Banner Advertise

Wednesday, October 1, 2008

[chottala.com] I do agree with the analysis. What do you think?

 When i first read the news that AL acting secretary said that they have news that Sheikh hasina might be attacked during election campaign, i thought AL is planning to come in power by secrifying Hasina and drawing sympathy vote like Benjir bhutto.
 
 Similar apprenhension by british envoy in Bangladesh indicate that  some Al leaders are collaborating with international conspirators to destabilize Bangladesh.
 
 
 the following analysis also say so..What do you  think, Dear Bangladeshi.

 
নির্বাচনকে ঘিরে কে কি পরিকল্পনা করছে?
আহসান মোহাম্মদ
খালেদা জিয়া ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ক্ষমা প্রার্থনা এবং প্রধান উপদেষ্টা কতৃক নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার মাধ্যমে প্রভাবহীন, ফমূর্লাহীন এবং মুক্ত নির্বাচনের জন্য উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির আশা করা হয়েছিল। তবে সংসদ নির্বাচনের মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে উপজেলা নির্বাচন, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, সংসদীয় আসনের সীমানা পুন:নির্ধারণে নির্বাচন কমিশনের গোয়ার্তুমী, জরুরী আইনের মধ্যে নির্বাচন - ইত্যাদি আগামী নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাশীনদের আরেকটি পরিকল্পনার দিকেই ঈঙ্গিত দিচ্ছে। ক্ষমতাশীনেরা যে রণে ভঙ্গ দেয় নি, তার প্রমাণ বিচারপতিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সাটানো পোস্টার এবং হকারদের মাধ্যমে বিলিকৃত লিফলেট। সরকারের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া এ ধরণের ঘটনা সম্ভব নয়।

অপরদিকে বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা ত্রিভুজের পরিকল্পনার বিষয়ে একটি ধারণা পাওয়া গেছে সাম্প্রতিককালে আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের একটি বক্তব্যে। তিনি বলেছেন, নির্বাচনী প্রচারাভিজানের সময় শেখ হাসিনার উপর জঙ্গী হামলা হতে পারে বলে তার কাছে তথ্য রয়েছে। এই বিষয়টিকে ইমোশনাল ব্লাকমেলিং করার আওয়ামীলীগের বহু প্রচলিত কৌশল হিসাবে দেখলে ভুল হতে পারে। বরং এক বছর আগের পাকিস্তানের ঘটনাবলীর সাথে তার সাদৃশ্য থাকতে পারে, বিশেষ করে যেহেতু উভয় ক্ষেত্রেই দেশের বাইরের পর্দার অন্তরালের মুল খেলোয়াড় এবং পর্দার সামনের পাত্র-পাত্রীতে যথেষ্ট মিল রয়েছে।

প্রথমে মূল খেলোয়াড়দের মনস্তত্ব এবং তাদের মৌলিক কুটকৌশলটি বোঝার চেষ্টা করা যাক। দেশের ক্ষমতাশীনেরা পরিচালিত হচ্ছে একটি সুশীল থিংক ট্যাংঙ্কের বুদ্ধি দিয়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা বুটের থেকে ব্রেণের ব্যবহার বেশী করতে চাচ্ছে। তাছাড়া নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপও রয়েছে। এর সাথে জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশী সৈনিকদের চাকুরীর বিষয়টাও জড়িত। ফলে, এই মহল চাইবে রক্তারক্তি না করে তাদের পরিকল্পনা শান্তিপূর্ণ উপায়ে বাস্তবায়ন করতে।

অপরদিকে বাংলাদেশকে ঘিরে সদা তৎপর আমেরিকা, ভারত ও ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থার ত্রিভুজ ভিন্ন কিছু চাইতে পারে। বাংলাদেশে দীর্ঘস্থায়ীভাবে অস্থিতিশীলতা বজায় থাকলে তাদের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক উভয় ক্ষেত্রেই লাভ।

এখন দেখা যাক, ষড়যন্ত্রের স্বরূপ কি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে মূল হাতিয়ারটি হতে পারে নির্বাচনের তারিখ। ১৮ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের মাত্র পাঁচদিন পর হবে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম কিস্তি। দুটি নির্বাচনের তফসিল একই দিনে ঘোষণা হবে। সে ক্ষেত্রে যে ঘটনাগুলো ঘটতে পারে তা হচ্চে:

১. একই সাথে সংসদ ও উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় তাতে এমন কিছু শর্ত থাকতে পারে যা চারদলীয় জোটের বিপক্ষে যাবে। তবে সে সময় উক্ত জোট তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার বা আন্দোলনে যাবার মত পরিস্থিতি থাকবে না। এর কয়েকটি কারণ রয়েছে:

