তুঘলকি কাণ্ড!
তুঘলকি কাণ্ড শুধু মুহম্মদ বিন তুঘলক একা করেননি, গত ৬৬২ বছরে বহু সরকার বহুবার করেছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে আমাদের যে ১৩২ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গেল, এটি একটি তুঘলকি ব্যাপার। অনুমান করি, বাংলাদেশ ডেলিগেশন যদি হয় ১৩২ সদস্যের, তাহলে ভারতের ডেলিগেশন হবে অন্তত সাড়ে বারো শ এবং চীনের প্রতিনিধিদল হবে দেড় হাজার সদস্যবিশিষ্ট। কারণ, ভারত ও চীন বাংলাদেশের চেয়ে অন্তত ৮-১০ গুণ বড় এবং তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ নয়।
প্রতিনিধিদলের সদস্যদের জীবনবৃত্তান্ত পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, তাঁদের অধিকাংশেরই ছেলেমেয়ে আমেরিকায় থাকেন। রাষ্ট্রীয় অর্থে তাঁদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার মওকা পাওয়া মন্দ কি! তাঁদের নিয়ে কয়েকটা দিন ফুর্তিতে ঘোরাফেরা, কেনাকাটা চলবে।
সরকারপ্রধানের সঙ্গে সফরে গেলে সবচেয়ে বড় স্যুটকেসগুলোই নিতে হয়। আসার সময় ওসব স্যুটকেস থাকে মালপত্রে ঠাসা। কারও কারও স্যুটকেসের খোলের ভেতরে আস্ত ডিপার্টমেন্ট স্টোর। কাস্টমস কর্মকর্তারা তা ছুঁয়ে দেখা তো দূরের কথা, কোনো প্রশ্নই করার দুঃসাহস পান না। তা করলে এক হপ্তার মধ্যে বিমানবন্দর থেকে বদলি। যে প্রতিনিধিদল গেছে, তা একটি বিয়ের বরযাত্রীর সমান। করুণা হচ্ছে মিস্টার বান কি মুনের জন্য। তিনি যে মেজবানি বা ভোজ দেন, তাতে যদি বাংলাদেশের সবাই যোগ দেন এবং খাওয়া কম পড়ে, তার দায় তাঁর নয়—জাতীয়তায় যাঁরা বাঙালি, তাঁদের।
তুঘলকি কাণ্ড শুধু মুহম্মদ বিন তুঘলক একা করেননি, গত ৬৬২ বছরে বহু সরকার বহুবার করেছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে আমাদের যে ১৩২ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গেল, এটি একটি তুঘলকি ব্যাপার। অনুমান করি, বাংলাদেশ ডেলিগেশন যদি হয় ১৩২ সদস্যের, তাহলে ভারতের ডেলিগেশন হবে অন্তত সাড়ে বারো শ এবং চীনের প্রতিনিধিদল হবে দেড় হাজার সদস্যবিশিষ্ট। কারণ, ভারত ও চীন বাংলাদেশের চেয়ে অন্তত ৮-১০ গুণ বড় এবং তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ নয়।
প্রতিনিধিদলের সদস্যদের জীবনবৃত্তান্ত পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, তাঁদের অধিকাংশেরই ছেলেমেয়ে আমেরিকায় থাকেন। রাষ্ট্রীয় অর্থে তাঁদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার মওকা পাওয়া মন্দ কি! তাঁদের নিয়ে কয়েকটা দিন ফুর্তিতে ঘোরাফেরা, কেনাকাটা চলবে।
সরকারপ্রধানের সঙ্গে সফরে গেলে সবচেয়ে বড় স্যুটকেসগুলোই নিতে হয়। আসার সময় ওসব স্যুটকেস থাকে মালপত্রে ঠাসা। কারও কারও স্যুটকেসের খোলের ভেতরে আস্ত ডিপার্টমেন্ট স্টোর। কাস্টমস কর্মকর্তারা তা ছুঁয়ে দেখা তো দূরের কথা, কোনো প্রশ্নই করার দুঃসাহস পান না। তা করলে এক হপ্তার মধ্যে বিমানবন্দর থেকে বদলি। যে প্রতিনিধিদল গেছে, তা একটি বিয়ের বরযাত্রীর সমান। করুণা হচ্ছে মিস্টার বান কি মুনের জন্য। তিনি যে মেজবানি বা ভোজ দেন, তাতে যদি বাংলাদেশের সবাই যোগ দেন এবং খাওয়া কম পড়ে, তার দায় তাঁর নয়—জাতীয়তায় যাঁরা বাঙালি, তাঁদের।
__._,_.___