Banner Advertise

Monday, September 16, 2013

[chottala.com] Popular Joy , Electrifies People !!!!






 

টঙ্গী থেকে ময়মনসিংহ জয়ের নির্বাচনী প্রচারে মানুষের ঢল
মহিউদ্দিন আহমেদ, ময়মনসিংহ থেকে ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র, কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্বাচনী প্রচারে জনতার ঢল নামে। টঙ্গী থেকে শুরু করে মুক্তাগাছা পর্যন্ত পথে পথে নানা বয়সী মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারাভিযানের প্রথম দিন রবিবার তিনি টঙ্গী থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত একাধিক পথসভায় বক্তৃতা করেন। এ সব পথসভায় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করলে প্রতিটি মানুষের আবাসন নিশ্চিত করবে। আয় বাড়বে দ্বিগুণ। দেশে প্রতিষ্ঠা করা হবে কম্পিউটার, টেলিভিশনসহ ইলেক্ট্রনিক্স কারখানা। ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়া হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। আর বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশে অন্ধকার নামবে। দেশে আবার ফিরে আসবে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, বোমাবাজ, জঙ্গীবাদ এবং সেই হাওয়া ভবন। নারীরা হারাবে চাকরি; মানুষ না খেয়ে মরবে। কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয় সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে গণভবন থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশে তাঁর যাত্রা শুরু করেন। তাঁকে স্বাগত জানিয়ে পথে পথে হাজার হাজার ব্যানার, পোস্টার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন লাগানো হয়। নৌকা প্রতীক সংবলিত তোরণও দেখা গেছে বিভিন্ন জায়গায়। রাস্তার দুই ধারে সব শ্রেণী-পেশার হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও নেতাকর্মী দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে ও সেøাগানে-সেøাগানে জয়কে স্বাগত জানান। গাড়িবহরে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছাও জানানো হয়। এ সময় জয়ও গাড়ির মধ্য থেকে হাত নেড়ে তাদের শুভেচ্ছা জানান। 
সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে টঙ্গী টিএসসি কলোনি মাঠের প্রথম পথসভায় উপস্থিত হলে স্থানীয় এমপি জাহিদ আহসান রাসেল তাঁর হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দেন। টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুল হকের সভাপতিত্বে পথসভায় বক্তব্য রাখেন জয়। বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে তিনি গাজীপুর চৌরাস্তার চান্দনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উপস্থিত হয়ে সেখানে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট আ ক ম মোকাম্মেল হক এমপির সভাপতিত্বে আরেকটি পথসভায় বক্তব্য রাখেন। পথসভাগুলো হাজার হাজার নেতাকর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতিতে জনসভায় রূপ নেয়। জয়কে দেখতে সমবেত সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। 
এ সব পথসভায় সমবেত মানুষের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ ও নৌকার পক্ষে ভোট চাইলেন জয়। তিনি বলেন, আপনারা আমাকে ওয়াদা করেন আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেবেন কিনা? এ সময় উপস্থিত হাজার হাজার মানুষ হাত তুলে নৌকায় ভোট দেয়ার ওয়াদা করেন। 
জয় বলেন, আগামীতে ক্ষমতায় এলে ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেব। শ্রমিকদের বেতন-ভাতা আরও বাড়ানো হবে। টঙ্গী-গাজীপুরে ইলেক্ট্রনিক্স ফ্যাক্টরি বানাব, সেখানে আপনারা চাকরি পাবেন। বেতন-ভাতা বৃদ্ধি হবে। আমরা মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আপনারা আমাদের ভোট দিয়েছেন। আমরা দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। বিগত সময়ে যেখানে অন্ধকার ছিল সেখানে বিদ্যুত দিয়েছি। আপনাদের এই ফ্যাক্টরি আর বন্ধ করতে হচ্ছে না, কাজ করতে পারছেন। পানি, বিদ্যুত, গ্যাসের সমস্যার সমাধান করে যাচ্ছি। 
বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র বলেন, আমরা ওয়াদা করেছিলাম, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করব; সে ওয়াদা রক্ষা করেছি। দেশের উন্নয়ন করার কথা ছিল; আমরা করছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ছিল, আমরা করেছি। এখন মোবাইলে টাকা পাঠাতে পারছেন। সব শ্রেণীর মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছি। আওয়ামী লীগ ফের ক্ষমতায় এলে বেতন-ভাতা আরও বাড়াব। ডিজিটাল বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাব।
বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রীপুত্র বলেন, বিএনপির আমলে সন্ত্রাস ছিল, প্রতিবছর বোমা হামলা ও গ্রেনেড হামলা চালানো হতো। আহসানউল্ল¬াহ মাস্টার ও শাহএএমএস কিবরিয়াকে হত্যা করা হয়। গ্রেনেড হামলা করে আমার মাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। সেখানে ২৪ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। সে সময় ৪০০ নেতাকর্মী আহত হন। সবই হয়েছিল হাওয়া ভবনের পরিকল্পনায়। 
বঙ্গবন্ধুর 'অসমাপ্ত বিপ্লব' সমাপ্ত এবং ভিশন-'২১ বাস্তবায়নে আবারও আওয়ামী লীগ ও নৌকা প্রতীকে ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, আমাদের ওয়াদা ছিল ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করব; ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ব। আমরা সে কাজ অর্ধেক শেষ করতে পেরেছি। বাকিটুকুও শেষ করতে চাই। এ জন্য আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে। 
তিনি রবিবার দলের পক্ষে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার শুরু করে গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে পথসভায় বলেন, আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশ সার্বিকভাবে এগিয়ে যাবে। চলতি মেয়াদে আমাদের সরকার মানুষের আয় দ্বিগুণ করেছে। আবারও ক্ষমতায় এলে এ আয় আরও দ্বিগুণ করা হবে। ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়া হবে। মানুষের চাকরির পথ প্রশস্ত হবে। 
গাজীপুরে দুটি নির্ধারিত পথসভা শেষ করে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে ভালুকায় হাজার হাজার নেতাকর্মীর অনুরোধে আরও দুটি অনির্ধারিত পথসভায় যোগদান করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ভালুকা বাজারের রায়হানা মার্কেটের সামনে পথসভায় দলীয় নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে মানুষের কাছে গিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ার আহ্বান জানান। 
বিগত বিএনপি-জামায়াত সরকার আমলের কথা তুলে ধরে জয় বলেন, বিএনপির পাঁচ বছরে দেশে সন্ত্রাস, হত্যা, জঙ্গীবাদ ছিল। তারা ক্ষমতায় এলে দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব ফিরে আসবে। সেই সঙ্গে ফিরে আসবে জঙ্গীবাদ, দুর্নীতি ও কালো দিন। ফিরে আসবে হাওয়া ভবন। বিদ্যুত বন্ধ হয়ে যাবে, দেশে অন্ধকার নেমে আসবে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছিল। তারা আবার ক্ষমতায় এলে দেশ আবারও দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবে। 
জয় বলেন, বিএনপি আমলে সন্ত্রাসের রাজত্ব ছিল। আমরা সেই সন্ত্রাস কমিয়েছি। গত সাড়ে চার বছরে একটি বোমা হামলাও হতে দেইনি। তিনি বলেন, বিএনপিপন্থীরা বলছে, নারীরা ক্লাস ফাইভের বেশি পড়তে পারবে না, চাকরি করতে পারবে না। তার মানে বিএনপি ক্ষমতায় এলে মেয়েরা চাকরি হারাবে, তাদের আয়-উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা বিনামূল্যে বই দিচ্ছি, তা বন্ধ হয়ে যাবে। স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছি তাও বন্ধ হয়ে যাবে। সরকারের উন্নয়নকাজের বিবরণ তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, বিএনপির আমলে দেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আমরা দেশকে দুর্নীতি কমিয়ে বিশ্বের ৪০তম স্থানে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। আবার ক্ষমতায় আসতে পারলে আরও কমাব। আগামীবার ক্ষমতায় এলে গাজীপুরের উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে তিনি বলেন, এ এলাকায় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির পাশাপাশি ইলেক্ট্রনিক্স কারখানা করে দেব। রেডিও-টেলিভিশন, কম্পিউটার, ফ্রিজ এখানে তৈরি হবে। মানুষের আয় আরও বাড়বে। 
