Banner Advertise

Tuesday, September 24, 2013

[chottala.com] কংগ্রেসম্যান পিটার কিং বলেন বাংলাদেশের জন্য তত্ত্বাবধায়ক ॥ ডেড ইস্যু



কংগ্রেসম্যান পিটার কিং বলেন বাংলাদেশের জন্য তত্ত্বাবধায়ক ॥ ডেড ইস্যু
নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতকারে রিপাবলিকান নেতা ॥ শেখ হাসিনা কমনওয়েলথ মহাসচিবকে বলেছেন আগামী নির্বাচন সংবিধানকে আরও টেকসই করবে

মাহমুদুল আলম নয়ন, নিউইয়র্ক থেকে ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন দেশটির গণতন্ত্র ও সংবিধানকে আরও টেকসই করবে। আমাদেরকে সংবিধান সমুন্নত রেখে একটি নির্দিষ্ট অবস্থান থেকে গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতা হস্তান্তরের সংস্কৃতি চালু করতে হবে। বাংলাদেশে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনও অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। সোমবার নিউইয়র্কের হোটেল হায়াতে কমনওয়েলথ মহাসচিব কমলেশ শর্মার সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের এ দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করেন। 
এদিকে দারিদ্র্য বিমোচনে অসামান্য অবদান এবং দারিদ্র্য হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ সফলতায় দ্বিতীয়বারের মতো জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জনে তাঁর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন। দ্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন (আইওএসএসসি) সোমবার সন্ধ্যায় তার সদর দফতরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক এ বিরল সম্মান বাংলাদেশের জনগণের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন। 
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির অন্যতম প্রভাবশালী প্রার্থী কংগ্রেসম্যান পিটার কিং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করে দৃঢ়তার সঙ্গেই বলেন যে, বাংলাদেশের জেনারেল সিস্টেম অব প্রিফারেন্সেস (জিএসপি) সুবিধা স্থগিতজনিত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আমি আশা করি জিএসপি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। অন্যথায় এই ইস্যু বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরের ক্ষতি করবে। বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবি সম্পর্কে লং আইল্যান্ডের রিপাবলিকান এই কংগ্রেসম্যান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এখন বাংলাদেশের জন্য কোন ইস্যু নয়। এখন মনে হয় এটা ডেড ইস্যু। 
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পৌঁছার পর থেকেই ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাউথ সাউথ পুরস্কার গ্রহণ, কমনওয়েলথ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক, মার্কিন প্রভাবশালী কংগ্রেসম্যান পিটার কিংসহ সে দেশের উর্ধতন ব্যক্তিবর্গের সাক্ষাতসহ প্রধানমন্ত্রী ওয়ালডর্ফ এস্টোরিয়া হোটেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা আয়োজিত সংবর্ধনায় যোগ দেন।
কমনওয়েলথ মহাসচিবের সাক্ষাত ॥ নিউইয়র্কের হোটেল হায়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর স্যূটে সৌজন্য সাক্ষাত করেন কমনওলেথ মহাসচিব কমলেশ শর্মা। বৈঠকে কমনওয়েলথ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীকে আগামী নবেম্বর শ্রীলংকার কলম্বোতে অনুষ্ঠিতব্য কমনওয়েলথের সরকার প্রধানদের সম্মেলনে যোগ দিতে পুনরায় আমন্ত্রণ জানান। বৈঠকে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁদের মধ্যে কথা হয়। 
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন গণতন্ত্র ও সংবিধানকে আরও টেকসই করবে বলে মন্তব্য করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে তাঁর দেশে প্রায় ৬ হাজার নির্বাচন হয়েছে। এসব নির্বাচনে প্রায় ৬৪ হাজার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। এতে বিরোধী দলের অনেক প্রার্থী সরকারদলীয় প্রার্থীকে পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছেন। এই নির্বাচনগুলোতে সরকার সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করায় এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারেনি। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, বাংলাদেশে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনও মুক্ত, অবাধ ও সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষ পন্থায় অনুষ্ঠিত হবে। 
বৈঠকে কমনওয়েলথ মহাসচিব আসন্ন সরকার প্রধানদের সম্মেলনকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন, সেখানে বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশসহ সদস্য দেশগুলোর জন্য জলবায়ু পরিস্থিতি মোকাবেলায় অর্থায়নের বিষয়ে আলোচনা হবে। মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীকে আরও অবহিত করেন যে, ওই বৈঠকে সদস্য দেশগুলোর দারিদ্র্য বিমোচন এবং অর্জিত অগ্রগতি সম্পর্কেও আলোচনা হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বিগত সম্মেলনগুলোতে শেখ হাসিনার গতিশীল ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সরকার প্রধানদের সম্মেলনের সময় বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে তাঁর ব্যস্ততার কথা জানান কমনওয়েলথ মহাসচিবকে। 
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, এ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব শেখ মোঃ ওয়াহিদ উজ জামান ও পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সাউথ সাউথ পুরস্কার অর্জন ॥ দারিদ্র বিমোচনে অসামান্য অবদানে আন্তর্জাতিক আরেকটি সম্মানজনক পুরস্কার অর্জন করলো বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের অসামান্য অবদান এবং দারিদ্র্য হ্রাসে তাঁর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে নিউইয়র্কে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন। সাউথ সাউথ এবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান ও সাফল্যে নেলসন ম্যান্ডেলাসহ মোট সাতজনকে পুরস্কৃত করে।
দ্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন (আইওএসএসসি) সোমবার সন্ধ্যায় তার সদর দফতরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়। দক্ষিণ-দক্ষিণ অঞ্চলের দেশগুলোর ত্রিমুখী সহযোগিতায় জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আইওএসএসসি গঠিত হয়। সাউথ-সাউথ সদর দফতরের প্রেসিডেন্ট ও সাউথ-সাউথ নিউজ এ্যাম্বাসেডর ফ্রান্সিস লরেঞ্জো সংস্থাটির সদর দফতরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান এবং তাঁর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের জন্য এ পুরস্কার দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইওএসএসসি এবং বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী, ফার্স্ট লেডি এবং আইওএসএসসিভুক্ত দেশগুলোর সরকার প্রধানদের ধন্যবাদ জানান। তিনি এ বিরল সম্মান বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উৎসর্গ করে বলেন, এটি আমাদের দেশের জনগণ ও বর্তমান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের স্বীকৃতি। এছাড়া বাংলাদেশসহ বিশ্বের দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলো- যারা দারিদ্র্য বিমোচনে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তাদের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কার গ্রহণ করে আমি গর্বিত। 
