সিলেটে মাজার সিন্ডিকেট |
Saturday, 14 August 2010 If you don't see Bangla, click on the link to read from the source. | |||||
ওয়েছ খসরু, সিলেট থেকে: ওলিকুল শিরোমণি হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ এলাকা ধান্ধাবাজদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ধান্ধা করেই এখানে জীবিকা নির্বাহ করে হাজার হাজার নারী-পুরুষ। এই ধান্ধাবাজদের খপ্পরে পড়ে অনেকেই হয়েছেন নিঃস্ব। প্রতিকার চেয়েও কাজ হয়নি। যুগ যুগ ধরে এই ব্যবসা চালিয়ে এখানকার অনেক ধান্ধাবাজ এখন গাড়ি-বাড়ির মালিক হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার পরিচালনা কমিটির ভেতরেই একটি অংশ পরিচালনা করছে এই ধান্ধার ব্যবসা। এ কারণে প্রশাসন বারবার উদ্যোগী হয়েও ভক্ত ও আশেকানের দুর্ভোগ কমাতে পারেনি। বাইরে থেকে কেউ দরগাহ এলাকায় ঢুকলেই পড়বেন ধান্ধাবাজদের খপ্পরে। দরগাহর প্রধান ফটকে ঢোকা মাত্রই টুপি, আতর বিক্রিতে গড়ে ওঠা একটি চক্র ভক্ত ও আশেকানের পথ রুখে দাঁড়ায়। এ খানের মালামাল কিনতে গিয়ে অনেকেই পড়েন বিপাকে। কেউ কেউ হন প্রতারিত। ৫ বছর আগেও এখানে তেমন কোন সিন্ডিকেট ছিল না। কিন্তু এখন তা বেড়ে গেছে। টুপি, আতর ও গোলাপপানির বিক্রির সিন্ডিকেট বছরে লুটে নিচ্ছে কোটি টাকারও বেশি। এর কারণ তারা দরগাহর ভেতরে ও বাইরে সিন্ডিকেট গড়ায় সকালে যে জিনিস কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা বিকালে আবার তা ফিরে আসছে ওই দোকানে। যারা এখানে দোকানি তারা আবার দরগাহর বিভিন্ন তলার (আসন) চালকদার। সুতরাং ভক্তদের গোলাপপানি, আতরসহ বিভিন্ন জিনিস আবার দোকানে চলে আসে। হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ এলাকায় সবচেয়ে বেশি সিন্ডিকেট গড়েছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। তারা প্রতাপশালী। দরগাহ এলাকায় অর্ধশতাধিক হোটেলের মধ্যে হাতেগোনা ৪-৫টি ছাড়া অন্যগুলো প্রতিনিয়ত ঠকাচ্ছে ক্রেতাদের। এসব হোটেলের মধ্যে কয়েকটি আবার অসামাজিক কাজের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। হোটেলে খুনি, অপরাধী ও জঙ্গিরা বিভিন্ন সময় অবস্থান নিয়ে নিরাপদ আবাস গড়ে তোলে। ২০০৫ সালের পর দরগা এলাকা জঙ্গি এলাকায় পরিণত হয়েছিল। পরপর কয়েকটি বোমা ও গ্রেনেড হামলায় ভীতি ছড়িয়ে পড়েছিল এখানে। এছাড়া দরগাহ এলাকার হোটেল আজমিরীতে প্রায় এক সপ্তাহ ছিল সিলেটের সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যাপক হারুন-উর রশীদের খুনি কাউছার আহমদ। এ কারণে দরগাহ এলাকার আবাসিক হোটেলে মধ্যে ২০-২৫টি ভক্তদের কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে দরগাহ এলাকার হোটেল ব্যবসা এখনও নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি প্রশাসন । শিরনি নিয়ে হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ এলাকায় তেলেসমাতি কারবার চলে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভক্ত ও আশেকানরা শিরনি কিনতে গিয়ে পড়েন নানা বিপাকে। যারা শিরনি কিনবেন তাদের নিয়ে রীতিমতো টানাটানি চলে প্রকাশ্য রাস্তায়। এ নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন ক্রেতারা। আর ক্রেতাদের কাছ থেকে সুযোগ পেলে তারা চড়া দামে শিরনি বিক্রি করে। কখনও কখনও শিরনির প্যাকেট টাকা ছাড়াই ক্রেতাদের হাতে তুলে দেয়া হয়। পরে নানা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ওই ক্রেতার কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়। দরগাহ এলাকার দোকানি আশরাফ উদ্দিন জানিয়েছেন, শিরনি নিয়ে মাঝে মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। ক্রেতাদের নিয়ে দোকানিরা টানাটানি করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পকেটমারদেরও নিরাপদ আস্তানা সিলেটের দরগাহ এলাকা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখানে ঘাপটি মেরে থাকে তারা। মাজার সিন্ডিকেটের একটি অংশ আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় তাদের। মাজারের পূর্বপাশে থাকা কয়েকজন ফকিরের সঙ্গে গতকাল বিকালে আলোচনা করে জানা গেছে, এখানকার পকেটমাররা বিভিন্ন ধাঁচের। এদের সংখ্যা শতাধিক। তাদের মধ্যে কেউ ফকিরি, কেউ টোকাই, আবার কেউ ব্যবসায়ী লেবাসে রয়েছে। আশ্বর্যের বিষয় হচ্ছে, এখানের পকেটমাররা মাজারের উপরের অংশে জিয়ারত করার সময় নির্বিঘ্নে ভক্তদের পকেট চুরি করে যাচ্ছে। এ নিয়ে প্রতি মাসে অন্তত ১০-১২জনকে আটক করা হলেও স্থানীয়দের চাপে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। অনেকেই গণধোলাইয়ের মুখে পড়লে তাদের কৌশলে ছাড়িয়ে নিচ্ছে একটি প। দরগাহে আল্লাহরওয়াস্তে দেয়া মালামালের কোন হিসাব নেই। মাজারের খাদিমদের প থেকে বলা হয়, বারবারই যে যা আনে তাই দিয়ে খাওয়া ধাওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। কেউ কেউ বিশ্বাস করে শিরনির কাজে লাগানোর জন্য আস্ত গরু বা ছাগল কিংবা খাসি দিয়ে যায়। কিন্তু যারা দায়িত্বে থাকে তারা সেগুলো বিক্রি করে টাকা লুটে নেয়। আবার কেউ কেউ গরু কিংবা খাসি জবাই করে রেখে যান। সেগুলোর মধ্যে একটি অংশ বাইরে বিক্রি করে দেয়া হয়। চালের কোন হিসাব থাকে না বলে জানিয়েছেন কেউ কেউ। দরগাহ এলাকার বাসিন্দা মুহিবুর রহমান বলেন, মাজার পরিচালনায় কোন সুনির্দিষ্টতা না থাকায় এই মাজারে যার যা ইচ্ছা তারা তাই করছে। তিনি বলেন, সিলেটের প্রভাবশালীরাও মাজার এলাকা থেকে সুবিধা ভোগ করে থাকে। এ ব্যাপারে কথা বলতে চাননি সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ পরিচালনা কমিটির কেউ। তবে তারা জানিয়েছেন, যেভাবে যুগ যুগ ধরে মাজার চলে আসছে সেভাবেই চলছে। তারা বলেন, এখানে লুটপাটের কোন অবকাশ নেই। সবই হচ্ছে আল্লাহর নামে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, দরগাহ এলাকার নিরাপত্তায় সবসময়ই এখানে পুলিশ মোতায়েন থাকে। অপরাধীদের পাকড়াও অভিযানও চালানো হয় এখানে। সিলেটের মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিলেটের দরগাহ এলাকায় পুলিশ ও গোয়েন্দাদের নজরদারির কোন কমতি থাকে না। তবে এখানে স্থানীয় প্রভাবে কিছু ঘটলে পুলিশ এগিয়ে যায়। সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ এলাকা ভিুকদের সংখ্যা কত এ নিয়ে নানা মন্তব্য রয়েছে। তবে সাধারণ হিসেবে বোঝা যায় এই দরগাহের ভেতরেই রয়েছে হাজারো ভিুক। প্রধান ফটকে রাস্তার দুই পাশে রয়েছে কয়েক শ' ভিুক। এর মধ্যে অনেকেই আছে যুগ যুগ ধরে। আছে বংশপরম্পরায়ও। স্থানীয় এলাকাবাসী ভিুকদের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ থাকেন। আর আগত ভক্ত ও আশেকানরা পড়েন দুর্ভোগে। দরগাহ এলাকার বাসিন্দারা জানান, একটি সিন্ডিকেট পরিচালনা করছে দরগাহ এলাকার ভিুকদের। অনেক ভিুকই আছে যারা রোজ শ্রমের ভিত্তিতে এখানে ভিা করে থাকে। |
2010/8/12 Syed_Aslam3 <syed.aslam3@gmail.com>
Fraud under the cover of religion getting worse in Bangladesh.Abuse of Religion : Scams behind Mazar opreationLink:If you don't see Bangla, click on the link to read from the source.
