Here is the last one to read all famous warcriminals hidden under Hasina-Ershad et al: To read other parts, please click the following link and look at leftside. আওয়ামী লীগে যুদ্ধাপরাধী - ৭ (শেষ পর্ব) এ্যাডভোকেট নয়ন খান | | আজকের শেষ পর্বে আমরা বিখ্যাত ও ক্ষমতাধর সব রাজাকারদের সম্মন্ধে জানব, যারা অতীত ও বর্তমানে ঘাপটি মেরে আওয়ামী লীগে থেকে বড় বড় কথা বলে।
১. মন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলামের পিতা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতি মন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলামের পিতা রফিক উদ্দিন মাস্টার ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার বাঞ্ছারামপুরের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর পক্ষে জনমত গঠন করতে মিটিং ও ক্যাম্পেইন করেন। কিন্তু তার পুত্র সেনা বাহিনীর সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় তার পিতার কার্যক্রমকে বিচারের আওতায় আনা হয়নি।
২. কবি সূফিয়া কামাল (সূত্র: "আমার দেখা ব্যর্থ সেনা অভ্যূত্থান' ৯৬"-মেজর জেনারেল এম এ মতিন, বীর প্রতিক, পিএসসি থেকে নেয়া)
কবি সূফিয়া কামাল কায়েদে আজমের নামে অগণিত কবিতা রচনা করে এবং ইসলামের দরদী সেজে পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়েছেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে স্বাধীনতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে একটি কবিতাও রচনা করে পাঠাননি। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস ঢাকায় পাকিস্তান সরকারের আশ্রয়ে মেয়ে সুলতানা কামাল ও অন্যদের নিয়ে আরাম আয়েশে কাটিয়েছেন। তার মেয়ে সুলতানা এক হিন্দুকে বিয়ে করে এখন হয়েছেন সুলতানা কামাল চক্রবর্তী। স্বাধীনতার পরে মা ও মেয়ে লাফিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি সেজে মুজিবের বন্দনা গেয়ে অর্থ হাতিয়েছেন। এ মহিলা ইসলামপন্থীদের শীল-পাটায় পিষে মারবেন বলে হুংকার এবং রবীন্দ্র সংগীত গাওয়াকে ইবাদত বলে ফতোয়া দিয়েছিলেন। এ রাজাকারদের কবিতাও স্বাধীন দেশের পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভূক্ত এবং আমাদের মত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের তা পাঠ করতে হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক আর্মির অর্থে প্রতিপালিত সুলতানা কামাল চক্রবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাও হয়েছিলেন। যত বড় রাজাকারই হোক না কেন, ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বললেই মুক্তিযোদ্ধায় পরিণত হওয়া এদেশের রীতিতে পরিণত হয়েছে। এ রাজাকাররাই এখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে সমাদৃত।
৩. বাণিজ্যমন্ত্রী কর্ণেল (অব.) ফারূক খান আওয়ামী লীগ সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী কর্ণেল (অব.) ফারূক খান ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে পাকিস্তানী সেনা বাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করেছেন। তার অন্য ভাইদের বিরুদ্ধেও মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানীদের দালালি করে বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক হওয়ার অভিযোগ আছে। পাকিস্তানীদের দালালি করে লব্ধ টাকা দিয়ে ফারুক খানরা সামিট গ্রূপ তৈরি করেন।
৪. কাজী জাফরুল্লাহ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুলাহ পিতার শান্তি কমিটির সদস্য হওয়ার সূত্রে মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতার বিরোধিতায় লিপ্ত ছিলেন। তিনি ও তার পিতা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠন ও মিরপুরের বিহারীদের সঙ্গে আঁতাত করে ১৬ ডিসেম্বরের পরে ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি জহির রায়হানসহ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি হামলায় ইন্ধন যোগানোতে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে।
