মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৩, ২৬ অগ্রহায়ন ১৪২০
জামায়াত 'বাংলাদেশের নাৎসি' ॥ বান কি মুনকে গণজাগরণ মঞ্চ
তারানকোর বৈঠকের নিন্দা জানিয়ে মহাসচিবকে চিঠি
স্টাফ রিপোর্টার ॥ যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত দল জামায়াতের সঙ্গে জাতিসংঘের দূত তারানকোর বৈঠকের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বরাবর চিঠি দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ। সোমবার বিকেলে এ চিঠি পাঠানো হয়। জামায়াতের হরতালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। আজ সকাল ১১টায় হরতালবিরোধী মিছিলের ডাক দেয়া হয়েছে মঞ্চের পক্ষ থেকে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, জামায়াতে নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি আমাদের গোচরে এসেছে। আপনি অবগত আছেন যে, বাংলাদেশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো আপনার বিশেষ দূত হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশ সফর করছেন। প্রচার মাধ্যমগুলো ইতোমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতর একটি সমঝোতা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে তার কর্মতৎপরতা তুলে ধরেছে।
আমরা এই চিঠির মাধ্যমে তারানকোর জামায়াত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে সদিচ্ছা জ্ঞাপন এবং পরবর্তীতে বৈঠকে অংশগ্রহণ করায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা বিনয়ের সঙ্গে আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ও হত্যাযজ্ঞের প্রেক্ষিতে। যে হত্যাযজ্ঞের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হিটলার ও তার নাৎসি বাহিনী। জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার অন্যতম লক্ষ্য ছিল, মানব ইতিহাসে এরূপ জঘন্য হত্যাযজ্ঞ যেন আর কখনই সংঘটিত না হয় তা নিশ্চিত করে পৃথিবীব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করা।
আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন, জামায়াত হচ্ছে বাংলাদেশে নাৎসি পার্টিরই প্রতিরূপ মাত্র। দলটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সামরিকবাহিনীর অপারেশন সার্চলাইটে নির্মম হত্যাযজ্ঞে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিল এবং এর নেতারা সরাসরি সহযোগিতা করেছিল। দলগতভাবে এবং নেতৃবৃন্দ সরাসরি বাঙালীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছিল। যে কারণে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পরই রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১৯৭৫-পরবর্তী সামরিক শাসনকালে জামায়াতের ওপর আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। মাত্র কিছুদিন আগে, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিচারিক আদালত সুপ্রীমকোর্ট, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে। এর ফলে জামায়াত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অধিকার হারিয়েছে। উপরন্তু, এই দলের কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতা ইতোমধ্যেই যুদ্ধাপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের সুস্পষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
জামায়াত সদস্যরা আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে এবং দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার হারিয়েছে। সেই মুহূর্তে তারানকোর জামায়াত নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আমরা আমাদের গভীর উদ্বেগ ও তীব্র আপত্তি জানাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয়, দেশপ্রেমিক ও বিবেকসম্পন্ন নাগরিক হিসেবে কোনভাবেই জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে তারানকোর এ বৈঠককে সমর্থন করতে পারি না।
জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, জামায়াতে নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি আমাদের গোচরে এসেছে। আপনি অবগত আছেন যে, বাংলাদেশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো আপনার বিশেষ দূত হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশ সফর করছেন। প্রচার মাধ্যমগুলো ইতোমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতর একটি সমঝোতা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে তার কর্মতৎপরতা তুলে ধরেছে।
আমরা এই চিঠির মাধ্যমে তারানকোর জামায়াত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে সদিচ্ছা জ্ঞাপন এবং পরবর্তীতে বৈঠকে অংশগ্রহণ করায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা বিনয়ের সঙ্গে আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ও হত্যাযজ্ঞের প্রেক্ষিতে। যে হত্যাযজ্ঞের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হিটলার ও তার নাৎসি বাহিনী। জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার অন্যতম লক্ষ্য ছিল, মানব ইতিহাসে এরূপ জঘন্য হত্যাযজ্ঞ যেন আর কখনই সংঘটিত না হয় তা নিশ্চিত করে পৃথিবীব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করা।
আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন, জামায়াত হচ্ছে বাংলাদেশে নাৎসি পার্টিরই প্রতিরূপ মাত্র। দলটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সামরিকবাহিনীর অপারেশন সার্চলাইটে নির্মম হত্যাযজ্ঞে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিল এবং এর নেতারা সরাসরি সহযোগিতা করেছিল। দলগতভাবে এবং নেতৃবৃন্দ সরাসরি বাঙালীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছিল। যে কারণে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পরই রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১৯৭৫-পরবর্তী সামরিক শাসনকালে জামায়াতের ওপর আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। মাত্র কিছুদিন আগে, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিচারিক আদালত সুপ্রীমকোর্ট, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে। এর ফলে জামায়াত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অধিকার হারিয়েছে। উপরন্তু, এই দলের কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতা ইতোমধ্যেই যুদ্ধাপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের সুস্পষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
জামায়াত সদস্যরা আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে এবং দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার হারিয়েছে। সেই মুহূর্তে তারানকোর জামায়াত নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আমরা আমাদের গভীর উদ্বেগ ও তীব্র আপত্তি জানাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয়, দেশপ্রেমিক ও বিবেকসম্পন্ন নাগরিক হিসেবে কোনভাবেই জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে তারানকোর এ বৈঠককে সমর্থন করতে পারি না।
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৩, ২৬ অগ্রহায়ন ১৪২০
__._,_.___