Banner Advertise

Tuesday, May 20, 2014

[chottala.com] বঙ্গবন্ধু নয়, জাতিকে বিভক্ত করেছে জিয়া



প্রায় বিশ-পঁচিশ বছর আগে যখন চারদিকে দানবের বিষাক্ত নিঃশ্বাস, জাতির মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ যখন ছিনতাই হওয়ার পথে, তখন ওই অন্ধকার সময়ের মধ্যে মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার আস্থা তৈরির তাগিদে লিখতে শুরু করেছিলাম দৈনিক সংবাদে। সেসব লেখার সঙ্গে একাধিক লেখা ছিল জিয়ার প্রকৃত চরিত্র উন্মোচন বিষয়ে। এর একটি বড় কারণ ছিল শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে কর্মরত অবস্থায় সমাজবিজ্ঞানে বা বাংলা-ইংরেজি পাঠ্যপুস্তকে বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দীন, মুক্তিযুদ্ধ, ২৫ মার্চের পাকিস্তানী সেনা ও রাজনীতিকদের যৌথ উদ্যোগে বাঙালীর ওপর পরিচালিত গণহত্যা, ধর্ষণ, বুদ্ধিজীবী হত্যার প্রকৃত সার্বিক বিবরণ ও ছবি সংযুক্ত করতে না পারার বিস্ময় ও প্রতিবাদ! এবার খালেদা জিয়া মন্তব্য করেছেন, 'জাতিকে বিভক্ত করেছেন বঙ্গবন্ধু'! এ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আবার ভাল করে ইতিহাসকে দেখার সুযোগ পাওয়া গেল। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে বসবাসকারী একমাত্র যুদ্ধাপরাধীদের ছাড়া অন্য সব বাঙালী, আদিবাসীকে ঐক্যবদ্ধ জাতি হয়ে ওঠার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন 'আজ থেকে সবাই বাঙালী (বাংলাদেশের বাসিন্দা অর্থে) হয়ে যাও।'

06032014_005_BANGABANDHU

'৭২ সালে রচিত সংবিধানে জাতির যে চারটি মৌল প্রত্যয় নির্ধারণ করা হয় তাতে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও বাঙালী জাতীয়তাবাদ অন্তর্ভুক্ত হয়। সংবিধানের এই 'বাঙালী জাতীয়তা' প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধু-তাজউদ্দীনসহ সব নেতা ও সংবিধান প্রণেতা 'ব্রিটিশ' বা 'ইংলিশ', 'স্কটিশ', 'আমেরিকান', 'জার্মান', 'ফ্রেঞ্চ', 'জাপানিজ', 'রাশিয়ান', 'চাইনীজ', 'ভারতীয়', 'পাকিস্তানী'-এই অর্থে ব্যবহার করেছেন। পাকিস্তানে বা ভারতে পাঠান, পাঞ্জাবী, শিখ, বালুচ, সিন্ধী, নানা উপজাতি যেমন হাজরা, মেঙ্গল, ভারতে বোড়ো, কোচ, কুকি, সাঁত্ততাল সবাই পাকিস্তানী ও ভারতীয়। পরবর্তীকালে এই ব্যাখ্যার অনুসরণে আমি লিখেছিলাম যে, বাংলাদেশের সব নাগরিকের নাগরিকত্বের নাম বাংলাদেশি, বাঙালীর নৃতাত্ত্বিক-সাংস্কৃতিক-ভাষাগত নাম হবে বাঙালী। বর্তমানে এটিই প্রচলিত আছে। এ ভুলটা একা বঙ্গবন্ধুর নয়, সব সংবিধান প্রণেতা এবং আওয়ামী লীগের সে সময়ের বড় বড় মেধাবী নেতাসহ এ ভুল সংজ্ঞাটি ব্যবহার করেছেন নাগরিক অর্থে।

এখানে প্রাসঙ্গিক দু'টি ঘটনা স্মরণ করা দরকার।
১. সেনাবাহিনীতে জিয়াউর রহমানের নানা অপতৎপরতার কারণে বঙ্গবন্ধু তার চাকরি সেনাবাহিনী থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে তাকে রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করেছিলেন; যেটি জিয়া প্রধানত তদানীন্তন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা নূরুল ইসলামের হাতে-পায়ে ধরে, ক্ষমা চেয়ে সেনাবাহিনীতেই তাকে রাখতে বঙ্গবন্ধুকে অনিচ্ছাসত্ত্বেও সম্মত করাতে সক্ষম হন। পরে নূরুল ইসলাম মৃত্যুশয্যায় জিয়াকে বিশ্বাস করে তিনি বঙ্গবন্ধু ও জাতির কত বড় ক্ষতি করেছেন সে বিষয়ে লিখেছেন।