৫. সাবের হোসেন চৌধুরী মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরীর ভাগিনা, আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী সেনা বাহিনীর পক্ষে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ফুপাতো ভাই গিয়াস কাদের চৌধুরীদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ করেন।
৬. মির্জা আজমের পিতা মির্জা আবুল কাশেম জাতীয় সংসদের হুইপ ও মির্জা আজমের পিতা মির্জা আবুল কাশেম মাদারগঞ্জ জেলা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। মির্জা কাশেমের অপরাধমূলক কর্মকান্ড সম্পর্কে বৃহত্তর ময়মনসিংহের মুক্তিযোদ্ধারা অবগত। পিতাকে বাঁচাতে মির্জা আজম নিজের নাম মির্জা গোলাম আজমকে পরিবর্তন করে মির্জা আজম রেখে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। তিনি আওয়ামী লীগে যোগদানের পর তার পিতাকে যুদ্ধাপরাধের জন্য কটুক্তিকারী মুক্তিযোদ্ধাদের তিনি নিজের হাতে ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত শায়েস্তা করেন।
৭. কোটালী পাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মুজিবর রহমান হাওলাদার, ৮. কোটালী পাড়া উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি জাফরূল ইসলাম, ৯. কোটালী পাড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রাফেজা বেগমের ভাই আব্দুল আজিজ, ১০. কোটালী পাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালামের পিতা আব্দুল মালেক দাড়িয়া ১১. আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মাওলানা নুরূল ইসলামের কথা আগেই উল্লেখ করেছি।
তার ব্যাপারে কাদের সিদ্দিকী গত ৩১ মার্চ পল্টন ময়দানে আয়োজিত এক সমাবেশে বলেন, আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মাওলানা নুরুল ইসলাম যুদ্ধাপরাধী ছিলেন কি না তা জানি না। তবে তিনি যে সরিষাবাড়িতে রাজাকারগিরি করেছেন তা তো আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমিই বলে দিতে পারি। তার অধীনে থাকা অনেক রাজাকার আমাদের হাতে ধরা পড়েছে।
১২. মুসলিম লীগ নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর চাচাত ভাই সরকার দলীয় এমপি ফজলুল করিম চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা ও পাকিস্তানী সেনা বাহিনীকে সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে।
১৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. এ. কে. এম. শহিদুল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধের পরে পাকিস্তানীদের দালালির করার অপরাধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। কিন্তু আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য হওয়ায় তাকে চাকরিতে পরে বহাল করা হয়। তিনি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগের নীল দলের প্রভাবশালী নেতা।
১৪. আব্দুল জব্বার ইঞ্জিনিয়ার তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সূর্যমনি ও বাড়ইবাড়ি গণহত্যার নায়ক আব্দুল জব্বার ইঞ্জিনিয়ার মহাজোটের শরীক এরশাদের জাতীয় পার্টির সহসভাপতি আব্দুল জব্বার ইঞ্জিনিয়ার ১৯৭১ সালে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন । মুক্তিযুদ্ধের সময় ৬ সেপ্টেম্বর তারই নির্দেশে তার মামাশশুর রাজাকার কমান্ডার বর্তমানে টিকিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান ইস্কান্দার মৃধা, মুকুল বাদশা, রূহুল মৃধা ও আনসার খলিফার নেতৃত্বে ২৫/৩০ জনের রাজাকার বাহিনী উপজেলার আঙ্গুলকাটা গ্রামের মিত্র বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময়ে তারা ৩৭ জনকে ধরে সূর্যমনি বেড়িবাধে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। এতে ঘটনা স্হলেই ২৫ জন নিহত হন।
