Banner Advertise

Saturday, December 21, 2013

[chottala.com] Fw: [Pro-Muslim] Fw: Fwd: My Article In Khabor News !!!!





On Saturday, December 21, 2013 6:40 PM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:
 








ডা. মানিক : ১৯৭৫ সালে সপরিবারে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতার হত্যাকান্ডের পর বাংলাদেশ যখন "রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতার মূল্যবোধ" হারিয়ে দিকবিহীন জাহাজের মত অথৈ সাগরে ভাসছিল , সেই সংকটময় মুহুর্তে নিপুন নাবিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে যিনি বাংলাদেশ নামক জাহাজটিকে আলোর সন্ধান দেখিয়ে তীরে নিয়ে এসেছিলেন , তিনি হলেন শ্রদ্ধাভাজন মহিয়সী এক নারী জোহরা তাজউদ্দিন , স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের সহধর্মিনী ৷ দেশবাসীকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে আজ তিনি ফিরে গেছেন না ফেরার দেশে ৷
21122013_005_MANIK_MD
দৃঢ়চেতা , মুক্তিযুদ্ধের কন্ঠস্বর এই নেত্রীর সাথে আমার প্রথম পরিচয় হয় আটলান্টা নগরীতে ২০০০ সালের প্রথম দিকে তার ভাইয়ের মেয়ে পারিবারিক বন্ধু সীমা ভাবি-খোকা ভাইয়ের বাসায় ৷ মুক্তিযুদ্ধের অনেক অজানা কাহিনী শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল তার কাছ থেকে সেই সময় ৷ পরিবারকে এক অনিশ্চিয়তার মাঝে রেখে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় প্রিয়তমা স্ত্রীকে লেখা তাজউদ্দিন আহমেদের সেই অবিশ্বরনীয় চিরকুট "সাড়ে সাত কোটি মানুষের সাথে মিশে যাও , দেখা হবে মুক্তির পরে" , সেই কথাটি আজও মনে পরছে ! মনে পরছে মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতায় তার সেই প্রবাস জীবনের কথা , যখন কাছে থেকেও প্রানপ্রিয় স্বামীর সাক্ষাত পান নি , কেননা তাজউদ্দিন আহমেদ সপথ করেছিলেন দেশ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত পরিবারের সাথে কোনো দেখা সাক্ষাত করবেন না ! মনে পরছে নয় মাসের সোহেল তাজকে কোলে নিয়ে '৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর সারা দেশ চষে বেরিয়ে মৃতপ্রায় আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করা ! সেই সময় জর্জিয়া আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমরা তাকে একটি সম্বর্ধনা দিয়েছিলাম যার সঞ্চালক ছিলাম আমি ৷ এর পরে আটলান্টায় তিনি আরো কয়েকবার এসেছিলেন , আসলেই দেখা করতে চলে যেতাম খোকা ভাই এর বাসায় , কখনো বা আমার বাসায় নিয়ে আসতাম , মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনতাম তার কাছে মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশের কাহিনী ৷ আমার স্ত্রীকে তিনি খুবই আদর করতেন , "আমার শাকেরা " বলেই সম্বোধন করতেন ওকে ৷ এর পরে দেশে যখনই বেড়াতে গিয়েছি প্রতিবারই এই মহিয়সী নারীর সাথে দেখা করেছি , মায়ের মত আদর করে তার সেই আতিথেয়তার কথা আজও ভুলিনি ! মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তার সেই আবেগময়ী উপদেশ বাণীর কথা আজও মনে পরছে ৷ আজ তিনি আমাদের মাঝে নেই কিন্তু যতদিন বাংলাদেশ থাকবে , যতদিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থাকবে , ততদিন তিনি চির স্বরনীয় হয়ে থাকবেন আমাদের সবার মাঝে ৷
আজ বাদ জুমা স্থানীয় কুবা মসজিদে তার বিদেহী আত্মার স্বরণে এক দোআ মহফিলের আয়োজন করা হয় , আমার সৌভাগ্য হয়েছিল সেই মহফিলে অংশগ্রহন করার ৷ সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালার নিকট তার বিদেহী আত্বার মাগফেরাত এবং জান্নাতবাসীর কামনা করছি ৷ এখানে উল্লেখযোগ্য যে এই দোআ মহফিলটি পূর্ব নির্ধারিত ছিল সীমা ভাবির আম্মার (জোহরা তাজুদ্দিনের ভাবি) এবং সুইটি ভাবির আম্মার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ৷
ডা. মানিক: আটলান্টা।

0 Comments








__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___