দরবারের টাকা লুট: র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা গ্রেফতার
ঢাকা, ৩ মে: চট্টগ্রামের তালসরা দরবার থেকে দুই কোটি টাকা লুটের ঘটনায় অভিযুক্ত র্যাব-৭-এর তত্কালীন অধিনায়ক লে. কর্নেল জুলফিকার আলী মজুমদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রমনা থানা ও চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর মগবাজারের ডাক্তারের গলি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। জুলফিকারকে এখন চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আনোয়ারার তালসরা দরবার থেকে গত বছরের ৪ নভেম্বর দুই কোটি সাত হাজার টাকা লুট করে র্যাবের একটি দল। এ ঘটনায় গত ১৩ মার্চ তালসরা দরবারের গাড়িচালক ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে ডাকাতির মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে ১০ জন র্যাব সদস্য ও দুজন র্যাবের সোর্স।
আসামিরা হলেন: লে. কর্নেল জুলফিকার আলী মজুমদার, ফ্লাইট লে. শেখ মাহমুদুল হাসান, সুবেদার আবুল বাশার, এসআই তরুণ কুমার বসু, এএসআই হাসানুজ্জামান, নায়েক জাহাঙ্গীর হোসেন, ল্যান্স নায়েক লিটন মিয়া, নায়েক সুমন চন্দ্র দে, সৈনিক আশরাফ উদ্দিন, ল্যান্স করপোরাল জসিম উদ্দিন, সোর্স দিদার উল ইসলাম ও আনোয়ার মিয়া।
আসামিদের মধ্যে তরুণ কুমার বসু, আবুল বাশার ও দিদারুল আলম গ্রেফতার হয়েছেন। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ ছাড়া পরিচালকের গাড়িচালক হাসানুজ্জামান ও দেহরক্ষী ইব্রাহিম সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে জুলফিকার ও মাহমুদুল হাসানের জড়িত থাকার ব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য পাওয়ার পর গ্রেফতারের তত্পরতা শুরু করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, জুলফিকার ৩০ এপ্রিল সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হন। ওই দিন রাতে তার কর্মস্থল আর্মি রিসার্চ ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (আর্টডক) থেকে বের হয়ে তিনি আত্মগোপন করেন।
জানা যায়, জুলফিকারকে গ্রেফতারের জন্য ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার ৩০ এপ্রিল রাত ১১টা পর্যন্ত সেনানিবাসের ফটকে অবস্থান করে ফিরে আসেন। এরপর তাকে খুঁজতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়।
----------
__._,_.___