শেখ হাসিনার কাতার সফর ফ্লপ! মিডিয়ায় উপেক্ষিত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী
প্রবাস জীবন ডেস্ক
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ কাতারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর ফ্লপ হয়েছে। সেখানে প্রবাসী প্রায় দু’লাখ বাংলাদেশী দারুণভাবে হতাশ হয়েছেন। দেশটিতে জনশক্তি রফতানির নতুন দ্বার উন্মোচনে প্রধানমন্ত্রীর সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে যে আশা করা হয়েছিল, তাও পূরণ হয়নি। পুরো সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন উপেক্ষিত। কাতারের কোন মিডিয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফর সম্পর্কে কোনো খবরই দেয়নি। যে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কাতার সফরে গেছেন, সে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী অন্য সব দেশের সরকারপ্রধানের সচিত্র খবর ছাপা ও টিভিতে প্রচার হলেও ব্যতিক্রম ঘটেছে কেবল বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের ক্ষেত্রে। এতে রীতিমত লজ্জায় পড়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক ত্রয়োদশ সম্মেলনে (আঙ্কটাড-১৩) যোগদানের জন্য গত ২০ এপ্রিল চার দিনের সরকারি সফরে কাতার যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি বড় প্রতিনিধি দল। আঙ্কটাড সম্মেলনে যোগ দিতে গেলেও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার কাতারে প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে দেশে এবং কাতারে বেশ আশাবাদ তৈরি হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছিল, দ্বিপাক্ষিক আলাপ-আলোচনায় বাংলাদেশ থেকে কাতারে শ্রমশক্তি রফতানির ক্ষেত্রে সুখবর আসবে। সেখানে বর্তমানে নিয়োজিত বাংলাদেশীদের নানা সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক অগ্রগতিরও প্রত্যাশা ছিল প্রবাসীদের মাঝে। কিন্তু প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ব্যবধান যোজন যোজন। কাতারের আমিরের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সংরক্ষিত ও মুখ রক্ষার সাক্ষাত্ হলেও সেখানে আমিরকে বাংলাদেশে দাওয়াত দেয়া ছাড়া আর কোনো খোশখবর মেলেনি। আমিরও বাতকে বাত বলেছেন, ‘যাব, অবশ্যই বাংলাদেশে যাব।’ বেশ এটুকুই। মহাখুশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সবাই। ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে, কাতারের আমির দাওয়াত কবুল করেছেন।
কিন্তু প্রবাসীরা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। শুধু তাই নয়, কাতারের মিডিয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে রীতিমত ‘ব্ল্যাক আউট’ করায় অপমান বোধ করেছেন প্রায় দু’লাখ প্রবাসী। কারও কারও মতে, কাতার সরকার ও মিডিয়া প্রকারান্তরে জানান দিয়ে দিয়েছে যে, শেখ হাসিনা সরকার তাদের নাপছন্দ। সরকারের ইসলামবিরোধী নানা পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ কাতারের উচ্চ পর্যায়ের অনেকেই। এর আগে আমার দেশ’র এক প্রতিবেদনে তেমনটাই আভাস দেয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কাতারের মিডিয়ার উপেক্ষার চিত্র ফুটে উঠেছে সেখানকার সাংবাদিক তামীম রায়হানের এক প্রতিবেদনে। রায়হান বাংলানিউজে পাঠানো প্রতিবেদনে জানান, ২০ এপ্রিল বেলা ১১টা ২০ মিনিটে কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু এ খবরটুকু জানতে পারে শুধু বাংলাদেশ দূতাবাস এবং কিছু সংশ্লিষ্ট লোকজন। কাতারের কোনো সংবাদ মাধ্যমে এ নিয়ে কোনো সংবাদ ছিল না।
অথচ একই দিন একই সময়ের আগে পরে দোহায় পৌঁছেন তুরস্ক, তিউনিসিয়া, ক্যামেরুনসহ আফ্রিকা অঞ্চলের কয়েকজন প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট। কাতারের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যমগুলোতে তাদের নাম ও সংবাদ ছবিসহ যথারীতি প্রকাশিত হয়েছে। ব্যতিক্রম ঘটেছে কেবল বাংলাদেশের বেলায়। রায়হান জানান, বিষয়টি ছিল কাতারে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের জন্য বিব্রতকর এবং অস্বস্তিকর।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আগমন, তার অভ্যর্থনা ও অবস্থান—এসব নিয়ে কোনো সংবাদ, শিরোনাম বা কোনো ছবি কাতারের কোনো সংবাদ মাধ্যমে ছিল না। কাতারের দৈনিক পত্রিকা আর রায়াহ, আশ শারক, আল ওয়াতান, আল আরব এবং কাতার নিউজ এজেন্সি (কানা) এ সম্পর্কিত কোনো সংবাদ প্রকাশ করেনি।
