আনন্দবাজার রিপোর্ট ॥ ভারতে নাশকতা চালানোর উদ্দেশ্য ছিল খালেদা সরকারের
প্রতিবেশী দেশ ভারতে নাশকতা চালানোর উদ্দেশ্যে জঙ্গীদের সঙ্গে যোগসাজশে লিপ্ত ছিল খালেদা জিয়া সরকারের একটা প্রভাবশালী অংশ। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বিচারকের রায়ের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, মামলার বিচারক এস এম মজিবুর রহমানের দেয়া ৩০ জানুয়ারির রায়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর জোট সরকারকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দশ বছর আগে ১ এপ্রিল চট্টগ্রামে শিল্প মন্ত্রণালয়ের জেটিতে দু'জাহাজ অস্ত্র ১০টি ট্রাকে বোঝাই করার সময় ধরা পড়ে। বিচারক রহমান তাঁর রায়ে বলেছেন, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা বিভাগ (ডিজিএফআই)-এর ডিজি সাদিক হাসান রুমি প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে অস্ত্র আটকের বিষয়টি জানালেও তিনি নীরব থাকেন। ডিজিএফআই-এর প্রধান রুমি আদালতে হলফনামা দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের জেটিতে খালাস হওয়ার অস্ত্র ধরার বিষয়টি তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী জামায়াতের শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামীকে জানিয়েছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব শোয়েব আহমদ। আদালতকে দেয়া সাক্ষ্যে তিনিও জানিয়েছেন, মন্ত্রী তাঁকে কোনও পদক্ষেপ নিতে নিষেধ করেছিলেন। অস্ত্র চোরাচালানের এই বিষয়টি সরকারের সব মহলের জ্ঞাতসারে হয়েছে বলেও সচিবকে জানিয়েছিলেন নিজামী।
বিচারকের মন্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, উলফার জন্য এই বিপুল অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অফিস 'হাওয়া ভবন'-এরও যোগাযোগ ছিল। সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ 'ডিজিএফআই' ছাড়া গোয়েন্দা সংস্থা 'এনএসআই'-এর তৎকালীন কর্মকর্তারা এই মামলায় যে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তা থেকেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর পাঠানো অর্থ কী ভাবে বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্তাদের হাতে আসত, তা-ও প্রকাশ্যে এসেছে।
সরকার ও গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের জঙ্গী সংগঠন উলফার যে নিবিড় যোগাযোগ ছিল, সে কথাও বলেছেন বিচারক। ওই রায়ে বলা হয়েছে, ডিজিএফআই ও এনএসআই-এর বিভিন্ন কর্মকর্তা আদালতে দাঁডিয়ে উলফার সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগের কথা স্বীকার করেছেন। এমনকি উলফার টাকায় সস্ত্রীক দুবাই বেড়িয়ে আসার কথাও স্বীকার করেছেন এনএসআই-এর তখনকার ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রহিম।
রায়ে বলা হয়েছে, সম্ভবত বিশ্বের আর কোনও মামলায় এভাবে দেশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা প্রকাশ্যে এসে আদালতে সাক্ষ্য দেননি। সে হিসেবে এই মামলা নতুন নজির গড়েছে। গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা আদালতে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রীরাই গোটা ঘটনায় জড়িত। কর্মচারী হিসেবে বাকিরা তাঁদের দায়িত্বটুকুই পালন করেছেন শুধু। রায়ে বলা হয়েছে, দেশ পরিচালনায় ঘোষিত নীতির বাইরে সরকার যে অন্য একটি নীতিও মেনে চলত, এই মামলায় তা স্পষ্ট হয়েছে। বিচারকের মতে এই প্রবণতা যেমন অনৈতিক, তেমনই জাতীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার পক্ষেও চরম বিপজ্জনক। প্রতিবেশী দেশে নাশকতা চালানো কখনও কোন সরকারের নীতি হতে পারে না। উল্লেখ্য এ মামলার রায়ে খালেদা জিয়ার দুই মন্ত্রী ও উলফার কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াসহ ১৪ জনের মৃত্যুদ- ঘোষণা করেন বিচারক।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দশ বছর আগে ১ এপ্রিল চট্টগ্রামে শিল্প মন্ত্রণালয়ের জেটিতে দু'জাহাজ অস্ত্র ১০টি ট্রাকে বোঝাই করার সময় ধরা পড়ে। বিচারক রহমান তাঁর রায়ে বলেছেন, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা বিভাগ (ডিজিএফআই)-এর ডিজি সাদিক হাসান রুমি প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে অস্ত্র আটকের বিষয়টি জানালেও তিনি নীরব থাকেন। ডিজিএফআই-এর প্রধান রুমি আদালতে হলফনামা দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের জেটিতে খালাস হওয়ার অস্ত্র ধরার বিষয়টি তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী জামায়াতের শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামীকে জানিয়েছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব শোয়েব আহমদ। আদালতকে দেয়া সাক্ষ্যে তিনিও জানিয়েছেন, মন্ত্রী তাঁকে কোনও পদক্ষেপ নিতে নিষেধ করেছিলেন। অস্ত্র চোরাচালানের এই বিষয়টি সরকারের সব মহলের জ্ঞাতসারে হয়েছে বলেও সচিবকে জানিয়েছিলেন নিজামী।
বিচারকের মন্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, উলফার জন্য এই বিপুল অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অফিস 'হাওয়া ভবন'-এরও যোগাযোগ ছিল। সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ 'ডিজিএফআই' ছাড়া গোয়েন্দা সংস্থা 'এনএসআই'-এর তৎকালীন কর্মকর্তারা এই মামলায় যে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তা থেকেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর পাঠানো অর্থ কী ভাবে বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্তাদের হাতে আসত, তা-ও প্রকাশ্যে এসেছে।
সরকার ও গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের জঙ্গী সংগঠন উলফার যে নিবিড় যোগাযোগ ছিল, সে কথাও বলেছেন বিচারক। ওই রায়ে বলা হয়েছে, ডিজিএফআই ও এনএসআই-এর বিভিন্ন কর্মকর্তা আদালতে দাঁডিয়ে উলফার সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগের কথা স্বীকার করেছেন। এমনকি উলফার টাকায় সস্ত্রীক দুবাই বেড়িয়ে আসার কথাও স্বীকার করেছেন এনএসআই-এর তখনকার ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রহিম।
রায়ে বলা হয়েছে, সম্ভবত বিশ্বের আর কোনও মামলায় এভাবে দেশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা প্রকাশ্যে এসে আদালতে সাক্ষ্য দেননি। সে হিসেবে এই মামলা নতুন নজির গড়েছে। গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা আদালতে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রীরাই গোটা ঘটনায় জড়িত। কর্মচারী হিসেবে বাকিরা তাঁদের দায়িত্বটুকুই পালন করেছেন শুধু। রায়ে বলা হয়েছে, দেশ পরিচালনায় ঘোষিত নীতির বাইরে সরকার যে অন্য একটি নীতিও মেনে চলত, এই মামলায় তা স্পষ্ট হয়েছে। বিচারকের মতে এই প্রবণতা যেমন অনৈতিক, তেমনই জাতীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার পক্ষেও চরম বিপজ্জনক। প্রতিবেশী দেশে নাশকতা চালানো কখনও কোন সরকারের নীতি হতে পারে না। উল্লেখ্য এ মামলার রায়ে খালেদা জিয়ার দুই মন্ত্রী ও উলফার কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াসহ ১৪ জনের মৃত্যুদ- ঘোষণা করেন বিচারক।
__._,_.___