২. মেজর শফিউল্লাহ সেনাপ্রধান হওয়াতে চরম অসন্তুষ্ট জিয়াকে সন্তুষ্ট করতে বঙ্গবন্ধু উপসেনা প্রধানের পদ সৃষ্টি করে জিয়াকে এ পদে নিয়োগ দিয়ে সেনাবাহিনীতে থেকে যাবার সুযোগ দেন। অথচ বঙ্গবন্ধু লন্ডনে চিকিৎসার জন্য গেলে তখনি একটি ক্যু প্রচেষ্টা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তা জেনেও জিয়া বা কোন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি। তিনি শত্রু-মিত্র সবাইকে নিয়ে দেশ গড়তে চেয়েছিলেন, এটি ছাড়াও এর বহু উদাহরণ আছে।

জিয়াউর রহমান ঐ উপসেনাপ্রধান হওয়ার বছর খানেকের মধ্যে '৭৫-এর ১৫ আগস্ট, বঙ্গবন্ধু সপরিবার পাকিস্তান প্রত্যাগত সেনাদের হাতে নিহত হন। ঐ খুনীরা ৩ নবেম্বর জেলখানায় তাজউদ্দীনসহ চার জাতীয় নেতা, মুক্তিযুদ্ধের পরিচালকদের হত্যা করে। ঐ হত্যাকারীরা জিয়াউর রহমানের এ হত্যা মিশনে সম্মতি ছিল বলে জানিয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, খালেদা জিয়া, সদ্য স্বাধীন দেশের জনক, তাঁর পরিবার ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান নেতাদের হত্যা করে জিয়া ও খুনী দলই কি প্রথম জাতিকে বিভক্ত করেনি? স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধপন্থীদের হত্যাকারী গোলাম আযম ও জামায়াতে ইসলামীর পর জিয়াই কি যুদ্ধাপরাধীদের সূচিত ঐ হত্যা প্রক্রিয়াকে নতুন করে সূচনা করেনি?

৩. খালেদা জিয়া, বলুন, কেন জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণ করেই একজন যুদ্ধাপরাধীকে প্রধানমন্ত্রিত্ব দিয়ে, অন্য যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রিত্ব দিয়ে আপনার মতোই যুদ্ধাপরাধীর পক্ষ নিলেন? প্রথমেই তিনি কেন যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্য বঙ্গবন্ধু কর্তৃক গঠিত সত্তরের বেশি ট্রাইব্যুনাল বন্ধ করে দিয়ে ঐ গ্রেফতারকৃত, বিচারাধীন, দন্ডিত ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধীর বিচার বন্ধ করলেন, দন্ড মওকুফ করলেন, মুক্তি দিলেন এবং বিদেশ থেকে ফেরত আসার পথ সুগম করে দেশে তাদের সব নাগরিক অধিকার ফেরত দিলেন? দেশের শত্রুদের পক্ষ নিয়ে তিনিই কি স্বাধীন জাতিকে নতুন করে শত্রুর মুখে ঠেলে দেননি? এটিই তো বিভাজন, নয় কি?

বঙ্গবন্ধু তো যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করে দেশ ও সমাজকে যুদ্ধাপরাধীমুক্ত করে স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে সবাইকে এক কাতারে দাঁড় করিয়ে দেশকে দ্রুত উন্নতির পথে নিয়ে যেতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। আপনি নিশ্চয় জানেন, অন্যান্য যে কোন দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, শাস্তি তো হয়ই, উপরন্তু তাদের ভোটাধিকারসহ রাজনীতি করার অধিকার থাকে না। ইউরোপ আপনার যত বন্ধুই হোক, তারা কিন্তু সেই '৪৫-এ শেষ হওয়া হিটলারের দ্বারা সূচিত দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের গেস্টাপো বাহিনীর উত্থানের বিরুদ্ধে এখনও প্রতিটি দেশই কঠোর দৃষ্টি রাখে যাতে কোনভাবে ইউরোপে হিটলারের নাজিবাদ আর মাথা তুলতে না পারে।

খালেদা জিয়া, আপনি যদি মনে করেন বঙ্গবন্ধু সরকার যুদ্ধাপরাধী ও মুক্তিযুদ্ধপন্থী হিসেবে জাতিকে বিভক্ত করেছেন, তাহলে আপনি নিজেকে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ হিসেবে প্রমাণ করবেন যা আপনি, জিয়া, তারেক অনেকভাবেই প্রমাণ করেছেন। এখনও আপনারা তাদের মিত্রই আছেন। এরা জাতির শত্রু। এদের বিচার ও দন্ড দেবার কাজটিকে বিদ্রূপ করে আপনি জাতির বিভাজন বলছেন বলে জাতি যদি মনে করে, তা কি ভুল হবে?

