এতক্ষণে শয়তান ভর করিছে কামালেরে
Shahadat Suhrawardy
Shahadat Suhrawardy
'২৫শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর বাসভবন থেকে টেলিফোনে দেয়া যুদ্ধপ্রস্তুতির নির্দেশনায় সম্পৃক্ত ছিলাম'
30 Mar, 2015
একাত্তরের মার্চের উত্তাল দিনগুলোর ঘটনা প্রবাহ পরিবর্তন হয়েছে দ্রুত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের উত্তাল ভাষণের মধ্য দিয়েই পরিস্কার হয়ে ওঠে, পৃথক জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তির সংগ্রাম সময়ের দাবি। সেকারণেই মার্চে ভেতরে ভেতরে চলতে থাকে যুদ্ধপ্রস্তুতি। আলোচনার নামে সময়ক্ষেপণ করে পাকিস্তানি বাহিনীর সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করছে, এমন ধারণা থেকেই এই যুদ্ধপ্রস্তুতি সম্পন্ন হতে থাকে।
তবে ২৫শে মার্চ সন্ধ্যায় সারাদেশে যুদ্ধের প্রস্তুতির নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের টেলিফোনের মাধ্যমে। তৎকালীন আওয়ামী লীগের নেতা ও বর্তমান গণফোরাম নেতা ড.কামাল হোসেন দাবি করেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন অর্থাৎ ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে টেলিফোনে নির্দেশনা পৌঁছানোর ওই প্রক্রিয়ায় তিনিও সম্পৃক্ত ছিলেন।
'২৫ তারিখ সন্ধ্যার দিকে আমরা রিপোর্ট পাওয়া শুরু করলাম যে ট্যাংক ক্যান্টোনমেন্টে লাইনআপ হচ্ছে, আক্রমণ করার প্রস্তুতি সমানে ওইখানে চলছে। আমরা সেটা রিপোর্ট করলাম। বঙ্গবন্ধু তখন বললেন হ্যা তারাতো মনে হয় এখন আক্রমণে যাবে। ইন্সট্রাকশনে তখন আমাদের একটা ফর্মুলা ছিলো, যে মুহুর্তে তারা আক্রমণ শুরু করবে সে মুহুর্তু থেকে আমরা স্বাধীন। আঘাত হওয়ার সাথে সাথে আমরা স্বাধীন। যে যা কিছু পাই তা নিয়ে আমরা প্রতিবাদ প্রতিরোধে নেমে যাবো। ' বিবিসি বাংলার সঙ্গের এক সাক্ষাৎকারে একথা জানান তিনি। বলেন, যার যেখানে যে ধরনের অস্ত্র হাতে নেয়ার সুযোগ আছে, তাই নিয়ে নেমে পড়তে হবে; এই নির্দেশনা তারা সবাই অনুসরণ করেছেন।
২৫শে মার্চ সন্ধ্যার মধ্যেই পাকিস্তানি বাহিনী আক্রমণের সব প্রস্তুতি শেষ করেছিলো। সে খবর বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২নং বাড়িতেও এসেছিলো। তবে বিকেলে আওয়ামী লগের সিনিয়র নেতাদের সাথে এক আলোচনায় শেখ মুজিবুর রহমানও পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণের আশংকা প্রকাশ করেছিলেন।
শেষ পর্যন্ত ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের জগন্নাথ হল, নীলক্ষেতে শিক্ষকদের একটি আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় আক্রমণ চালায়।
ড. কামাল হোসেন আরো বলেন সে সময় তারা নিরাপদে গিয়ে প্রতিরোধ করার নির্দেশ পেয়েছিলেন। 'বঙ্গবন্ধু সে সময় আমাদের বলেন, তোমরা এখনো এখনে নয়টা বাজে তোমাদেরতো চলে যাবার কথা। দেরী করো না বলে আমাকে ঠেলে গাড়িতে উঠিয়ে দিলেন। তিনি এসময় বললেন, তোমরা যাও আমার জন্য আল্লাহ রয়েছে ।'
