আ.লীগ কখনো গণতন্ত্রের পথে হাঁটেনি: এমাজউদ্দিন
12 May, 2014
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে আওয়ামী লীগ কখনো গণতন্ত্রের পথে হাঁটেনি।
সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী বুদ্ধিজীবীদের সংগঠন শত নাগরিক আয়োজিত 'গুম-খুন-অপহরণ: বিপর্যস্ত জনজীবন' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের ঘটনা রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন ও অসুস্থ রাজনীতির ফসল।
তিনি বলেন, রাজনীতিকে সুস্থ করতে হলে জনগণের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল হতে হবে। সেটা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারাই সম্ভব। কিন্তু এখন যারা ক্ষমতায় তাদের কোনো বৈধতা নেই। কেউ কেউ তাদের সাংবিধানিক বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করলেও নৈতিকভাবে তাদের কোনো বৈধতা নেই।
সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, 'সংসদের ১৫৩ জন সদস্য যারা বিনা ভোটে সেখানে বসে আছেন, ওই চেয়ারে বসতে তারা কি একটু বিব্রতবোধ করেন না? তাদের কি লজ্জা করে না এ কথা ভেবে যে কিভাবে আমি এ চেয়ারে এলাম?'
তিনি বলেন, গুম-খুনের ঘটনায় আমরা কখনো সরকারের কাছ থেকে তাদের (র্যাব-পুলিশ) বিরুদ্ধে কোনো শাস্তি কামনা করি না। কারণ, এদের ঘাড়ে পা দিয়েই তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) ক্ষমতায় আরোহণ করেছে।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার বলেন, দেশে গুম-খুন-অপহরণ যেভাবে মহামারি আকার ধারণ করেছে তা একদিনে বা হঠাৎ করেই সৃষ্টি হয়নি, এগুলো পূর্বপরিকল্পিত। দেশে এমন অবস্থা বিরাজ করছে যাতে মনে হচ্ছে দেশে সরকার বলে কিছু নাই। একটা ফ্যাসিস্ট ও সন্ত্রাসী গ্রুপ জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। কিন্তু সমস্যা হলো তারা নিজেরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। অন্যরা তাদের পেছনে কলকাঠি নাড়াচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী গত ৫ বছরে যা বলেছেন তার মধ্যে ৯০ ভাগই অসত্য। তিনি মনে করছেন চিরকাল ক্ষমতায় থাকবেন। দেশের মানুষ নির্বাচনে আপনাকে ভোট দেয় নাই। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছেন। আপনাদের বিদায় হবে খুবই বেদনাদায়ক।
মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক বিবেচনায় সাড়ে ৭ হাজার মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদেরও ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, অবৈধ সরকারের কারণেই দেশে গুম-হত্যা-অপহরণ বেড়ে গেছে। যে সরকার আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর ভর করে ক্ষমতায় বসে আছে তাদের ক্ষমতা নেই আইনশৃংখলা বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করার। কারণ, তারা জানে এ সরকার তাদের উপর নির্ভর করেই ক্ষমতায় আছে। তাই তাদের উপর রক্তচক্ষু দেখাবার সুযোগ এ সরকারের নেই।
তিনি আরো বলেন, জনগণকে সচেতন করে আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। নতুবা হত্যা, গুম, অপহরণ চলতেই থাকবে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অদ্যাপক পিয়াস করিম বলেন, ৫ জানুয়ারির পর এ সরকার জাতির উপর একটা জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছে। এ অবস্থা চলতে দিলে আমরা কেউ রক্ষা পাব না। আজকে নিরপেক্ষতার কোনো সুযোগ নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার বলেন, এ সরকারের নৈতিক অধিকার নেই ক্ষমতায় থাকার। ক্ষমতার অপব্যববহার করে তারা সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে। এ সরকার যত তাড়াতাড়ি বিদায় নেয় জনগণের জন্য ততই ভালো।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, ফ্যাসিবাদকে আমরা এভাবে এর আগে কখনো দেখিনি। র্যাব বা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ঊর্ধতনদের নির্দেশ ছাড়া কাজ করে না। তাদের চেইন অব কমান্ড মানতে হয়। এখন দেখতে হবে র্যাবের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ কারা। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে র্যাবকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
সরকার র্যাবকে ব্যবহার করে মিলিশিয়া বাহিনীতে পরিণত করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ বলেন, দুর্বৃত্তায়ন থেকে গোটা জাতিকে মুক্ত করতে হবে। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন অন্যান্য সংগ্রামের মতো সহজ কাজ নয়। তাই আমাদেরকে বুঝেশুনে এগোতে হবে।
শত নাগরিক-এর আহ্বায়ক অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. সদরুল আমিন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. নুরুল আমিন, সাবেক রাষ্ট্রদূত মাসুদ আজিজ, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডিইউজের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, সেক্রেটারী জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ
সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী বুদ্ধিজীবীদের সংগঠন শত নাগরিক আয়োজিত 'গুম-খুন-অপহরণ: বিপর্যস্ত জনজীবন' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের ঘটনা রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন ও অসুস্থ রাজনীতির ফসল।
তিনি বলেন, রাজনীতিকে সুস্থ করতে হলে জনগণের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল হতে হবে। সেটা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারাই সম্ভব। কিন্তু এখন যারা ক্ষমতায় তাদের কোনো বৈধতা নেই। কেউ কেউ তাদের সাংবিধানিক বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করলেও নৈতিকভাবে তাদের কোনো বৈধতা নেই।
সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, 'সংসদের ১৫৩ জন সদস্য যারা বিনা ভোটে সেখানে বসে আছেন, ওই চেয়ারে বসতে তারা কি একটু বিব্রতবোধ করেন না? তাদের কি লজ্জা করে না এ কথা ভেবে যে কিভাবে আমি এ চেয়ারে এলাম?'