৪. জিয়াউর রহমান '৭২-এর সংবিধানকে মুসলমানী করে প্রকারান্তরে বাঙালী জাতিকে ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত করেছেন, যেমন জামায়াত করে! তিনি অসাম্প্রদায়িক বাঙালীকে সংবিধানের একটি স্তম্ভ 'ধর্মনিরপেক্ষতা' কর্তন করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের আর্টিকেলটি তুলে দিয়ে সংবিধানে 'আল্লাহ্র ওপর বিশ্বাস'কে জুড়ে দিয়ে মুসলমান ও অমুসলমানে অসাম্প্রদায়িক বাঙালীকে বিভক্ত করেছেন।

৫. জিয়াউর রহমান 'বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ' নাম দিয়ে বাঙালীকে বিভক্ত করেছেন অতি চাতুর্যের সঙ্গে। তিনি এ নামকরণকে যদি নাগরিকত্বের নাম হিসেবে উল্লেখ করতেন, তা হলে কাজটি সঠিক হতো। কিন্তু স্পষ্টত, তিনি মুক্তিযুদ্ধজাত দৃঢ় ঐক্যবদ্ধ নবীন স্বাধীন বাঙালী জাতির মধ্যে বিশাল একটি ফাটল সৃষ্টি করলেন। কারণ মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধপন্থী বাঙালী এখন 'বাঙালী' ও 'বাংলাদেশী' এই দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে গেল। এর ফলে সাধারণ জনের সামনে 'ধর্মনিরপেক্ষতা'কে ধর্মহীনতা হিসেবে গণ্য করা, আল্লাহ্কে যারা মানে তারা ধার্মিক এবং এরাই বাংলাদেশী; অপরদিকে ধর্মনিরপেক্ষ বাঙালী হিন্দুয়ানী পূজাপার্বণে বিশ্বাসী, এমন একটি চিত্রই কিন্তু তিনি অতিধূর্ততার সঙ্গে মানুষের মনে এঁকে দিয়েছেন। পাশাপাশি চলেছিল বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দীন হিন্দু ছিলেন, তাজউদ্দীনের স্ত্রী হিন্দু ছিলেন ইত্যাদি প্রচারণাসহ আরও নানা চরিত্র হননকারক প্রচারণা। শেখ মনি, শেখ কামাল, শেখ জামালের চরিত্র হনন হয়েছিল সীমাহীন। জাতির এই বিভক্তির পরিণাম হয়েছে ভয়াবহ। একদিকে সেনানিবাসে চলছিল মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের 'ক্যু'র নাম দিয়ে ফাঁসিতে হত্যা, অপরদিকে পাকিস্তানপন্থী-পাকিস্তান ফেরত সেনা-আমলাদের সব রকম সুযোগ-সুবিধা-পদ লাভ। বাঙালী মানে হলো অধার্মিক, হিন্দুঘেঁষা আর বাংলাদেশী মানে হলো ধার্মিক মুসলমান। এ তত্ত্ব জিয়ার সৃষ্টি!

৬. সুতরাং বাংলাদেশী আর জামায়াতী-যুদ্ধাপরাধী এক আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে ওঠে। ক্রমে বাংলাদেশীদের ঘাড়ে পা রেখে যুদ্ধাপরাধী, ধার্মিক নামের গণহত্যাকারী ধর্মব্যবসায়ী ধর্ষকরা ব্যবসা-বাণিজ্য করে ফুলেফেঁপে উঠল। বিপরীতে জনমানুষের মন থেকে মলিন হয়ে গেল মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানায়কদের অবদান, রাজনৈতিক নেতাদের স্মৃতি ও ছবি। 'বাংলাদেশী'দের দাপটে 'বাঙালী' সমাজে কোণঠাসা হয়ে পড়ল তাদের নিজেদের অসামান্য অবদানে ও যোগ্য নেতৃত্বে অর্জিত এই স্বাধীন দেশে। এই বিভাজন ও সরকার কর্তৃক শত্রুর পক্ষাবলম্বনই বাংলাদেশের সবচাইতে বড় ক্ষতির কারণ।

