নাগরিক প্রতিক্রিয়া : দেশের অর্থনীতির দুরবস্থার জন্য অর্থমন্ত্রীই দায়ী
ষহাফেজ আলাউদ্দিন, শিক্ষক, বাগেরহাট : বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রীসহ অন্য মন্ত্রীদের ছত্রছায়ায় শেয়ারবাজার থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কয়েক হাজার কোটি টাকা ডাকাতি হয়েছে। এ জন্য সরকারই দায়ী। সরকারের ব্যর্থতার কারণে দেশের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আজ আত্মহত্যা করছে। আর অর্থমন্ত্রী শুধু পাগলের প্রলাপ বকছেন। আর কত—অর্থমন্ত্রীর উচিত ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে জনগণকে মুক্তি দেয়া।
ষমো. আরজু, ব্যাংকার, যশোর : বাংলাদেশের অর্থনীতির দুরবস্থার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অর্থমন্ত্রীই দায়ী। উনি শেয়ারবাজার বোঝেন না। তার যেসব বক্তব্য রয়েছে তাতে বোঝা যায় তিনি কিছুই বোঝেন না। তাই তার এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা উচিত। তাহলে দেশের অর্থনীতি কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে।
ষওবায়দুল্লা জেমী, শিক্ষক, চন্দ্ররপুর, গোলাপগঞ্জ, সিলেট : আমাদের দেশের অর্থমন্ত্রীর মাথা ঠিক নেই। কারণ একদিন আগে সংসদে দাঁড়িয়ে বললেন দেশের অর্থনীতি কালো ছায়ার মধ্যে রয়েছে। ঠিক তার একদিন পরই তিনি বললেন, দেশের অর্থনীতিতে কোনো সঙ্কট নেই। যেখানে শেয়ারবাজারে সব কিছু হারিয়ে একের পর এক বিনিয়োগকারী আত্মহত্যা করছেন, তারপরও অর্থমন্ত্রীর মুখে শোনা যায় ডিজিটাল বাণী। দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে, দেশকে বাঁচাতে, হাজার হাজার বিনিয়োগকারীকে বাঁচাতে এখনই অর্থমন্ত্রীকে পদত্যাগ করা উচিত।
ষমো. অহিদুল ইসলাম, উল্লাখালী, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা : বাংলাদেশের রাজনৈতিক গোপালভাঁড় আমরা পেয়ে গেছি। অর্থমন্ত্রী একের পর এক হাস্যকর বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন। তাই তিনি এখন স্ববিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন। দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমি অর্থমন্ত্রীর দ্রুত পদত্যাগ দাবি করছি।
ষএসএম তুহিন মাহমুদ, চাকরি, মুলাদী, বরিশাল : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল সরকারের ডিজিটাল অর্থমন্ত্রীর ডিজিটাল অর্থহীন কথাই ডিজিটাল তাচ্ছিল্যতার প্রাদুর্ভাব। এসবই হচ্ছে সরকার পতনের পূর্বে পাগল হওয়ার ডিজিটাল লক্ষণ। আমি অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই।
ষহাবিবুর রহমান ইয়াসিন, চাকরিজীবী, জয়পুর, ফুলগাজী, ফেনী : অর্থমন্ত্রী মুহিত তার অদ্ভুত কথাবার্তা দিয়ে অর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে ছাড়ল। এ জন্য তাকে পদত্যাগ করা উচিত।
ষমো. মিঠুন মিয়া, ব্যবসায়ী, সেগুনবাগান, পাহাড়তলী, খুলশি, চট্টগ্রাম : দুর্নীতি, লুটপাট, ব্যাংক লোন দেশের অর্থনীতিকে দেউলিয়া করেছে, ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য সব কিছুই আজ হুমকির মুখে। জনতার রোষানলে পড়ে মানসিক ভারসাম্যহীন পাগলের মতো প্রলাপ বকছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আমি তার পদত্যাগ দাবি করছি।
