বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০১৪, ৬ চৈত্র ১৪২০
যুক্তরাষ্ট্র থেকে নাজমুলকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ফেরত আনা হয়েছে
২৫ বছর আগে হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ফেরত আনা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ৩২নং ধানমণ্ডির বাড়িতে গুলিবর্ষণ, গ্রেনেড ও বোমা হামলার আসামি নাজমুল মাকসুদ মুরাদকে। দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর আগে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য নাজমুল মাকসুদ মুরাদসহ ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল বেবিট্যাক্সিযোগে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে 'ফারুক রশীদ জিন্দাবাদ' সেøাগান দিয়ে চলে যায়। ধানম-ি থানায় দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করা হয়, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওই হামলা চালানো হয়। এই মামলায় সিআইডির আবেদনের প্রেক্ষিতে রেড নোটিস ইস্যু করে ইন্টারপোল। যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কর্তৃপক্ষ ২০১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আমেরিকার আটলান্টা শহর থেকে গ্রেফতার করে মুরাদকে। তাকে বুধবার সিআইডির কাছে হস্তান্তর করেছে ইন্টারপোল। বুধবার বিকেলে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবুল কাহার আকন্দ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৩২নং ধানম-ির বাড়িতে হামলা ছাড়াও দুইটি হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি মুরাদ। ১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন সে। ২০১১ সালে তার বিরুদ্ধে রেড নোটিস ইস্যু করে ইন্টারপোল। সিআইডি তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ইন্টারপোলের সহযোগিতা চায়। ২০১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আমেরিকার আটলান্টা শহর থেকে মুরাদকে গ্রেফতার করে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কর্তৃপক্ষ। বুধবার সিআইডির কাছে হস্তান্তর করে তারা। নাজমুল মাকসুদ মুরাদ বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে হামলার অন্যতম আসামি। ১৯৮৯ সালের ১১ আগস্ট ১০ থেকে ১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল বেবিট্যাক্সিতে করে বঙ্গবন্ধুর ধানম-ির বাড়িতে গুলিবর্ষণ, গ্রেনেড ও বোমা হামলা চালায়। তখন কর্তব্যরত হাবিলদার জহিরুল হক ও কনস্টেবল জাকির হোসেন পাল্টা গুলি চালালে হামলাকারী সন্ত্রাসীরা 'কর্নেল ফারুক জিন্দাবাদ' সেøাগান দিতে দিতে পালিয়ে যায়।
ধানম-ি থানায় এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নম্বর-২৪। মামলার তদন্ত শেষে সিআইডির তৎকালীন পুলিশ সুপার খালেকুজ্জামান ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করেন। নাজমুল মাকসুদ মুরাদ ওই মামলার অন্যতম আসামি। বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক মুরাদকে আটক ও ধরতে ইন্টারপোল রেড নোটিস জারি করেছিল। এফবিআই ও যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেফতার করার পর বুধবার তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া মতিঝিল থানায় তার বিরুদ্ধে আরও দুইটি হত্যা মামলা রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।
আসামিরা কে কোথায় : বঙ্গবন্ধুর ৩২নং বাড়িতে হামলার মামলার ব্যাপারে বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য মোঃ জহিরুল ইসলাম ধানম-ি থানায় মামলা করেন। ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ মামলাটিতে অভিযোগপত্র দেয়। অভিযোগপত্রে ফ্রিডম পার্টির নেতা ও বঙ্গবন্ধুর খুনী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ ফারুক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুর রশিদ ও মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) বজলুল হুদা এবং নাজমুল মাকসুদ মুরাদসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়। গত ২৭ অগাস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ করা শুরু হয়েছে।
কারাগারে আটক আছে মামলার চার আসামি। তারা হচ্ছে- গোলাম সারোয়ার, সোহেল, জর্জ, মোঃ শাজাহান বালু।
জামিনে রয়েছেন হুমায়ুন কবির (১), মিজানুর রহমান, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল ও গাজী ইমাম হোসেন।
পলাতক আছেন পাঁচ আসামি। তারা হচ্ছেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুর রশীদ, মোঃ হুমায়ুন কবীর (২), জাফর আহম্মদ, নাজমুল মাকসুদ মুরাদ, রেজাউল ইসলাম খান পলাতক।
ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি সৈয়দ ফারুক রশীদ ও বজলুল হুদাকে। ফাঁসির দ- কার্যকর হওয়ায় তাদের মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
