Banner Advertise

Wednesday, September 2, 2015

[chottala.com] জাতীয় কবির জাতি-জাগানিয়া কবিতা ও গানের অবহেলা আর কতদিন?



জাতীয় কবির জাতি-জাগানিয়া কবিতা ও গানের অবহেলা আর কতদিন? 
প্রকাশের সময় : ২০১৫-০৯-০৩ Share on -        
মোহাম্মদ আবদুল গফুর 
: গত ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) বৃহস্পতিবার চলে গেল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। অন্যান্য বছরের মতো এবারও নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর অমর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। বাংলা সাহিত্যের দুই প্রধান কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম। উভয়েরই জন্ম ব্রিটিশশাসিত ভারতবর্ষে। তাদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশ শাসনামলেই ১৯৪১ সালে পরিণত বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। নজরুল ইসলাম দৈহিকভাবে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত বেঁচে থাকলেও ১৯৪২ সালের ১০ অক্টোবর এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে চৈতন্য ও বাকশক্তি হারিয়ে ফেলার কারণে বাকি জীবন তিনি জীবন্মৃত অবস্থায় কাটাতে বাধ্য হন। ফলে ব্রিটিশ শাসনামলেই তাঁর কবি জীবনেরও করুন পরিসমাপ্তি ঘটে।বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে নজরুল ইসলামই একমাত্র উল্লেখযোগ্য কবি যিনি প্রত্যক্ষভাবে ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। যেখানে অন্যতম প্রধান কবি ব্রিটিশ শাসকদের নিকট থেকে 'স্যার' উপাধি লাভ করেছেন, সেক্ষেত্রে পরাধীনতার বিরুদ্ধে কবিতা ও গান রচনার অপরাধে ব্রিটিশ শাসনামলে তাঁকে একাধিকবার কারাদ-ে দ-িত হতে হয়েছে। ব্রিটিশ বিরোধিতার উপাদান থাকার কারণে তাঁর একাধিক গ্রন্থ সা¤্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়।এসব কারণেই রবীন্দ্রনাথের কবি-খ্যাতির সূর্য যখন মধ্যগগণে, সে সময় সেই ১৯২৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর দেশের হিন্দু-মুসলিম নেতৃস্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের উদ্যোগে কলকাতার অ্যালবার্ট হলে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় সংবর্ধনা দেয়া হয়। আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংবর্ধনা সভায় সুভাষ চন্দ্র বসু কবিকে সংবর্ধনা জানিয়ে বলেন, 'আমরা যখন যুদ্ধে যাব সেখানে নজরুলের গান গাওয়া হবে। আমরা যখন কারাগারে যাব, তখনও তাঁর গান গাইব।' স্বাধীনতা সংগ্রামে নজরুলের এই ঐতিহাসিক ভূমিকা থাকার কারণেই তাঁকে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় কবি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের যে ঐতিহাসিক তাৎপর্যের কারণে তাকে জাতীয় কবি অভিধায় অভিহিত করা হয়, তার গুরুত্ব যেমন আমরা খুব কমই অনুধাবন করি তেমনি তাঁর চর্চার ক্ষেত্রেও আমরা একই রকম বিভ্রান্তির পরিচয় দিয়ে চলেছি। কথাটা কেন ওঠে, তার ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে। উনিশশ' সাতচল্লিশ সালে যখন উপমহাদেশে সা¤্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসনের অবসান হয় তখন যদি ভারতবর্ষ অখ- অবয়বে স্বাধীনতা লাভ করত তখন কি আজ যে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক বলে গর্ব করি, তা সম্ভবপর হতো? হতো না। কারণ ১৯০ বছর ধরে ইংরেজরা ভারতবর্ষ শাসনের মাধ্যমে একশ্রেণীর হিন্দুর মনে সাম্প্রদায়িকতার বীজ এমনভাবে বপন করতে সক্ষম হয় যে, তারা সাত সাগর তের নদীর ওপার থেকে আসা সা¤্রাজ্যবাদী ইংরেজদের তুলনায় এদেশের মুসলমানদেরই অধিক ঘৃণা করতে শুরু করে। এ কারণেই দেখা যায় ১৭৫৭ সালে পলাশী ট্র্যাজেডির ফলে আমাদের স্বাধীনতা সূর্য অস্ত গেলেও এরপর ১০০ বছর পর্যন্ত হিন্দুরা স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে কোনো ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে অবতীর্ণই হয়নি। প্রতিবেশী সম্প্রদায়ের অসহযোগিতার কারণে ঐসব স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রায় সবই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। শুধু