এ বিষয়ে কাতারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা নাসির হোসেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘এসব দেখা আমাদের বিষয় নয়। এ বিষয়ে জানতে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারিকে জিজ্ঞেস করতে পরামর্শ দেন তিনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় জানা যায়নি এ সংক্রান্ত ব্যাখ্যা।
প্রসঙ্গত ২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী দোহা পৌঁছানোর পর আঙ্কটাড ১৩ আয়োজক কমিটির প্রধান ও কাতারের বাণিজ্য উপমন্ত্রী সৌদ আল জাফর এবং কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাদাত হোসেন শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।
বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক ত্রয়োদশ সম্মেলনে (আঙ্কটাড-১৩) যোগদানের জন্য গত ২০ এপ্রিল চার দিনের সরকারি সফরে কাতার যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি বড় প্রতিনিধি দল। আঙ্কটাড সম্মেলনে যোগ দিতে গেলেও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার কাতারে প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে দেশে এবং কাতারে বেশ আশাবাদ তৈরি হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছিল, দ্বিপাক্ষিক আলাপ-আলোচনায় বাংলাদেশ থেকে কাতারে শ্রমশক্তি রফতানির ক্ষেত্রে সুখবর আসবে। সেখানে বর্তমানে নিয়োজিত বাংলাদেশীদের নানা সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক অগ্রগতিরও প্রত্যাশা ছিল প্রবাসীদের মাঝে। কিন্তু প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ব্যবধান যোজন যোজন। কাতারের আমিরের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সংরক্ষিত ও মুখ রক্ষার সাক্ষাত্ হলেও সেখানে আমিরকে বাংলাদেশে দাওয়াত দেয়া ছাড়া আর কোনো খোশখবর মেলেনি। আমিরও বাতকে বাত বলেছেন, ‘যাব, অবশ্যই বাংলাদেশে যাব।’ বেশ এটুকুই। মহাখুশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সবাই। ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে, কাতারের আমির দাওয়াত কবুল করেছেন।
কিন্তু প্রবাসীরা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। শুধু তাই নয়, কাতারের মিডিয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে রীতিমত ‘ব্ল্যাক আউট’ করায় অপমান বোধ করেছেন প্রায় দু’লাখ প্রবাসী। কারও কারও মতে, কাতার সরকার ও মিডিয়া প্রকারান্তরে জানান দিয়ে দিয়েছে যে, শেখ হাসিনা সরকার তাদের নাপছন্দ। সরকারের ইসলামবিরোধী নানা পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ কাতারের উচ্চ পর্যায়ের অনেকেই। এর আগে আমার দেশ’র এক প্রতিবেদনে তেমনটাই আভাস দেয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কাতারের মিডিয়ার উপেক্ষার চিত্র ফুটে উঠেছে সেখানকার সাংবাদিক তামীম রায়হানের এক প্রতিবেদনে। রায়হান বাংলানিউজে পাঠানো প্রতিবেদনে জানান, ২০ এপ্রিল বেলা ১১টা ২০ মিনিটে কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু এ খবরটুকু জানতে পারে শুধু বাংলাদেশ দূতাবাস এবং কিছু সংশ্লিষ্ট লোকজন। কাতারের কোনো সংবাদ মাধ্যমে এ নিয়ে কোনো সংবাদ ছিল না।
অথচ একই দিন একই সময়ের আগে পরে দোহায় পৌঁছেন তুরস্ক, তিউনিসিয়া, ক্যামেরুনসহ আফ্রিকা অঞ্চলের কয়েকজন প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট। কাতারের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যমগুলোতে তাদের নাম ও সংবাদ ছবিসহ যথারীতি প্রকাশিত হয়েছে। ব্যতিক্রম ঘটেছে কেবল বাংলাদেশের বেলায়। রায়হান জানান, বিষয়টি ছিল কাতারে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের জন্য বিব্রতকর এবং অস্বস্তিকর।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আগমন, তার অভ্যর্থনা ও অবস্থান—এসব নিয়ে কোনো সংবাদ, শিরোনাম বা কোনো ছবি কাতারের কোনো সংবাদ মাধ্যমে ছিল না। কাতারের দৈনিক পত্রিকা আর রায়াহ, আশ শারক, আল ওয়াতান, আল আরব এবং কাতার নিউজ এজেন্সি (কানা) এ সম্পর্কিত কোনো সংবাদ প্রকাশ করেনি।
এ বিষয়ে কাতারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা নাসির হোসেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘এসব দেখা আমাদের বিষয় নয়। এ বিষয়ে জানতে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারিকে জিজ্ঞেস করতে পরামর্শ দেন তিনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় জানা যায়নি এ সংক্রান্ত ব্যাখ্যা।
প্রসঙ্গত ২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী দোহা পৌঁছানোর পর আঙ্কটাড ১৩ আয়োজক কমিটির প্রধান ও কাতারের বাণিজ্য উপমন্ত্রী সৌদ আল জাফর এবং কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাদাত হোসেন শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।
__._,_.___