Banner Advertise

Thursday, December 19, 2013

[chottala.com] পাঁচ দফা শর্ত মেনে সমঝোতা হলে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নতুন নির্বাচন ॥ প্রধানমন্ত্রী



পাঁচ দফা শর্ত মেনে সমঝোতা হলে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নতুন নির্বাচন ॥ প্রধানমন্ত্রী
দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বৈঠক
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সমঝোতা হলে নতুন নির্বাচনের ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা আলোচনা করছি, আলোচনা চলবে। নির্বাচন হওয়ার পরও আলোচনা চলতে থাকবে। সমঝোতায় আসতে পারলে নতুন নির্বাচন দেব। 
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। আপনারা দশম সংসদ নির্বাচনের ট্রেন মিস করেছেন। এখন উনি (খালেদা জিয়া) যদি হরতাল বন্ধ করেন, অবরোধ বন্ধ করেন, মানুষ পুড়িয়ে মারা বন্ধ করেন, গাছ কাটা বন্ধ করেন, মানুষের ওপর অত্যাচার বন্ধ করেনÑ তাহলে নির্বাচনের পর আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা যদি সমঝোতায় আসতে পারি, তবে প্রয়োজনে আমরা পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দিয়ে পুনরায় নির্বাচন দেব। সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন হবে। তবে এ জন্য বিএনপিকে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তবে চলতি দশম সংসদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া থামবে না বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। বিরোধী দলের ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সরকারপ্রধান বলেন, খুঁজে খুঁজে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘর পোড়াচ্ছেন। মানুষের ধৈর্যেরও একটা সীমা আছে, সহ্যেরও একটা সীমা আছে। এ সব কর্মকা- আর বরদাশত করা হবে না। মানুষ হত্যা বন্ধ না করলে, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করার জন্য যত কঠোর হওয়া দরকার তত কঠোর হব। শেখ হাসিনা বলেন, বিরোধী দল অবরোধ দিয়ে তো কিছুই করতে পারল না। ওনার অবরোধ শুধু দিনমজুর আর খেটে খাওয়া মানুষের বিরুদ্ধে। আর ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা যেন ক্লাস পরীক্ষা দিতে না পারে তার জন্য।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫৪ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের আশা ছিল বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নেবে। এ জন্য আমরা জোটগতভাবে ছাড় দিয়ে প্রার্থী ঠিক করেছি। যখন বিরোধী দল নির্বাচনে আসেনি, তখন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়াটা স্বাভাবিক। তার পরও নির্বাচনে ১২ দল ও ৫৪০ স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশ নিচ্ছে। তিনি বলেন, জামায়াত নির্বাচনে না আসায় বিএনপিও আসছে না। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলছে। নির্বাচন সম্পন্ন হবে।
অবরোধকালে ধ্বংসযজ্ঞের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি অবরোধ কর্মসূচী ঘোষণা করে, আর জামায়াত মাঠে নেমে মানুষ হত্যা করে, রগ কাটে। তারা হাজার হাজার গাছ কেটে রাস্তা বন্ধ করছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী পরিবেশবাদীদের সমালোচনা করে বলেন, এত হাজার হাজার গাছ কাটা হলো কোন একজন পরিবেশবাদী এ নিয়ে কিছু বলল না। একটা প্রতিবাদ তাদের কাছ থেকে পাইনি। মানুষ হত্যার প্রতিবাদও পাইনি। কোন সংগঠন একটা বিবৃতি দিল না। মানুষ পুড়িয়ে মারল। প্রতিদিনই কেউ না কেউ মারা যাচ্ছে, কিন্তু কেউ কোন বিবৃতি দিচ্ছে না। 
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী অভিযোগ করেন, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাননি, তিনি তাদের রক্ষার চেষ্টা করছেন। কিন্ত যারা একাত্তরে স্বজন হারিয়েছেন বিচার চাওয়াটা তাদের মৌলিক অধিকার। খালেদা জিয়ার কথা আলাদা। উনি তো ওনার স্বামী হত্যার বিচারও করেননি। তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে প্রতিশোধ নিইনি। উন্নয়ন করেছি। আমাদের এ অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার জন্যই ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। এ সময় তিনি কাদের মোল্লার রায় কার্যকর করায় পাকিস্তান সরকারের প্রতিক্রিয়ার তীব্র সমালোচনা করেন। 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও দলের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মতিয়া চৌধুরী, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, কাজী জাফর উল্লাহ, মোহাম্মদ নাসিম, নুহ উল আলম লেনিন, ড. এইচ টি ইমাম, ড. মশিউর রহমান, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, আব্দুল মতিন খসরু, এ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওছারসহ দলের ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রায় সব সদস্যই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অবরোধ দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা এসি রুমে বসে মুরগির স্যুপ চিবাচ্ছেন। অথচ গরিব মানুষগুলো কী খাচ্ছে সেটা কি চিন্তা করেন? আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর পোড়াচ্ছেন। ধৈর্য সহ্যের একটা সীমা থাকে। এ ধরনের নৈরাজ্য আমরা আর সহ্য করব না। এসব বন্ধ করুন। আলোচনায় আসুন। 
বিরোধীদলীয় নেত্রীর উদ্দেশে শেখ হাসিনা আরও বলেন, বার বার বলেছি নির্বাচনে আসুন, এলেন না। আমরা তো ভোটার লিস্টে ভুয়া ভোটার অন্তর্ভুক্ত করিনি। এত নির্বাচন হলো কেউ প্রশ্ন তুলতে পারল না। তাহলে কিসের অজুহাতে উনি (খালেদা জিয়া) নির্বাচনে এলেন না? যখনই তাঁকে আলোচনার জন্য ডেকেছি, তখনই আমাকে তিনি আমাকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন। ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করে তিনি নেতাকর্মীদের মানুষ হত্যা করতে উৎসাহিত করেন।
নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩৮ বছর এদেশের মানুষ নির্বাচন নিয়ে কোন স্থায়ী সমাধান পায়নি। প্রতিবার নির্বাচনের সময় কোন না কোন সমস্যা হয়। আমরা চেয়েছি একটা স্থায়ী সমাধান করতে। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আমরা একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যেতে চাই। অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবেই আমরা নির্বাচন করব। সে লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করেছি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেছে, একটার পর একটা সেটা পদত্যাগ করে চলে গেছে। ওই সময়কার অবস্থা কী হয় তা আমরা দেখেছি।
সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর দেশের উন্নয়নে দিকে নজর দিয়েছিলাম। আমরা প্রতিশোধ নেইনি। খাদ্য, বিদ্যুত, শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রে আমরা উন্নয়ন করেছি। বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। আমাদের এ অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতেই বিএনপি পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।


__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___