তাই নয়, পলাশীর ১০০ বছর পর সমগ্র উপমহাদেশব্যাপী সিপাহি বিদ্রোহ নামের যে ব্যাপক স্বাধীনতা সংগ্রাম সংঘটিত হয় তাতেও প্রধানত মুসলমানরাই অংশগ্রহণ করে পরাজিত হয়। সর্বশেষ এ সিপাহি বিদ্রোহও ব্যর্থ হওয়ায় তৎকালীন হিন্দু বুদ্ধিজীবীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। নানা গদ্য ও পদ্য রচনার মধ্য দিয়ে তারা ব্যর্থ বিদ্রোহের জন্য মুসলমানদের ধিক্কার দিয়ে গদ গদ ভাষায় ইংরেজ শাসকদের প্রতি তাদের আনুগত্য নিবেদন করেন। এ সময় সাহিত্য স¤্রাট বঙ্কিম চন্দ্র 'সংবাদ ভাস্বরে' লেখেন, "হিন্দু প্রজা সকল দেবালয় সকলের পূজা দেও, আমাদের রাজ্যেশ্বর যুদ্ধজয়ী হইলেন।" আর কবি ঈশ্বরগুপ্ত লিখলেন :"যবনের যত বংশএকেবারে হবে ধ্বংসসাজিয়াছে কোম্পানীর সেনাগরু-জরু লবে কেড়েচাপ-দেড়ে যত নেড়েএই বেলা সামাল সামাল।"সা¤্রাজ্যবাদ সৃষ্ট এই হিন্দু সাম্প্রদায়িকতার পটভূমিতেই ভারতীয় মুসলমানদের পক্ষ থেকে ১৯৪০ সালে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ লাহোর অধিবেশনে দাবি তুলতে বাধ্য হয়েছিল যে, সমগ্র উপমহাদেশকে এমনভাবে হিন্দু ও মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে ভাগ করতে হবে, উপমহাদেশের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকাসমূহ একাধিক স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। ইতিহাসে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের এই প্রস্তাবই 'লাহোর প্রস্তাব' নামে এবং এই লাহোর প্রস্তাবভিত্তিক আন্দোলনই 'পাকিস্তান আন্দোলন' নামে খ্যাত হয়ে আছে।স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেকালে ওই আন্দোলনে অন্যতম তরুন নেতা হিসেবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তাঁর এ কাজের সমর্থনে তিনি পরবর্তীকালে তাঁর 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী'তে তার যুক্তি তুলে ধরেন এ ভাষায় : "অখ- ভারতে যে মুসলমানদের অস্তিত্ব থাকবে না এটা আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতাম। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হিন্দু নেতারা ক্ষেপে গেছেন কেন? ভারতবর্ষেও মুসলমান থাকবে। পাকিস্তানেও হিন্দুরা থাকবে। সকলেই সমান অধিকার পাবে।" [দ্রষ্টব্য : অসমাপ্ত আত্মজীবনীÑ শেখ মুজিবুর রহমান, ২০১২, পৃ. ৩৬]এবার পুনরায় নজরুল প্রসঙ্গে ফিরে আসি। কাজী নজরুল ইসলাম শুধু একজন কবিই ছিলেন না, ছিলেন এ দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের বাস্তব-সচেতন সমর্থক। ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব পাস হওয়ার পরই তিনি টের পেয়েছিলেন যে, এই প্রস্তাবের বাস্তবায়নের মাধ্যমে অদূর ভবিষ্যতে উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চলে মুসলিম-অধ্যুষিত একটি স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হবে। সেই অনাগত স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য উপযুক্ত নাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাঙালি মুসলমানদের সেকালের মুখপত্র দৈনিক আজাদ অফিসে ছুটে গিয়েছিলেন একটি কিশোর পাতা খোলার অনুরোধ নিয়ে। দৈনিক আজাদের ঐ কিশোর পাতাই ছিল 'মুকুলের মাহফিল'।  এখানেই শেষ নয়। কবি ওই সাহিত্য পাতার পরিচালকের নাম দিয়েছিলেন- 'বাগবান'। এ তথ্য আমরা পেয়েছি মুকুলের মাহফিল পাতার প্রথম পরিচালক মোহাম্মদ মোদাব্বেরের লেখা থেকে। ওই পাতার উদ্বোধন উপলক্ষে নজরুল 'মোবারকবাদ' নামে যে কবিতাটি লিখেছিলেন, তার প্রথম ক'টি চরণ ছিল নি¤œরূপ:"মোরা ফোটা ফুল, তোমরা মুকুল এস গুল মজলিসেঝরিবার আগে হেসে চলে যাবÑ তোমাদের সাথে মিশেমোরা কীটে খাওয়া ফুলদল, তবু সাধ ছিল মনে কতÑসাজাইতে ঐ মাটির দুনিয়া ফিরদাউসের মতো।আমাদের সেই অপূর্ণ সাধ কিশোর-কিশোরী মিলেপূর্ণ করিও বেহেশত এনো দুনিয়ার মহফিলে।"এই কবিতার শেষ দু'টি চরণ নি¤œরূপ :"সেই মুকুলেরা এস মহফিলে বসাও ফুলের হাটএই বাঙলীয় তোমরা আনিও মুক্তির আরাফাত।"ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ যেমন ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের ফসল, তেমনি এই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক ভিত্তি নির্মাণেও ছিল কাজী নজরুল ইসলামের জাগরণী গান ও কবিতার ঐতিহাসিক অবদান। সে নিরিখে নজরুল আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক জনক। কিন্তু তাঁর কোন্সব গান ও কবিতার কারণে তিনি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক জনক বা জাতীয় কবি। একজন কবির কবিতা ও গানের অনুষঙ্গ হতে পারে অনেক কিছুই। প্রেম, প্রকৃতি, মানবতা, স্বজাতিপ্রেম, স্বাধীনতা, নির্যাতিতের প্রতি দরদ, স্বধর্মপ্রীতি, জাতির জাগরণÑ এসবই একজন কবির কবিতা বা গানের অনুষঙ্গ হতে পারে।নজরুলের কবিতা ও গানের উপরে উল্লেখিত বিষয়ের সবকিছু বাদ দিয়ে প্রধানত তাঁর প্রেম বিষয়ক কবিতা ও গান চর্চায় একশ্রেণীর লোকের অতি উৎসাহ দেখে মনে হয় নজরুলকে এমন খ-িতভাবে উপস্থাপনের পেছনে তাদের একটা বিশেষ অসৎ পরিকল্পনা রয়েছে। নজরুলকে জাতীয় কবি বলা হয় এজন্য নয় যে, তার অসংখ্য কবিতা ও গানের মধ্যে কিছু প্রেমের কবিতা ও গানও রয়েছে। তাঁকে জাতীয় কবি বলা হয় এজন্য যে, জাতি তার সৃষ্টির মধ্যে এমন অসংখ্য কবিতা, গান ও গদ্য রচনার সন্ধান পায় যা তাদের জাতীয় এবং সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের ধারক-বাহক, এবং যা আমাদেরকে জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে সামনে এগিয়ে চলার পথে, জাতীয় জাগরণ, স্বাধীনতা ও পাশাপাশি বিশ্বমানবতার সর্বাঙ্গীন মুক্তির পথ খুঁজে পেতে সাহায্য করে। একটা স্বাধীন জাতির আশা-আকাক্সক্ষা পূরণে জাতীয় কবির মুল ভূমিকাও এখানে। অথচ একশ্রেণীর আলোচক ও উপস্থাপকের কল্যাণে জাতীয় জাগরণে নজরুলের এই গুরুত্বপূর্ণ অবদানের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকতে বাধ্য হচ্ছে আগ্রহী শ্রোতারা। এর ফলে নতুন প্রজন্মও জাতির মুক্তি ও জাগরণে জাতীয় কবির অবদানের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে, যার সুদূরপ্রসারী পরিণতি জাতির জন্য আত্মঘাতী প্রমাণিত হতে বাধ্য। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, আজ আমরা বাংলাদেশ নামের যে স্বাধীন রাষ্ট্রের গর্বিত নাগরিক, তার রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ভিত্তি নির্মাণে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, কাজী নজরুল ইসলাম ও সঙ্গীতশিল্পী আব্বাসউদ্দিন আহমদের ছিল ঐতিহাসিক ভূমিকা। বাঙালি মুসলমানের জাগরণে শেরে বাংলার ঐতিহাসিক ভূমিকা সকলেই একবাক্যে স্বীকার করেন। বাঙালি মুসলমানের সেই নবজাগরণকালে শেরে বাংলার বাগ্মিতা অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। সেই শেরে বাংলার জনসভা সার্থকভাবে জমে উঠতেই পারত না, ওইসব সভায় আব্বাসউদ্দিনের কণ্ঠে নজরুলের জাতি-জাগানিয়া গান পরিবেশিত হওয়া ছাড়া।দুঃখের বিষয়, নজরুলের যেসব জাতি-জাগানিয়া গান একদা জাতিকে জাগিয়ে তুলতে ঐতিহাসিক অবদান রেখেছিল, আজকাল তার চর্চা একেবারেই কমে যাচ্ছে। এটা খুবই খারাপ লক্ষণ। স্বাধীনতা সম্পর্কে একটা কথা প্রায়ই বলা হয় : স্বাধীনতা অর্জন করা যতটা কঠিন, তা রক্ষা করা তার চাইতেও ঢের বেশী কঠিন। এটা শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতা সম্পর্কেই নয়, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা সম্পর্কেও সমভাবে প্রযোজ্য। আর সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার মূল কাজই হচ্ছে জাতির সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষা ও শক্তিশালী করা। জাতীয় কবি নজরুলের জাতি-জাগানিয়া কবিতা ও গান অবহেলা করা হবে জাতির সাংস্কৃতিক পতনকে ত্বরান্বিত করা। এই আত্মঘাতী প্রবণতা থেকে আমরা কবে মুক্তি পাব?   - See more at: http://www.dailyinqilab.com/details/28066/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%93-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%A4%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8?#sthash.A1kqEPxE.dpuf


Copyright Daily Inqilab


__._,_.___

Posted by: Shahadat Hussaini <shahadathussaini@hotmail.com>


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___