Banner Advertise

Tuesday, September 24, 2013

[chottala.com] জনগণের ওপর ভরসা না করে বিদেশীদের মুখপানে চেয়ে থাকলে হতাশ হতে হয়। বিএনপির ক্ষেত্রে কি সেটাই ঘটতে চলেছে?



সংসদ ফ্রোজেন হবে ২৫ অক্টোবর : কাউন্ট ডাউন শুরু : তত্ত্বাবধায়ক কি আসবে?
মোবায়েদুর রহমান : বিএনপির জন্য কোন সুখবর অপেক্ষা করছে বলে আমার তো মনে হচ্ছে না। জনগণের ওপর ভরসা না করে বিদেশীদের মুখপানে চেয়ে থাকলে হতাশ হতে হয়। বিএনপির ক্ষেত্রে কি সেটাই ঘটতে চলেছে? শনিবার একটি বাংলা পত্রিকার সংবাদ দেখে সেটাই মনে হচ্ছে। সেই কথাটি একটু পরে বলছি। তার আগে বলতে চাই যে শিক্ষিত সচেতন মানুষ ইতোমধ্যেই কাউন্ট ডাউন শুরু করেছেন। সাধারণত ১০ থেকে কাউন্ট ডাউন শুরু হয়। কিন্তু আজ মঙ্গলবার ৩২ থেকে কাউন্ট ডাউন করতে হবে। কারণ সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে জাতীয় সংসদের অস্তিত্ব বিলীন না হলেও সেটি ফ্রোজেন হয়ে যাবে। সুতরাং বিএনপির প্রত্যাশা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ সরকারকে যদি নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের ব্যবস্থা করতে হয়, তাহলে পার্লামেন্টের মাধ্যমে সেটা ২৫ অক্টোবরের আগেই করতে হবে। কারণ ২৫ অক্টোবর থেকে সংসদ ফ্রোজেন বা বরফের মতো জমাট বেঁধে যাবে বলে আর কোন অধিবেশন হবে না। সেজন্যই স্পিকার শিরীন শারমিন বলেছেন যে, বর্তমানে যে অধিবেশন চলছে সেটিই জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশন। যদি ২৪ অক্টোবরের মধ্যে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের ব্যবস্থা না হয় তাহলে বিএনপির সামনে মাত্র দুটি অপশন থাকবে। একটি হলো- বর্তমান সংবিধানকে মেনে নিয়ে সেই সংবিধানের অধীনেই তাদেরকে নির্বাচন করতে হবে। অন্য কথায়, বর্তমান মন্ত্রী সভা থাকবে (হয়তো আকৃতি ছোট হতে পারে), শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, জাতীয় সংসদ থাকবে এবং জাতীয় সংসদের বর্তমান এমপিরা এমপি হিসেবে বহাল থাকবেন এবং এমপি হিসেবেই নির্বাচন করবেন। দ্বিতীয়টি হলো- বিএনপিকে হয় এই পরিস্থিতি মেনে নিতে হবে, না হয় নির্বাচন বর্জন করে সেটি প্রতিহত করতে হবে। বিএনপি বলছে যে তারা বর্তমান সংসদ বহাল রেখে এবং শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখে কোন রকম নির্বাচনে যাবেন না এবং দেশে নির্বাচন হতেও দেবেন না। 
বিএনপির এই অবস্থানের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে, সংবিধান থেকে তিনি এক চুলও নড়বেন না। শেখ হাসিনা আরও বলেছেন যে, নির্বাচন প্রতিরোধ বা বানচাল করার ক্ষমতা বিএনপির নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর বলেছেন বিএনপি যে রাজনৈতিক যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, সেই যুদ্ধ চালানোর ক্ষমতা তাদের নেই। আওয়ামী লীগের অপর একজন নেতা সাবেক টেলিফোন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন যে, দেশে রোজ কেয়ামত ঘটে গেলেও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে না। 
