Banner Advertise

Monday, May 12, 2014

[chottala.com] Fw: সাফল্যের পুরোভাগে শেখ হাসিনা !!!!!!




On , Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:

On Monday, May 12, 2014 4:30 PM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:

সাফল্যের পুরোভাগে শেখ হাসিনা

13 May, 2014
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ জানুয়ারির আগে ঝঞ্ঝাপূর্ণ রাজনীতি মোকাবিলায় যেমন বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন, তেমনি রাষ্ট্র পরিচালনায় নির্মোহভাবে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। একের পর এক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারকে এরই মধ্যে মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারের যা কিছু সাফল্য এর সবই অর্জিত হয়েছে শেখ হাসিনার ঐকান্তিক চেষ্টা ও যোগ্য নেতৃত্বের কারণে। রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতেও শেখ হাসিনা এখন যোগ্য রাষ্ট্রনায়ক।

দলীয় নেতা ও বিশ্লেষকদের মতে, মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ও ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঘিরে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক চাপ মোকাবিলা করেছেন শেখ হাসিনা সিদ্ধহস্তে। তাঁর দৃঢ়তার কাছে পরাস্ত হয় সব ষড়যন্ত্র। সব বাধা-বিপত্তি দূরে ঠেলে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রক্ষায় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হয় তাঁর সরকারের অধীনে। ১২ জানুয়ারি শপথ নেয় তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার। এরপর শুরু করেন তিনি সুশাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। দুর্নীতি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' ঘোষণা করেছেন শপথ নেওয়ার পর থেকেই। শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রে জানা যায়, দেশকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজনে কঠোর, আবার

প্রয়োজনে সরল হবেন শেখ হাসিনা- এটিই তাঁর লক্ষ্য। এরই মধ্যে তিনি নিজ দলের বেশ কয়েকজন নেতাকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন নির্মোহভাবে। দুর্নীতির অভিযোগ থাকা নেতাদের এবার মন্ত্রিসভায় রাখেননি তিনি।

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা তাঁর কঠোর অবস্থান জানান দিয়েছেন সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে। ওই ঘটনায় সরকারের একটি শক্তিশালী সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তিন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে। গত ৫ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে শেখ হাসিনা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জের ঘটনার সঙ্গে জড়িত আপন-পর কাউকেই ছাড়া হবে না। গত রবিবার রাতে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে নির্দেশ দিয়েছেন অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের 'সফটনেস' না দেখাতে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় এ পর্যন্ত পদক্ষেপ ভালো। অপেক্ষা করছি তদন্তের অগ্রগতি দেখার জন্য। আশা করি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সরকার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।'

শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও রাষ্ট্র পরিচালনা সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক কালের কণ্ঠকে বলেন, 'রাষ্ট্র পরিচালনায় শেখ হাসিনার অসম সাহস দেখতে পাই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের ফাঁসির রায় বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এগুলো একমাত্র শেখ হাসিনা নেতৃত্বে রয়েছেন বলেই সম্ভব হচ্ছে। এ ছাড়া সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের সাত খুন নিয়ে শেখ হাসিনার পদক্ষেপ বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশ যে বেরিয়ে এসেছে তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ।'

অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সরকার পরিচালনায় শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স প্রদর্শন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছেও প্রশংসা কুড়িয়েছে।'

রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি সময়ের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে টানা দ্বিতীয়বার সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর নেতৃত্বে দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আইনের শাসন। দেশ বেরিয়ে এসেছে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে। এ সময়ে তিনি কখনো হয়েছেন দুর্দান্ত সাহসী, কখনো সাবধানী। তবে বিচলিত হননি কারো রক্তচক্ষুর কাছে।

এর আগে ২০০৯ সালে মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর শুরুর দিকেই বিডিআর বিদ্রোহ এবং পিলখানায় নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডে সরকার কিছুটা হোঁচট খেলেও অত্যন্ত পরিপক্ব রাজনীতিকের মতো পরিস্থিতি সামাল দেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। পরে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হয়। এ ছাড়া তখন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় কার্যকর করা, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ও রায় কার্যকর করা, ৫ মে রাতে হেফাজতে ইসলামের ঢাকায় অবস্থান ঘিরে অরাজক পরিস্থিতি সামলানো শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সফলতা।

রাজনীতি বিশ্লেষকদের কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, শুধু সরকারপ্রধানের নেতৃত্বের দক্ষতা নয়, একই সঙ্গে বিরোধী দলের ভুল সিদ্ধান্তও এ সফলতার পেছনে ভূমিকা রেখেছে। বিরোধী দলের আন্দোলনের কৌশলগত ভুল এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিও ওই সব সব পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে শেখ হাসিনাকে অনেক সহযোগিতা করেছে।

রাজনীতি বিশ্লেষক মীজানূর রহমান শেলী বলেন, 'এ কথা সত্য যে মহাজোট সরকারের সময় অনেক বড় বড় ঘটনা ঘটেছে। সেসব ঘটনা মহাজোট সরকার ও তাদের অন্তর্ভুক্ত দল এবং নেতৃত্বের কারণেই মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে। তবে বিরোধী দলেরও অনেক ভুল ছিল, যার ফলে সরকার এসব পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পেরেছে।'

দলীয় একাধিক নেতা জানান, মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে আইনি লড়াই চালিয়ে বাংলাদেশ যে সাফল্য অর্জন করেছে তা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে। তাঁর নেতৃত্বে শিক্ষা, কৃষি, খাদ্য ও তথ্যপ্রযুক্তিতে গত কয়েক বছরে এসেছে অভূতপূর্ব সাফল্য। দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয় মন্ত্রিসভা থেকে। রেলের অর্থ কেলেঙ্কারির অবিযোগে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে দীর্ঘদিন রাখা হয় দপ্তরবিহীন অবস্থায়। এ ছাড়া ডেসটিনি-হলমার্কসহ কিছু প্রভাবশালী মহলের লাগামহীন আর্থিক দুর্নীতিও দমন করেছেন শেখ হাসিনা কঠোরহস্তে। গত বছর রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় এর মালিক ও সেখানকার নিজ দলের স্থানীয় এমপিকেও রেহাই দেননি তিনি। রানা প্লাজার মালিকের সঙ্গে স্থানীয় এমপির সখ্য থাকার অবিযোগে এবার তাঁকে মনোনয়নবঞ্চিত করা হয়েছে।








__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___