ষএমকে আলমগীর, শিক্ষক, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী : অর্থনীতি নিয়ে মন্ত্রী মুহিতের স্ববিরোধী বক্তব্য এটাই প্রমাণ করে যে, তিনি আসলেই কী বলেন তা জানেন না। সুতরাং আমি এই অজানা ব্যক্তির মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগের জোর দাবি জানাই।
ষকবি গোলাম মোহাম্মদ, চাকরিজীবী, ডেমরা, ঢাকা : সুস্থ মগজের মানুষ কে না বোঝে ডলারের দাম বাড়লে টাকার মূল্যমান কমে, আমদানি ব্যয় বেড়ে যায়। এমনিতেই শেয়ারবাজারের একশ’ হাজার কোটি টাকা ডলার বানিয়ে বিদেশে পাচার করেছে। বিশেষ ব্যক্তির নামে এখনও ডলার পাচার হচ্ছে। অথচ অর্থমন্ত্রী বলছেন রাবিশ, ভোগাস, অর্থনীতির অবস্থা ভালো। মরহুম অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের সঙ্গে এখানেই পার্থক্য।
ষসাগর খান, অভিনেতা, ঢাকা : শেখ হাসিনা সরকারের অর্থমন্ত্রী নিজেই একজন স্ববিরোধী মানুষ। তার স্ববিরোধী বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে। অর্থমন্ত্রী মুহিতের পদত্যাগ দাবি করছি।
ষখন্দকার মাহবুব, ছাত্র, নগরকান্দা, দেলবাড়িয়া, ফরিদপুর : একটি দেশের ভালো-মন্দ নির্ভর করে ওই দেশের অর্থনীতির ওপর। কিন্তু আমাদের দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে যে অর্থমন্ত্রী তা বলাই বাহুল্য। আমি অর্থমন্ত্রীর স্ববিরোধী বক্তব্য দেয়ার জন্য তার পদত্যাগ দাবি করছি।
ষজাহাঙ্গীর হোসন, চাকরিজীবী, ফেনী : অতীতের অর্থমন্ত্রীর চেয়ে বর্তমানের অর্থমন্ত্রী একেবারেই অযোগ্য। যার কারণে আজ অর্থনীতির এই অবস্থা। অর্থমন্ত্রী নিজেই জানেন না, অর্থনীতিকে কীভাবে রক্ষা করতে হয়। আর এ কারণেই তিনি একের পর এক স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। আমি তার পদত্যাগ দাবি করছি।
ষমো. আরিফুজ্জামান আরিফ, চাকরিজীবী, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী, পূবালী আবসিক এলাকা, ঢাকা : বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী মুহিতের আরও সচেতনভাবে বক্তব্য দেয়া উচিত। একজন অর্থমন্ত্রীর কাছে আমরা স্ববিরোধী বক্তব্য কখনও আশা করিনি।
ষমো. রাজিব, চাকরিজীবী, টাঙ্গুর, ফেনী : বাংলাদেশে এ ধরনের অর্থমন্ত্রীর জন্য আজ অর্থনীতির এই দুরবস্থা। এই মুহূর্তেই তার পদত্যাগ করা উচিত।
ষমো. নাসির উদ্দিন রিপন, ব্যবসায়ী, ছাগলনাইয়া, ফেনী : গত তিন বছরে দেশের অর্থনীতির যে দুরবস্থা হয়েছে পত্রিকার রিপোর্ট প্রকাশ করার কারণে অর্থমন্ত্রী শুধু গণমাধ্যমকে দায়ী করেছেন। এখন অর্থমন্ত্রী নিজে স্বীকার করেছেন যে, দেশ এখন অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর জন্য অর্থমন্ত্রী রাজনৈতিক অস্থিরতাকে দায়ী করেছেন। ৭০ টাকার ডলার ৮৫ টাকার ওপরে উঠেছে। টাকার মান কমেছে ২১ শতাংশ। এই ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।
ষমো. দেলোয়ার হোসেন দুলাল, ব্যবসায়ী, খিলগাঁও, ঢাকা : বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রীর মতো এত অযোগ্য অর্থমন্ত্রী আমি ৪০ বছরেও দেখিনি। তার অসংলগ্ন কর্তাবার্তা এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণে যখন আটকে যান তখন সাধারণ জনগণ যেন বুঝতে না পারে সে সময় তিনি ভেজাল ইংরেজিতে কথা বলে চতুরতা দেখান। শেয়ারবাজারের এ অবস্থার জন্য তার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বিচার হওয়া উচিত।
