মুক্তির ভাষণ
বিডিলাইভ ডেস্ক: ১৯৭১ এর ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বজ্রকন্ঠের ভাষণ ছিলোনা , এই ভাষণ ছিলো নির্যাতিত নিষ্পেষিত অবহেলিত একটি জাতির মুক্তির দিকনির্দেশনার ভাষণ। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরার উদাত্ত আহবান ছিল এই ভাষণে।
বঙ্গবন্ধুর বজ্রকন্ঠের সেই ঐতিহাসিক ভাষণের পর বস্তুত তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাক সরকারের নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে পরেছিল । একমাত্র সামরিক এবং আধাসামরিক সংস্থা ছাড়া সবই চলছিল বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ! গভর্নর হাউসের পরিবর্তে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর হয়ে পরেছিল বেসামরিক পরিচালনার কেন্দ্রবিন্দু।
দেশী-বিদেশী সাংবাদিক আর অতিথিদের পদচারনায় প্রতিদিন মুখরিত থাকত ৩২ নম্বরের সেই ঐতিহাসিক ভবন। লেক সার্কাস, কলাবাগানের বাসিন্দা হিসাবে পায়ে হেটেই প্রতিদিন চলে যেতাম সেই ভবনের সামনে। কিছুক্ষণ পর পরই সাদা পাঞ্জাবি, চেক লুঙ্গি পরিহিত বঙ্গবন্ধু বেলকনিতে এসে "হেন্ড মাইক" এর মাধ্যমে উপস্থিত জনতাকে তার জ্বালাময়ী ভাষণে উজ্জীবিত করতেন।
আজো কানে ভেসে আসছে ভাষণের পর পরই বঙ্গবন্ধুর দরাজ কন্ঠের সেই শ্লোগান "তোমার দেশ আমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ" ! পাকিস্তানের নাম বিসর্জন দিয়ে বাংলাদেশ বলার পরেও পরশ্রীকাতর এক শ্রেনীর কুলাঙ্গাররা যখন বলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি তখন তাদের প্রতি ঘৃণা ছাড়া বলার আর কিছু থাকে না।
বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণ ইতিহাসের অন্যতম সেরা রাজনৈতিক ভাষণ সে ব্যপারে কোনো সন্দেহ নেই। বাঙালি জাতির মুক্তির 'মাল-মশলা' সবই ছিল সেই ভাষণে। 'আমি যদি হুকুম দেবার না পারি , যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করো' এই নির্দেশনার পর কি নতুন করে আবার স্বাধীনতা ঘোষণার কোনো দরকার পরে ?
তার পরেও কোথাকার এক মেজরকে এনে যখন স্বাধীনতার তথাকথিত ঘোষক বানানোর চেষ্টা করা হয় তখন অবাক বিস্ময় আর ক্রোধে তা শ্রবণ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না ! অনেকে হয়ত বলবেন তা হলে বঙ্গবন্ধু ইয়াহিয়া খানের সাথে কেন বৈঠক করেছিলেন ? সেই ক্রান্তিলগ্নে বঙ্গবন্ধু ৬ দফার পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য দেনদরবার করেছিলেন আর এটা তো বলার অপেক্ষা রাখেনা যে ৬ দফার পুণর্বাস্তবায়নের ওপর নামই ছিল "রক্তপাতহীন স্বাধীনতা অর্জন" ! তা ছাড়া এক তরফা বৈঠক ভেঙ্গে দেওয়ায় ইয়াহিয়ার পরিবর্তে বঙ্গবন্ধুই বিশ্ব নেতাদের সমর্থন পেয়েছিলেন সেই সময়।
রণাঙ্গনে "এনার্জেটিক সুরার" মত কাজ করেছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণ। বজ্রকন্ঠের সেই ভাষণ শুনে বাংলার দামাল ছেলেরা নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পরত পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে। বুলেটের চেয়েও শক্তিশালী ছিল সেই কালজয়ী ভাষণ। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ায় আজও সেই ভাষণ আবাল-বৃদ্ধ-বনিতাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় করে উদ্বেলিত। এই ভাষণ শুনে স্বাধীনতার শত্রুরা আজও চিত্কার করে ঘেমে নেয়ে ওঠে মাঝ রাতে। ভয়ে কাঁপতে থাকে এই বুঝি মুক্তিযোদ্ধারা এলো প্রাণ নিতে !
