ঈদের দিনের টিভি অনুষ্ঠানের মধ্যে আমার কাছে সবথেকে উপভোগ্য লাগে রাতে প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলীয় নেতার খবর। এ দিনে তারা সর্বস্তরের জনগণের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সর্বস্তরের জনগণ বলতে থাকেন মন্ত্রী, কূটনীতিক, ব্যবসায়ী, শিল্পী, সাংবাদিক। শেখ হাসিনার অনুষ্ঠানে অবশ্য কিছু বুয়া, রিক্সাওয়ালা ইত্যাদিও যোগাড় করে আনা হয়। আগেকার দিনে যেমন প্রজারা রাজাকে কুর্নিশ করে শ্রদ্ধা জানাতো, তেমনি এখনকার যুগের বিশিষ্ট নাগরিকেরা দুই নেত্রীকে যতটুকু সম্ভব মাথা ঝুকিয়ে তাদের ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
খালেদার ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় দেখছিলাম। একজন পশ্চিমা রাষ্ট্রদূত এলেন, খালেদা করমর্দনের জন্য হাত বাড়িয়ে দিলেন। এভাবে তিনি করমর্দন করলেন আরো কয়েকজন পুরুষ রাষ্ট্রদূতের সাথে।
আমি বিস্ময় ও কৌতুহল চেপে রাখতে পারলাম না। মইনকে ফোন দিলাম। ফোন বিজি।
কলিংবেল বাজলো। হাবী চলে এসেছে। তার জন্য খাবার তৈরী করতে হবে। মইনকে আর ফোন করা হলো না।
এর মধ্যে আমাদের মিডিয়া আক্রান্ত হয়ে গেলো মনমোহন জ্বরে। সে জ্বরের তাপ যে আমার ঘর পর্যন্ত আসেনি, তা নয়। ভুলেই গেলাম খালেদার হ্যান্ডশেকের কাহিনী।
কিন্তু বিষয়টি খালেদাই ভুলতে দিলেন না। মনমোহন সিং এর সাথে সাক্ষাতে তিনি মনমোহনের সাথে আবার করমর্দন করলেন।পরদিন ৮ সেপ্টেম্বরে ইত্তেফাকে প্রথম পাতায় এই ছবি আসলো। ছবি দেখে আমি মইনকে ফোন দিলাম।
- আজকের ইত্তেফাক দেখেছো?
- তুমি কি মনমোহনের সাথে খালেদার হ্যান্ডশেকের ছবির কথা বলছো?
- হ্যা, তোমার কাছে কি এটি বিস্ময়কর মনে হয়নি?
মইন ফোড়ন কেটে বললো, কেন তোমার হিংসা হচ্ছে?
আমি বললাম, 'খালেদার সৌন্দর্য্য নিয়ে অনেকের হিংসা হলেও আমার হওয়ার কোন কারণ নেই, কেননা, আমি এখনো তার চেয়ে অনেক বেশী তরুণ এবং আমার জন্য এখনো অনেকে চিরকুমার ব্রত গ্রহণ করেছে।'
মইন বললো, 'অনেকে না একজন!'
আমি বললাম, 'যাকগে ওসব কথা, তুমি খালেদার হ্যান্ডশেকের বিষয়টি কেমনভাবে দেখছো?'
মইন বললো, 'আগে বলো তোমার কি মনে হচ্ছে?'
আমি বললাম, 'বাংলাদেশের প্রধান দুটি দলই জনগণের ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট নিয়ে রাজনীতি করে। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার তসবীহ হাতে মোনাজাতরত ছবির পোস্টারে সারা দেশ ছেয়ে গিয়েছিল। ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপি আবার শেখ হাসিনার পুরুষদের সাথে হ্যান্ডশেকের ছবি সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছিল। এখনও বিএনপি-জামায়াতের সমর্থকেরা বিভিন্ন পুরুষ সরকার প্রধানের সাথে শেখ হাসিনার হ্যান্ডশেকের ছবি ফেসবুকে, ব্লগে, ফটোকপি করে প্রচার করছে। এর মধ্যে খালেদার হ্যান্ডশেক স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে না।'
মইন বললো, 'খালেদার পুরুষ হ্যান্ডশেকের বিষয়টি হঠাৎ বা অপরিকল্পিত কিছু নয়, বরং এটি বিএনপির স্ট্রাটেজীর একটি অংশ।'
আমি অবাক হলাম, 'কি বলো, কারো সাথে হ্যান্ডশেক করতে গেলে আগে দলীয় স্ট্রাটেজী ঠিক করতে হবে?'
