত্স ও শ্যালককে কোন স্থান থেকে গাড়িতে তোলা হয়েছে, জানতে চাওয়া হলে তিনি একেক সময় একেক তথ্য দেন। এ ঘটনার জন্য গাড়িচালককে দায়ী করে ফারুক বলেন, আমার গাড়িচালক আজম বিভিন্ন সময় আমার কাছে বিভিন্ন ধরনের তদবির করত। এসব অন্যায় তদবির রক্ষা করতে না পারায় সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। আজম নেশাগ্রস্ত ছিল। আমাকে ফাঁসিয়ে দেয়ার জন্য সে এমন আচরণ করেছে। তবে রেলওয়ের সূত্র জানায়, ওমর ফারুক নিজেকে বাঁচানোর জন্য এ গল্প ফেঁদেছেন।
রেলমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন : গতকাল দুপুরে রেল ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বিজিবির হাতে দুই কর্মকর্তা আটক হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ওই টাকার মালিক এপিএস ওমর ফারুক। যদিও গতকাল সন্ধ্যায় তিনি আমার দেশ-কে বলেছেন, কিসের টাকা তা আমি জানি না। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, সোমবার গভীর রাতে টাকা নিয়ে বাসায় যাওয়ার সময় ওমর ফারুকের চালক তাকে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় ভয়ে জীবন বাঁচাতে তিনি বিজিবি সদর দফতরের ভেতরে প্রবেশ করেন। মন্ত্রী আরও জানান, গাড়ির ভেতরে রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (পূর্বাঞ্চল) ইউসুফ আলী মৃধা ও এপিএস ওমর ফারুক তালুকদার ছিলেন। তবে এ মুহূর্তে তারা নিজ নিজ বাড়িতে চলে গেছেন। এত টাকা ওমর ফারুকের কাছে কীভাবে এলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিজের টাকা নিজের সঙ্গে রাখার বিষয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা ঠিক নয়। কারণ তার টাকা তিনি কোথায় রাখবেন, নিজের সঙ্গে রাখবেন নাকি বাসায় রাখবেন, তা তার ব্যাপার। তবে কোনো অন্যায় আছে কি-না, তা তদন্ত করলেই বের হয়ে আসবে। যদি তার অর্থের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ কিছু থাকে, তা খতিয়ে দেখবে এনবিআর। এটা আমাদের বিষয় নয়। এর সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি শুনেছি দুজনের কথা। গভীর রাতে মন্ত্রীর বাসায় তারই মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তার যাওয়া প্রসঙ্গে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, আমার কাজ শেষ করে বাকি সময় তাদের। তারা কোথায় যায়, কী করে—এটা তাদের নিজেদের ব্যাপার। তাদের শাস্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, তাদের অপরাধ নিরূপণের আগে শাস্তি দেয়া ঠিক হবে না। রিপোর্ট পেলে স্পষ্ট হবে তারা অপরাধী কি-না। এরপরই ব্যবস্থা।
তদন্ত কমিটি গঠন : এ ঘটনায় পৃথম দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জিএম ইউসুফ আলী মৃধার বিষয়ে তদন্ত করবেন রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) শশী কুমার সিংহ। আর ওমর ফারুক তালুকদারের বিষয়ে তদন্ত করবেন মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) আখতারুজ্জামান। দুটি কমিটিকেই ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তবে উদ্ধার হওয়া টাকা ওমর ফারুকের—মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর কমিটি গঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ রেলওয়ের কর্মকর্তারা। তাদের মতে, রেলমন্ত্রী এমন বক্তব্য দেয়ার পর তদন্ত কমিটি এর বাইরে কোনো কাজ করতে পারবে না।
যে কারণে বিগড়ে গেলেন চালক : জানা গেছে, গাড়ির চালক আলী আজমকে ৫০ হাজার টাকা ভাগ দেয়ার কথা ছিল; কিন্তু তারা চালককে ১০ হাজার টাকা দেন। এ নিয়ে পিএস ও চালকের মধ্যে বাগিবতণ্ডা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চালক গাড়িটি বিজিবির সামনে নিয়ে যায়।
৭০ নাকি ৪ কোটি ৭০ : আটক হওয়া গাড়ি থেকে ৭০ লাখ নাকি ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, তা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। ওমর ফারুক ২৫-৩০ লাখ টাকার কথা জানিয়েছেন। তবে একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ওই গাড়ি থেকে ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মুচলেকা দেয়ার সময় ৭০ লাখ টাকার কথা প্রকাশ করা হয়। বাকি ৪ কোটি টাকা কোথায় গেছে, তার হদিস পাওয়া যায়নি।
সরেজমিন পরিস্থিতি : ইউসুফ আলী মৃধা ও ওমর ফারুক আটক হওয়ার খবর গতকাল রেলওয়ে মন্ত্রণালয় ও রেল ভবনের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। কর্মকর্তাদের এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা করতে দেখা গেছে। মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয় আলোচনায় স্থান পেয়েছে। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মন্ত্রণালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, ওমর ফারুকের রুম তালাবদ্ধ। আশপাশের কর্মকর্তারা জানান, গতকাল তিনি অফিসে আসেননি।
ইউসুফের বিরুদ্ধে আগেও ঘুষের অভিযোগ আছে : আমাদের চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ জাহিদুল করিম কচি জানান, গত বছরের ১৭ মে জিএম বাংলোতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ইউসুফ আলী মৃধা ২ লাখ টাকা লুট হয়েছে বলে থানায় মামলা করেন; কিন্তু গত ৮ জুন ওই মামলায় আটক ডাকাত দলের সদস্য আবুল হোসেন, জনি, লিয়াকত, বেলাল, সুমন, মানিক, হাতকাটা জাফর ও মোশাররফ আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে বলেন, তারা ওই বাংলো থেকে ১৩ লাখ টাকা লুট করেছেন। রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, বাকি ১১ লাখ ঘুষের টাকা ছিল। এ কারণে রেলওয়ে মামলায় ১৩ লাখ টাকার কথা উল্লেখ করেননি।
বিমর্ষ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত : এপিএস ও রেল কর্মকর্তা আটকের পর থেকে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে বেশ বিমর্ষ ও মলিন দেখা যায়। সংবাদ সম্মেলনেও তার স্বভাবসুলভ অঙ্গ ও মুখভঙ্গি দেখা যায়নি। কথার ফাঁকে ফাঁকে হাসি দেয়ার চেষ্টা করলেও তা স্বল্প সময়ের মধ্যে মিলিয়ে যেতে দেখা গেছে।
বিজিবি ও রেলওয়ে চুপ : এ ঘটনায় বক্তব্য জানতে বিজিবির তথ্য কর্মকর্তা মহসিন, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার ইউসুফ আলী মৃধা, পশ্চিমাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার তোফাজ্জেল হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তারা রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মানব জমিন