ষমোর্শেদ, ব্যবসায়ী, কক্সবাজার : আমাদের অর্থ নিয়ে অর্থমন্ত্রীর কোনো চিন্তা নেই। তার চিন্তাই হচ্ছে নিজের অর্থনীতি নিয়ে। যদি এদেশের অর্থ নিয়ে তিনি চিন্তা করতেন তাহলে শেয়ারবাজারের কেলেঙ্কারি ও পুঁজি হারিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটত না। তাই এ সরকার ও সরকারের মন্ত্রিসভার পদত্যাগ চাই।
ষআবদুল্লাহ ইয়াছিন, ছাত্র, বি-বাড়িয়া : অর্থমন্ত্রী যে ধরনের কথা বলছেন তা তাদের দলীয় কারসাজি এবং ডিজিটাল কারসাজির তিন নম্বর পদ্ধতি। তিনি যে ধরনের কথা বলছেন তাতে মনে হয়, পারিবারিক সূত্রে মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন।
ষসাইফুল ইসলাম তানভীর, চাকরিজীবী, গাজীপুর : টেলিভিশনে যখন মুহিত সাহেবের বক্তব্য শুনি তখন বুঝতেই সমস্যা হয় যে তিনি অর্থমন্ত্রী নাকি কৌতুক অভিনেতা। দেশের জনগণকে রাস্তায় নামিয়ে তিনি এভাবে তামাশার বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। যুক্তরাজ্যের ক্যালিফোর্নিয়ায় আরাম-আয়েশে থাকা বসন্তের কোকিল একদা এদেশের জনগণের কষ্ট অনুভব করতে পারবেন না। চাটুকারী করে অনেকে মন্ত্রী হয়েছেন নিজের ভোগবিলাসের জন্য। এসব ব্যক্তি দিয়ে দেশের ক্ষতি ছাড়া লাভ নেই।
ষআবদুল হান্নান মামুন, মাদরাসা শিক্ষক, কমলনগর, লক্ষীপুর : অর্থমন্ত্রী ৩১ জানুয়ারি সংসদে বলেছিলেন আমরা বছরের শুরু থেকেই অর্থনৈতিক দিক থেকে কালো ছায়ার মধ্যে আছি। আবার ১ ফেব্রুয়ারি বলেন, অর্থনীতিতে কোনো সঙ্কট নেই। তার এই স্ববিরোধী বক্তব্যে অবাক হওয়ার কিছু নেই, কারণ এটাই হচ্ছে তার দলের ধর্ম। আর এই দলের ধর্মই হচ্ছে নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরে অস্বীকার করা। আমরা এ অর্থনীতি ধ্বংসকারী সরকারের অতিদ্রুত পতন কামনা করি।
ষমো. আবদুল আজিজ, চমক ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, মহেশখালী, কক্সবাজার : অর্থমন্ত্রীর ব্যর্থতার জন্যই দেশের অর্থনীতির দুরবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আর এই দুরবস্থার কারণে বেসামাল হয়ে অর্থমন্ত্রী একেক সময় একেক ধরনের বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। তাই দেশের অর্থনীতি রক্ষায় এই অর্থমন্ত্রীর দ্রুত অপসারণ প্রয়োজন।
ষমো. মহিউদ্দিন, ব্যবসায়ী, মোহাম্মদপুর আবদুল হামিদ ভিলা, মৌলভীবাজার সদর : জাতীয় সংসদে ব্যর্থ অর্থমন্ত্রী মুহিতের বক্তব্যে দেশের অর্থনীতির সঙ্কটের দায় গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের ওপর চাপিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা ও অযোগ্যতার দায় উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। সংসদে স্বতন্ত্র এমপি ফজলুল আজিমের অর্থমন্ত্রী সম্পর্কে দেয়া বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত। দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কটের প্রধান কারণ অর্থমন্ত্রীর অযোগ্যতা ও ব্যর্থতা। সরকারের উচিত হলো এই ব্যর্থ অর্থমন্ত্রীকে অপসারণ করা।
ষলিজা, চাকরিজীবী, ঢাকা : দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু ও জনগণকে পথে বসিয়ে বেসামাল হয়ে পড়েছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি জনরোষের ভয়ে কখন কী বলেন তা নিজেও জানেন না। এই অর্থমন্ত্রীর হাত থেকে দেশকে রক্ষায় অবিলম্বে তাকে অপসারণ করতে হবে।