ক. বর্তমান পরিস্থিতি খালেদা জিয়া এবং বিএনপির নেতা-কর্মীদের জন্য অনেকটা দু:স্বপ্ন থেকে জেগে ওঠার মত। মাত্র কিছুদিন আগেও প্রচন্ড অসুস্থ তারেককে পিজন সেলে কাতরাতে হয়েছে। খালেদার দুটো সুস্থ সবল ছেলেকে একেবারে পঙ্গু বানিয়ে ছাড়া হয়েছে। তিনি এমন কিছু করতে দ্বিধান্বিত হতে পারেন যাতে আবার সেই দু:স্বপ্নে ফিরে যেতে হয়। একই পরিস্থিতি দলটির কেন্দ্রীয় নেতা থেকে মাঠ পর্যায়ের ত্যাগী নেতাদেরও।

খ. দু:স্বপ্ন থেকে বের করে আনার কৃতিত্ব সরকারের একটি গ্রুপ দাবী করছেন এবং বিএনপি হয়তো তাকে বিশ্বাসও করছে।

গ. বিএনপিকে বর্তমানে যারা পরামর্শ দিচ্ছেন, তারা আপোষকামীতার দিকে দলটিকে বেশী টানছেন বলে মনে হচ্ছে। এ কারণেই সাম্প্রতিককালে জোটের দুই গুরুত্বপূর্ণ শরীক সম্পর্কে সিইসি অত্যন্ত অশোভন ভাষায় ব্যঙ্গ করার পরও দলটি তার কোন প্রতিবাদ জানাতে ব্যর্থ হয়।

ঘ. নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সময় আসতে আসতে দেশে পুরোপুরি নির্বাচনী আমেজ এসে যাবে। তখন, বিএনপির মত একটি দুর্বল সংগঠনের দলের পক্ষে তাকে রোখা সম্ভব হবে না। ফলে অগ্রহণযোগ্য শর্তে হলেও দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারে।

ঙ. আগামী নির্বাচন না হলে আবারো একটি অগণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা যাবার সম্ভাবনা রয়েছে যা দলটি চাইবে না।

২. সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের অনেকেই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা নন। তাদের প্রধান অংশটি রাজধানী বা অন্য শহরে থাকেন। অপরদিকে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের সিংহভাগ থাকেন এলাকাতে। ফলে, সংসদ নির্বাচন সাধারণ জনগণের মনোযোগ কম আকর্ষণ করতে পারবে। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের একটি বড় অংশ ব্যস্ত থাকবে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে।

৩. সংসদ নির্বাচনকে রাজনৈতিক কর্মী ও সাধারণ জনগণ কম গুরুত্ব দেয়ায়, সরকারী মেশিনারিজ ব্যবহার করে তাকে প্রভাবিত করা সহজসাধ্য হবে। মনে রাখা দরকার যে, সরকারের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে, যাদের হাতে রয়েছে রাজনীতিকে প্রভাবিত করার মত বিপুল তথ্য এবং নেটওয়ার্ক।

৪. সংসদ নির্বাচনে সরকার তার পছন্দের দল বা জোটকে বিজয়ী করে আনতে না পারলে দ্বিতীয় কৌশলটা কাজে লাগানো হবে। নির্বাচনের ফল পুরোপুরি প্রকাশ হতে লেগে যাবে ২০ ডিসেম্বর। বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট জয়ী হলে আওয়ামীলীগ সে নির্বাচন তখন মানবে না। বস্তুত: গত প্রায় দুই দশকে আওয়ামীলীগ পরাজিত হয়েছে এমন কোন নির্বাচনকে মানে নি এবং সে নির্বাচনের ফলে গঠিত সংসদকেও কার্যকর করতে দেয় নি। ১৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনে পরাজিত হলেও এর ব্যতয় হবে বলে মনে করার কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। ২০ ডিসেম্বর ফল পুরোপুরি প্রকাশিত হলে সেদিনই বা তার আগেই দলটি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ করবে। আরো দু'তিন দিন যাবে কুটনীতিক এবং অন্যান্য বিভিন্ন মহলকে তাদের বক্তব্য বুঝিয়ে পক্ষে আনার চেষ্টা করতে। মোটামুটি সমর্থন পেলে ২৪ তারিখের আগেই তারা এই নির্বাচন বাতিল করার দাবী জানাবে। এই সময়টাতে মিডিয়া, রাজনৈতিক কর্মী, বিদেশী মিশন সকলেই ব্যস্ত থাকবে নির্বাচন বাতিলের বিষয়টা নিয়ে। ফলে ২৪ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত সময়ে সকলের মনোযোগ নিবদ্ধ থাকবে এবং খুব কম পর্যবেক্ষণের মধ্যে হয়ে যাবে উপজেলা নির্বাচন। সে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হলেও তাকে জনসাধারণের গোচরে আনা সম্ভব হবে না, যেমনটি হয়নি সিটি নির্বাচনে অনিয়মের বিষয়টি। এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয়ও বিবেচনা করতে হবে। বাংলাদেশে মিডিয়া, সুশীল সমাজ, এনজিও, এমনকি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও আওয়ামীলীগের প্রতি সহানুভূতিশীল। ফলে, উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও সরকারপন্থীদেরকে বিজয়ী করা গেলে সে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠানো হলেও কেউ তাকে পাত্তা দেবে না। ক্ষমতাশীনেরা তখন ১৮ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনকে বাতিল ঘোষণা করে উপজেলা চেয়ারম্যানদের দিয়ে সংবিধান সংশোধনের কাজে উদ্যোগী হতে পারে। এখানে উল্লেখ্য যে, উপজেলা চেয়ারম্যানদের দিয়ে সংবিধান সংশোধনের আশংকা রাজনৈতিক দলগুলো অনেক আগে থেকেই প্রকাশ করে আসছে এবং সরকারের যে এই ধরণের কোন পরিকল্পনা নেই তা জানিয়ে প্রকাশ্য বিবৃতি দাবী করছে। কিন্তু, এখনও সরকার সে বিষয়ে মুখ খোলেনি।