মইন বললো, 'হ্যা, বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতেরা ভালো করেই জানেন যে, এদেশের নারীরা পুরুষদের সাথে হ্যান্ডশেক করেন না। মনমোহনের প্রটোকলের দায়িত্বে যারা ছিলেন, তারাও তা জানতেন। খালেদার সাথে বহু বছর ধরে কূটনীতিক বা বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধানেরা সাক্ষাৎ করছেন। কিন্তু এই প্রথম তিনি কোন পুরুষের সাথে হ্যান্ডশেক করলেন। এই জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদেরকে আগে থেকেই জানিয়ে দেয়া হয়, অপরপক্ষ কি করবেন আর কি করবেন না।'
আমি অবাক হয়ে বললাম, 'তার মানে তুমি বলতে চাচ্ছো যে, খালেদার পক্ষ থেকে বিদেশী কূটনীতিক এবং মনমোহনকে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল যে তিনি হ্যান্ডশেক করবেন।'
মইন বললো, 'হ্যা।'
আমি বললাম, 'কিন্ত কেন?'
মইন বললো, 'এই কেনর উত্তর খুজতে গেলে তোমাকে একটু পিছনে যেতে হবে।'
এক-এগারোর বিষয়ে বিএনপির উপলব্ধি হচ্ছে, এর মূল কারণ ছিল ইসলামী দলগুলোর সাথে জোট বেধে ক্ষমতায় যাওয়া। জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামীও বহুবার প্রকাশ্যে এ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, পশ্চিমারা বাংলাদেশ থেকে ইসলামী রাজনীতি ধ্বংস করার জন্য এক-এগারো ঘটিয়েছে। খালেদা জেলে থাকাকালনি সময়েই বিষয়টি উপলব্দি করেন; একারণে জেল থেকে বের হয়েই উঠেছিলেন পশ্চিমা লবির ঘনিষ্ট হিসাবে পরিচিত শফিক রেহমানের বাসায় তৈরী করা অফিসে। তবে পরবর্তীতে তৎকালীন মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ারের চাপে তিনি সেখানে অফিস করা বন্ধ করেন।
গত কয়েকমাস থেকে বিএনপির থিংক ট্যাংক হিসাবে পরিচিতরা এ বিষয় নিয়ে আরো খোলামেলা বক্তব্য দেয়া শুরু করেন। গত ১০ই জুন ড. আসিফ নজরুল প্রথম আলোতে একটি কলাম লেখেন যার শিরোনাম ছিল, 'বিএনপি: এগোনোর পথ সহজ নয় '
আমি দেশি-বিদেশি বহু বিএনপি-বিদ্বেষী মানুষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। দেশি মানুষের অনেকেই এ সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তি। বিএনপির প্রতি তাঁদের বিদ্বেষের অন্যতম কারণ বিএনপির সাম্প্রদায়িক এমনকি কখনো কখনো জঙ্গিবাদ-প্রশ্রয়মূলক রাজনীতি। এটি কতটা বাস্তবভিত্তিক, তা নিয়ে বিএনপির নেতাদের দ্বিমত থাকতে পারে। কিন্তু এই ভীতি বিএনপির ব্যাপারে রয়েছে এবং বিএনপি যে পাঁচ-দশ বছর আগের তুলনায় দুর্বল হয়ে পড়েছে, তার একটি বড় কারণ বিএনপির এই ইমেজ-সংকট। বিএনপির ইমেজ-সংকটের আরও কারণ হচ্ছে, দলটির ওপর জামায়াতের প্রভাব, হাওয়া ভবনকেন্দ্রিক দুর্নীতি ও গোষ্ঠীপ্রীতি, তারেক রহমানের কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত খবরদারি এবং ভারতকে উত্ত্যক্ত করার বিপজ্জনক রাজনীতি। এগুলো কতটা সত্যি তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, এগুলো সত্যি হিসেবে সমাজের উপরিকাঠামোর বহু মানুষ এবং তরুণদের একটি বড় অংশ বিশ্বাস করে। বিএনপি যদি এসব মিথ্যে বলে মনে করে থাকে, দলটি তা জনগণকে বোঝাতে সক্ষম হয়নি। ১৯৯৬ সালে বিএনপিবিরোধী আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামীকে সাফল্যজনকভাবে আওয়ামী লীগ ব্যবহার করতে পেরেছে, এ জন্য তাকে জামায়াতপ্রীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হতে হয়নি। এবারও আওয়ামী লীগের সরকার রাষ্ট্রধর্ম বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ জন্য তাকে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগে ব্যাপকভাবে অভিযুক্ত হতে হয়নি। তুলনায় বিএনপি বরং জামায়াত ও বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক শক্তি কর্তৃক ব্যবহূত হয়েছে, এদের ফাঁদে পা দিয়েছে এবং নিজের ভাবমূর্তি খুইয়েছে।
বিএনপি সেই ইমেজ-সংকট আজও দূর করতে পারেনি। আড়াই হাজার বছর আগে রাষ্ট্র বা রাজনৈতিক শক্তির সাফল্যের অন্যতম শর্ত হিসেবে চর (তথ্য সংগ্রহের ক্ষমতা) ও মিত্রের কথা উল্লেখ করেছেন কৌটিল্য। তথ্য সংগ্রহ ও অবলোকন করে মিত্র সম্প্রসারণের ক্ষমতা বিএনপির কম। তা বিদেশে যেমন, দেশেও তেমনি সত্যি। এর মূল্য বিএনপিকে এখনো দিতে হচ্ছে। বিএনপির আমলে যেকোনো অনিয়মে সরব নাগরিক সমাজ বা দাতাগোষ্ঠীর কেউ কেউ যে এই সরকারের আমলে নিশ্চুপ করে থাকেন, তার একটি বড় কারণ রাষ্ট্রক্ষমতায় বিএনপির (তথা সাম্প্রদায়িক বা জঙ্গি-সহায়ক শক্তি) ফিরে আসার ভয়।
প্রশ্ন হচ্ছে, বিএনপির জনভিত্তি থাকলে বিএনপি-বিদ্বেষী এই দেশি-বিদেশি শক্তি কি তাকে ঠেকাতে পারে? আমার ধারণা, কিছুটা হলেও পারে। এই শক্তির নানাভাবে অব্যাহত প্রচারণা চালানোর ক্ষমতা রয়েছে, তার কিছু প্রভাব থাকে। আর বাংলাদেশের মতো দেশে এই প্রভাব অনৈতিকভাবে প্রয়োগ করাও সম্ভব।
http://www.sonarbangladesh.com/article.php?ID=5964
এখানে বিএনপির এগিয়ে যাবার যে কয়েকটি বাধা চিহ্নিত করা হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে:
১. ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সাথে দলটির সখ্যতা; এবং
২. ভারত বিরোধী অবস্থান।
তুমি বিএনপির গত আড়াই বছরের কর্মকান্ড বিশ্লেষণ করে দেখলে দেখবে দলটি এই দুই ক্ষেত্রে খুব সতর্ক ভাবে অগ্রসর হচ্ছে। একদিকে যেমন তারা ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সাথে একটা দূরত্ব রেখে চলছে, তেমনি ভারত বিরোধী কোন অবস্থানও নিচ্ছে না।'
আমি বললাম, 'তোমার কথা হয়তো ঠিক। শেখ হাসিনা যখন জানুয়ারীতে ইন্ডিয়া সফর করে আসেন, তখন খবর বেরিয়েছিল যে, তিনি ট্রানজিটের চুক্তি স্বাক্ষর করে এসেছেন। বিএনপিও তখন এই দাবীই করেছিল। এবারও বিএনপি বলছে ট্রানজিট চুক্তি মনমোহনের সফরের আগেই স্বাক্ষর হয়ে গেছে। অথচ, দলটি তখনো এর কোন জোর প্রতিবাদ জানায়নি। যে দেশে খুটিনাটি কারণে হরতাল ডাকা হয়, সেখানে ট্রানজিটের নামে করিডোর দেয়া হচ্ছে, অথচ এ নিয়ে কোন হরতাল হয়নি।'
মইন বললো, 'বিএনপির নীতি নির্ধারকেরা ভারতের সাথে বোঝা-পড়া করতে চাইছেন। তারা ভারতকে বোঝাতে চাইছেন যে, ভারতের বাণিজ্য স্বার্থ আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপি বেশী রক্ষা করতে পারবে।'
আমি বললাম, 'তুমি স্যাটায়ার করছো নাতো?'