োগালাপ শাহ মাজােরর টাকা লুট
Friday, 13 August 2010
আহমেদ জামাল: ওরা মাজারের খাদেম বা পাহারাদার নয়। নয় উত্তরসূরিও। তারপরও মাজার দখল করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি টাকা। সিটি করপোরেশনের এক শ্রেণীর কর্মকর্তার সহায়তায় এ চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে ভক্ত ও আশেকানরা।রাজধানীর গুলিস্তানের হযরত গোলাপ শাহ (রহ.) মাজারকে কেন্দ্র করে প্রতারক চক্রের দোর্দণ্ড প্রতাপ এখন সবার মুখে মুখে। এখানে দানের টাকা নিয়ে ব্যস্ত এ চক্র। প্রতিদিন হাজারো ভক্তের দেয়া এ টাকা লুটে নেয়া হচ্ছে নানা কৌশলে। মাজার ঘিরে থাকা প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে দানের টাকার একটি অংশ। আর জমা পড়া লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ডিসিসির একাধিক কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতাসহ অনেকেই। সামপ্র্রতিক এক তদন্তে মাজারে বছরে ৫৭ লাখ টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ধরা পড়ে। তবে হিসাবের বাইরে মাজার ঘিরে থাকা প্রতারক চক্র কত টাকা আত্মসাৎ করছে তার কোন হিসাব নেই। নগরীর ব্যস্ততম এলাকার এই মাজারের দানের টাকা কারও কারও প্রতি রাতের নেশার যোগান দেয়। ওইসব নেশাখোরদের পদচারনায় মাজারের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। দানের টাকা লুটের লোক আছে কিন্তু মাজার পরিচর্যার লোক নেই। সরজমিনে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মহসিন, শরিফ, বাবুল-সেলিমসহ ৫-৬ যুবক মাজারের চারদিক ঘেরা সীমানার মধ্যে অবিরাম ঘুর ঘুর করে। আর মাজারের মূল গেট আগলে দাঁড়িয়ে থাকেন হাজী সাইফুল্লাহ নামের এক লোক। এরা কেউ মাজারের খাদেম বা পাহারাদার নয়। হযরত গোলাপ শাহ (রহ)-এর পরিচয়, জীবনী এই মাজারের উৎপত্তি এসবের কিছুই তারা জানে না। একইভাবে তাদের নির্দিষ্ট কোন ঠিকানা, নাম-পরিচয় কারও জানা নেই। আগত ভক্ত-অনুরাগী মাজারের সংরক্ষিত জায়গায় টাকা দেয়ার চেষ্টা করলে তারা হাত বাড়িয়ে নেয়। মাজারের দেয়াল মোছার ভান করে ভক্তদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ওই টাকা নিজেদের পকেটে পোরে। আবার আগতদের বিশ্বাস আদায়ের জন্য মাঝে মধ্যে মাজারের সংরক্ষিত জায়গায় টাকা ফেলে। সাধারণ মানুষের ভক্তি বিশ্বাসকে পুঁজি করে এভাবে প্রকাশ্য প্রতারণা করলেও প্রতিবাদ করার সাহস নেই কারও। কারণ এই টাকার ভাগ পায় মাজার কেন্দ্রিক মাস্তান, রাজনৈতিক দলের নেতা, পুলিশসহ অনেকেই। কথা হয় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার অধিবাসী মহসিন সিদ্দিকীর সঙ্গে। সে জানায় রাজধানীতে তার কোন ঠিকানা নেই, নেই নির্দিষ্ট কোন কর্মসংস্থান। এই মাজারই তার ঘরবাড়ি। দিনরাত থাকা খাওয়া সবই তার মাজারেই। ভক্তদের দেয়া দানের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে সে জানায়, আমরা গরীব মানুষ। মাজারের ভক্ত অনুরাগীদের দেয়া ৫-১০ টাকায় আমাদের দৈনন্দিন খাবার জোটে। বিনিময়ে আমরা মাজার প্রাঙ্গণ ধোয়ামোছা করি। কিন্তু মাজারের মূল আয়ের টাকা নিয়ে যায় কর্তারা। প্রতি মাসে এক অথবা দু'বার মাজারের সংরক্ষিত বাক্স খোলা হয়। প্রতিবারে ৭-৮ লাখ টাকা জমা হয়। ওই টাকা কারা কোন খাতে নিয়ে যায় মহসিন জানে না। একই রকম বক্তব্য বাবুলেরও। মাজারের উত্তর পাশে মোম ও আগরবাতি জ্বালানোর স্থানটি ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকেন রংপুরের মোহাম্মদ সেলিম মিয়া। মাথায় পাগড়ি পরা শ্মশ্রুমণ্ডিত ষাটোর্ধ্ব এই ব্যক্তি লেখাপড়া জানেন না। গ্রামের মক্তবে যেটুকু আরবি সুরা ক্বেরাত শিখেছেন তাকে পুঁজি