All roads lead to Rome: ছকে বাধা জীবনাচরণের খোলস ছাড়ছে সৌদি নারীরা ! | | | |
Tue 11 Oct 2011 2:16 PM BdST
|
ওয়েবসাইট অবলম্বনে মেসবাউল্লাহ শিমুল বিশ্ব ডেস্ক, ১১ অক্টোবর (আরটিএনএন ডটনেট)-- দীর্ঘদিনের ছকে বাধা জীবন বদলে ফেলে এগিয়ে চলেছে ধর্মীয় অনুশাসনের দেশ সৌদি আরব। নিয়ম-নীতি আর গোড়ামিতে আটকে থাকা জীবনাচরণ থেকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নারীরা পা বাড়িয়েছেন প্রগতির পথে। গাড়ি চালানোর অনুমতির পর দেশটিতে এসেছে ভোটাধিকারের ঘোষণা। আর বেশ আগে থেকেই নারীরা যুক্ত আছেন চিত্রকর্ম, ফটোগ্রাফি আর সাংবাদিকতার মত চ্যালেঞ্জিং পেশায়। নারী শিল্পীদের চিত্রকর্ম প্রদর্শন হচ্ছে চীন, মালয়েশিয়া, লেবানন, আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। 'নারীরা শুরা কাউন্সিলের সদস্য হতে পারবেন' সম্প্রতি সৌদি বাদশা আবদুল্লাহর যুগান্তকারী ঘোষণায় নারী সমাজে বইতে শুরু করেছে রাজনীতির তপ্ত হাওয়া। সম্প্রতি লেবাননের একটি গ্যালারিতে প্রদর্শিত হয় সৌদি শিল্পীদের চিত্রকর্ম। সেখানে অংশ নেয়া রেইম আল ফাইসাল এবং লুলওয়াহ আল হমুদ জানান, 'সৌদি সমাজে নারী জাগরণ হচ্ছে। তবে সেটি প্রচলিত অর্থে নয়। তাদের মতে, তারা এখনো ধরাবাধা অনেক নিয়ম-নীতির বিরুদ্ধে লড়ে চলেছেন।' তারা পরিবারের সনাতন চিন্তা-চেতনার জালে বন্দি বলে জানান। একই সাথে পশ্চিমা সমালোচক যারা কর্মক্ষেত্রে নারীর অধিকার নিয়ে চিন্তিত এই দুয়ের মাঝখানে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে এখন অনেক বেশি কাজ করছে। তবে এ সকল নারী শিল্পীদের ধারণা, লোকেরা শিল্পের ক্ষেত্রে খুব কম বিষয় নিয়েই আলোচনা করতে চায়। 'তারা যৌন নির্যাতন, নারীর শরীরবৃত্তিয় শিল্পসহ গুটিকয়েক বিষয় নিয়েই বেশি আগ্রহী। আপনি যদি এগুলো ছাড়া কাজ করেন, তবে তাদের চোখে আপনি একজন ভাল শিল্পী নন' হতাশার সাথেই কথাগুলো বললেন আল ফাইসাল। আল ফাইসাল একজন ফটোগ্রাফার। তার আরো একটি পরিচয় হলো সে সৌদির প্রথম বাদশার নাতনী। যে কিনা নিজেকে ক্যামেরার বিষয়বস্তু হওয়া থেকে বিরত রখাতে চান। সেই সাথে চান কোনো সাক্ষাৎকারেও যেন তার মুখমণ্ডল না দেখানো হয়। এটা তিনি যখন নিজ দেশের বাইরে যান, তখনো মেনে চলেন। তবে তার দেহরক্ষী এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে। ইতিমধ্যে আল ফাইসালের কাজ তাকে টেনে নিয়েছে চীন, জাপানসহ ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশে। সেই সাথে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ তো রয়েছেই। তবে তার কাজ আহামরী কিছু নয়, সাদাকালো ছবি। কেবলই ক্যামেরার কাজ। আরেক শিল্পী আল হমুদের স্বামী নেই। কেবল দুই ছেলে রয়েছে তার। যাদের তিনি লন্ডনে লেখাপড়া করাচ্ছেন। সাদা-কালো বিমূর্ত সব জ্যামিতিক চিত্র দিয়েই আজ তিনি খ্যাতি কুড়াচ্ছেন। তিনি জানান, 'জনগণ তোমার প্রতি মনযোগী হবে, কারণ তুমি একজন সৌদি নারীশিল্পী। এটা তাদের ওই গৎবাধা চিন্তার কারণেই। তবে আমি মনে করি, আমরা যা করছি তা এই 'এক কেন্দ্রীক' চিন্তাকেই পাল্টে দেবে।' 