মইন বললো, 'না, আমি সিরিয়াসলি বলছি। বাংলাদেশের কাছে ভারতের স্বার্থ মূলত: দুই ধরণের – সামরিক স্বার্থ এবং বানিজ্যিক স্বার্থ। আওয়ামী লীগের মাধ্যমে ইতিমধ্যে দেশটি তার সামরিক স্বার্থ আদায় করে নিয়েছে। বিডিআর বিদ্রোহের নামে সেনাবাহিনীকে এমন আঘাত দেয়া হয়েছে যে, আগামী কয়েক দশকে এই প্রতিষ্ঠানটি ভারতবিরোধীতার কথা চিন্তাও করতে পারবে না। বাংলাদেশের ভূখন্ডে যেন কোনভাবেই ভারতীয় স্বাধীনতাকামীরা আশ্রয়-প্রশয় না পায়, সেই ব্যবস্থাও পাকা। ফলে, এদিকটা নিয়ে ভারতকে ততোটা উদ্বিগ্ন হতে হবে না। সামরিক ও বানিজ্যিক উভয় স্বার্থের ক্ষেত্রে বাকী রয়ে গেছে ট্রানজিট যা আসলে করিডোর।'
আমি বললাম, 'করিডোরের ক্ষেত্রে কি আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপি ভারতের বেশী কাজে লাগবে?'
মইন বললো, 'হ্যা, আওয়ামী লীগের মাধ্যমে করিডোরের বাস্তবায়ন ঝুকিপূর্ণ। আওয়ামী লীগ আমলে যদি কোন ভারতীয় ট্রাকের ধাক্কায় কোন বাংলাদেশী নিহত হয়, তাহলে বিএনপি-জামায়াত এ নিয়ে তুল-কামাল বাধিয়ে দিতে পারে। অপর পক্ষে এই ধরণের ঘটনা যদি বিএনপি আমলে হয়, তাহলে বিএনপি কিছু বলতে পারবে না, আওয়ামী লীগ তো চুপ করেই থাকবে। বিএনপি এই বিষয়টি ভারতকে বোঝানোর চেষ্টা করছে। তাছাড়া যেহেতু কিছুদিন আগে মনমোহন স্পষ্ট করে জামায়াতের বিষয়ে তার মনোভাব জানিয়ে দিয়েছেন, তাই তার সফরের আগে আগে খালেদা হ্যান্ডশেক মিশন শুরু করলেন তাকে বোঝানোর জন্য যে, ইসলামপন্থীদের সাথে তার সখ্যতা আগের মত নেই।'
আমার মন খুব খারাপ হয়ে গেলো। বললাম, 'তার মানে ভারতকে কে কতো বেশী দিতে পারবে তার প্রতিযোগিতা চলছে।'
মইন বললো, 'হ্যা। এ কারণেই মাহমুদুর রহমান বিএনপিকে বলেছেন, 'ভারত তোষণ করে ক্ষমতায় যেতে পারবেন না।'
আমি বললাম, 'আসলেই কি ভারত আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বিএনপিকে সমর্থন দিবে? আর দিলেই কি বিএনপি ক্ষমতায় যেতে পারবে?'
মইন বললো, 'বিএনপি ভাবছে, যেহেতু আওয়ামী লীগ দ্রুত জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে, তাই নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু হলে দলটি অনেক আসন নিয়ে জিতে যাবে।'
আমি বললাম, 'নির্বাচন কি আদৌ সুষ্ঠু হবে?'
মইন বললো, 'অবশ্যই না। এখানে আওয়ামী লীগের প্লান অন্যরকম। দলটি চাচ্ছে, যে কোন প্রকারে আগামী নির্বাচনে জিততে। তাতে যদি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা সৃষ্টি হয় এবং তার ফলে উত্তর পাড়া থেকে ক্ষমতা দখল হয়, তাতেও তার আপত্তি নেই। তাদের হিসাব হচ্ছে, আগামী নির্বাচনে বিএনপি জিততে পারবে না – এই ধরণের একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা গেলে বিএনপির অনেকেই আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টিতে চলে যাবে। ফলে পরবর্তীতে দলটি আরো দুর্বল হয়ে পড়বে। অপরদিকে ধর্মীয় দলগুলোর সাথে বিএনপির দূরত্ব বাড়বে এবং এক পর্যায়ে অনেকেই বিএনপি থেকে দূরে সরে যাবে।'
আমি বললাম, 'কিন্তু বিএনপির সামনে এ ছাড়া আর কোন পথ কি খোলা আছে? খালেদার দুই ছেলের মাথার উপরে মামলা ঝুলছে। মামলা ঝুলছে তার মাথার উপরেও। মিছিল বের করলেই পুলিশ পেটায়, মন্ত্রী-এমপি মানে না। বিএনপি কি করবে?'