ওপরে যেসব নেতার উক্তি উদ্ধৃত করা হলো, এরপর আওয়ামী লীগের অবস্থান নিয়ে আর কোন সন্দেহ থাকার কথা নয়। তার পরেও বিএনপি সংলাপের আশায় বুক বেঁধে আছে। কিন্তু গত শনিবার একটি জাতীয় বাংলা দৈনিকে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে সেই সংবাদ বিএনপির এই আশার গুড়ে বালি দিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, অলৌকিক কিছু না ঘটলে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে আপাতত কোনো সমঝোতা হচ্ছে না। কারণ এতদিনের তৎপরতার পর ঢাকাস্থ কূটনীতিকরাও আলোচনা বা সমঝোতার আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছেন। বরং কূটনীতিকদের কাছ থেকে বিএনপির কাছে 'হতাশার বার্তা' যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, সরকারের নীতিনির্ধারকরা কূটনীতিকদের কোনো পরামর্শই শুনছে না। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের পরামর্শ সরকার গ্রহণ করছে না বলে বিএনপিকে জানানো হয়েছে। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পদস্থ এক কূটনীতিক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক নেতাকে এ ধরনের তথ্য জানিয়ে বলেন, সরকার কার্যত তাদের সব প্রস্তাব নাকচ করছে। ফলে সমঝোতার ভবিষ্যৎ কী হবে তা তারা জানেন না। সরকার কাদের পরামর্শ শুনছে জানতে চাইলে ওই নেতার কাছে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী একটি দেশ এবং বিশ্ব রাজনীতিতে তাদের বিরোধী শিবিরের প্রভাবশালী একটি দেশের নাম বলেন, যে দেশটির সঙ্গে এ সরকারের সাম্প্রতিক সময়ে বড় ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরাও অনানুষ্ঠানিক আলাপচারিতায় একই ধরনের বার্তা বিএনপিকে দিয়েছে। বলেছে, সংলাপের ব্যাপারে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে নমনীয় কোনো ভাব নেই। এর আগে জাতিসংঘের উদ্যোগে একটি সমঝোতা প্রস্তাব সরকার নাকচ করে দেয়। সর্বশেষ বড় দুই দলকে ওয়াশিংটনে নিয়ে যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট আমন্ত্রণ জানিয়েছে। দু'পক্ষ রাজি হলে আগামী ১ অক্টোবর ওয়াশিংটনে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। কিন্তু এর কোনোটাতেই ফল বেরিয়ে আসবে বলে বিএনপি এখন আর মনে করে না। দলটির নেতাদের উপলব্ধি হল, পরিস্থিতি পয়েন্ট অব নো রিটার্নের দিকে চলে গেছে। ইতিবাচক কিছুই আর হবে না। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকার জাতিসংঘের উদ্যোগ যেখানে নাকচ করে দিয়েছেন সেখানে ঢাকার কূটনীতিকদের উদ্যোগ আর কী কাজে লাগে! ফলে তারা আস্তে আস্তে আশাহত হবেন, এটাই স্বাভাবিক। তিনি বলেন, সম্ভবত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা একতরফা নির্বাচন করবে। পাশাপাশি তারা এও চায় না যে, বিএনপি নির্বাচনে আসুক। ফলে আমাদের রাজপথেই নামতে হবে।
॥দুই॥
প্রকাশিত উক্ত খবরকে একেবারে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয়া যায় না। কারণ বাংলাদেশের রাজনৈতিক সঙ্কট মোচনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একাধিক উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো। কিন্তু সবগুলো উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। বিরাজমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনের জন্য বেশ কিছুদিন ধরে বিদেশীরা চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এদের মধ্যে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রচেষ্টা অধিকতর দৃশ্যমান। গণচীন সাধারণত নীরব কূটনীতি চালায়। এসব ব্যাপারে তারা গণমাধ্যমকে এড়িয়ে চলে। সেই গণচীনের রাষ্ট্রদূতও কয়েক দিন আগে বলেছেন যে, এই রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনের উদ্দেশ্যে বড় দুই দলকে বিশেষ করে দুই দলের নেত্রীকে এক টেবিলে মুখোমুখি বসানোর জন্য  তিনি অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তিনি সফল হতে পারেননি। তবে তার প্রচেষ্টা জারি থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন। অন্যদিকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা নিয়মিত বলে আসছেন যে, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় আমেরিকা। এটি হবে এমন একটি নির্বাচন যেখানে সব দল অংশগ্রহণ করতে পারে এবং সকলের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা থাকা উচিৎ। এটিকেই বলা হচ্ছে 'সমতল ভূমি' বা ইংরেজিতে 'লেভেল প্লেইং ফিল্ড'। তবে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এসব আবেদন অরণ্যে রোদনে পর্যবসিত হয়েছে। তার কথার আর পাত্তা নেতৃবৃন্দ তো দূরের কথা, সাধারণ মানুষও দেয় না। শোনা যায় যে, প্রধানমন্ত্রীর সাথে তিনি একটি বারের জন্য হলেও দেখা করার নিমিত্তে বার বার প্রধানমন্ত্রীর অফিসে ধর্না দিচ্ছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এখন পর্যন্ত মজিনাকে কোন ইন্টারভিউ গ্র্যান্ট করেননি। অগত্যা মধুসূদন। দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সাথে ৩ ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেছেন। 
অন্য দিকে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এ সঙ্কট সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে টেলিফোন করেছিলেন। ঐ টেলিফোন আলাপে তিনি বলেছেন যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সঙ্কট মোচনের জন্য বড় দুই নেত্রীর আলোচনায় বসা উচিৎ। বিরোধী দল অনেক দিন থেকেই আলোচনা বৈঠক অনুষ্ঠানের সপক্ষে মতামত দিয়ে যাচ্ছে। তারা এমন কথাও বলেছে যে, আলোচনার টেবিলে সব ধরনের কথা হতে পারে। কিন্তু সরকারি দল, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রীদের মাধ্যমে প্রথম দিকে আলোচনার কথা বললেও এখন সে অবস্থান থেকে সম্পূর্ণ সরে দাঁড়িয়েছেন। এ অবস্থার পটভূমিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরী আলাদাভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে পত্র দিয়েছেন। ঐ পত্রেও তিনি আলোচনার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার পক্ষ বান কি মুনের টেলিফোন, গণচীনের রাষ্ট্রদূত লী জোনের উক্তি, মার্কিন রাষ্ট্রদূত মজিনার উক্তি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরীর পত্রকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ বলে মনে করেন। পক্ষান্তরে বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জন কেরীর চিঠির জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, বিএনপি এবং ১৮ দলীয় জোট সব সময় আলোচনার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু সরকার পক্ষ থেকে আলোচনার জন্য কোন রকম আগ্রহ প্রকাশ করা হচ্ছে না। এমন একটি অবস্থায় গত শুক্রবার সংবাদপত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর প্রকাশিত হয়েছে। ঐ খবর মোতাবেক বাংলাদেশের সঙ্কট সমাধানে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের তরফ থেকে ২ জন করে প্রতিনিধি নির্বাচন করে তাদের ওয়াশিংটনে আগমনের আহ্বান জানানো হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই সর্বশেষ উদ্যোগের ফলাফল কি হবে, সেটি এই কলাম লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন যে, দেশের সমস্যা নিয়ে বিদেশের মাটিতে আলোচনার চেয়ে দেশের মধ্যে আলোচনা করা অনেক ভালো।
॥তিন॥