বঙ্গবন্ধুর বরাতে ড. কামাল আরও জানান, গ্রেপ্তারের জন্য বাঙালির অবিসংবাদিত ওই নেতাকে হাতের কাছে না পেলে বাঙালির উপর আরও নিপীড়ন নির্যাতন নেমে আসতে পারে; এই বিবেচনা থেকে নিজ বাসভবনে থেকে গিয়েছিলেন শেখ মুজিব।
তবে ২৫শে মার্চ সন্ধ্যায় সারাদেশে যুদ্ধের প্রস্তুতির নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের টেলিফোনের মাধ্যমে। তৎকালীন আওয়ামী লীগের নেতা ও বর্তমান গণফোরাম নেতা ড.কামাল হোসেন দাবি করেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন অর্থাৎ ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে টেলিফোনে নির্দেশনা পৌঁছানোর ওই প্রক্রিয়ায় তিনিও সম্পৃক্ত ছিলেন।
'২৫ তারিখ সন্ধ্যার দিকে আমরা রিপোর্ট পাওয়া শুরু করলাম যে ট্যাংক ক্যান্টোনমেন্টে লাইনআপ হচ্ছে, আক্রমণ করার প্রস্তুতি সমানে ওইখানে চলছে। আমরা সেটা রিপোর্ট করলাম। বঙ্গবন্ধু তখন বললেন হ্যা তারাতো মনে হয় এখন আক্রমণে যাবে। ইন্সট্রাকশনে তখন আমাদের একটা ফর্মুলা ছিলো, যে মুহুর্তে তারা আক্রমণ শুরু করবে সে মুহুর্তু থেকে আমরা স্বাধীন। আঘাত হওয়ার সাথে সাথে আমরা স্বাধীন। যে যা কিছু পাই তা নিয়ে আমরা প্রতিবাদ প্রতিরোধে নেমে যাবো। ' বিবিসি বাংলার সঙ্গের এক সাক্ষাৎকারে একথা জানান তিনি। বলেন, যার যেখানে যে ধরনের অস্ত্র হাতে নেয়ার সুযোগ আছে, তাই নিয়ে নেমে পড়তে হবে; এই নির্দেশনা তারা সবাই অনুসরণ করেছেন।
২৫শে মার্চ সন্ধ্যার মধ্যেই পাকিস্তানি বাহিনী আক্রমণের সব প্রস্তুতি শেষ করেছিলো। সে খবর বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২নং বাড়িতেও এসেছিলো। তবে বিকেলে আওয়ামী লগের সিনিয়র নেতাদের সাথে এক আলোচনায় শেখ মুজিবুর রহমানও পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণের আশংকা প্রকাশ করেছিলেন।
শেষ পর্যন্ত ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের জগন্নাথ হল, নীলক্ষেতে শিক্ষকদের একটি আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় আক্রমণ চালায়।
ড. কামাল হোসেন আরো বলেন সে সময় তারা নিরাপদে গিয়ে প্রতিরোধ করার নির্দেশ পেয়েছিলেন। 'বঙ্গবন্ধু সে সময় আমাদের বলেন, তোমরা এখনো এখনে নয়টা বাজে তোমাদেরতো চলে যাবার কথা। দেরী করো না বলে আমাকে ঠেলে গাড়িতে উঠিয়ে দিলেন। তিনি এসময় বললেন, তোমরা যাও আমার জন্য আল্লাহ রয়েছে ।'
বঙ্গবন্ধুর বরাতে ড. কামাল আরও জানান, গ্রেপ্তারের জন্য বাঙালির অবিসংবাদিত ওই নেতাকে হাতের কাছে না পেলে বাঙালির উপর আরও নিপীড়ন নির্যাতন নেমে আসতে পারে; এই বিবেচনা থেকে নিজ বাসভবনে থেকে গিয়েছিলেন শেখ মুজিব।
__._,_.___