ষমো. ঈমান আলী, চাকরিজীবী, জগবন্ধু, কমলনগর, লক্ষ্মীপুর : অর্থমন্ত্রী বিনিয়োগকারীদের উত্সাহিত করে কৌশলে হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেলেন। আর এখন বলেন, শেয়ারবাজার বুঝি না—এ যেন হবুচন্দ্র রাজার গবুচন্দ্র মন্ত্রী। এই অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।
ষআবু হানিফ, ছাত্র. কুমিল্লা, ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত কেবল যে স্ববিরোধী বক্তব্য রাখেন শুধু তাই নয়, তিনি বরাবরই এদেশের মানুষকে মানুষ বলে মনে করেন না। এটা তার ব্যক্তির দোষ নয়, মূলত তার সুশিক্ষার অভাব বলেই মনে হয়। অন্যথায় তার মতো একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী ঢালাওভাবে ‘রাবিশ’ ‘ভোগাস’ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করতে পারতেন না। সবচেয়ে বড় কথা হলো, তিনি কখন যে কি কথা বলেন তা পরক্ষণেই ভুলে যান। তার এই পদটি ছেড়ে দেয়া উচিত বলে আমার মনে হয়।
ষসোহেল পারভেজ সুমন, ব্যবসায়ী, পটিয়া, চট্টগ্রাম : অর্থমন্ত্রী বিগত কয়েক বছরে যেসব কথাবার্তা বলেছেন এতে তিনি মন্ত্রিত্ব না করে কোন যাত্রা দলের জোকারের পাঠ করলেই বেশি সফলতা পেতেন। অর্থমন্ত্রীর ব্যর্থতায় অর্থনীতির যে অবস্থা ইতিহাস এটা মনে রাখবে এবং একদিন এর বিচার হবে।
ষমাওলানা মো. আনোয়ার শাহ, ছাত্র, বি-বাড়িয়া সদর : শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে পুঁজি হারিয়ে অনেকেই দিশেহারা। দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের দারপ্রান্তে। মানুষ না খেয়ে মরছে। এই অবস্থায় অর্থমন্ত্রী ও সরকারের বক্তব্যে জনগণ চরম ক্ষুব্ধ।
ষআবদুল মুকিত, লেখক, সিলেট : শয়ারবাজারের বারোটা বাজিয়ে অর্থনীতির লালবাতি জালিয়ে চরম হতাশাগ্রস্ত অর্থমন্ত্রী চোখে সর্ষের ফুল দেখছেন বলেই স্ববিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন।
ষএসএম জলিল সরকার, সরকারি কর্মকর্তা (অব.) বাগবাড়ী, কাশিমপুর, গাজীপুর : অর্থমন্ত্রী অর্থনীতি নিয়ে মাঝে মাঝে সত্য কথা বলেন, কিন্তু আমাদের জানা দরকার বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ শুধু ল্যাপটপে সীমাবদ্ধ। তারপরও অর্থমন্ত্রী যখন অর্থনীতির বেহাল অবস্থা তুলে ধরেন তখন আমাদের এতগুলো ডক্টরেট ডিগ্রিপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর ভালো না লাগার কারণে অর্থমন্ত্রীর স্ববিরোধী বক্তব্য।
ষমাওলানা হাসান মো. ইসহাক, শিক্ষক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : অর্থনীতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, সরকার বা সরকারদলীয় প্রধানের হাতে যদি আমলনামা না থাকত তাহলে দলীয় অনেক রাজনীতিবিদ একইভাবে স্ব-দলের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। অর্থমন্ত্রী সংসদে অর্থনীতির আসল চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য দেয়ায় তাকে ধন্যবাদ।
ষলায়ন মো. নাজিমুদ্দিন তাজ, চাকরিজীবী, সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম : অর্থমন্ত্রী যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন তা ঠিকই। তিনি বিদেশ থেকে যেসব মোটা অংকের ঋণ নিচ্ছেন তা দেশের কাজে লাগছে না, লুটপাট হয়ে দলীয় লোকদের পকেটে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়বে পরবর্তী সরকারের ওপর।
