Banner Advertise

Tuesday, May 13, 2014

[chottala.com] Fw: নারায়ণগঞ্জ ঘিরে চলছে গভীর ষড়যন্ত্র !!!!!!!!




On Tuesday, May 13, 2014 5:21 PM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:
নারায়ণগঞ্জ ঘিরে চলছে গভীর ষড়যন্ত্র
জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ নারায়ণগঞ্জের আলোচিত অপহরণ ও খুনের ঘটনায় সরেজমিনে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য। চা বিক্রেতা থেকে শুরু করে নানা পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের এ ঘটনা নিছক অপহরণ বা হত্যাকা-ই নয়। তাঁরা বলছেন এসব ঘটনা নারায়ণগঞ্জকে ঘিরে গভীর ষড়যন্ত্রেরই অংশ। এ ষড়যন্ত্রে তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জের কতিপয় রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি এমনকি স্বয়ং সিটি মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীও। তাদের লক্ষ্যবস্তুই যেন নারায়ণগঞ্জের একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবার। অনুসন্ধানে জানা যায়, এতে লাভবান হচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও বিএনপি-জামায়াত জোট। কথা হয় চাষাঢ়া বাসস্ট্যান্ডে চা বিক্রেতা হোসেন আলীর সঙ্গে। আলাপচারিতার একপর্যায়ে তিনি বলেন, 'নারায়ণগঞ্জকে ঘিরে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু হইছে। হঠাৎ করেই কেন শান্ত নারায়ণগঞ্জ অশান্ত হইলো? এর পেছনে কি শুধুই আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি নাকি অন্যকিছু? এমন প্রশ্ন হোসেন আলীর। তিনি আরও বলেন, 'সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই র‌্যাবের মতো বাহিনীকে এ ঘটনায় জড়ানো হচ্ছে।' তার পাশে বসা করিম শেখ বলেন, নয় বছর তো শামীম ওসমান দেশে ছিল না তখনও তো নারায়ণগঞ্জে খুন-খারাবি হইছে। তখন তো এসব নিয়ে এত আলোচনা হয়নি? তখন তো এসবের জন্য র‌্যাবকে জড়ানো হয়নি? এখন কেন হচ্ছে?' সিদ্ধিরগঞ্জ বাজারে কথা হয় পেশায় ব্যাংকার হাবিবুর রহমানের সঙ্গে। সাত অপহরণ ও হত্যাকা- সম্পর্কে তিনি বলেন, 'নজরুল ইসলাম বলেন আর নূর হোসেন বলেন সবাই এক। দুজনের উত্থানও একই পথে। আজ একজন খুন হয়েছে, আরেকদিন আরেকজন হবেন। এ খেলা দ্রুত বন্ধ করা দরকার।' নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সক্রিয় এক রাজনৈতিক কর্মীর সরাসরি উক্তি, 'সিটি মেয়র আইভি বিএনপি-জামায়াতের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছেন। আর এজন্যই সবকিছুতে শামীম ওসমানকে জড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। কিন্তু দেখতে হবে এতে লাভবান হচ্ছে কারা? বিষয়টি আইভির ভেবে দেখা দরকার।' তিনি আরও বলেন, 'সত্য-মিথ্যা বিচার বিশ্লেষণ না করে কোন ঘটনায় কারও নাম জড়ানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।' এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুজিবর রহমান বলেন, 'নারায়ণগঞ্জে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে তা আমাদের ধারণার বাইরে ছিল। এ ঘটনায় ফায়দা লুটছেন বিএনপির সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরাট ষড়যন্ত্র চলছে। তবে যত ষড়যন্ত্রই বিএনপি-জামায়াত জোট করুন তা সফল হবে না।' 
ফিরে দেখা 
২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে একসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন। পরদিন ২৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নজরুল ইসলামের স্ত্রী। কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান করে মামলায় আসামি করা হয় মোট ১২ জনকে। ৩০ এপ্রিল বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জন এবং ১ মে সকালে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সবারই হাত-পা বাঁধা ছিল। ছিল আঘাতের চিহ্ন। প্রতিটি লাশ ইটভর্তি দুটি করে বস্তা বেঁধে ডুবিয়ে দেয়া হয়।
খুনের নেপথ্যে 
অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলামের সঙ্গে বিরোধ ছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেনের। অভিযোগ রয়েছে এর আগেও ৫/৬ বার নজরুল ইসলামকে হত্যার চেষ্টা চালায় নূর হোসেন। অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, অন্তত ১০ ধরনের ব্যবসা নিয়ে শান্ত জনপদ হিসেবে পরিচিত সিদ্ধিরগঞ্জ অশান্ত হয়ে উঠেছে। এসব ব্যবসা সমূহের মধ্যে রয়েছে- ঝুট, পরিবহন সাপ্লাই, লেবার সাপ্লাই, কনস্ট্রাকশন, ফুড সাপ্লাই, সড়ক ও জনপথ এবং বিদ্যুত বিভাগের টেন্ডার, ইপিজেড, ট্রাকস্ট্যান্ড থেকে চাঁদা আদায়, বালুমহলসহ চোরাই তেলের ব্যবসা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিরোধ ছিল- ট্রাকস্ট্যান্ডে চাঁদা আদায়, সওজ ও বিদ্যুত কেন্দ্রের টেন্ডার, তেল ও ইপিজেডের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে। এ ছাড়াও মাদক, নারী ব্যবসা, জুয়াখেলা, যাত্রা, জমি দখল মতো বাণিজ্যও এখানে জমজমাট।
পরিকল্পিতভাবেই জড়ানো হচ্ছে র‌্যাবকে 
এ হত্যাকা-ের ঘটনায় র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১১-এর কর্মকর্তারা জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন নিহত নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান। র‌্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর র‌্যাব-১১ এর শীর্ষ তিন কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এমএম রানাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এ ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের ৮৩ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪০ উপপরিদর্শক ও ৩৯ জন সহকারী উপপরিদর্শক রয়েছেন। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে র‌্যাবের পক্ষ থেকে একটি নিজস্ব তদন্ত কমিটি ও হাইকোর্টের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুটি তদন্ত কমিটিই বর্তমানে তদন্ত কাজ পরিচালনা করছে। এ ছাড়াও র‌্যাব ও পুলিশের উচ্চপর্যায়ের রদবদল করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি সচেতন ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ ঘটনায় র‌্যাবের মতো একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে। কেননা ভুলে গেলে চলবে না জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস দমনে এ বাহিনীর রয়েছে বিরাট সাফল্য। দেশকে যারা জঙ্গীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করতে চায় তারাই পরিকল্পিতভাবে র‌্যাবকে বিতর্কিত করতে চায়। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের বাসিন্দা আক্তার মিয়া বলেন, 'এ ঘটনায় র‌্যাবের মতো একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীকে জড়ানোটা আমার মনে হয় গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। একটি মহল চায় বর্তমান সরকারকে বিতর্কিত ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে। এজন্যই র‌্যাবকে এ ঘটনায় জড়ানো হচ্ছে।' তিনি আরও বলেন, 'বিএনপি-জামায়াত জোট এ সরকারের বিরুদ্ধে অনেক চক্রান্ত করেও সফল হয়নি। এখন আবার শুরু করেছে নতুন চক্রান্ত।' কেন র‌্যাবকে জড়ানো হচ্ছে এমন প্রশ্নে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানান, দেশে-বিদেশে বর্তমান সরকারকে বিতর্কিত করতে এবং জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে সরকার পতনের উদ্দেশ্যেই র‌্যাবকে এ ঘটনায় জড়ানো হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কামরুল বলেন, 'সবাই কইতাছে, র‌্যাব নাকি টাকার জন্যই অপহরণ করছে। আমরা শুনতাছি, নজরুল সাহেবের শ্বশুর নাকি আরও বেশি টাকা দেয়ার কথা কইছিল র‌্যাবরে। টাকার জন্যই যদি অপহরণ করা হইতো তাহলে তো র‌্যাব নজরুল সাহেবের শ্বশুর এর বেশি টাকাই নিত।' তিনি আরও বলেন, 'ভাই এগুলা হইলো র‌্যাবরে বির্তকিত করার চক্রান্ত। এ ছাড়া আর কিছু না।' 
চলছে ব্লেম গেম 
