Please read the book first before making judgement.
Post:
লেখক শারমিন আহমদের তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা গ্রন্থটি যেমন দেশের স্বাধীনতার বরেন্য ব্যাক্তি বর্গ, সত্য সন্ধানী ও অধিকাংশ পাঠকের ভুয়শী প্রশংসা কুড়িয়েছে তেমনি কোন কোন মহলের রোষানলেও পড়েছে। এই মহলটি লেখকের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমন, কুৎসা রটনা ও অপপ্রচারনা চালিয়েছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বইটি না পড়েই। এই ধরনের অশোভনীয়, মিথ্যা ও অপ্প্রচারনার মাধ্যমে তারা নিজেদেরকেই ছোট করেছেন।
তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা বইটির প্রথম মোড়ক উন্মোচন হয় ১৮ এপ্রিল, ২০১৪ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকায় ।
শারমিন আহমদের বই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে্র অতিথি বৃন্দ যারা বইটির ঐতিহাসিক গুরুত্ত, অবদান নিয়ে প্রশংসা করেছেন এবং বইটির সমর্থনে বক্তব্য রেখেছেন তাঁরা হলেন প্রফেসর এমেরিটাস ডঃ আনিসুজ্জামান, ডঃ কামাল হোসেন, ব্যারিসটার আমীর উল ইসলাম, প্রফেসর আবুল কাসেম ফজলুল হক এবং লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক মইদুল হাসান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রেখেছেন তাজউদ্দীন আহমদের কনিষ্ঠ ভাই অ্যাডভোকেড আফসার উদ্দীন আহমদ, কনিষ্ঠ কন্যা মাহজাবীন আহমদ মিমি, লেখকের স্বামী ডঃ আমর খায়রি আব্দাল্লা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পার্সোনাল এইড হাজী গোলাম মুরশেদ এবং তাজউদ্দীন আহমদের কলেজ জীবনের বন্ধু চিকিৎসক ডঃ এম. এ . করিম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঐতিহ্য প্রকাশনার প্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান নাইম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক কামাল লোহানী, প্রাক্তন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডঃ দীপুমনি, তাঁর স্বামী ব্যারিস্টার তৌফিক নেওয়াজ, লেখকের অপর বোন সাংসদ সিমিন হোসেন রিমি, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে শান্তি ও সংঘর্ষ শিক্ষা বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ডালেম চন্দ্র বর্মণ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর হারুন অর রশীদ, ভাস্কর্য শিল্পী ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণী, প্রমুখ । অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক, এশিয়াটিক সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারি প্রফেসর আহমেদ এ. জামাল।
Video of the Complete Program. Tajuddin Ahmad Neta O Pita Book Launching. Dhaka. (তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ভিডিও। ঢাকা )
তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা বইটির দ্বিতীয় প্রকাশনা অনুষ্ঠান হয় ( ২৫ এপ্রিল, বাতিঘর প্রেস ক্লাব ভবন)
চট্টগ্রামে।
বই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে্র অতিথি বৃন্দ যারা বইটির ঐতিহাসিক গুরুত্ত, অবদান নিয়ে প্রশংসা করেছেন এবং বইটির সমর্থনে বক্তব্য রেখেছেন তাঁরা হলেন ব্যারিসটার আমীর উল ইসলাম যিনি লেখকের সাথে
বইয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবার জন্য ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যান এবং অর্থনীতিবিদ প্রফেসর মইনুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী।
Video of the Complete Program. Tajuddin Ahmad Neta O Pita Book Launching. Chittagong. (তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান ভিডিও চট্টগ্রাম।
Suprobhat Report Of Tajuddin Ahmad Neta O Pita book launching। Chittagong. সুপ্রভাত রিপোর্ট।