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভাগ্যে কি লেখা আছে তা একমাত্র আল্লাহ মাবুদ ছাড়া আর কেউ জানে না। সারা দেশ জল্পনা-কল্পনায় ভরে গেছে। যেখানেই যাবেন সেখানে একটি আলোচনা: নির্বাচন কি শেষ পর্যন্ত হবে? বেগম জিয়া কি শেখ হাসিনার আন্ডারে ইলেকশন করবেন? শেখ হাসিনা কি শেষ পর্যন্ত নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নেবেন? যদি তিনি দাবি না মানেন তাহলে কি রাজপথ গরম হবে? রাজপথ গরম করার শক্তি কি বিএনপির আদতেই আছে? বিএনপি যদি কার্যকরভাবে এক তরফা নির্বাচন প্রতিহত করতে না পারে তাহলে আগামীতে কি গণতন্ত্র থাকবে? নাকি দেশ এক দলীয়, এক নায়কত্বের দিকে ধাবিত হবে? যার কাছেই এসব প্রশ্ন করুন না কেন সেই প্রশ্নের জবাব সঠিকভাবে কেউই দিতে পারছেন না। কারণ এসব প্রশ্নের জবাব এই মুহূর্তে কারও কাছেই নেই। আমার তো ব্যক্তিগত ধারণা এই যে, দেশের চলমান রাজনীতির ওপর নিয়ন্ত্রণ নেতাদের নিজেদেরও নেই। তাই তারা ঘটনাকে নিয়ন্ত্রণ করবেন না। বরং ঘটনাবলীই  তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করবে।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় চ্যানেল-২৪ এ একটি টক শো অনুষ্ঠিত হয়। একমাত্র আলোচক ছিলেন মরহুম মাণিক মিয়ার ছেলে তত্ত্ববধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন। তিনি বলেন যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোন সম্ভবনা তিনি দেখতে পাচ্ছেন না। তিনি দেখতে পাচ্ছেন আগামীতে ভয়াবহ রক্তপাত। তিনি বলেন, সরকার বিশেষ করে সরকার প্রধান, বার বার শাসনতন্ত্রের কথা বলছেন। তিনি বলেন, বার বার শাসনতন্ত্রের দোহাই দেয়া হচ্ছে। কিন্তু জনগণ কোন শাসনতন্ত্র মানবে? জনগণ দেশের শাসনতন্ত্র মানবে। জনগণ দেশের শাসনতন্ত্র এবং জনপ্রতিনিধিদের শাসনতন্ত্র মানবে। কিন্তু পঞ্চদশ সংশোধনীসহ যে শাসনতন্ত্র আমাদের সামনে রয়েছে সেটি তো আওয়ামী লীগেরও শাসনতন্ত্র নয়। সেটি হলো এক ব্যক্তির শাসনতন্ত্র। সেই এক ব্যক্তির যখন যেমন মরজি হয়েছে তখন তেমন মরজি মোতাবেক শাসনতন্ত্রের কাঁটা ছেঁড়া করা হয়েছে। অথচ সেই ব্যক্তি ইলেকশনের সময় জনগণের কাছে বলেননি যে নির্বাচনে জয় লাভ করলে তিনি শাসনতন্ত্র এভাবে বদলাবেন। এই শাসনতন্ত্রের পেছনে জনগণের ম্যান্ডেট বা অনুমোদন নেই। কাজেই সেই শাসনতন্ত্র মানতে জনগণ বাধ্য নয়।
ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন ঐ টক শোতে আরও বলেন, শেখ হাসিনা সংবিধান সংশোধন করার জন্য বেগম সাজেদা চৌধুরীকে চেয়ারম্যান এবং বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্তকে কো-চেয়ারম্যান করে একটি সংসদীয় কমিটি গঠন করেন। ঐ কমিটিও তত্ত্বাবধায়ক রাখার পক্ষে মত দেয়। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কমিটির সামনে হাজির হয়ে তত্ত্বাবধায়কের পক্ষে মত দেন। এমিকাস কিউরির ৯ জনের মধ্যে ৭ জনই তত্ত্বাবধায়কের পক্ষে মত দেন। অথচ এত কিছুর পর হঠাৎ করে রাতারাতি উল্টে গেলেন শেখ হাসিনা। তিনি হুকুম দিলেন, তত্ত্বাবধায়ক বাতিল করে সংশোধনী আনতে। এরপর কি ঘটেছে সেটি আপনারা সকলেই জানেন। 
ওপরের এই সামগ্রিক আলোচনা, এই বার্তাই দেয় যে- সরকার তার অবস্থানে অনড়। বিরোধী দল শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কত দূর অনড় থাকতে পারবে সেটিই এখন দেখার বিষয়।
email: journalist15@gmail.com
- See more at: http://www.dailyinqilab.com/2013/09/24/134944.php#sthash.ve53MogW.dpuf


Related:
বিএনপিকে হতাশার বার্তা কূটনীতিকদের
বিএনপিকে হতাশার বার্তা কূটনীতিকদের

এনাম আবেদীন

প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩










__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___