মইন বললো, 'রাজনীতি ব্যবসা বা চাকুরী নয়। এখানে ভীরুদের কোন স্থান নেই। ভীরুরা কূটবুদ্ধি দিয়েও কিছু করতে পারে না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সাহসিকতা দরকার। শেখ মুজিব বছরের পর বছর জেলে থাকলে পারলে খালেদা-নিজামী জেলকে এতো ভয় পান কেন? তাছাড়া দলকে সংগঠিত করার কোন চেষ্টা কি বিএনপি করছে? নতুন সেক্রেটারী জেনারেল দায়িত্ব নিলেন। সকলে ভেবেছিলেন, তিনি বয়সে তরুন। সারাদেশ দাপিয়ে বেড়াবেন। কিন্তু তিনি ঢাকা ছেড়ে, দলীয় অফিস ছেড়ে নড়েন না। বিএনপি যদি কাউকে তোষণ করে ক্ষমতায় যাবার স্ট্রাটিজি বাদ দিয়ে এখন থেকেই মাঠে নামে, দল গোছায়, বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যূতে আন্দোলন গড়ে তোলে, তাহলে ভারত-আমেরিকাই তার কাছে ছুটে আসবে বোঝা-পড়ার জন্য। তা না হলে দেখা যাবে খালেদাকে ঠিকই জেলেও যেতে হবে, কিন্তু তার প্রতিবাদে রাস্তায় মিছিল করার মত কেউ থাকবে না, যেমন হয়েছিল তার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ী কেড়ে নেয়ার পর।'
ডোর বেল বাজলো। আমি ফোন রেখে দিলাম।
Source: http://www.sonarbangladesh.com/blog/meelaa/63339
Read the comments:
২৩ 431521 ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১১; রাত ১০:০৫ |
On Sun, Sep 18, 2011 at 5:35 AM, Dalia Satter <dalia_satter@yahoo.co.uk> wrote:
Dear all,Opposition leader Begum Khaleda Zia has shaken hands with a number of distinguished foreigners including Indian Prime Minister and American Ambassador. This is an unprecedented move and analysts suggest that it indicates the beginning of BNP's major shift of policy. Please read the following analysis and share your views.Best regards,Dalia SatterOn Thu, Sep 22, 2011 at 9:50 AM, Faruque Alamgir <faruquealamgir@gmail.com> wrote:LET THE DETRACTORS BE REMINDED THAT KHALEDA IS CARRYING VERY SINCERELY AND HONESTLY THE MISSION OF A GREAT PATRIOT ZIAUR RAHMAN, A NAME THAT MILLIONS UTTER WITH RESPECT N HONOUR N FEEL PROUD REMEMBERING HIS HEROIC,CHIVALROUS FIGHT AGAINST THE BASTARD PAKISTANIS IN 1971
WHO IS ALSO THE FATHER OF RE-INTRODUCTION OF MULTI-PARTY DEMOCRACY WHICH WAS STRANGULATED BY ESTABLISHING ONE PARTY BAKSAL IN 1975.THIS IS NOTHING BUT TRUTH N FACTS OF THE DAY AS CRYSTAL CLEAR WITHOUT ANY AMBIGUITY. A LEADER IS WEIGHED BY H/HER ACTION(S) WHICH LEAD TO BENEFIT THE NATION IN ALL COUNT IN PRESENT N FUTURE N NOT TURN THE COUNTRY AS SUBJUGATIVE,SUBSERVIENT WEAK ONE AGAINST THE SO-CALLED PARTNERS BEYOND THE BORDER.
On Wed, Sep 21, 2011 at 9:22 PM, S A Hannan <sahannan@sonarbangladesh.com> wrote:This is no shift at all in BNP policy.; She remains as committed to national interest, independent foreign policy,
Islamic values and democracy. Just recently she has given strong statement against fascistic attack on Jamaate Islami.
Hand shaking as a courtesy is permitted by many jurists.
Shah Abdul Hannan
From: alochona@yahoogroups.com [mailto:alochona@yahoogroups.com] On Behalf Of Dalia Satter
Sent: Sunday, September 18, 2011 3:36 PM
To: sonarbangladesh@yahoogroups.com; dahuk@yahoogroups.com; Alochona; Mukto-Mona
Subject: [ALOCHONA] The reason of Khaleda's recent handshaking with foreigners
Dear all,
Opposition leader Begum Khaleda Zia has shaken hands with a number of distinguished foreigners including Indian Prime Minister and American Ambassador. This is an unprecedented move and analysts suggest that it indicates the beginning of BNP's major shift of policy. Please read the following analysis and share your views.
Best regards,
Dalia Satter
__._,_.___