তিনি বলেন, গুম-খুনের ঘটনায় আমরা কখনো সরকারের কাছ থেকে তাদের (র্যাব-পুলিশ) বিরুদ্ধে কোনো শাস্তি কামনা করি না। কারণ, এদের ঘাড়ে পা দিয়েই তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) ক্ষমতায় আরোহণ করেছে।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার বলেন, দেশে গুম-খুন-অপহরণ যেভাবে মহামারি আকার ধারণ করেছে তা একদিনে বা হঠাৎ করেই সৃষ্টি হয়নি, এগুলো পূর্বপরিকল্পিত। দেশে এমন অবস্থা বিরাজ করছে যাতে মনে হচ্ছে দেশে সরকার বলে কিছু নাই। একটা ফ্যাসিস্ট ও সন্ত্রাসী গ্রুপ জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। কিন্তু সমস্যা হলো তারা নিজেরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। অন্যরা তাদের পেছনে কলকাঠি নাড়াচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী গত ৫ বছরে যা বলেছেন তার মধ্যে ৯০ ভাগই অসত্য। তিনি মনে করছেন চিরকাল ক্ষমতায় থাকবেন। দেশের মানুষ নির্বাচনে আপনাকে ভোট দেয় নাই। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছেন। আপনাদের বিদায় হবে খুবই বেদনাদায়ক।
মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক বিবেচনায় সাড়ে ৭ হাজার মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদেরও ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, অবৈধ সরকারের কারণেই দেশে গুম-হত্যা-অপহরণ বেড়ে গেছে। যে সরকার আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর ভর করে ক্ষমতায় বসে আছে তাদের ক্ষমতা নেই আইনশৃংখলা বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করার। কারণ, তারা জানে এ সরকার তাদের উপর নির্ভর করেই ক্ষমতায় আছে। তাই তাদের উপর রক্তচক্ষু দেখাবার সুযোগ এ সরকারের নেই।
তিনি আরো বলেন, জনগণকে সচেতন করে আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। নতুবা হত্যা, গুম, অপহরণ চলতেই থাকবে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অদ্যাপক পিয়াস করিম বলেন, ৫ জানুয়ারির পর এ সরকার জাতির উপর একটা জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছে। এ অবস্থা চলতে দিলে আমরা কেউ রক্ষা পাব না। আজকে নিরপেক্ষতার কোনো সুযোগ নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার বলেন, এ সরকারের নৈতিক অধিকার নেই ক্ষমতায় থাকার। ক্ষমতার অপব্যববহার করে তারা সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে। এ সরকার যত তাড়াতাড়ি বিদায় নেয় জনগণের জন্য ততই ভালো।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, ফ্যাসিবাদকে আমরা এভাবে এর আগে কখনো দেখিনি। র্যাব বা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ঊর্ধতনদের নির্দেশ ছাড়া কাজ করে না। তাদের চেইন অব কমান্ড মানতে হয়। এখন দেখতে হবে র্যাবের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ কারা। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে র্যাবকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
সরকার র্যাবকে ব্যবহার করে মিলিশিয়া বাহিনীতে পরিণত করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ বলেন, দুর্বৃত্তায়ন থেকে গোটা জাতিকে মুক্ত করতে হবে। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন অন্যান্য সংগ্রামের মতো সহজ কাজ নয়। তাই আমাদেরকে বুঝেশুনে এগোতে হবে।
শত নাগরিক-এর আহ্বায়ক অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. সদরুল আমিন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. নুরুল আমিন, সাবেক রাষ্ট্রদূত মাসুদ আজিজ, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডিইউজের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, সেক্রেটারী জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ
উৎসঃ আরটিএনএন
__._,_.___