গাজীপুরে পথসভা শেষ করে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে তিনি দুটি অনির্ধারিত সভায় বক্তব্য রাখেন। আবু রায়হান মার্কেট ও ভালুকায় তিনি হ্যান্ডমাইকে উপস্থিত নেতাকর্মী ও জনতার উদ্দেশে বলেন, আপনারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নৌকার জন্য ভোট চান। দেশের উন্নয়নের জন্য নৌকায় ভোট দেয়ার বিকল্প নেই। কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে দেশের উন্নয়ন হয়। আর বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে আবার জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি ফিরে আসবে। তিনি দুপুরের খাবার খান ময়মনসিংহ সার্কিট হাউসে। তাঁর সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সাক্ষাত করেন। দুপুরের খাবার শেষ করে তিনি মুক্তাগাছা জনসভায় যোগ দেন। সেখানে লাখো জনতার কাছে আওয়ামী লীগ ও নৌকা মার্কার জন্য ভোট চেয়ে বলেন, আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে, আপনাদের আয় হবে দ্বিগুণ। ঘরে ঘরে বিদ্যুত দেয়া হবে। আধুনিক ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। একাত্তরে সোনার বাংলা গড়ার বিপ্লব শুরু করেছিলেন আমার নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই বিপ্লব গত নির্বাচনে সরকার গঠন করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা শুরু করেন। সে বিপ্লবের অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ সম্পন্ন করতে আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়ার অঙ্গীকার করতে হবে। পুনরায় নির্বাচিত হলে উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের চেহারা পরিবর্তন করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। জয় বলেন, এখানে আমার নানা এসেছেন তিনবার, আমি এসেছি প্রথমবার। আবারও আসব। ইচ্ছা ছিল সারাদেশ ভ্রমণ করে গত ৫ বছরে কী কী উন্নয়ন হয়েছে, তা দেখব। রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করেছি। ওয়াদা ছিল দ্বিতীয় শ্রেণীর পৌরসভাকে প্রথমশ্রেণীতে উন্নীত করব, তা করেছি। ১৪ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ১৪ হাজার ক্লিনিক, সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি উন্নয়ন করার। সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট থেকে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করেছি। বিএনপি কিছুই করেনি। মানুষ বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের ওয়াদা ছিল ডিজিটাল ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ব, করেছি। এখন আপনারা মোবাইলে টাকা পাচ্ছেন, টাকা পাঠাতে পারছেন। আমাদের সাড়ে ৪ বছরে কোন বোমা হামলা হয়নি। সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাস করতে পারছে না। ওয়াদা করছি, রূপকল্প-'২১ বাস্তবায়ন হলে মধ্যম আয়ের সমৃদ্ধ দেশ হবে বাংলাদেশ। যেখানে দারিদ্র্য, খাদ্যাভাব ও দুর্নীতি থাকবে না। যেখানে প্রতিবছর মঙ্গা হতো, খাদ্যের অভাবে মানুষ মারা যেত। সেই জায়গায় এ সাড়ে ৪ বছরে একটি মানুষও খাদ্যাভাবে মারা যায়নি। জয় বলেন, জঙ্গীরা লাইন দেয়ার অপেক্ষায় আছে। তারা ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা নিয়ে আছে। প্রতিসপ্তাহে আমরা তাদের গ্রেফতার করছি। বিএনপির আমলে দেশকে বলা হতো ব্যর্থ রাষ্ট্র। এখন বাংলাদেশ রাইজিং স্টার। আমরা দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চাই না। দেশ আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, সেখানে নিচু করতে পারি না। এ জন্য সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। আপনারা নৌকায় ভোট দিলে দারিদ্র্য আসবে না। 