রেলমন্ত্রীর এপিএস-এর ৭০ লাখ টাকা নিয়ে নানা রহস্য

স্টাফ রিপোর্টার: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ওমর ফারুক তালুকদারের ৭০ লাখ টাকা আটক নিয়ে নানা রহস্য তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে এপিএসের সঙ্গে একই গাড়িতে এত রাতে রেলওয়ের জিএম (পূর্বাঞ্চল) ইউসুফ আলী মৃধা ও ঢাকা রেলওয়ে গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা এনামুল হক থাকায় নানা সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল দিনভর রেল ভবন, বিজিবি সদর দপ্তর ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মুখে মুখে এমন নানা প্রশ্ন ও গুঞ্জন শোনা যায়। ঘটনাটি চাউর হলে দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা। প্রশ্ন দেখা দেয়- কার টাকা, কেন আটক করা হলো? ১২ ঘণ্টা পর কেনই বা টাকাসহ আটককৃতদের ছেড়ে দেয়া হলো? সাধারণদের এমন নানা জিজ্ঞাসা সম্পর্কে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ওমর ফারুক মুঠোফোনে বলেন, সোমবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে মন্ত্রীর সরকারি গাড়িযোগে ধানমন্ডি থেকে ঝিগাতলা রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিতের বাসায় রওনা দেই। পথে ধানমন্ডি ৩ নম্বর থেকে রেলের জিএম ইউসুফ আলী মৃধাকে সঙ্গে নেই। গাড়িতে আগে থেকেই ছিলেন ঢাকা রেলওয়ে গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা এনামুল হক। গাড়ি চালাচ্ছিলেন চালক আলী আজম। ওমর ফারুক জানান, তার শ্যালক লন্ডনে থাকেন। সেই শ্যালকের টাকার ব্যাগ নিয়ে তিনি মন্ত্রীর বাসায় যাচ্ছিলেন। বিজিবি সদর দপ্তরের প্রধান গেটের সামনে যাওয়ার পরপরই গাড়িচালক আকস্মিকভাবে গাড়ি ঘুরিয়ে বিজিবি সদর দপ্তরের গেটে ঢুকিয়ে দেয়। রাস্তার বাম পাশে থামিয়ে আমাদের উদ্দেশ্য বলে ওঠেন, আপনারা গাড়ি থেকে নেমে যান। অন্যথায় ঘুষের টাকাসহ ধরিয়ে দেবো। একপর্যায়ে তার সঙ্গে বাক-বিতণ্ডা শুরু হলে বিজিবি'র সদস্যরা গাড়ির দিকে এগিয়ে আসেন। উপস্থিত হন অন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা সদস্যরাও। এসময় আজম চিৎকার করে বলে ওঠেন, গাড়িতে অবৈধ টাকা আছে। তার কথা শুনে বিজিবি'র সদস্যরা টাকার ব্যাগ সহ ওই তিনজনকে আটক করে রাখেন। পরে গতকাল দুপুরে তাদের কাছ থেকে লিখিত মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। মোবাইল ফোনে মন্ত্রীর এপিএস আরও বলেন, চালক আজম দীর্ঘদিন ধরেই দু'জন ঘনিষ্ঠজনকে রেল বিভাগে চাকরি দেয়ার জন্য তদ্বির করছিল। কিন্তু চাকরি না হওয়ায় সে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। তাকে বিজিবি'র সদর দপ্তরে আটক রাখা হয়েছে। এখন তার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে মামলা করা হবে। ব্যাগে থাকা টাকার পরিমাণ প্রসঙ্গে ওমর ফারুক বলেন, ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ছিল। তবে ওই টাকা কিভাবে তার কাছে এলো কিংবা কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলেন সে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এদিকে বিজিবি'র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, মন্ত্রীর এপিএসের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। নিউ মার্কেট থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দায়ের কিংবা মামলা হয়নি। আটক প্রসঙ্গও এড়িয়ে যান। বলেন, সন্ধ্যার পরপরই বিজিবি'র গেটের নিরাপত্তার দায়িত্ব সেনাবাহিনীর অধীনে চলে যায়। এছাড়া, গতকালও দুপুর একটা পর্যন্ত তিনি আদালতে একটি মামলার সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন। তাই মন্ত্রীর এপিএসের সঙ্গে বিজিবি'র সদস্যদের কি হয়েছিল সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারবো না। ওদিকে টাকাসহ রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ওমর ফারুক তালুকদার ও