ষশামসুল ইলসাম, ব্যবসায়ী, ইসলামাবাদ মার্কেট, চট্টগ্রাম : বাংলাদেশের অর্থনীতির যে অবস্থা এর জন্য অর্থমন্ত্রীর উচিত ছিল পদত্যাগ করা। কিন্তু তা না করে এই অর্থমন্ত্রী দেশের শেয়ারবাজারকে আরও ধ্বংস করেছে। অর্থমন্ত্রীর কারণেই শেয়ারবাজার থেকে হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। এই কলঙ্ক ঢাকতেই অর্থমন্ত্রী স্ববিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন।
ষমো. আরজু, ব্যাংকার, যশোর : বাংলাদেশের অর্থনীতির দুরবস্থার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অর্থমন্ত্রীই দায়ী। উনি শেয়ারবাজার বোঝেন না। তার যেসব বক্তব্য রয়েছে তাতে বোঝা যায় তিনি কিছুই বোঝেন না। তাই তার এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা উচিত। তাহলে দেশের অর্থনীতি কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে।
ষওবায়দুল্লা জেমী, শিক্ষক, চন্দ্ররপুর, গোলাপগঞ্জ, সিলেট : আমাদের দেশের অর্থমন্ত্রীর মাথা ঠিক নেই। কারণ একদিন আগে সংসদে দাঁড়িয়ে বললেন দেশের অর্থনীতি কালো ছায়ার মধ্যে রয়েছে। ঠিক তার একদিন পরই তিনি বললেন, দেশের অর্থনীতিতে কোনো সঙ্কট নেই। যেখানে শেয়ারবাজারে সব কিছু হারিয়ে একের পর এক বিনিয়োগকারী আত্মহত্যা করছেন, তারপরও অর্থমন্ত্রীর মুখে শোনা যায় ডিজিটাল বাণী। দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে, দেশকে বাঁচাতে, হাজার হাজার বিনিয়োগকারীকে বাঁচাতে এখনই অর্থমন্ত্রীকে পদত্যাগ করা উচিত।
ষমো. অহিদুল ইসলাম, উল্লাখালী, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা : বাংলাদেশের রাজনৈতিক গোপালভাঁড় আমরা পেয়ে গেছি। অর্থমন্ত্রী একের পর এক হাস্যকর বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন। তাই তিনি এখন স্ববিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন। দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমি অর্থমন্ত্রীর দ্রুত পদত্যাগ দাবি করছি।
ষএসএম তুহিন মাহমুদ, চাকরি, মুলাদী, বরিশাল : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল সরকারের ডিজিটাল অর্থমন্ত্রীর ডিজিটাল অর্থহীন কথাই ডিজিটাল তাচ্ছিল্যতার প্রাদুর্ভাব। এসবই হচ্ছে সরকার পতনের পূর্বে পাগল হওয়ার ডিজিটাল লক্ষণ। আমি অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই।
ষহাবিবুর রহমান ইয়াসিন, চাকরিজীবী, জয়পুর, ফুলগাজী, ফেনী : অর্থমন্ত্রী মুহিত তার অদ্ভুত কথাবার্তা দিয়ে অর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে ছাড়ল। এ জন্য তাকে পদত্যাগ করা উচিত।
ষমো. মিঠুন মিয়া, ব্যবসায়ী, সেগুনবাগান, পাহাড়তলী, খুলশি, চট্টগ্রাম : দুর্নীতি, লুটপাট, ব্যাংক লোন দেশের অর্থনীতিকে দেউলিয়া করেছে, ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য সব কিছুই আজ হুমকির মুখে। জনতার রোষানলে পড়ে মানসিক ভারসাম্যহীন পাগলের মতো প্রলাপ বকছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আমি তার পদত্যাগ দাবি করছি।
ষএমকে আলমগীর, শিক্ষক, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী : অর্থনীতি নিয়ে মন্ত্রী মুহিতের স্ববিরোধী বক্তব্য এটাই প্রমাণ করে যে, তিনি আসলেই কী বলেন তা জানেন না। সুতরাং আমি এই অজানা ব্যক্তির মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগের জোর দাবি জানাই।