এখানে মনে পড়ছে '৯১, ৯২, ৯৩ সালে যখন প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষাক্রম উন্নয়নের গবেষণা ও ভিডিও তৈরির সময় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের শেখ মুজিব, জয় বাংলা, বঙ্গবন্ধু শব্দগুলো বলছিলাম, সে শব্দগুলো শুনেই শিশুদের মুখ পাংশু, ঠোঁট কাঁপতে দেখেছি। কোন একটি স্কুলে ঐ এলাকার একজন যুদ্ধ করা আহত মুক্তিযোদ্ধার খোঁজ করে একজনকে পেলাম যাকে স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের দিয়ে প্রশ্ন করিয়ে মুক্তিযোদ্ধার দেয়া উত্তরগুলো লিখতে বলেছিলাম। পঞ্চান্ন মিনিটের ঐ প্রকৃতি ও স্থানীয় উপাদান ব্যবহার করে পাঠদানের মডেলগুলোর ভিডিওটি শিক্ষক প্রশিক্ষণের একটি উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করার জন্য নির্মিত হয়েছিল। কিন্তু বড় বড় শিক্ষক প্রশিক্ষণের সেশনে ঐ ভিডিওটি প্রদর্শনে বিশাল বাধা এসেছিল সে সময়ের শিক্ষক প্রশিক্ষণের কেন্দ্রগুলোর অনেক অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের কাছ থেকে। সে সময়ের প্রাইমারী শিক্ষার কোন কোন প্রগতিশীল পরিচালকের সহায়তায় দু'একটি প্রশিক্ষণে এটি দেখানো হয়েছিল। অধিকাংশ প্রশিক্ষণে মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষাতকার নেয়া পাঠের আগেই ভিডিওটি বন্ধ করে দেয়া হতো। অনেক বাধার মধ্যে এটি একটি মাত্র উদাহরণ।

৭. জিয়াউর রহমান খুবই ধীরে ধীরে কিন্তু বুঝেশুনে আর একটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-আদর্শবিরোধী কাজ করেছিলেন। '৭৬ থেকে আস্তে আস্তে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে 'আমার সোনার বাংলা' জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে, গাওয়া হতো 'প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ' ও 'আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়' গান দু'টি। রবিঠাকুরের গানটির পরিবর্তে সে সময় শুনেছিলাম এগুলো জিয়ার প্রিয় গান বলে এগুলোই সর্বত্র গাওয়া হতো।

মনে পড়ছে, কোন একটি পাঠ্যবইতে বঙ্গবন্ধুর ছবি দিতে চেষ্টা করার সময় শেষ পর্যন্ত সমঝোতা হিসেবে জিয়ার ছবিও যোগ করতে হয়েছিল। এখনও কি পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের শিক্ষাক্রম বিভাগের তৈরি পাঠ্যপুস্তকে সত্য ইতিহাস যুক্ত হয়েছে? হলে তো জামায়াতের যুদ্ধাপরাধী নেতাদের গণহত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যা, ধর্ষণ, দালালির ইতিহাস যুক্ত হতো। তা কি হয়েছে? চেষ্টা করেও বিফল হয়েছি। পাঠ্যপুস্তক বোর্ড তো পাহারা দিচ্ছে জামায়াত-বিএনপিপন্থী একটি দল।

৮. এ কথা না বললেই নয়, জিয়াউর রহমানই প্রথম মেধাবী ছাত্রদের হাতে রাইফেল, বন্দুক, অর্থ, মোটর সাইকেল তুলে দিয়ে তাদের দুর্বৃত্তে পরিণত করেছিলেন। ছাত্র রাজনীতিকে বড় দলের অংশে পরিণত করে রাজনীতিকে 'ডিফিকাল্ট' শুধু নয়, দুর্বৃত্তায়িত করেছিলেন। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ফেরত না দিয়ে, কর না দিয়ে কালো টাকার জন্মের সূচনাও করেছিলেন তিনি। আজ জাতি যত রকম সমস্যায় ভুগছে তার সবই শুরু হয়েছিল জিয়ার হাতে। জিয়া জাতিকে বিভক্ত করে ক্ষান্ত হয়নি, জাতিকে জামায়াতীকরণে, রাজনীতিকে দুর্বৃত্তায়িত করায়, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরস্কৃত করে, যুদ্ধাপরাধীদের ধনসম্পদের মালিক করে, সরকারে অংশীদার করে জঙ্গী-মৌলবাদের অনিঃশেষ এক উৎস তৈরি করে গেছেন; যার কলুষ থেকে জাতি এখনও মুক্তি লাভ করেনি।

তাই বলছি বঙ্গবন্ধু নয়, জিয়াই, পরে আপনি, তারেক জাতিকে বিভক্ত করে জাতির শত্রুদের পক্ষে কাজ করেছেন, শত্রুদের ক্ষমতাবান করেছেন।



__._,_.___

Posted by: Gonojagoron Moncho <projonmochottar@gmail.com>


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___