এটি গেলো ক্ষমতাশীনদের সম্ভাব্য পরিকল্পনার বিষয়। এখন দেখা যাক বিদেশী গোয়েন্দা ত্রিভুজ কি করতে পারে এবং তার সাথে ক্ষমতাশীনদের পরিকল্পনার কি সংযোগ হতে পারে। এ উদ্দেশ্যে এক বছর আগে পাকিস্তানে সংঘটিত ঘটনাবলী মনে করা দরকার। ২০০৭ এর সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানে মোশাররফের অবস্থা ছিল টাল মাটাল। তার বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন আমেরিকা এগিয়ে আসে মোশাররফ এবং বেনোজিরের মধ্যে সমঝোতার জন্য। সমঝোতা হয়, বেনজির ও আসিফ জারদারির মামলা তুলে নেয়া হয়। বেনজির দেশে ফেরার ঘোষণা দেন। বেনজিরের সাথে সমঝোতার ফলে মোশাররফের বিরুদ্ধে আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়ে। তিনি আরেক দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ২০০৭ সালের ১৭ অক্টোবর দীর্ঘ আট বছর পর দেশে ফেরার আগে দুবাইতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বেনজির বলেন যে, জঙ্গীরা তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করছে। হত্যা পরিকল্পনা জানার পরও ১৮ অক্টোবর দেশে ফিরে তিনি গভীর রাতে হাজার হাজার সমর্থকদের নিয়ে কায়েদে আযমের মাযারে রওনা হন এবং পথে তার র�্যালীতে বোমা হামলায় ১২৪ জন নিহত ও ৩২০ জন আহত হয়। তিনি অল্পের জন্য বেচে যান। ২৭ ডিসেম্বর আরেক আত্মঘাতি হামলায় বেনজির নিহত হন। পরবর্তীতে তার দল সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয় এবং তার স্বামী পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

জঙ্গী হামলার কথা মিডিয়াকে জানানোর পরও গভীর রাত্রে সমর্থকদের নিয়ে র�্যালী করা নিয়ে তখনও প্রশ্ন উঠেছিল। তাছাড়া, হামলার কিছুক্ষণ পর তিনি যেভাবে হাসিমুখে ও আত্মবিশ্বাসের সাথে সাংবাদিক সম্মেলনে কথা বলেছিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। তিনি কি তাহলে নিশ্চিত ছিলেন যে, তাকে হামলাকারীরা কিছু করবে না? তিনি কি জঙ্গী হামলাকে তার ইমেজ পুনরুদ্ধারে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন? কারা সে হামলা করেছিল, তা আজ পর্যন্ত জানা যায় নি, হয়তো জানা যাবেও না। তাৎক্ষনিক লাভবান হলেও মোশাররফের শেষ রক্ষা হয়নি বটে, কিন্তু, দেশটির শত্রুদের উদ্দেশ্য ঠিকই সফল হয়েছে - সেখানে গণনন্ত্র শক্ত ভিত্তির উপর দাড়াতে পারে নি, অস্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে এবং সরকারকে আমেরিকার আজ্ঞাবাহী হিসাবেই থাকতে হচ্ছে। শেষ বিচারে জয়ী হয়েছে গোয়েন্দা ত্রিভুজ।

বাংলাদেশকে নিয়েও সে রকম কোন পরিকল্পনা আটা হচ্ছে না সে কথা কে বলবে?

ahsan_mohammed2000@yahoo.com

 
আল্লাহ যাকে যখন ইচ্ছা ক্ষমতা দান করেন,মাইনাস টু ফরমুলায় তাই হাসেন
http://www.microscopiceye.blogspot.com/

__._,_.___

[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___