ষকবি গোলাম মোহাম্মদ, চাকরিজীবী, ডেমরা, ঢাকা : সুস্থ মগজের মানুষ কে না বোঝে ডলারের দাম বাড়লে টাকার মূল্যমান কমে, আমদানি ব্যয় বেড়ে যায়। এমনিতেই শেয়ারবাজারের একশ’ হাজার কোটি টাকা ডলার বানিয়ে বিদেশে পাচার করেছে। বিশেষ ব্যক্তির নামে এখনও ডলার পাচার হচ্ছে। অথচ অর্থমন্ত্রী বলছেন রাবিশ, ভোগাস, অর্থনীতির অবস্থা ভালো। মরহুম অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের সঙ্গে এখানেই পার্থক্য।
ষসাগর খান, অভিনেতা, ঢাকা : শেখ হাসিনা সরকারের অর্থমন্ত্রী নিজেই একজন স্ববিরোধী মানুষ। তার স্ববিরোধী বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে। অর্থমন্ত্রী মুহিতের পদত্যাগ দাবি করছি।
ষখন্দকার মাহবুব, ছাত্র, নগরকান্দা, দেলবাড়িয়া, ফরিদপুর : একটি দেশের ভালো-মন্দ নির্ভর করে ওই দেশের অর্থনীতির ওপর। কিন্তু আমাদের দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে যে অর্থমন্ত্রী তা বলাই বাহুল্য। আমি অর্থমন্ত্রীর স্ববিরোধী বক্তব্য দেয়ার জন্য তার পদত্যাগ দাবি করছি।
ষজাহাঙ্গীর হোসন, চাকরিজীবী, ফেনী : অতীতের অর্থমন্ত্রীর চেয়ে বর্তমানের অর্থমন্ত্রী একেবারেই অযোগ্য। যার কারণে আজ অর্থনীতির এই অবস্থা। অর্থমন্ত্রী নিজেই জানেন না, অর্থনীতিকে কীভাবে রক্ষা করতে হয়। আর এ কারণেই তিনি একের পর এক স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। আমি তার পদত্যাগ দাবি করছি।
ষমো. আরিফুজ্জামান আরিফ, চাকরিজীবী, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী, পূবালী আবসিক এলাকা, ঢাকা : বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী মুহিতের আরও সচেতনভাবে বক্তব্য দেয়া উচিত। একজন অর্থমন্ত্রীর কাছে আমরা স্ববিরোধী বক্তব্য কখনও আশা করিনি।
ষমো. রাজিব, চাকরিজীবী, টাঙ্গুর, ফেনী : বাংলাদেশে এ ধরনের অর্থমন্ত্রীর জন্য আজ অর্থনীতির এই দুরবস্থা। এই মুহূর্তেই তার পদত্যাগ করা উচিত।
ষমো. নাসির উদ্দিন রিপন, ব্যবসায়ী, ছাগলনাইয়া, ফেনী : গত তিন বছরে দেশের অর্থনীতির যে দুরবস্থা হয়েছে পত্রিকার রিপোর্ট প্রকাশ করার কারণে অর্থমন্ত্রী শুধু গণমাধ্যমকে দায়ী করেছেন। এখন অর্থমন্ত্রী নিজে স্বীকার করেছেন যে, দেশ এখন অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর জন্য অর্থমন্ত্রী রাজনৈতিক অস্থিরতাকে দায়ী করেছেন। ৭০ টাকার ডলার ৮৫ টাকার ওপরে উঠেছে। টাকার মান কমেছে ২১ শতাংশ। এই ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।
ষমো. দেলোয়ার হোসেন দুলাল, ব্যবসায়ী, খিলগাঁও, ঢাকা : বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রীর মতো এত অযোগ্য অর্থমন্ত্রী আমি ৪০ বছরেও দেখিনি। তার অসংলগ্ন কর্তাবার্তা এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণে যখন আটকে যান তখন সাধারণ জনগণ যেন বুঝতে না পারে সে সময় তিনি ভেজাল ইংরেজিতে কথা বলে চতুরতা দেখান। শেয়ারবাজারের এ অবস্থার জন্য তার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বিচার হওয়া উচিত।
ষমোর্শেদ, ব্যবসায়ী, কক্সবাজার : আমাদের অর্থ নিয়ে অর্থমন্ত্রীর কোনো চিন্তা নেই। তার চিন্তাই হচ্ছে নিজের অর্থনীতি নিয়ে। যদি এদেশের অর্থ নিয়ে তিনি চিন্তা করতেন তাহলে শেয়ারবাজারের কেলেঙ্কারি ও পুঁজি হারিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটত না। তাই এ সরকার ও সরকারের মন্ত্রিসভার পদত্যাগ চাই।