করেই আস্তানা গড়েছেন এই মাজারে। ভক্তরা আগরবাতির ছাই কিংবা মোম বাতির অংশ বিশেষ খুঁটে নেয়। বিনিময়ে তাকে দিয়ে যায় ৫-১০ টাকা। তিনি বলেন, ওলিদের নামের ওপর ভক্তি শ্রদ্ধায় মানুষ টাকা দেয়। সে টাকা যায় ধনী, গরিব, মাস্তান, টাউট, বাটপারসহ কত লোকের পেটে। ওলিরা কিছুই পায় না, তাদের কিছু পাওয়ার সুযোগ নেই। তবে শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে মাজারে টাকা দেয়া জায়েজ কিনা সে সম্পর্কে তার কোন ধারণা নেই বলে স্বীকার করেন তিনি। বলেন, আমরা পেটের দায়ে এখানে পড়ে থাকি। মানুষের দেয়া দানের টাকায় জীবিকা নির্বাহ করি। এই মাজারের ওলি কে? মাজারের উত্তর পাশের মূল ফটকে দাঁড়িয়ে থাকেন হাজি সাইফুল্লাহ। ভক্ত অনুরাগীদের দেখলেই ইশারায় কাছে ডেকে মুখের ওপর ছিটিয়ে দেন কয়েক ফোঁটা গোলাপানি। তারপর যে যা দেয় হাত বাড়িয়ে তা পুরে নেন নিজের পকেটে। হযরত গোলাপ শাহ সম্পর্কে তারও কোন কিছু জানা নেই। মাজারে ভক্তদের টাকা দেয়া, পানি ছিটানো, মোমবাতি জ্বালানোর বিষয় তার অভিমত জানতে চাইলে উত্তর দেন, আমি এখন কাজ করছি ব্যস্ত আছি। কথা বলতে হলে অন্য সময় আসতে হবে। লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের অধিবাসী মাওলানা মফিজুল হক ৫০ বছরের বেশি সময় গোলাপ শাহ মাজার মসজিদের ইমাম হিসেবে কর্মরত আছেন। মাজারের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে তিনি বলেন, কিছু ধান্ধাল কাঙ্গাল আছে- তারা ওখানে ঘুরে, বেড়ায় মানুষকে প্রতারণা করে শুনেছি। তবে এসব দেখভালের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। হযরত গোলাপ শাহ সম্পর্কে তিনি বলেন, হযরত শাহজালাল (রহ) এ দেশে ইসলাম প্রচার করতে আসার সময় সঙ্গে যে ৩৬০ খলিফাকে নিয়ে আেেসন তাদের একজন গোলাপ শাহ। এর বাইরে আর কিছু আমার জানা নেই।
তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য: গোলাপ শাহ মাজারের টাকা সংগ্রহ করার দায়িত্বে ছিলেন ডিসিসির সহকারী সম্পত্তি কর্মকর্তা শামসুল আলম, নিরাপত্তা কর্মকর্তা মহসিন মোড়ল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খলিল আহমেদ। তাদের সঙ্গে ওয়াক্ফ প্রতিনিধি হিসেবে থাকতেন ওলামা লীগ নেতা আইনুল আলম বাবু। সমপ্রতি এই মাজারের বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠলে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ সহকারী সচিব মনোয়ার হোসেনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এই কমিটি ২৪ দিন মাজারে জমা টাকার হিসাব করে পায় ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। এতে প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার টাকা জমা পড়ে বলে অনুমান করা হয়। অথচ এর আগের দায়িত্বপ্রাপ্তরা মাসে এক লাখ ২০ হাজার টাকার বেশি কখনও জমা দেননি বলে সোনালী ব্যাংক নগর ভবন শাখার বার্ষিক হিসাবে দেখা গেছে। তদন্ত কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, নতুন কর্মকতাদের দায়িত্ব দেয়ার পর এই মাজারে দানের টাকার পরিমাণ বেড়েছে কয়েক গুণ। ১২ই আগস্ট ১৫ দিনের জমা টাকা হিসাব করে পাওয়া গেছে ৬ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। ফলে এই মাজারের বছর ওয়ারী অর্ধকোটির বেশি টাকা আত্মসাতের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত বলে জানা গেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সহকারী সচিব মনোয়ার হোসেন জানান। তিনি বলেন, জমা টাকা আত্মসাতের সুযোগ আপাতত নেই। এ অবস্থায় মাজার কেন্দ্রিক প্রতারকদের তৎপরতা বেড়ে যেতে পারে। এ তৎপরতা বন্ধে শিগগির ব্যবস্থা নেয়া হবে।
__._,_.___