১৯৬৬ সালে যশোর বোর্ডের এস.এস.সি. পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী ছাত্র গণপতি হালদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিরেন, ভিপি আনোয়ারুল কাদির, জিয়াউজ্জামান, গোলাম মোস্তফা, অমল, শ্যাম ব্যাপারী ও আব্দুল মালেক হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন জব্বার ইঞ্জিনিয়ার। এলাকায় বসেই তিনি রাজাকার বাহিনী সংগঠিত করার নেতৃত্ব দেন। তার নির্দেশেই মঠবাড়িয়ায় মেধাবী ছাত্র ও হিন্দুদের হত্যাসহ সব ধরনের লুটপাটের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় মানুষ, মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে এসব কথা জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় জাতীয় পার্টির এক নেতা জানান, জব্বার ইঞ্জিনিয়ার বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় তার বড় মেয়ের বাসায় আছেন। সেখানে তার বড় ছেলে নাসিরউদ্দিনও থাকেন। উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক জানান, '৭১ সালে সাপলেজা কাচারীবাড়ির এক জনসভায় জব্বার ইঞ্জিনিয়ার উদ্ধত কন্ঠে বলেছিলেন 'মুক্তিযোদ্ধা ও হিন্দুদের স্থান এই পাকিস্তানের মাটিতে হবে না, হিন্দুদের সম্পদ সব গনিমতের মাল, সব কিছু মুসলমানদের ভোগ করা জায়েজ।' মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও শরণ খোলা থানার কমান্ডিং অফিসার মুজিবুল হক মজনু বলেন, জব্বার ইঞ্জিনিয়ার সুন্দরবন উপকুল এলাকার রাজাকারদের রিং লিডার ছিলেন। তিনি এ অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শহীদ সওগাতুল আলম ছগিরের গ্রামের বাড়িতে অগ্নি-সংযোগ ও লুটপাট করে। 'তিনি আমার গ্রামের বাড়িও লুটপাট করেছে। আমার মাকে রাইফেল দিয়ে পিটিয়েছে।' জানা যায়, যুদ্ধাপরাধী আব্দুল জব্বার ইঞ্জিনিয়ার ১৯৬৫ সালে আইয়ুব খানের মৌলিক গণতন্ত্রের নির্বাচনে তৎকালীন চেয়ারম্যান মেম্বারদের ভোটে এম পি নির্বাচিত হন। '৭০-এর নির্বাচনে তৎকালীন মুসলিম লীগের প্রার্থী হিসেবে মঠবাড়িয়া-বামনা-পাথরঘাটা আসনে নির্বাচন করেন। দেশ স্বাধীন হবার পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। '৭৫-এর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আবার তিনি প্রকাশ্য রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। ১৯৮৬ সালে এরশাদের জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে পিরোজপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। '৮৮ সালের ভোট বিহীন নির্বাচনে পুনরায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ওই সময় তিনি পিরোজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হন। '৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তার বিরুদ্ধে টিন ও চাল আত্মসাতের মামলা হয়। এরপর মামলা থেকে বাচতে বিএনপিতে যোগ দিলেও ২০০১ সালে পুনরায় তিনি জাতীয় পার্টিতে ফিরে এসে কেন্দ্রীয় রাজনীতি শুরু করেন ও জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধে নিহত বিনোদবিহারী বিশ্বাসের ছেলে যজ্ঞেস বিশ্বাস ১৯৭২ সালে জব্বার ইঞ্জিনিয়ারকে প্রধান আসামী করে স্হানীয় দুই শতাধিক রাজাকারের বিরুদ্ধে হত্যা, লুট, অগ্নি-সংযোগ ও নির্যাতনের অভিযোগে বাদি হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু '৭৫-এর পট পরিবর্তনের পর এখানে স্বাধীনতা বিরোধীদের উত্থানের কারণে মামলা দুটি ধামাচাপাসহ সব নথিপত্র গায়েব হয়ে যায়।
১৫. সাবেক স্পিকার শামসুল হুদা চৌধুরী ১৬. ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির নেতা সাবেক উপ রাষ্ট্রপতি এ. কে. এম. নুরুল ইসলাম। তিনি সদস্য, টিক্কা খানকে সহযোগিতা দানের উদ্দেশ্য গঠিত কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৭. জাতীয় পার্টির টিকিটে সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী একেএম মাইদুল ইসলাম ১৮. যুদ্ধাপরাধ মামলায় কারারন্তরীণ মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন ১৯. ব্যারিস্টার রাবেয়া ভূইয়া ২০. দেলোওয়ার হোসেন চৌধুরী (পুরু মিয়া)
ফেঞ্চুগঞ্জ পিচ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন পুরু মিয়া। ফেঞ্চুগঞ্জে পাক ফৌজের দ্বারা যত লোক হত্যা হয়েছে, সব খুনের সাথেই তার জড়িত থাকার কথা এলাকাবাসীর মুখে মুখে। তারই শ্যালক মোহন সংসদে যুদ্ধাপরাধী বিচারের বিল আনেন। এর চেয়ে খারাপ উদাহরণ বাংলাদেশে আর কি হতে পারে? রাজাকার পুত্র এভাবেই মুক্তিযোদ্ধা বানানোর মেশিন আওয়ামী লীগে ঢুকে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যায়!
লেখক: সিনিয়র আইনজীবি, মিশিগান, আমেরিকা। | | Regards, NK ' ' , 'Awami League' is not a name of a political party, it's a name of disease of Bangladesh.
| |