ষআবদুল্লাহ ইয়াছিন, ছাত্র, বি-বাড়িয়া : অর্থমন্ত্রী যে ধরনের কথা বলছেন তা তাদের দলীয় কারসাজি এবং ডিজিটাল কারসাজির তিন নম্বর পদ্ধতি। তিনি যে ধরনের কথা বলছেন তাতে মনে হয়, পারিবারিক সূত্রে মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন।
ষসাইফুল ইসলাম তানভীর, চাকরিজীবী, গাজীপুর : টেলিভিশনে যখন মুহিত সাহেবের বক্তব্য শুনি তখন বুঝতেই সমস্যা হয় যে তিনি অর্থমন্ত্রী নাকি কৌতুক অভিনেতা। দেশের জনগণকে রাস্তায় নামিয়ে তিনি এভাবে তামাশার বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। যুক্তরাজ্যের ক্যালিফোর্নিয়ায় আরাম-আয়েশে থাকা বসন্তের কোকিল একদা এদেশের জনগণের কষ্ট অনুভব করতে পারবেন না। চাটুকারী করে অনেকে মন্ত্রী হয়েছেন নিজের ভোগবিলাসের জন্য। এসব ব্যক্তি দিয়ে দেশের ক্ষতি ছাড়া লাভ নেই।
ষআবদুল হান্নান মামুন, মাদরাসা শিক্ষক, কমলনগর, লক্ষীপুর : অর্থমন্ত্রী ৩১ জানুয়ারি সংসদে বলেছিলেন আমরা বছরের শুরু থেকেই অর্থনৈতিক দিক থেকে কালো ছায়ার মধ্যে আছি। আবার ১ ফেব্রুয়ারি বলেন, অর্থনীতিতে কোনো সঙ্কট নেই। তার এই স্ববিরোধী বক্তব্যে অবাক হওয়ার কিছু নেই, কারণ এটাই হচ্ছে তার দলের ধর্ম। আর এই দলের ধর্মই হচ্ছে নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরে অস্বীকার করা। আমরা এ অর্থনীতি ধ্বংসকারী সরকারের অতিদ্রুত পতন কামনা করি।
ষমো. আবদুল আজিজ, চমক ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, মহেশখালী, কক্সবাজার : অর্থমন্ত্রীর ব্যর্থতার জন্যই দেশের অর্থনীতির দুরবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আর এই দুরবস্থার কারণে বেসামাল হয়ে অর্থমন্ত্রী একেক সময় একেক ধরনের বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। তাই দেশের অর্থনীতি রক্ষায় এই অর্থমন্ত্রীর দ্রুত অপসারণ প্রয়োজন।
ষমো. মহিউদ্দিন, ব্যবসায়ী, মোহাম্মদপুর আবদুল হামিদ ভিলা, মৌলভীবাজার সদর : জাতীয় সংসদে ব্যর্থ অর্থমন্ত্রী মুহিতের বক্তব্যে দেশের অর্থনীতির সঙ্কটের দায় গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের ওপর চাপিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা ও অযোগ্যতার দায় উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। সংসদে স্বতন্ত্র এমপি ফজলুল আজিমের অর্থমন্ত্রী সম্পর্কে দেয়া বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত। দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কটের প্রধান কারণ অর্থমন্ত্রীর অযোগ্যতা ও ব্যর্থতা। সরকারের উচিত হলো এই ব্যর্থ অর্থমন্ত্রীকে অপসারণ করা।
ষলিজা, চাকরিজীবী, ঢাকা : দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু ও জনগণকে পথে বসিয়ে বেসামাল হয়ে পড়েছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি জনরোষের ভয়ে কখন কী বলেন তা নিজেও জানেন না। এই অর্থমন্ত্রীর হাত থেকে দেশকে রক্ষায় অবিলম্বে তাকে অপসারণ করতে হবে।
ষমো. ঈমান আলী, চাকরিজীবী, জগবন্ধু, কমলনগর, লক্ষ্মীপুর : অর্থমন্ত্রী বিনিয়োগকারীদের উত্সাহিত করে কৌশলে হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেলেন। আর এখন বলেন, শেয়ারবাজার বুঝি না—এ যেন হবুচন্দ্র রাজার গবুচন্দ্র মন্ত্রী। এই অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।