আজকের এই দিনে তাই কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে। তার দুরদর্শিতাপুর্ণ সেই অমর ভাষণ বাঙালি জাতিকে দলমত নির্বিশেষে উদ্বেলিত করেছিল মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে। তাই যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন এই অমর ভাষণ লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে।
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু।
ডা : মুহাম্মদ আলী মানিক,
সহ-সভাপতি, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ।
বঙ্গবন্ধুর বজ্রকন্ঠের সেই ঐতিহাসিক ভাষণের পর বস্তুত তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাক সরকারের নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে পরেছিল । একমাত্র সামরিক এবং আধাসামরিক সংস্থা ছাড়া সবই চলছিল বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ! গভর্নর হাউসের পরিবর্তে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর হয়ে পরেছিল বেসামরিক পরিচালনার কেন্দ্রবিন্দু।
দেশী-বিদেশী সাংবাদিক আর অতিথিদের পদচারনায় প্রতিদিন মুখরিত থাকত ৩২ নম্বরের সেই ঐতিহাসিক ভবন। লেক সার্কাস, কলাবাগানের বাসিন্দা হিসাবে পায়ে হেটেই প্রতিদিন চলে যেতাম সেই ভবনের সামনে। কিছুক্ষণ পর পরই সাদা পাঞ্জাবি, চেক লুঙ্গি পরিহিত বঙ্গবন্ধু বেলকনিতে এসে "হেন্ড মাইক" এর মাধ্যমে উপস্থিত জনতাকে তার জ্বালাময়ী ভাষণে উজ্জীবিত করতেন।
আজো কানে ভেসে আসছে ভাষণের পর পরই বঙ্গবন্ধুর দরাজ কন্ঠের সেই শ্লোগান "তোমার দেশ আমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ" ! পাকিস্তানের নাম বিসর্জন দিয়ে বাংলাদেশ বলার পরেও পরশ্রীকাতর এক শ্রেনীর কুলাঙ্গাররা যখন বলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি তখন তাদের প্রতি ঘৃণা ছাড়া বলার আর কিছু থাকে না।
বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণ ইতিহাসের অন্যতম সেরা রাজনৈতিক ভাষণ সে ব্যপারে কোনো সন্দেহ নেই। বাঙালি জাতির মুক্তির 'মাল-মশলা' সবই ছিল সেই ভাষণে। 'আমি যদি হুকুম দেবার না পারি , যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করো' এই নির্দেশনার পর কি নতুন করে আবার স্বাধীনতা ঘোষণার কোনো দরকার পরে ?
তার পরেও কোথাকার এক মেজরকে এনে যখন স্বাধীনতার তথাকথিত ঘোষক বানানোর চেষ্টা করা হয় তখন অবাক বিস্ময় আর ক্রোধে তা শ্রবণ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না ! অনেকে হয়ত বলবেন তা হলে বঙ্গবন্ধু ইয়াহিয়া খানের সাথে কেন বৈঠক করেছিলেন ? সেই ক্রান্তিলগ্নে বঙ্গবন্ধু ৬ দফার পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য দেনদরবার করেছিলেন আর এটা তো বলার অপেক্ষা রাখেনা যে ৬ দফার পুণর্বাস্তবায়নের ওপর নামই ছিল "রক্তপাতহীন স্বাধীনতা অর্জন" ! তা ছাড়া এক তরফা বৈঠক ভেঙ্গে দেওয়ায় ইয়াহিয়ার পরিবর্তে বঙ্গবন্ধুই বিশ্ব নেতাদের সমর্থন পেয়েছিলেন সেই সময়।
রণাঙ্গনে "এনার্জেটিক সুরার" মত কাজ করেছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণ। বজ্রকন্ঠের সেই ভাষণ শুনে বাংলার দামাল ছেলেরা নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পরত পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে। বুলেটের চেয়েও শক্তিশালী ছিল সেই কালজয়ী ভাষণ। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ায় আজও সেই ভাষণ আবাল-বৃদ্ধ-বনিতাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় করে উদ্বেলিত। এই ভাষণ শুনে স্বাধীনতার শত্রুরা আজও চিত্কার করে ঘেমে নেয়ে ওঠে মাঝ রাতে। ভয়ে কাঁপতে থাকে এই বুঝি মুক্তিযোদ্ধারা এলো প্রাণ নিতে !
আজকের এই দিনে তাই কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে। তার দুরদর্শিতাপুর্ণ সেই অমর ভাষণ বাঙালি জাতিকে দলমত নির্বিশেষে উদ্বেলিত করেছিল মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে। তাই যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন এই অমর ভাষণ লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে।
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু।
ডা : মুহাম্মদ আলী মানিক,
সহ-সভাপতি, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ।
__._,_.___