যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্তিতে 'কাঁটা' রাজনীতি: মুহিত
মুহিত বলেন, "বাংলাদেশের জন্ম থেকেই যুক্তরাষ্ট্র বিরোধিতা করে আসছিল। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশে বছরে ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে থাকে। এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশের উপর শুল্ক দিয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়ে আসছি। কিন্তু তারা আমাদের কোনো সুবিধা দেয়নি। তারা সব সময় গ্রামীণব্যাংক ও ইউনূস নিয়ে হৈ চৈ করে।"
বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়া বা বাংলাদেশের উন্নয়নের বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্র কখনো গুরুত্ব দেয় না বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, "তারা (যুক্তরাষ্ট্র) দাবি করে ইউনূস সাহেব একজন সম্মানিত ব্যক্তি, তিনি সম্মান পেলেই তারা খুশি। বাংলাদেশের অন্য কোনো কিছুতেই তাদের মাথাব্যথা নেই। আমরা ইউনূস সাহেবকে কখনো অসম্মান করিনি। তিনি দীর্ঘদিন এই ব্যাংকটিকে আকড়ে রেখেছিলেন। আমরা পদক্ষেপ নেয়ার পর তিনি আদালতেও গিয়েছিলেন। সেখানে হেরে গেছেন। আইন অনুযায়ী সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।"
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে কিনা জানতে চাওয়া হলে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, "নির্বাচনের পর তারা বাংলাদেশের নতুন সরকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এখন অবশ্য তারা সে জায়গা থেকে সরে এসেছে। তবে বাংলাদেশের জন্মের শুরু থেকেই তারা কিন্তু বিরোধিতা করে আসছে। জানি না সে কারণেই তারা হয়তো আমাদের শুল্কমুক্ত সবিধা দেয়ার দাবি মেনে নিচ্ছে না।"
তাহলে কি দুই দেশের মধ্যে শীতল সম্পর্ক বিরাজ করছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "কমফোর্টেবল নয়।"
যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোতে পনের দিনের সফর শেষে দেশে ফিরে মন্ত্রী সামগ্রিক বিষয় তুলে ধরেন।
সফরকালে বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাকে শুল্কমুক্ত সুবিধার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ফর ইকোনোমিক অ্যান্ড বিজনেস অ্যাফেয়ার্স চার্লস রিভকিনের সঙ্গেও কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, "শুল্ক সুবিধার বিষয়ে আমি প্রতিবেদন তৈরি করছি। খুব শিগগির তা তৈরি করে তাদের কাছে পাঠানো হবে।"
__._,_.___