প্রায় পাঁচ বছর আগে মামলাটির বিচারের জন্য অভিযোগ গঠন হয়েছে। আসামিদের জবানবন্দী গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেটকে না পাওয়ায় মামলাটির বিচার কাজ বর্তমানে আটকে আছেন। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের ব্যাপারে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সিআইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সিআইডির একজন উর্ধতন কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার দেশে আত্মগোপনকারী একজন আসামিকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়ার পথ সুগম করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম কোন আসামিকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় দ-প্রাপ্ত আসামিদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারেও যুক্তরাষ্ট্র সাহায্যের হাত বাড়াবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সিআইডি কর্মকর্তা।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবুল কাহার আকন্দ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৩২নং ধানম-ির বাড়িতে হামলা ছাড়াও দুইটি হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি মুরাদ। ১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন সে। ২০১১ সালে তার বিরুদ্ধে রেড নোটিস ইস্যু করে ইন্টারপোল। সিআইডি তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ইন্টারপোলের সহযোগিতা চায়। ২০১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আমেরিকার আটলান্টা শহর থেকে মুরাদকে গ্রেফতার করে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কর্তৃপক্ষ। বুধবার সিআইডির কাছে হস্তান্তর করে তারা। নাজমুল মাকসুদ মুরাদ বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে হামলার অন্যতম আসামি। ১৯৮৯ সালের ১১ আগস্ট ১০ থেকে ১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল বেবিট্যাক্সিতে করে বঙ্গবন্ধুর ধানম-ির বাড়িতে গুলিবর্ষণ, গ্রেনেড ও বোমা হামলা চালায়। তখন কর্তব্যরত হাবিলদার জহিরুল হক ও কনস্টেবল জাকির হোসেন পাল্টা গুলি চালালে হামলাকারী সন্ত্রাসীরা 'কর্নেল ফারুক জিন্দাবাদ' সেøাগান দিতে দিতে পালিয়ে যায়।
ধানম-ি থানায় এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নম্বর-২৪। মামলার তদন্ত শেষে সিআইডির তৎকালীন পুলিশ সুপার খালেকুজ্জামান ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করেন। নাজমুল মাকসুদ মুরাদ ওই মামলার অন্যতম আসামি। বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক মুরাদকে আটক ও ধরতে ইন্টারপোল রেড নোটিস জারি করেছিল। এফবিআই ও যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেফতার করার পর বুধবার তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া মতিঝিল থানায় তার বিরুদ্ধে আরও দুইটি হত্যা মামলা রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।
আসামিরা কে কোথায় : বঙ্গবন্ধুর ৩২নং বাড়িতে হামলার মামলার ব্যাপারে বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য মোঃ জহিরুল ইসলাম ধানম-ি থানায় মামলা করেন। ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ মামলাটিতে অভিযোগপত্র দেয়। অভিযোগপত্রে ফ্রিডম পার্টির নেতা ও বঙ্গবন্ধুর খুনী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ ফারুক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুর রশিদ ও মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) বজলুল হুদা এবং নাজমুল মাকসুদ মুরাদসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়। গত ২৭ অগাস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ করা শুরু হয়েছে।
কারাগারে আটক আছে মামলার চার আসামি। তারা হচ্ছে- গোলাম সারোয়ার, সোহেল, জর্জ, মোঃ শাজাহান বালু।
জামিনে রয়েছেন হুমায়ুন কবির (১), মিজানুর রহমান, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল ও গাজী ইমাম হোসেন।
পলাতক আছেন পাঁচ আসামি। তারা হচ্ছেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুর রশীদ, মোঃ হুমায়ুন কবীর (২), জাফর আহম্মদ, নাজমুল মাকসুদ মুরাদ, রেজাউল ইসলাম খান পলাতক।
ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি সৈয়দ ফারুক রশীদ ও বজলুল হুদাকে। ফাঁসির দ- কার্যকর হওয়ায় তাদের মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
প্রায় পাঁচ বছর আগে মামলাটির বিচারের জন্য অভিযোগ গঠন হয়েছে। আসামিদের জবানবন্দী গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেটকে না পাওয়ায় মামলাটির বিচার কাজ বর্তমানে আটকে আছেন। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের ব্যাপারে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সিআইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সিআইডির একজন উর্ধতন কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার দেশে আত্মগোপনকারী একজন আসামিকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়ার পথ সুগম করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম কোন আসামিকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় দ-প্রাপ্ত আসামিদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারেও যুক্তরাষ্ট্র সাহায্যের হাত বাড়াবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সিআইডি কর্মকর্তা।
- প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০১৪, ৬ চৈত্র ১৪২০
__._,_.___