রেলওয়ের জিএম (পূর্বাঞ্চল) ইউসুফ আলী মৃধা 'আটক' হওয়ার ঘটনায় আলাদা দু'টি তদন্ত কমিটি করেছে রেল মন্ত্রণালয়। গতকাল দুপুরে রেল ভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সাংবাদিকদের এপিএস ও রেল কর্মকর্তা আটক ও পরবর্তী বিষয় সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান। তবে মন্ত্রী নিজের এপিএস ও রেল কর্মকর্তা আটক হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সাংবাদিকদের জানান, সোমবার গভীর রাতে টাকা নিয়ে বাসায় যাওয়ার সময় ওমর ফারুকের চালক তাকে অপহরণের চেষ্টা করছিল। এ সময় ভয়ে জীবন বাঁচাতে তিনি পিলখানাস্থ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরের ভেতরে প্রবেশ করেন। রেলমন্ত্রী জানান, গাড়ির মধ্যে ছিলেন রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম, পূর্বাঞ্চল) ইউসুফ আলী মৃধা ও এপিএস ওমর ফারুক তালুকদার। তবে এ মুহূর্তে তারা নিজ নিজ বাড়িতে চলে গেছেন। একটি কমিটিতে জিএম ইউসুফ আলী মৃধার বিষয়ে তদন্ত করবেন রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (প্রশাসন) শশী কুমার সিংহ। আরেক কমিটিতে ওমর ফারুক তালুকদারের বিষয়ে তদন্ত করবেন রেলমন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) আখতারুজ্জামান। দু'টি কমিটিকেই আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এপিএস ওমর ফারুকের কাছে এত টাকা কিভাবে এলো সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, এটা তার ব্যক্তিগত টাকা। তবে আমি শুনেছি ওমর ফারুককে অপহরণ করা হয়েছিল। গত সোমবার গভীর রাতে রাজধানীর ঝিগাতলা মোড়ে বিজিবি সদর দপ্তরের মূল ফটকে ওমর ফারুককে আটক করে রাখেন বিজিবি সদস্যরা। তার কাছে ৭০ লাখ টাকা পাওয়া যায়। ৭০ লাখ টাকা পাওয়ার বিষয়টি জানার পরও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট হাতে পেলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারা এখন বাসায় আছে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, নিজের টাকা নিজের সঙ্গে রাখার বিষয়ে কোন প্রশ্ন তোলা ঠিক নয়। কারণ তার টাকা তিনি কোথায় রাখবেন, নিজের সঙ্গে রাখবেন নাকি বাসায় রাখবেন তা তার ব্যাপার। তবে কোন অন্যায় আছে কিনা তা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে। যদি তার অর্থের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ কিছু থাকে তা খতিয়ে দেখবে এনবিআর। এটা আমাদের বিষয় নয়। ওমর ফারুক তালুকদার ও ইউসুফ আলী মৃৃধা অফিস করবে কিনা জানতে চাইলে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে রেলমন্ত্রী বলেন, তারা অফিস করবে না কেন? তাদের অপরাধ প্রমাণ হওয়ার আগে শাস্তি দেয়া ঠিক হবে না। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অপেক্ষা করার কথা বলে তিনি বলেন, মাত্র কয়েকদিনের ব্যাপার। এর মধ্যে রিপোর্ট পেলেই স্পষ্ট হবে তারা অপরাধী কিনা। তারপরেই ব্যবস্থা। এই ঘটনার সঙ্গে জিআরপি পুলিশ এনামুল হকও ছিলেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি শুনেছি দু'জনের কথা। রেলমন্ত্রী বলেন, আমার কাজ শেষ করে বাকি সময় তাদের। তারা কোথায় যায়, কি করে এটা তাদের নিজেদের ব্যাপার। এদিনের সংবাদ সম্মেলনের কারণ সম্পর্কে রেলমন্ত্রী বলেন, ঢাকা-সিলেট রুটে একজোড়া নতুন ট্রেন চালু করার কথা ছিল পহেলা বৈশাখে। সেদিন ট্রেনগুলো চালু করা যাচ্ছে না, এটা জানানোর জন্যই সাংবাদিকদের ডাকা। তবে ট্রেনটি বৈশাখ মাসের মধ্যেই চালু করার কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ট্রেনের সবই সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তবে অনবোর্ড সার্ভিস বেসরকারি সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করবে। এ সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রীর সঙ্গে রেল সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলা নিউজ

