Dear All,
Moudud is talking like Moududi !! His recent press conference defending the self- proclaimed war criminals was unprecedented. Jamate Islam and Muslim League were banned immediately post independence for their active documented role in the liberation war. Zia gave unlawful permission to those notorious blacklisted war criminals to enter Bangladesh and to participate in politics. We don't see any political vindictiveness here. Now, BNP is the main spokesperson for the WAR CRIMINALS , JAMAT-E- ISLAM is the secondary. Shame on Moudud , the so called freedom fighter !
Respectfully,
Dr. Muhammad Ali Manik
যুদ্ধাপরাধীদের মূল দল বিএনপি জামায়াত সহশক্তি
বিশেষ প্রতিনিধি | তারিখ: ০৫-১২-২০১১
বিএনপি প্রকাশ্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধে সরাসরি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বন্ধের দাবি করেছে। এত দিন পর তারা ঘোমটা থেকে বেরিয়ে এসেছে। এতে প্রমাণিত হচ্ছে, বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের মূল দল। জামায়াতে ইসলামী তাদের সহায়ক শক্তি।
গতকাল রোববার ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এ কথা বলেন। গত শনিবার বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে ট্রাইব্যুনাল বন্ধের দাবি তোলে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী দাবি করেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন ভাগের সঙ্গে তাদের হরতালের কোনো সম্পর্ক নেই। এখন বিএনপির মূল রাজনৈতিক কর্মসূচি হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করা। কিন্তু খালেদা জিয়ার আঁচলের নিচে লুকিয়ে থাকলেও যুদ্ধাপরাধীরা রেহাই পাবে না। কেউ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার রুখতে পারবে না। এ বিচার মানুষের সর্বজনীন দাবি।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে আওয়ামী লীগ ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, তরুণ প্রজন্মসহ দেশের বিবেকবান অধিকাংশ মানুষ অবস্থান নিয়েছে। আর মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যাকারী, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম হরণকারী, বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের শক্তি বিএনপি ও জামায়াত। দেশবাসীকেই আজ সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা কোন পক্ষে থাকবেন?' তিনি বলেন, আইন পছন্দ-অপছন্দ হতে পারে, কিন্তু আইন মানতে হবে। ঢাকা সিটি করপোরেশন ভাগের পক্ষ-বিপক্ষ থাকতে পারে। কিন্তু একজন খুনি, একজন ধর্ষকের পক্ষে থাকার কোনো সুযোগ নেই। এটা আইন ও সংবিধান সমর্থন করে না।
সৈয়দ আশরাফ অভিযোগ করেন, 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-প্রক্রিয়া বানচাল করতে দেশে-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করা হয়েছে। তবে আমরা আতঙ্কিত নই। কেবল বাংলাদেশেই নয়, হেগের আন্তর্জাতিক আদালতেও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিচার হচ্ছে।' এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া তিন দাবিতে অনড়। একটি হচ্ছে বাড়ি ফেরত পাওয়া, তাঁর দুর্নীতিবাজ দুই পুত্রকে রক্ষা করা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করা। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, যারা আন্তর্জাতিকভাবে মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত, এফবিআইয়ের একজন কর্মকর্তা যেখানে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন, আদালতে তারা দোষী সাব্যস্ত হলে সাজা হবেই।
সৈয়দ আশরাফ দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, একজন অর্থ পাচারকারী ও সন্ত্রাসীকে নেতা মানবেন, নাকি অন্য কিছু? মানুষ আর তারেক-কোকো, লাল্টু-বল্টু-পিন্টুদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন নির্বাচনে দেশের মানুষ তা দেখিয়ে দিচ্ছে। দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী বা বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের পরিবর্তে মানুষ এখন সৎ, আদর্শবান ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব দেখতে চায়।
সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ আশরাফ খালেদা জিয়ার অভিযোগকে হাস্যকর মন্তব্য করে বলেন, অর্থনীতি নিয়ে তিনি কোনো তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরতে পারেননি। বিশ্বমন্দার কারণে পুরো ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বড় বড় দেশ হুমকির মুখোমুখি হলেও বর্তমান সরকার দক্ষতার সঙ্গে তা মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭ ভাগ। এ বছরে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স (প্রবাসী-আয়) এসেছে, মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২৮ মার্কিন ডলারে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ, রপ্তানি বেড়েছে শতকরা ৪২ ভাগ। বিশ্বমন্দার মধ্যেও জনশক্তি রপ্তানি বেড়েছে ১০ ভাগ। এত কিছুর পরও উনি (খালেদা) অর্থনীতি ভঙ্গুর দেখেন কীভাবে?
বিএনপির গণভোটের দাবি নাকচ করে দিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, কোন বিষয়ে গণভোট প্রয়োজন, তা সংবিধানেই স্পষ্ট উল্লেখ আছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপি আজ প্রকাশ্যে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে মাঠে নেমেছে। কিন্তু এর আগে কি তারা গণভোট করে দেখেছে, দেশের মানুষ কী চায়?
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে জনগণই সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব উল আলম হানিফ, আব্দুল মান্নান খান, আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, মিজবাহ উদ্দিন সিরাজ, বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমু
__._,_.___