ষআবু হানিফ, ছাত্র. কুমিল্লা, ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত কেবল যে স্ববিরোধী বক্তব্য রাখেন শুধু তাই নয়, তিনি বরাবরই এদেশের মানুষকে মানুষ বলে মনে করেন না। এটা তার ব্যক্তির দোষ নয়, মূলত তার সুশিক্ষার অভাব বলেই মনে হয়। অন্যথায় তার মতো একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী ঢালাওভাবে ‘রাবিশ’ ‘ভোগাস’ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করতে পারতেন না। সবচেয়ে বড় কথা হলো, তিনি কখন যে কি কথা বলেন তা পরক্ষণেই ভুলে যান। তার এই পদটি ছেড়ে দেয়া উচিত বলে আমার মনে হয়।
ষসোহেল পারভেজ সুমন, ব্যবসায়ী, পটিয়া, চট্টগ্রাম : অর্থমন্ত্রী বিগত কয়েক বছরে যেসব কথাবার্তা বলেছেন এতে তিনি মন্ত্রিত্ব না করে কোন যাত্রা দলের জোকারের পাঠ করলেই বেশি সফলতা পেতেন। অর্থমন্ত্রীর ব্যর্থতায় অর্থনীতির যে অবস্থা ইতিহাস এটা মনে রাখবে এবং একদিন এর বিচার হবে।
ষমাওলানা মো. আনোয়ার শাহ, ছাত্র, বি-বাড়িয়া সদর : শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে পুঁজি হারিয়ে অনেকেই দিশেহারা। দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের দারপ্রান্তে। মানুষ না খেয়ে মরছে। এই অবস্থায় অর্থমন্ত্রী ও সরকারের বক্তব্যে জনগণ চরম ক্ষুব্ধ।
ষআবদুল মুকিত, লেখক, সিলেট : শয়ারবাজারের বারোটা বাজিয়ে অর্থনীতির লালবাতি জালিয়ে চরম হতাশাগ্রস্ত অর্থমন্ত্রী চোখে সর্ষের ফুল দেখছেন বলেই স্ববিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন।
ষএসএম জলিল সরকার, সরকারি কর্মকর্তা (অব.) বাগবাড়ী, কাশিমপুর, গাজীপুর : অর্থমন্ত্রী অর্থনীতি নিয়ে মাঝে মাঝে সত্য কথা বলেন, কিন্তু আমাদের জানা দরকার বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ শুধু ল্যাপটপে সীমাবদ্ধ। তারপরও অর্থমন্ত্রী যখন অর্থনীতির বেহাল অবস্থা তুলে ধরেন তখন আমাদের এতগুলো ডক্টরেট ডিগ্রিপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর ভালো না লাগার কারণে অর্থমন্ত্রীর স্ববিরোধী বক্তব্য।
ষমাওলানা হাসান মো. ইসহাক, শিক্ষক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : অর্থনীতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, সরকার বা সরকারদলীয় প্রধানের হাতে যদি আমলনামা না থাকত তাহলে দলীয় অনেক রাজনীতিবিদ একইভাবে স্ব-দলের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। অর্থমন্ত্রী সংসদে অর্থনীতির আসল চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য দেয়ায় তাকে ধন্যবাদ।
ষলায়ন মো. নাজিমুদ্দিন তাজ, চাকরিজীবী, সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম : অর্থমন্ত্রী যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন তা ঠিকই। তিনি বিদেশ থেকে যেসব মোটা অংকের ঋণ নিচ্ছেন তা দেশের কাজে লাগছে না, লুটপাট হয়ে দলীয় লোকদের পকেটে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়বে পরবর্তী সরকারের ওপর।
ষশামসুল ইলসাম, ব্যবসায়ী, ইসলামাবাদ মার্কেট, চট্টগ্রাম : বাংলাদেশের অর্থনীতির যে অবস্থা এর জন্য অর্থমন্ত্রীর উচিত ছিল পদত্যাগ করা। কিন্তু তা না করে এই অর্থমন্ত্রী দেশের শেয়ারবাজারকে আরও ধ্বংস করেছে। অর্থমন্ত্রীর কারণেই শেয়ারবাজার থেকে হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। এই কলঙ্ক ঢাকতেই অর্থমন্ত্রী স্ববিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন।
__._,_.___