'৭০ লাখ ঘুষের টাকাসহ পড়েছেন ধরা!'
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের যান্ত্রিক বিভাগে তৃতীয় শ্রেণীর ৪শ' পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা কয়েক কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন। সেই টাকার ভাগ রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছাতে রোববার রাতে মহাব্যবস্থাপক ঢাকায় যান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঢাকায় ৭০ লাখ টাকাসহ রেলমন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুক তালুকদার ও রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চল) জিএম ইউসুফ আলী মৃধার আটক হওয়ার খবর প্রচারের পর চট্টগ্রামে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। দিনভর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুখে মুখে ছিল: 'নিয়োগবাণিজ্যের মাধ্যমে আদায় করা ঘুষের টাকা নিয়ে ঢাকায় ধরা পড়েছে।'

রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, 'শুনেছি, ওয়ার্কশপে মেকানিক্যাল বিভাগের ট্রেড অ্যাপ্রেনটিস পদে ৪শ' জনের নিয়োগ চূড়ান্ত হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে দুই থেকে তিন লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। সেই টাকা নিয়েই সোমবার রাতে জিএম সাহেব তুর্ণা-নিশিথা ট্রেনে করে ঢাকায় গিয়েছেন।'

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা এবং কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিয়োগবাণিজ্যের একাধিক অভিযোগ চট্টগ্রামে দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়ে জমা পড়েছে।

মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে রেলওয়ের জায়গা একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে মার্কেট করার জন্য বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগেরও তদন্ত করছে দুদক।

দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মেজর ফয়সাল পাশা বাংলানিউজকে বলেন, ``রেলওয়ের জায়গা মার্কেট নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টির তদন্ত প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। বাকি অভিযোগগুলোর তদন্ত এখনও শুরু হয়নি। এজন্য সুনির্দিষ্টভাবে কোনো অভিযোগ প্রসঙ্গে বলা সম্ভব নয়।``

পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, মামলার কারণে দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকার পর গত বছর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়।

এ সময় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ৭ হাজারেরও বেশি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এসব পদের মধ্যে আছে, সহকারী লোকো মাস্টার, ট্রেড-অ্যাপ্রেনটিস, সিগন্যালম্যান, অ্যাটেনডেন্ট, খালাসি, চৌকিদার, আয়া, ট্রলিম্যান, মালি, সুইপারসহ আরও বেশ কয়েকটি পদ।

এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পদে এরই মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ।

এসব পদে নিয়োগ পরীক্ষার আগে থেকেই মহাব্যবস্থাপকসহ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি ও গ্রহণের অভিযোগ ওঠে।

একাধিক সূত্র অভিযোগ করেছে, ৭ হাজার পদের মধ্যে প্রায় প্রত্যেকটি পদের জন্যই ২ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়েছে। অনেকের অভিযোগ, দাবি অনুযায়ী ঘুষ দেওয়ার পরও নিয়োগ পাননি তারা।

তবে যারা ঘুষ দিয়েছেন নিয়োগ কিংবা পরবর্তী সময়ে ঝামেলায় জড়িয়ে যাবার ভয়ে কেউই এসব বিষয়ে সরাসরি মুখ খুলতে চাননি বা নাম প্রকাশে রাজি হননি।

সূত্র আরো অভিযোগ করেছে, নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রায় শেষের দিকে ট্রেড অ্যাপ্রেনটিসদের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হচ্ছিল। এ জন্য গত বেশ কয়েকদিন ধরে জিএম এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতরা ঘুষ লেনদেন করছিলেন।

এ প্রক্রিয়া শেষ হবার পর রোববার রাতে জিএম (পূর্বাঞ্চল) ইউসুফ আলী মৃধা ঘুষের টাকা নিয়ে ঢাকায় যান।

রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, 'তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাদের একজনও ঘুষ ছাড়া নিয়োগ পাননি। সুইপারের চাকরির জন্যও লাখ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি।'

এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে একাধিকবার মেকানিক্যাল বিভাগের নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী হাফিজুর রহমানের মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।


On Sun, Apr 22, 2012 at 4:41 PM, Abid Bahar <abid.bahar@gmail.com> wrote:

RAW trained Crusader 100 in action in Bangladesh

FOR IMMEDIATE RELEASE
(Free-Press-Release.com) April 22, 2012 --
Strictly scrutinized 100 armed cadres of the ruling Awami League in Bangladesh, who received 6-month long extensive commando training at Dehradun in India under the direct supervision of Indian espionage agency RAW are continuing various types of activities, including secret killing, abduction etcetera since June of 2010 with the mission of “clearing†a large number of politicians, media personnel and members of the civil society in Bangladesh. The team codenamed “Crusader-100†went to India during end September 2009 and stayed there till mid June 2010, where brilliant commando trainers of Indian Army gave extensive training to these people under the disguise of “training few young commandos of Bangladesh Army†. The entire project of “Crusader-100†was originally conceived by Indian Research and Analysis Wing (RAW) and the project was coordinated directly by the Bangladeshi Prime Minister and her defense advisor Maj. Gen. (Rtd) Tarique Ahmed Siddiqui.
Maj. Gen. (Rtd) Tarique Ahmed Siddiqui maintains special connection with Indian RAW and British MI6 for decades, since he was in army service. Such relations of RAW and MI6 with him was because of his family relations with Sheikh Hasina. When Bangladesh Awami League formed government in January 2009, Maj. Gen. (Rtd) Tarique Ahmed Siddiqui became extremely important in the government due to his official position as the defense advisor to the Bangladeshi Prime Minister as well as his personal identity of being the brother-in-law of Prime Minister’s younger sister Sheikh Rehana. The selection of the entire batch of ruling party cadres, who were sent to India for commando training were directly done by Maj. Gen. (Rtd) Tarique Ahmed Siddiqui and a few of his loyal colleagues and retired army officers, while on return of the members of the “Crusader-100†team from India, they were provided a hit list comprising names of opposition politicians, members of Bangladeshi media and some members of the civil society. According to information, the list contains names of more than 83 people, who are planned to be “cleared†by the members of the “Crusader-100†gang. The members of these specially trained hitters are housed inside several buildings at Dhaka’s Gulshan and Baridhara areas. The Baridhara “bases†of the hitters is maintained directly by Maj. Gen. (Rtd) Tarique Ahmed Siddiqui and each of such places are equipped with sophisticated surveillance equipments as well as entry of civilians are restricted within these premises. Leader of Bangladesh Nationalist Party, M Ilias Ali, who became victim of enforced disappearance recently, was also named in the list of Crusader-100 force. My New Delhi contacts disclosed few of the names of the hit list, which include, political leaders Amanullah Aman, Mirza Abbas, Sadeque Hossain Khoka, Goyeshwar Chandra Roy, M Ilias Ali, Habibun Nabi Sohel, Abdullah Al Noman, Barrister Abdur Razzaque, Shafiul Alam Pradhan, ASM Abdur Rob, Mufti Fazlul Haque Amini and Moulana Fazlul Karim. Awami League and RAW have decided “clearing†the listed names latest by December 2013, which they consider to be “vital†for the ruling party in Bangladesh in returning into power.
The gang of Crusader-100 is equipped with sophisticated small and medium range weapons, mostly with silencers as well as bullet-proof jackets, gas bombs and vehicles for their operations. Some of the members of this gang use satellite phones to skip interception of any of the Bangladeshi intelligence agencies. Each of the members of this gang received healthy financial package along side various types of extra benefits, including apartments in Dhaka city for the members of their families and small businesses. They are not allowed to show faces during the day-time and mostly required to stay inside their bases in Dhaka city. In case of emergency, when the members of the team are required to go on street during the day time, they are compulsorily required to wear black-tinted helmets, to hide their faces from the public. By rotation, members of the team are secretly taken to India for a break of 7-10 days for “amusement†purposes. In such cases, they are allowed to cross Bangladesh-India borders without any travel documents.



On Sun, Apr 22, 2012 at 4:40 PM, Abid Bahar <abid.bahar@gmail.com> wrote:

Driver Azam might have been victim of secret killing
Reported on: April 17, 2012 21:32 PM

News - Driver Azam might have been victim of secret killing: BNP
Dhaka, Apr 17 (UNB) - Voicing deep concern over the disappearance of driver Ali Azam, a key witness to the midnight railway cash scam, BNP Standing Committee Member Rafiqul Islam Miah on Tuesday feared that the driver has been liquidated to hide the crime.

"Instead of awarding the driver, the government has made him disappeared to cover up its dirty face," he told a human chain programme.

Bangladesh Labour Party arranged the programme in front of the National Press Club, demanding the arrest and trial of the corrupt and looters of public property.

Addressing the function, the BNP leader said people want to know the whereabouts of driver Azam and it is the responsibility of the Prime Minister and the Home Minister to find him out.

He said they fear that Ali Azam, the driver of assistant personal secretary of Railways Minister Suranjit Sengupta who resigned on Monday over the scam, might have become another victim to secret killing.

Rafiqul Islam asked the government to immediately reveal the whereabouts of the driver who drove the vehicle with a huge amount of 'bribed money' into the Border Guard Bangladesh (BGB) Headquarters and brought the railway recruitment scam to light.

"He said the BGB men released the three people caught with Tk 70 lakh of bribed money following the minister's intervention. But, driver Ali Azam went missing after the incident. Where is he? We want to know," Rafiqul Islam asked.

He also questioned the role of the border guards as they did not file any case even after recovering the huge amount of illegal cash.

On April 9, BGB men detained then Railways Minister Suranjit Sengupta's APS Omar Faruq Talukder, Railway GM Yusuf Ali Mridha and Divisional Commandant Enamul Huq after Azam drove a car carrying them into the BGB Headquarters at about 11:30pm.

They were reportedly going to the Jhigatola house of Suranjit with the illegal money of Tk 70 lakh, collected from job seekers, in the car of the APS.

The BGB members recovered the illegal money and kept them detained in Pilkhana.

The BGB men claimed that they released driver Ali Azam and three others the following day, but no one, even his family members, did not see him after the detention.






__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___