Banner Advertise

Monday, February 17, 2014

[chottala.com] আফগান ফেরত জঙ্গীরা জোটে ঢুকে বোমাবাজি গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে



মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ৬ ফাল্গুন ১৪২
আফগান ফেরত জঙ্গীরা জোটে ঢুকে বোমাবাজি গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে
গোয়েন্দা রিপোর্ট
শংকর কুমার দে ॥ ওসামা বিন লাদেন, মোল্লা ওমর ও আইমান আল জাওয়াহিরির সঙ্গে আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে পালিয়ে এসেছিল আফগানিস্তানের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশের ১০ জঙ্গী নেতা। আফগানিস্তানের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ৪০ জনের এক জঙ্গী গ্রুপ পাকিস্তান হয়ে তখন বাংলাদেশে প্রবেশ করে। আফগান যুদ্ধে ফেরত জঙ্গীরা বাংলাদেশে এসে বিভিন্ন জঙ্গী গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ক্ষমতার লোভের টোপে পড়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোটে সম্পৃক্ত হয়ে বিভিন্ন সময়ে বোমাবাজি ও গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
১৯৮৮ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের একটি জঙ্গী প্রতিনিধি দল পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সফর করে। এই সফরকারী দলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন হরকত-উল-জিহাদের (হুজি) নেতা শেখ ফরিদ, শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক, মাওলানা আবদুস সালাম, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার আসামি হুজির একাংশের প্রধান মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। আফগানিস্তান সফরকালে এই প্রতিনিধি দলটির নেতাদের সঙ্গে আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে দেখা হয় এবং বাংলাদেশের আল কায়েদার অনুকরণে জঙ্গী গ্রুপ প্রতিষ্ঠার আলোচনা হয়। মিয়ানমারের আরকানের হুজি নেতা মাওলানা আবদুল কুদ্দুছ বার্মি, বাংলাদেশের মাওলানা আবদুস সালাম, মাওলানা আবদুল হাই আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন ও আফগান মুজাহিদদের সঙ্গে সাংগঠনিক ব্যাপারে কো-অর্ডিনেটরের ভূমিকা পালন করেন।
২০১১ সালে মাওলানা শেখ ফরিদ গ্রেফতার হওয়ার পর গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর দেয়া তথ্যে দেখা যায়, ১৯৮৮ সালে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানের উদ্দেশে রওনা হয়। সে বছরের ২ মার্চ বিকেল সাড়ে ৩টায় আফগানিস্তানে পৌঁছান তাঁরা। আফগানিস্তানে যাওয়া ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন নোয়াখালীর মাওলানা হাবিবুল্লাহ মেজবা, ঢাকার শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক, মোহাম্মদপুরের মুফতি নসরুল হক, মাওলানা আজিমউদ্দিন, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, চট্টগ্রামের মাওলানা সুলতান, মাওলানা মনসুর, কিশোরগঞ্জের মাওলানা আতাউর রহমান খান, ফরিদপুরের মাওলানা আবদুল মান্নান, সিলেটের মাওলানা হাবিবুর রহমান খান। আফগান ফেরত ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের কয়েকজন ইতোমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন, কয়েকজন মারা গেছেন ও আত্মগোপনে চলে গেছেন। 
