এরশাদ নন, বেগম জিয়া নিজেই খুনী ॥ বাবলু
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের জবাবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ নয়, বেগম জিয়া নিজেই খুনী। ক্ষমতায় থাকাকালে বেগম জিয়া সারের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকদের হত্যা করেছেন, আন্দোলনের নামে সারাদেশে জ্বালাও-পোড়াও করে নিরীহ মানুষ ও পুলিশ মেরেছেন। মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যার সময় ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিএনপিরই নেতা বিচারপতি আবদুস সাত্তার। ইতিহাসের এ সত্যটি সবাই জানে। বেগম জিয়া শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে রবিবার রাতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। মহাসচিব নিযুক্ত হবার পর চট্টগ্রামে প্রথম আগমন উপলক্ষে বিমান বন্দরে সংবর্ধনা গ্রহণশেষে তিনি আসেন প্রেসক্লাবে। এ সময় মেহজাবীন মোরশেদ এমপি, সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী, উত্তর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শায়েস্তা খান চৌধুরী প্রমুখ।
জিয়াউদ্দিন বাবলু বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এরশাদ যদি জিয়া হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতেন তাহলে বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে তার বিচার করলেন না কেন। বিচারতো করেননি, বরং তিনি ও তার পুত্র হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে জোটে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন।
জাপা মহাসচিব বেগম জিয়ার বক্তব্যে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ঐ নেত্রী রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে ইতিহাস বিকৃত করছেন। তার বক্তব্য অশোভন, অসত্য ও দুরভিসন্ধিমূলক। 'হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও মেজর জেনারেল মঞ্জুকে হত্যা করেছে' খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, বেগম জিয়া নিজেই একজন খুনী। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে তিন মাসে আন্দোলনের নামে সহিংসতায় নিহত হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৯ সদস্যসহ ১৩৫ জন সাধারণ মানুষ। নিরীহ এ মানুষগুলো বেগম জিয়ার হাতে নিহত হয়েছেন। তন্মধ্যে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন ২৬ জন। অতীতের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বাবলু বলেন, ১৯৯৬ সালে বেগম জিয়ার ক্ষমতায় থাকাকালে গাইবান্ধায় সারের দাবিতে আন্দোলনকারী ১১ জন কৃষককে প্রাণ দিতে হয়েছে। রাজশাহীর কানসাটে বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভরত ২০ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। বেগম জিয়া একজন হত্যাকারী। জিয়াউদ্দিন বাবলু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের জবাবে জিয়াউদ্দিন বাবলু আরও বলেন, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ খুনী নন। ১৯৮১ সালে ৩০ মে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নৃশংসভাবে নিহত হয়েছেন। এর সঙ্গে এরশাদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই, যার প্রমাণ বেতার ভাষণের মাধ্যমে মেজর জেনারেল মঞ্জুরের জিয়া হত্যার দায় স্বীকার। আর জিয়া হত্যার পর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন বিএনপিরই নেতা বিচারপতি আবদুস সাত্তার। তখন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন না। এছাড়া বেগম জিয়া দু'দফায় ক্ষমতা থাকাকালে কখনই এরশাদকে প্রেসিডেন্ট জিয়া হত্যাকারী বা হত্যার নেপথ্যে তাঁর জড়িত থাকার কথা বলেননি। বরং এরশাদকে নিয়ে জোট করতে চেয়েছেন। বেগম জিয়ার পুত্র তারেক রহমান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বাসায় পর্যন্ত গিয়েছিলেন। বেগম জিয়াও তাঁর পুত্র তারেক রহমানের মতো ইতিহাস বিকৃত করছেন বলে উল্লেখ করে জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেন, তারেক লন্ডনে বসে ইতিহাস বিকৃত করছেন। আর বেগম জিয়াও যুক্ত হয়েছেন। তিনি মিথ্যাচার বন্ধ করে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে রবিবার রাতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। মহাসচিব নিযুক্ত হবার পর চট্টগ্রামে প্রথম আগমন উপলক্ষে বিমান বন্দরে সংবর্ধনা গ্রহণশেষে তিনি আসেন প্রেসক্লাবে। এ সময় মেহজাবীন মোরশেদ এমপি, সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী, উত্তর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শায়েস্তা খান চৌধুরী প্রমুখ।
জিয়াউদ্দিন বাবলু বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এরশাদ যদি জিয়া হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতেন তাহলে বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে তার বিচার করলেন না কেন। বিচারতো করেননি, বরং তিনি ও তার পুত্র হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে জোটে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন।
জাপা মহাসচিব বেগম জিয়ার বক্তব্যে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ঐ নেত্রী রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে ইতিহাস বিকৃত করছেন। তার বক্তব্য অশোভন, অসত্য ও দুরভিসন্ধিমূলক। 'হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও মেজর জেনারেল মঞ্জুকে হত্যা করেছে' খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, বেগম জিয়া নিজেই একজন খুনী। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে তিন মাসে আন্দোলনের নামে সহিংসতায় নিহত হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৯ সদস্যসহ ১৩৫ জন সাধারণ মানুষ। নিরীহ এ মানুষগুলো বেগম জিয়ার হাতে নিহত হয়েছেন। তন্মধ্যে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন ২৬ জন। অতীতের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বাবলু বলেন, ১৯৯৬ সালে বেগম জিয়ার ক্ষমতায় থাকাকালে গাইবান্ধায় সারের দাবিতে আন্দোলনকারী ১১ জন কৃষককে প্রাণ দিতে হয়েছে। রাজশাহীর কানসাটে বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভরত ২০ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। বেগম জিয়া একজন হত্যাকারী। জিয়াউদ্দিন বাবলু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের জবাবে জিয়াউদ্দিন বাবলু আরও বলেন, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ খুনী নন। ১৯৮১ সালে ৩০ মে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নৃশংসভাবে নিহত হয়েছেন। এর সঙ্গে এরশাদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই, যার প্রমাণ বেতার ভাষণের মাধ্যমে মেজর জেনারেল মঞ্জুরের জিয়া হত্যার দায় স্বীকার। আর জিয়া হত্যার পর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন বিএনপিরই নেতা বিচারপতি আবদুস সাত্তার। তখন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন না। এছাড়া বেগম জিয়া দু'দফায় ক্ষমতা থাকাকালে কখনই এরশাদকে প্রেসিডেন্ট জিয়া হত্যাকারী বা হত্যার নেপথ্যে তাঁর জড়িত থাকার কথা বলেননি। বরং এরশাদকে নিয়ে জোট করতে চেয়েছেন। বেগম জিয়ার পুত্র তারেক রহমান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বাসায় পর্যন্ত গিয়েছিলেন। বেগম জিয়াও তাঁর পুত্র তারেক রহমানের মতো ইতিহাস বিকৃত করছেন বলে উল্লেখ করে জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেন, তারেক লন্ডনে বসে ইতিহাস বিকৃত করছেন। আর বেগম জিয়াও যুক্ত হয়েছেন। তিনি মিথ্যাচার বন্ধ করে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান।
__._,_.___