Banner Advertise

Friday, December 20, 2013

[chottala.com] অশুভ শক্তিকে রুখে দিন



অশুভ শক্তিকে রুখে দিন
আওয়ামী সরকার হটাতে বিএনপি-জামায়াতের হিংস্র আন্দোলন চলছে। আন্দোলনের ধ্বংসাত্মক তা-ব দিন দিন বাড়ছে। নতুন মাত্রার সহিংসতা যোগ হয়েছে কাদের মোল্লার ফাঁসির প্রতিবাদে। কদিন আগে জুমা নামাজ চলাকালে হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরা অবস্থায় সঙ্গে আনা লাঠি নিয়ে ককটেল ও পেট্রোলবোমা ফাটিয়ে রামপুরা, ফকিরাপুল ও এজিবি কলোনির আইডিয়াল স্কুল এলাকায় গাড়ি, দোকানপাট পোড়ানো বা ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনা ঘটায় শিবির কর্মীরা। আক্রমণের নতুন কৌশল দেখে জনগণ মনে করে তারা অনেক প্রশিক্ষিত সৈনিকের তুলনায় যুদ্ধবিদ্যায় কম পারদর্শী নয়। হঠাৎ পথে নেমে ঝটিকা আক্রমণ চালিয়ে টার্গেট ধ্বংস করে অতিদ্রুত পলিয়ে যায়। মনে হয়েছে তাদের আবাসস্থল প্রতিটি পাড়ায়। সাধারণের বেশে গলিমুখে ঘুরতে ঘুরতে নিজস্ব কোন সংকেতে হঠাৎ একত্রিত হয়ে পকেটে বা প্যাকেটে রাখা ককটেল মেরে ক্ষণিকেই ফিরে যায় নিজ ঘরে। ফখরুল-সালাহউদ্দিন সাহেবরা ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনের তীব্রতা বাড়বে এবং চলবে যত দিন না নিশ্চিত হয় আওয়ামী সরকারের পতন। '৭১ সালে দেশ জয়ের যুদ্ধের অনুকরণে যুদ্ধ চলছে। দিশেহারা জনগণ। পেট্রোলবোমার আক্রমণে পুড়ে মরার আতঙ্কে শ্রমিকরা ঘরে বন্ধী। দেশের উন্নয়ন কাজ থেমে গেছে, না খেয়ে র্মছে দিনমজুর পরিবার। গাড়ি না চলায় গ্রামে উৎপাদিত সবজি-তরকারি পচে আমদানি-রফতানির মালবাহী গাড়ি চলছে না, দেশের বড় আয়ের উৎস গার্মেন্টস ব্যবসা প্রায় বন্ধ। দেশ পুড়ছে, মানুষ র্মছে, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে ওদের হিংস্র তা-বে ধ্বংস হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। 
বিএনপি-জামায়াত-শিবির ভাবছে তাদের আন্দোলনের তীব্রতা দেখে পুলিশ-মিলিটারি ও জনগণ ভয় পেয়ে মনোবল হারিয়ে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় হলে তারা ক্ষমতা দখল করে নিজেদেরকে বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেবার সুযোগ নেবে। যে কারণে তারা নির্বাচনে যাবে না, অন্য কাউকেও যেতে দিতে চায় না; নির্বাচন প্রতিরোধ করবে ঘোষণা দিয়েছে। তারা ক্ষমতায় এলে একদিন যুদ্ধাপরাধী সাজিয়ে সমস্ত আওয়ামী নেতাদের বিচার করে শাস্তি কার্যকর করতে খুব বেশি সময় নেবে না। দেশে গণতন্ত্র নয় ইসলামিক দলের আমিরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে তালেবানি কায়দায় দেশ চালাতে হেফাজত ঘোষিত ১৩ দফা বাস্তবায়ন করবে। এটা তাদের পরিকল্পনা যা প্রচার করেছে জামায়াত-শিবির ভোটারদের মাঝে এবং জনসম্মুখে অহরহ আওয়ামী সরকারের দোষ বলাটাই নিজেদের দায়িত্ব মনে করে। প্রশিক্ষিত শিবির সৈনিকরা প্রতিজন নিজ গ্রাম থেকে মাদরাসা-পড়–য়া বা অশিক্ষিত সুঠামদেহের অনেক যুবক কর্মী সংগ্রহ করেছে যাদের নাম দিয়েছে আল্লাহর সৈনিক। মগজে বিশ্বাস ঢুকিয়েছেÑএ যুদ্ধে জিত্লে গাজী মরলে বেহেস্ত। দিচ্ছে লোভনীয় বেতন আবার তাদের মাধ্যমে সংগ্রহ করছে কাজ না পাওয়া বস্তিবাসী শ্রমিক। যাদের দিচ্ছে চুক্তিভিক্তিক পারিশ্রমিক, ককটেল মারলে একশত, পেট্রোলবোমা মারলে দুই শত, গাড়ি ভাঙ্গলে তিনশত, গাড়ি পোড়ালে এক হাজার, পুলিশ ও সরকারী গাড়ি পোড়ালে দুই হাজার ইত্যাদি। শক্তি ও সংখ্যায় দিন দিন ওরা বাড়ছে।
দেশ যখন দ্রুত বহুমুখী উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, পৃথিবী যখন বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে, তেমন সময়ে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে দেশে নাশকতা সৃষ্টিকারীদের প্রতিরোধ বা প্রতিহত করার দায়িত্ব শুধু কি র‌্যাব-পুলিশ-বিজিবির? সরকারের অঙ্গসংগঠন বলতে যারা সুবিধাভোগী তাদের কোন তৎপরতা পাড়া-মহল্লায় সামান্যই চোখে পড়েছে। তাই আওয়ামী ভোটারদের অনেকে প্রশ্ন করেনÑসরকার আমাদের জীবন ও সম্পদ নিরাপদ রাখতে বর্তমানের অশুভ শক্তি প্রতিহত করতে আরো জোরালো শক্তি প্রয়োগে সক্ষম কি?


__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___