গোয়েন্দা সংস্থার রেকর্ড থেকে জানা যায়, তখন যাঁরা গ্রেফতার হয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য দিয়েছেন তাতে দেখা যায়Ñ ১৯৮৮ সালের ৫ মার্চ সকাল ৯টার দিকে তাঁরা আফগানিস্তান থেকে ফিরে আসেন পাকিস্তানে। সেই বছরের ১২ মার্চ তাঁরা ঢাকায় চলে আসেন। আফগানিস্তানের সাত্তাহ নামক এলাকায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলটির সঙ্গে আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের সাক্ষাত হয়। আফগানিস্তানে অবস্থানরত আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলটিকে জিহাদের বিভিন্ন ধরন, প্রশিক্ষণ, অত্যাধুনিক রাইফেল একে-৪৭সহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়। আফগান যুদ্ধে রাশিয়া পিছু হঠলে ক্ষমতার দখল নিয়ে আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ হওয়ার সময়ে পাকিস্তান থেকে একাধিকবার আফগানিস্তানে যাতায়াত করেন মাওলানা শেখ ফরিদ। বাংলাদেশ থেকে যাঁরা আফগান যুদ্ধে অংশ গ্রহণের জন্য তখন গিয়েছিলেন তাঁরা কখনও ৩ মাস, কখনও ৬ মাস, কখনও ১ বছর পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিভিন্নস্থানে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে আল কায়েদা যখন হামলা চালায় তখন মাওলানা শেখ ফরিদ আফগানিস্তানেই অবস্থান করছিলেন। বহুজাতিক বাহিনী যখন আফগানিস্তানে একযোগে হামলা চালায় তখন শেখ ফরিদসহ অন্যরা আফগান মুজাহিদের পক্ষে যুদ্ধে অংশ নেয়। বহুজাতিক বাহিনীর ব্যাপক হামলার মুখে আফগানিস্তানে একের পর এক শহরের পতন ঘটতে থাকলে আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন, মোল্লা ওমর ও বর্তমান প্রধান আইমান আল জাওয়াহিরি নিরাপত্তার জন্য একের পর এক স্থান বদলাতে থাকেন। তাঁরাও আফগান যুদ্ধের পর পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। বাংলাদেশে এসে তাঁরা হরকত-উল-জিহাদ (হুজি) নামে জঙ্গী সংগঠন গড়ে তোলেন। ১৯৯৮ সালে হুজির মধ্যে জিহাদ ও নেতৃত্বের প্রশ্নে মতবিরোধ দেখা দেয়। এর মধ্যে জঙ্গী সংগঠন হুজি তিন ভাগ হয়ে যায়। আফগান যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুজাহিদরাও বিভক্ত হয়ে যায়। এর মধ্যে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার আসামি হুজি প্রধান মুফতি আবদুল হান্নানের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে হুজির একাংশ। বিএনপি-জামায়াত জোট রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে আফগান ফেরত মুজাহিদ ও তাদের নেতৃত্বাধীন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠনের জঙ্গীদের। দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা, আউলিয়ার মাজার, গির্জা, সিনেমা হল, রমনা বটমূল, সিপিবির সমাবেশ, ব্রিটিশ হাইকমিশনারসহ বিভিন্নস্থানে ও ব্যক্তিদের ওপর গ্রেনেড-বোমা হামলা চালায় তারা। এমনকি আফগান ফেরত যোদ্ধাদের নেতৃত্ব দেয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংঠন হরকত-উল-জিহাদ (হুজি) প্রধান মুফতি আবদুল হান্নানের নেতৃত্বে জঙ্গীরা গোপালগঞ্জে বোমা পুঁতে রাখা, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোয়েন্দা সংস্থার এক উর্ধতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বর্তমান আল কায়েদার প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরির ইউটিউবে ছাড়া কথিত একটি অডিওবার্তায় বাংলাদেশের মুসলমানদের প্রতি ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণাকারীদের প্রতিরোধের যে আহ্বান জানিয়েছেন- তার সঙ্গে বাংলাদেশের বিএনপি-জামায়াত জোটের ব্যবহার করা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন ও উগ্র মৌলবাদী ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি অস্বাভাবিক কিছু নয়। যুদ্ধাপরাধীর বিচার বানচাল ও রায় ঘোষণার প্রতিবাদে জামায়াত-শিবিরের নেতৃত্বে বিদেশে যে তাদের লবিস্ট নিয়োগ করা আছে, তারা যেভাবে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত সংবাদ প্রকাশ করে চলেছে, তার সঙ্গে আইমান আল জাওয়াহিরির বার্তায় বাংলাদেশকে 'বিরাট এক জেলখানা, ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্র'- নানাভাবে আখ্যায়িত করার ঘটনার সঙ্গে সাদৃশ্য দেখা যায়।
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ৬ ফাল্গুন ১৪২


__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___