কেএম খালিদ বাবু এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। আরকে উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ জনতার ভারে কানায় কানায় ভরে যায়। মুক্তাগাছার সমাবেশ শেষে সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ জিমনেসিয়ামে কর্মিসভায় যোগ দেন জয়। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এমপি। 
সজীব ওয়াজেদ জয়ের সফরসঙ্গী ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা একেএম এনামুল হক শামীম, আবদুস সোবহান গোলাপ, এসএম কামাল হোসেন, লিয়াকত শিকদার, মাহমুদ হাসান রিপন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, জোবায়দুল হক রাসেল, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (গণমাধ্যম) মাহবুবুল হক শাকিল, ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আশরাফুল আলম খোকন এবং আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহসম্পাদক হাসিবুর রহমান।
পথে পথে তোরণ ॥ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ময়মনসিংহ আগমন উপলক্ষে টঙ্গী থেকে শুরু করে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা পর্যন্ত রাস্তায় রাস্তায় তোরণ নির্মাণ করেন আওয়ামী লীগসহ দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
জনতার ভালবাসয় সিক্ত ॥ বিমানবন্দর পার হওয়ার পর থেকেই রাস্তার দুই ধারে প্রচ- রোদ উপেক্ষা করে মানুষ দাঁড়িয়ে জয়কে অভিনন্দন জানান। তিনিও হাত নেড়ে সাধারণ মানুষের অভিনন্দণের জাবাব দেন। 
দেয়াল লিখন ॥ জাতির জনকের দৌহিত্রের আগমনকে সামনে রেখে পুরো জেলার দেয়ালে দেয়ালে বিভিন্ন সেøাগান লেখা হয়। তাঁকে বাংলার আগামীর স্বপ্নদ্রষ্টা আখ্যায়িত করা হয়। আরও লেখা হয়েছে ভিশন-'২১ এর সফল রূপকারের আগমন ময়মনসিংহবাসীর জন্য গর্বের। 
পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ॥ রাস্তার দুই ধারে, রোড ডিভাইডার, দোকানপাট, বিল্ডিংয়ের ছাদে বড় বড় বিলবোর্ড, ডিজিটাল পোস্টার ও ফেস্টুন লাগানো হয়। 
মোটর শোভাযাত্রা ॥ দুপুরে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউসে মোটরসাইকেল মিছিল নিয়ে তাঁকে অভিবাদন জানান তরুণরা। 
প্রার্থীদের শোডাউন ॥ জয়ের নির্বাচনী প্রচার অভিযানের এ সফরকে কেন্দ্র করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেদের অবস্থান ও জনসমর্থন তুলে ধরতে ব্যাপক শোডাউন করেন। ভালুকা, ত্রিশালসহ ভিন্ন এলাকায় প্রার্থীদের পক্ষে কর্মীদের সেøাগান দিতে দেখা যায়।
তারুণ্যের উদ্দীপনা ॥ জয়ের ময়মনসিংহ সফরে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সজীব ওয়াজেদ জয়কে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসে রাস্তার পাশে অবস্থান নেয়। তিনি তাঁর গাজীপুরের পথসভায় শিক্ষার্থীদের দেশের ভবিষ্যত আখ্যায়িত করে উৎসাহিত করেন। তরুণ শিক্ষার্থীরা তাঁর বক্তব্যে অবিভূত হয়ে হাততালি দিয়ে তাঁর বক্তব্য শ্রবণ করে।
স্থানীয় পত্রপত্রিকায় জয়ের আগমনের খবর ॥ স্থানীয় পত্রপত্রিকায়ও জয়ের ময়মনসিংহ আগমনকে গুরুত্ব দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। দৈনিক মাটি মানুষসহ সব পত্রিকার শিরোনাম ছিল জয়ের এ সফরকেন্দ্রিক। 
আজ টাঙ্গাইলে সমাবেশ ॥ সকাল ১০টায় টাঙ্গাইলের মধুপুর রানীভবানী মাঠে সজীব ওয়াজেদ জয় সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। দুপুর ১২টায় রানীভবানী হলে কর্মিসভায় অংশগ্রহণ করবেন তিনি। বিকেল ৪টায় মির্জাপুর আব্দুল গণি হাইস্কুল মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ৫টায় গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পথসভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রীপুত্র।




__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___