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা আরও বলেন, দারিদ্র্যবিরোধী লড়াই বিশেষ করে ২০১৫ সাল নাগাদ উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে আরও কঠোর ভূমিকা পালনে এ পুরস্কার বাংলাদেশকে উৎসাহিত করবে। এছাড়া ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশের উন্নয়নে যে সমস্ত লক্ষ্য ঠিক করা আছে, তা অর্জনে সমভাবে নিরলস কাজ করতেও এটি আমাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে। শেখ হাসিনা দারিদ্র্য বিমোচনে ফ্রান্সিসের অব্যাহত সমর্থনেরও প্রশংসা করেন।
বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, ইউএনডিপিসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদারদের সমর্থনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আর্থীক ও কারিগরি সহায়তারও ব্যাপক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। আমি আশা করি, পৃথিবীকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করতে এবং জনগণ যাতে আরো উন্নত জীবন-যাপন করতে পারে সে লক্ষে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ তাঁর দেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবেন এবং একযোগে কাজ করবেন।
পুরস্কারটি বাংলাদেশের জনগণকে উৎসর্গ করে প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন অনুযায়ী এ দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারকে নির্বাচিত এবং সেবা করার সুযোগ দেয়ায় তিনি দেশের জনগণকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি দারিদ্র্যের হার ২৬ শতাংশের নিচে কমিয়ে আনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর সরকারের ব্যাপক অর্জনের কথা তুলে ধরেন। 
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা জনগণকে খাদ্য নিরাপত্তা দিয়েছি। অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আনাসহ স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া, শিক্ষার প্রসার, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত এবং জীবনমান উন্নয়নে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশের জনগণ এখন গ্রামে বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে, যা তাদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নকে আরো সাহায্য করবে। তিনি বলেন, বিশ্ব অঙ্গনে বাংলাদেশ যাতে মর্যাদাপূর্ণ আসন গড়তে সক্ষম হয় সে লক্ষে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। 
অনুষ্ঠানে এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পুত্র তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়, তাঁর কন্যা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সায়মা হোসেন পুতুল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, জাসদ নেতা মইন উদ্দীন খান বাদল এমপি, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে আবদুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন। 
মার্কিন কংগ্রেসম্যান পিটার কিং-এর সাক্ষাত ॥ পরে হোটেল হায়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির অন্যতম প্রভাবশালী প্রার্থী এবং মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটির সদস্য কংগ্রেসম্যান পিটার কিং। তাঁদের মধ্যে বৈঠকে বাংলাদেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী নির্বাচনসহ গার্মেন্ট শিল্পের জিএসপি সুবিধা দ্রুত পূর্ণবহালের বিষয় আলোচনায় উঠে আসে।
সাক্ষাতকালে পিটার কিং বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ দমনে শক্ত পদক্ষেপ নেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন এবং এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। প্রধানমন্ত্রী গার্মেন্টস শ্রমিকদের কল্যানের জন্যই জিএসপি সুবিধা আবারো ফিরিয়ে দিতে পিটার কিং এর দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, জিএসপি সুবিধা স্থগিতকরণ মুলতঃ শ্রমিকদের বিপক্ষে গেছে, যা শ্রমিকদের দক্ষতা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অন্তরায় হবে।
এ ব্যাপারে তাঁর পূর্ণ ও সক্রিয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে পিটার কিং বলেন, বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিতজনিত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। অন্যথায় এই ইস্যু বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরের ক্ষতি করবে। বাংলাদেশের ইতিবাচক অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি এ অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। 
বৈঠকের বিষয়ে জাতিসংঘে নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবি সম্পর্কে লং আইল্যান্ডের রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান পিটার কিং বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এখন বাংলাদেশের জন্য কোনো ইস্যু নয়। 
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, এ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, জাতিংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব শেখ মোঃ ওয়াদি উজ জামান ও পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন। 
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ওয়ালর্ডফ এস্টোরিয়া হোটেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা আয়োজিত সংবর্ধনায় যোগ দেন। জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদানের পাশাপাশি জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংসহ বেশ কিছু দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের কথা রয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী টেকিং দ্যা আনফিনিশড বিজনেস-এক্সিলারেটিং এমডিজি প্রোগেস ও হাই লেভেল পলিটিক্যাল ফোরাম ফর ভিশন টু এ্যাকশন এ প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করবেন। ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৬৮তম অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেবেন তিনি। ২৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশীরা প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা জানাবেন। সফর শেষে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।


__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___