বলা বাহুল্য যে এই বরেন্য ও খ্যাতিমান অতিথি ও বক্তা বৃন্দর কথা এবং বইটি সম্পরকে মূল ধারার পত্রিকায় সাম্প্রতিক রিভিউ ও প্রবন্ধ প্রমান করে যে লেখক শারমিন আহমদের বইটির ঐতিহাসিক গুরুত্ত ও গভীরতা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মনগড়া ও ব্যাক্তিগত আক্রমন এবং অপপ্রচারনা গুলি বইটিকেই ডিসক্রেডিট করার অপপ্রয়াস মাত্র। আশার বিষয় যে যারাই বইটি পড়েছেন তাদের কথাতেই প্রমানিত হয় যে বইটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল সংগঠক ও পরিচালক তাজউদ্দীন আহমদের অসাধারন ভূমিকা জানার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে।
The Daily Star Book Review. Tajuddin Ahmad Neta O Pita
Dr. Moinul Islam's article
মানব জমিনের কাছে দেয়া তাঁর সাক্ষাৎ কারে এবং লেখা ও বক্তব্যে লেখক শারমিন আহমদ বলেছেন যে বঙ্গবন্ধু ছিলেন স্বাধীনতার প্রেরনা এবং তাজউদ্দীন আহমদ তার সফল বাস্তবায়ক। ঐ সাক্ষাৎকারে তিনি তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারনা গুলিকে যুক্তি ও তথ্যর ভিত্তিতে খণ্ডন করেন।
Author Sharmin Ahmad's Interview with Monob Jomin
শারমিন আহমদ একাত্তর টিভি র সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন যে ছবিতে তিনি যে পতাকা ধরে রয়েছেন তা মুসলিম ব্রাদার হুডের পতাকা নয়। ঐ পতাকাটি মিশরের পতাকা যা তাহরীর স্কয়ারের বিজয়ের দিন তোলা হয়। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারীতে তাহরীর স্কয়ারের বিজয়ের দিনে তিনি তার স্বামী জাতিসঙ্ঘ ম্যানডেটেড ইউনিভার্সিটি ফর পীসের ভাইস রেকটর ও শান্তি ও সংঘর্ষ শিক্ষার খ্যাতিমান প্রফেসর ডঃ আমর খাইরি আব্দাল্লার সাথে আমেরিকা হতে ওনার শ্বশুর বাড়ী মিশরে গিয়েছিলেন স্বৈর শাসনের পতনে গন বিজয়ের আনন্দে অংশ নিতে। সারা বিশ্ব হতেই মানুষ সেই বিজয়ে অংশ নিয়েছিল। বাংলাদেশের জনকণ্ঠ পত্রিকায় তাহরীর স্কয়ারে বিজয়ের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা নিয়ে শারমিন আহমদের লেখা, তাহরীর স্কয়ারের বিভিন্ন ছবি সহ ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে ঐ লেখা ইংরেজিতে বই হিসেবেও যুক্তরাষ্ট্র হতে প্রকাশিত হয়েছে। এই ওয়েবসাইটে বইটির খোঁজ পাওয়া যাবে www.daughterofbangladeshliberation.com
তিনি ঐ সাক্ষাৎকারে দর্শকদের অনুরোধ জানান খণ্ডিত আকারে নয় পুরা বইটি পড়তে। তাঁর বইতে উল্লেখিত ( পাতা ১৪৭-১৪৮, ২৬৫, ২৮৯,৩০১) প্রকৌশলী নুরুল হক এবং বঙ্গবন্ধুর পার্সোনাল এড হাজী গোলাম মুরশেদের বিশদ উল্লেখ রয়েছে। প্রথম ব্যাক্তি বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে খুলনা থেকে ট্রান্সমিটার আনেন এবং দ্বিতীয় ব্যাক্তি যিনি ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর সাথে গ্রেফতার হন তিনি সাক্ষী ছিলেন যে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে স্বাধীনতার ঘোষণা ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে পাঠান হয়েছিলো, যা ঐতিহাসিক প্রামান্য রুপে লেখক শারমিন আহমদের বইটিতে প্রথম লিপিবদ্ধ হয়েছে। ঘনিশট সহকর্মী তাজউদ্দীন আহমদ ও দলকে কেন বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিলেন না তারও বিস্তারিত আলোচনা লেখক তার বইএ করেছেন।
মূল কথা শারমিন আহমদের এই বহুল আলোচিত বইটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বহু অস্পষ্টতা ও ফাঁক দূর করতে সহায়ক হবে এবং ব্যাক্তি, মানুষ, রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্র নায়ক তাজউদ্দীন আহমদকে জানার ক্ষেত্রকে প্রসারিত করবে।
শারমিন আহমদের সাথে সাক্ষাৎকার। বাংলা ভিসন, ৩০ এপ্রিল, ২০১৪। Interview with Sharmin Ahmad.Bangla Vision, 30 April, 2014.
Truth dispels darkness. Love conquers hatred.
সত্য অন্ধকারকে দূর করে। ভালবাসা ঘৃণাকে জয় করে।
__._,_.___