'অসীম বর্গক্ষেত্র' স্টাইলে তার কাজ, যেখানে তিনি 'আল্লাহ' শব্দটির এক অপূর্ব ব্যবহারে একটি নিরবধি বিশ্বের সীমানার সাথে সংযোগ ঘটিয়েছেন। এভাবেই আরব নারীরা পশ্চিমাদের চিন্তার গণ্ডিকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন, তাদের কর্মদক্ষতা আর উদার মানসিকতা দিয়ে। আল হমুদ বলেন, 'আমি যে এক মুহূর্তের জন্যও কোনো নিদৃষ্ট সীমানায় বন্দি নই, সেই সত্যটিই বোঝাতে চেষ্টা করছি। আমার কাজকে আমি শাশ্বতই বলতে চাই। যেটা কোনো একটি মাত্র বিষয়ের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়। এটা আধ্মাত্মিক, এটা কল্পনার চেয়েও উর্ধ্বে।' গত বছর আল ফাইসাল এবং আল হমুদসহ এ রকম আধুনিক অনেক সৌদি নারীর চিত্রকর্মের প্রদর্শনী হয় সাংহাইতে। অতি সম্প্রতি বৈরুতেও হয়েছে। যাদের অনেকের কাজই দর্শনার্থীদের ভীষণভাবে নাড়া দেয়। গত সেপ্টেম্বর মাসে সৌদি বাদশা আবদুল্লাহ যখন ঘোষণা দিলেন, 'মহিলারা শুরা কাউন্সিলের সদস্য হতে পারবে' তখন থেকে সৌদি নারীদের মর্যাদা বিশ্বব্যাপী আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন না এই শুরা সদস্যরাই বাদশাকে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাই স্বভাবতই নারীদের মধ্যে এক ধরনের জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে আগামী পৌর নির্বাচনে নারীরা প্রার্থী হতে অথবা মনোনয়ন দিতে পারবেন- বাদশার এমন ঘোষণায় তারা রাজনীতির দিকেও মনোনিবেশ করবেন এমনটা ভাবাই স্বাভাবিক। যদিও তারা গত মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন নি। সৌদি রাজতন্ত্রের ঐতিহ্য ভেঙে বাদশার এমন ঘোষণা একদিকে দেশটির নারী সমাজে যেভাবে জাগরণ তুলেছে, তেমনি তা প্রশংসা কুড়িয়েছে বিশ্বে। যদিও তার এ ঘোষণা ভিতর-বাইরে কম সমালোচিত নয়। তবে সৌদিতে নারী জাগরণ যেভাবেই হোক, সেটা যে রাতারাতি হচ্ছে না- একথা সবাই কম-বেশি বোঝে। তাই এ নিয়ে অগ্রগামী নারীদের হা-হুতাশ কম নয়। তারা বাদশার এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। সেই সাথে দাবি করছেন আরো অনেক বাস্তবমুখি পদক্ষেপ এবং তার দ্রুত বাস্তবায়নেরও। একদিন সৌদি নারীরা বিচার বিভাগসহ দেশের অনেক উচ্চ নীতি-নির্ধারণী পদে আসীন হবেন- এ স্বপ্ন এখন আল ফাইসাল ও আল হমুদের মত মুক্ত চিন্তার নারীদের। আরটিএনএন ডটনেট/ওয়েবসাইট/এমইউএস/এমআই_ ১৪০৩ ঘ.
|
Proverb
all roads lead to Rome
- different paths can take one to the same goal
Related:
Time Photos:
Just last week another Saudi woman was sentenced to ten lashes for driving a car in a city. The king soon pardoned her, but it remains a fact that a judge can do ...
Sep 28, 2011 – King Abdullah of Saudi Arabia has revoked a sentence of 10 lashes given to a Saudi woman for driving her car.
__._,_.___