সিরাজগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের পিটুনিতে যাত্রী নিহত
৪৮ ঘণ্টার হরতালের দ্বিতীয় দিনে সিরাজগঞ্জ সদরে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের পিটুনিতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরেক যাত্রী।
নিহত যাত্রীর নাম মাসুদ আলী (২৭)। গুরুতর আহত অবস্থায় সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তিনি মারা যান। তাঁর বাড়ি রায়গঞ্জ উপজেলার দেওভোগ গ্রামে। আহত যাত্রীর নাম শাহ আলম। তিনি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। তাঁর বাড়ি উল্লাপাড়া উপজেলায়।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, দুপুর ১২টার দিকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে সিরাজগঞ্জ সদর
উপজেলার দিকে যাচ্ছিল। চণ্ডীদাসগাতি এলাকায় অটোরিকশাটি পৌঁছানোর পর হরতালের সমর্থক জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা সেটি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়েন। তাঁরা যাত্রীবাহী ওই অটোরিকশায় লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। এ সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে অটোরিকশাটি রাস্তার এক পাশে পড়ে যায়। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা এ সময় অটোরিকশাটিতে ভাঙচুর চালান ও যাত্রীদের পেটাতে থাকেন। তাঁদের বেধড়ক পিটুনিতে গুরুতর আহত হন দুই যাত্রী মাসুদ আলম ও শাহ আলম। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছানোর পর তাঁরা পালিয়ে যান।
পুলিশ গুরুতর আহত দুই যাত্রীকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মাসুদ আলম মারা যান।
সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিত্সা কর্মকর্তা (আরএমও) ফরিদুল ইসলাম জানান, আহত মাসুদের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। মাথার আঘাতটি মারাত্মক হওয়ায় তিনি মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আরেক যাত্রী শাহ আলমের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, হরতালের সমর্থক জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
রাজশাহীতে ছাত্রলীগকর্মীদের কুপিয়ে জখম করল শিবির
জামায়াত-শিবিরের নৃশংসতা
জামায়াত-শিবিরের ডাকা হরতালের দ্বিতীয় দিনে গাজীপুর সদর উপজেলায় একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগে করায় পুড়ে গেছেন ওই বাসের চালক নজরুল ইসলাম। ছবিটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিট থেকে তোলা। ছবি: ইউসুফ সাদ, ঢাকা
হরতালে যাত্রীবাহী বাসে আগুন, পুড়ে গেছেন চালক
__._,_.___