গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশসংশোধনের চেষ্টায় খুবই হতাশ মার্কিন সিনেটর বারবারা কূটনৈতিক প্রতিবেদক
গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ সংশোধনের উদ্যোগে গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন মার্কিন সিনেটর বারবারা বক্সার। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গত শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এক বিবৃতিতে তিনি হতাশার এ কথা জানান। পাশাপাশি তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় 'হস্তক্ষেপ' না করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সিনেটর বারবারা বলেন, 'গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর বাংলাদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টায় আমি খুব হতাশ। ওই উদ্যোগ বাংলাদেশের লাখ লাখ নারীর দারিদ্র্য বিমোচন প্রচেষ্টার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংক যাতে দরিদ্র পরিবারগুলোকে ব্যবসা শুরুতে সহায়তার গুরুদায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখতে পারে সে জন্য ব্যাংকের নেতৃত্ব সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব এর পরিচালনা পর্ষদের ওপরই থাকা উচিত।'
বারবারা বলেন, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক ৮৩ লাখ দরিদ্র মানুষকে ঋণ ও অন্যান্য সহযোগিতা দিচ্ছে। গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের বেশির ভাগ নারী। ঋণগ্রহীতারা যাতে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে এবং নিজেদের পরিবারকে সাহায্য করতে পারে সে জন্য গ্রামীণ ব্যাংকে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভা 'গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ (সংশোধন) ২০১২'-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। সংশোধিত খসড়া অনুমোদনের মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংকে চেয়ারম্যানের কর্তৃত্ব বাড়ানো হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের বর্তমান পদ্ধতি হলো সিলেকশন বোর্ড। খসড়া আইনে সেটি সংশোধন করে বলা হয়েছে, এখন থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান সিলেকশন বোর্ডের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ করবেন।
সরকারের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধিকে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সিনেটর বারবারা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে শেয়ার গ্রাহকদের দ্বারা নির্বাচিত ৯ জন নারী প্রতিনিধি রয়েছেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে স্থায়ীভাবে কাউকে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা তাঁদের কাছেই থাকা উচিত।
এর আগে গত ২৭ জুন বারবারা বক্সারের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের ১৭ জন নারী সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের ক্ষমতা ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের কাছে দেওয়ার আহ্বান জানান।
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের টানাপড়েন শুরু হয়। দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট ও'ব্লেক জুনিয়র গত ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে শুনানিতে বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক ভালো কাজ করে চলেছে। গ্রামীণ ব্যাংকের সক্রিয় কার্যক্রম ও গুরুত্ব অব্যাহত রাখতে ড. ইউনূসের এমন একজন যোগ্য উত্তরসূরি নির্বাচনের ওপর যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্ব দিচ্ছে, যা বাংলাদেশ সরকার ও গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ_উভয় পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
সিনেটর বারবারা বলেন, 'গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর বাংলাদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টায় আমি খুব হতাশ। ওই উদ্যোগ বাংলাদেশের লাখ লাখ নারীর দারিদ্র্য বিমোচন প্রচেষ্টার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংক যাতে দরিদ্র পরিবারগুলোকে ব্যবসা শুরুতে সহায়তার গুরুদায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখতে পারে সে জন্য ব্যাংকের নেতৃত্ব সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব এর পরিচালনা পর্ষদের ওপরই থাকা উচিত।'
বারবারা বলেন, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক ৮৩ লাখ দরিদ্র মানুষকে ঋণ ও অন্যান্য সহযোগিতা দিচ্ছে। গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের বেশির ভাগ নারী। ঋণগ্রহীতারা যাতে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে এবং নিজেদের পরিবারকে সাহায্য করতে পারে সে জন্য গ্রামীণ ব্যাংকে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভা 'গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ (সংশোধন) ২০১২'-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। সংশোধিত খসড়া অনুমোদনের মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংকে চেয়ারম্যানের কর্তৃত্ব বাড়ানো হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের বর্তমান পদ্ধতি হলো সিলেকশন বোর্ড। খসড়া আইনে সেটি সংশোধন করে বলা হয়েছে, এখন থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান সিলেকশন বোর্ডের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ করবেন।
সরকারের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধিকে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সিনেটর বারবারা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে শেয়ার গ্রাহকদের দ্বারা নির্বাচিত ৯ জন নারী প্রতিনিধি রয়েছেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে স্থায়ীভাবে কাউকে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা তাঁদের কাছেই থাকা উচিত।
এর আগে গত ২৭ জুন বারবারা বক্সারের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের ১৭ জন নারী সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের ক্ষমতা ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের কাছে দেওয়ার আহ্বান জানান।
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের টানাপড়েন শুরু হয়। দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট ও'ব্লেক জুনিয়র গত ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে শুনানিতে বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক ভালো কাজ করে চলেছে। গ্রামীণ ব্যাংকের সক্রিয় কার্যক্রম ও গুরুত্ব অব্যাহত রাখতে ড. ইউনূসের এমন একজন যোগ্য উত্তরসূরি নির্বাচনের ওপর যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্ব দিচ্ছে, যা বাংলাদেশ সরকার ও গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ_উভয় পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
__._,_.___