কানাডার তদন্তে মুহিতের সন্তোষ
রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি) বুধবার এক বিবৃতিতে জানায়, পদ্মা সেতু নির্মাণে পরামর্শ দান ও তদারকির কাজ পেতে ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীসহ লাভালিনের কয়েকজন কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মুহিত বলেন, "আমি খুশি হয়েছি। কারণ কেভিন ব্যাটাকে তারা যে আগে করেনি, তাতে আমি আপত্তি করেছিলাম। আমি তাদের বলেছিলাম, তাকে মাফ করার কোনো সুযোগ নেই।
"আমাদের এখানে সে গিল্টি ছিল, ওখানে ছিল না। এবার হয়েছে, এটা ভাল।"
আবুল হাসানের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, "আবুল হাসান আমাদের এখানে সন্দেহভাজন ব্যক্তি, ওখানে (অভিযুক্ত) হয়েছে, এটা ভাল।"
১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন আবুল হাসান। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর এই ছেলে এখন আওয়ামী লীগে নেই।
কানাডার পুলিশ কেভিনের পাশাপাশি লাভালিনের সাবেক কর্মকর্তা রমেশ শাহ (৬২), মোহাম্মদ ইসমাইল (৫০)কেও অভিযুক্ত করেছে। এরা দুদকের মামলারও আসামি।
কানাডার ফিন্যানসিয়াল পোস্টের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, এসএনসি-লাভালিনের সাবেক জ্যেষ্ঠ নির্বাহী ওয়ালস গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতে হাজির হওয়ার শর্তে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
এসএনসি-লাভালিনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মাণে পরামর্শকের কাজ পেতে অনিয়মের আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের ১২০ কোটি ডলার ঋণ আসেনি।
__._,_.___