আলোচিত ৭ জনের হত্যাকা-ের ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানকে জড়িয়ে বক্তব্য দিয়েছেন সিটি মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী। এর আগে পরিবেশবিদ রিজওয়ানা হাসানের স্বামী এবি সিদ্দিকী অপহরণের পর পরই একই অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। তবে ৭ খুনের ঘটনায় শামীম ওসমানের কোন সংশ্লিষ্টতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন পর্যন্ত না পেলেও হীন রাজনৈতিক স্বার্থে তাকে জড়ানো হচ্ছে বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জবাসী। এ ধরনের বক্তব্য তদন্ত প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে বলে মন্তব্য করেছেন নারাণগঞ্জের এক আইনজীবী। 
টার্গেট শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জে যেকোন ঘটনা ঘটলেই পরিকল্পিতভাবে জড়ানো হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের নাম। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে রবীন্দ্রনাথের কবিতার 'যা কিছু হারায় গিন্নি বলেন কেষ্টা বেটাই চোরের' মতো। নারায়ণগঞ্জে কোন অঘটন ঘটলেই দোষ চাপানো হয় শামীম ওসমানের ওপর। জানা যায়, শামীম ওসমানের পরিবার ঐতিহ্যগতভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে। এ পরিবারের রয়েছে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ও সামাজিক ঐতিহ্য। এ পরিবারকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে শামীম ওসমানকে জড়ানোই যেন কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ কর্মী মোতালেব বলেন, 'নারায়ণগঞ্জে বিএনপি-জামায়াত জোটের রাজনীতির জন্য শামীম ওসমানই বড় বাধা। তাই বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রধান টার্গেট তিনি। তিনি আরও বলেন, ৫ মে ২০১৩ হেফাজতে ইসলাম সারাদেশে তা-ব চালালেও শামীম ওসমানের সাংগঠনিক দক্ষতা ও যোগ্য নেতৃত্বের জন্য নারায়ণগঞ্জে কোন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেনি।' তিনি আরও বলেন, 'সারাদেশের আওয়ামী লীগের ঘাঁটি দখলের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গাজীপুরের জনপ্রিয় নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হয়েছিল। যার ফল আমরা গত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দেখেছি। একইভাবে শামীম ওসমানকে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি থেকে মাইনাসের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের ঘাঁটি দখলের পাঁয়তারা করছে বিএনপি-জামায়াত জোট।' 
শতাধিক মাদ্রাসা 
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ দখলের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন জায়গায় গড়ে তোলা হচ্ছে মাদ্রাসা। অনুসন্ধানে দেখা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ, সানারপাড়, মৌচাক, মাদানীনগরে প্রায় শতাধিক মাদ্রাসা রয়েছে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর মূলত এ অঞ্চলে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার হিড়িক পড়ে যায়। এ মাদ্রাসাগুলোর কার্যক্রম নিয়েও এলাকাবাসী সন্দিহান বলে জানা যায়। অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, রায়েরবাগের পাশে মুজাহিদনগর নামে জামায়াতের একটি পরিকল্পিত এলাকা গড়ে উঠেছে। যেখানে অনন্য রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রম নেই বললেই চলে। সানারপাড় এলাকার বাসিন্দা আল-মামুন জানায়, 'সানারপাড় এলাকার কয়েকটি মাদ্রাসা থাকলেও সেখানে তেমন ছাত্রছাত্রী নেই। কিন্তু গভীর রাতে এসব মাদ্রাসায় অনেক মানুষের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়।' তিনি অভিযোগ করেন, 'গভীর রাতে মাদ্রাসায় গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সিদ্ধিরগঞ্জের টুলিপাড়া বাসস্ট্যান্ডে চায়ের দোকানে কথা হয় তোলারাম সরকারী কলেজের ছাত্র ইসহাকের সঙ্গে। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'সিদ্ধিরগঞ্জে স্কুল-কলেজের চেয়ে মাদ্রাসার সংখ্যা বেশি। প্রতি বছরের শুরুর দিকে নতুন নতুন মাদ্রাসা খোলা হয়। কারা এসব মাদ্রাসা খোলে বা কারা এর অর্থদাতা তা বোঝা কঠিন।' 
গভীর ষড়যন্ত্র 
অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে শামীম ওসমান এক জনসভায় প্রকাশ্যে পাকিস্তানী বাহিনীর এদেশীয় প্রধান দোসর কুখ্যাত গোলাম আযমকে নারায়ণগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। মূলত এর পর থেকেই শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে শুরু হয় নানামুখী ষড়যন্ত্র। এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই ২০০১ সালে নির্বাচনের আগে চাষাঢ়ার আওয়ামী লীগ অফিসে শামীম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে বোমা হামলাও চালানো হয়। নারায়ণগঞ্জ শহর বাসট্যান্ডে কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা ইকরাম উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'নারায়ণগঞ্জ জেলা ঐতিহ্যগতভাবে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। এ জেলা থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে চিরতরে নির্বাসনে পাঠাতেই সব ঘটনার সঙ্গে ওসমান পরিবারের সদস্যদের জড়ানো হয়।' তিনি আরও বলেন, 'ওসমান পরিবারই এ জেলার আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। তাই সব ঘটনায় ওসমান পরিবারকে জড়িত করার অপচেষ্টা চলছে।' আর এ কাজে বিএনপি-জামায়াত জোট আওয়ামী লীগের কিছু নেতার ঘাড়ে ভর করছে বলে দাবি করেন তিনি। কিছু নেতা কারা এমন প্রশ্নে তিনি নারাণগঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর দিকে আঙ্গুল তুলেন। এ ব্যাপারে কথা বলতে একাধিকবার আইভীর মুঠোফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। চাষাঢ়া এলাকার ষাটোর্ধ মিল্টন মিয়া কথা প্রসঙ্গে বলেন, 'এখন বিরোধীদলের প্রধান টার্গেট নারায়ণগঞ্জ। কেননা নারায়ণগঞ্জকে দখল করতে পারলেই তো ঢাকা দখল করা যাবে। আর ঢাকা দখল করলেই তো সরকারের পতন ঘটানো যাবে। এজন্যই এখানে আওয়ামী লীগ তথা ওসমান পরিবারকে দুর্বল করা জরুরী।' তিনি আরও বলেন, 'শামীম ওসমানের কারণেই বিএনপি-জামায়াত জোট ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে নারায়ণগঞ্জ জেলায় কোন রকমের তা-ব চালাতে পারেনি।' যে দু'একটি ঘটনা ঘটেছে তা বিচ্ছিন্ন বলে দাবি করেন মিল্টন মিয়া। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এক শ্রেণীর নিরপেক্ষতার মুখোশধারী মিডিয়া শামীম ওসমানকে জড়িয়ে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। যা ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পরও করা হয়েছিল। এখনও আবার সে ধরনের অপপ্রচার শুরু হয়েছে। কেন বার বার শামীম ওসমানকে টার্গেট করা হচ্ছে এমন প্রশ্নে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি সচেতন মানুষ জানায়, নারায়ণগঞ্জ দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। অনেক চেষ্টার পরও বিএনপি-জামায়াত জোট নারায়ণগঞ্জে তাদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে পারেনি। আর এক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবার। এজন্যই বার বার টার্গেট করা হচ্ছে শামীম ওসমানকে। এ ব্যাপারে কথা বলতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে শামীম ওসমান ব্লেম গেম প্রসঙ্গে বলেন, '১৬ জুন ২০০১ সালে যখন আমার ওপর বোমা হামলা চালানো হয়েছিল তখনও আমাকেই দোষারোপ করা হয়েছিল।' তিনি আরও বলেন, '১৯৯৯ সালে আমি যখন গোলাম আযমকে নারায়ণগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করি তখন থেকেই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এ ষড়যন্ত্র এখনও চলছে। এ ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়েছে আমাদেরই কতিপয় নেতা। যা ঘরের শত্রু বিভীষণের মতো।' তিনি আরও বলেন, 'বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রধান টার্গেট আমি এবং আমার পরিবার কারণ আমার কারণেই তারা নারায়ণগঞ্জকে তাদের ঘাঁটি বানাতে পারছে না।' তিনি দাবি করেন, নারায়ণগঞ্জকে ঘিরে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।The Daily Janakantha
 






__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___