Banner Advertise

Monday, September 23, 2013

[chottala.com] Fwd: দিল্লির মসনদ জয়ে মোদি ঝড়ে নিষ্প্রভ রাহুল



দিল্লির মসনদ জয়ে মোদি ঝড়ে নিষ্প্রভ রাহুল
পীর হাবিবুর রহমান, নয়াদিল্লি থেকে ফিরে

দিল্লির মসনদ জয়ের লক্ষ্যে বিজেপির ঘোষিত প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্র মোদি ভারতের ভোটের রাজনীতিতে ঝড় তুলেছেন। 
রাজনীতির এক শিবিরে মোদি উল্লাস চলছে। কংগ্রেসের হাইকমান্ড বিচলিত। মাতামাতি আর হিসাব চলছে সর্বত্র। নরেন্দ্র মোদির ঝড়ে কংগ্রেস জোট বা ইউপিএ নড়বড়ে হয়ে পড়ছে। 
উপমহাদেশের রাজনীতির ঐতিহ্যবাহী গান্ধী পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম সোনিয়াপুত্র রাহুল গান্ধী রাজনীতির ময়দানে নরেন্দ্র মোদির সামনে নিষ্প্রভ, ধূসর হয়ে পড়ছেন। কংগ্রেস বা ইউপিএ জোট এখনো আগামী নির্বাচনে গণরায় পেলে ড. মনমোহন সিংয়ের উত্তরাধিকার হয়ে প্রধানমন্ত্রিত্বের আসনে কে বসবেন, তা এখনো ঘোষণা করেনি। পানি মাপছেন সোনিয়া গান্ধী, এমনটি ধারণা পর্যবেক্ষকদের। ড. মনমোহন সিং তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন না, এ ঘোষণা দিলে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা রাহুল গান্ধীর নাম প্রস্তাব করলেও সোনিয়া এখনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেননি। টিভি টকশোগুলোয়ও পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিজেপি যেখানে তাদের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে সেখানে কংগ্রেসের মুখ বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, গান্ধী পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম রাহুল গান্ধীই তাদের আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু একদিকে নরেন্দ্র মোদির উত্থান, অন্যদিকে কংগ্রেস জোটের জনপ্রিয়তার ভাটার মুখে শেষ পর্যন্ত রাহুল গান্ধীর নাম আসবে, না অন্য কোনো চমক দেবেন সোনিয়া গান্ধী- সে অপেক্ষাই চলছে দিল্লির রাজনীতিতে। মে মাসে লোকসভা নির্বাচন। সংসদের মেয়াদ শেষ হয়নি। হয়নি তফসিল ঘোষণা। তবু নির্বাচনের ডামাডোল বেজে উঠেছে। টানা ১০ বছরের শাসনামলে কংগ্রেস বা ইউপিএ জোট ভারতকে কী দিয়েছে, তা জনসাধারণের সামনে ঠিকমতো তুলেই ধরতে পারছে না কংগ্রেস জোট। এত দিন ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ভারতের রাজনৈতিক ঐতিহ্যের যে তুরুপের তাস বাজপেয়ি বা আদভানির বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে ছুড়ে দিয়ে গণরায় নিয়েছিল কংগ্রেস, সেই ইস্যুতেও এখন ধার নেই। কংগ্রেস জোট বা ইউপিএ কিংবা রাহুল গান্ধী জনসমাবেশে নতুন ইস্যু আনতে পারছেন না। পারছেন না ভোটারদের টানতে। যেন ইস্যুহীন হয়ে পড়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে বিজেপি বা তাদের জোট এনডিএ নেতা নরেন্দ্র মোদি একাই এক শ হয়ে জনসভাগুলোয় কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে উত্তেজিত করছেন। জনমত টানছেন। 'নিউ ইন্ডিয়া' বা 'এক নম্বরে ভারত'- এ স্লোগানে পরিবর্তনের আওয়াজ তুলে এক হাতে হিন্দুত্ববাদ অন্য হাতে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাদানের নিশ্চয়তা দিচ্ছেন। সম্প্রতি তার এক জনসভায় ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান ভি কে সিংসহ সাবেক সামরিক-বেসামরিক আমলারা যোগদান করেছেন। সেখানে তিনি কংগ্রেস সরকারকে তুলাধোনা করে ছেড়েছেন। নরেন্দ্র মোদির বাগ্মিতার জবাব দেওয়ার মতো বক্তাই খুঁজে পাচ্ছে না কংগ্রেস। ঘরের সংকট কাটাতে বিজেপিপ্রধানকে কাজে লাগিয়েছেন তিনি। আদভানিকে শান্ত করতে তার কাছে ছুটে গেছেন। অন্যদিকে ঘরের সমস্যায়ও ভুগছে কংগ্রেস। অনেক জায়গায় বিধানসভার নির্বাচনে আসন কমেছে তাদের। পশ্চিমবঙ্গে বাম দুর্গের পতন ঘটলেও ক্ষমতা পায়নি কংগ্রেস। ফসল তুলেছে মমতার তৃণমূল। সংখ্যালঘুদের কংগ্রেস নয়, তিনিই পারবেন নিরাপত্তা দিতে- এ দাবিতে মাঠে নেমেছেন। ভারতের তরুণদের মন জয় করতে চলছে নানা চেষ্টা। দক্ষিণ ভারতের দিকে দৃষ্টি দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্বের অবসান ঘটানোর নানা প্যাকেজ ফর্মুলা উত্থাপন করে তরুণ ভোটারদের ওপর প্রভাব সৃষ্টির জোর চেষ্টা চলছে। ভোট লড়াইয়ের রেসে নরেন্দ্র মোদি যতটা এগিয়ে আছেন ততটা পিছিয়ে আছেন কংগ্রেস জোট নেতৃত্ব বা তাদের কাণ্ডারি রাহুল গান্ধী। দিলি্লর পথে পথে এখন নরেন্দ্র মোদির নাম উচ্চারিত হচ্ছে। দুনিয়া যাকে জেনেছিল রক্তাক্ত গুজরাট দাঙ্গার খলনায়ক হিসেবে, ভারতের ভোটাররা আজ তাকে চিনছেন এক নতুন গুজরাটের রূপকার হিসেবে। অনেকেই দেখছেন ভাবী প্রধানমন্ত্রীর আসনে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সেখানে বিস্ময়কর পরিবর্তন এনেছেন নরেন্দ্র মোদি। অতি সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা মোদি মেঝেতে ঘুমান এবং সাধারণ জীবনযাপন করেন। কিন্তু তার গতিময় নেতৃত্বে শিল্পায়ন আর উন্নয়নে গুজরাটকে যেভাবে বদলে দিয়েছেন তেমনি ভারতকে বদলে দিতে পারবেন একমাত্র তিনি- এমন দাবি নিয়ে গোটা ভারতে প্রচারণায় নেমেছেন হিন্দুত্ববাদের তিলক কপালে নিয়ে গায়ে কমলা রঙের সাধুর ওড়না পরা বিজেপি কর্মী ও তার সতীর্থরা। এমনকি বিজেপির অভ্যন্তরে যাকে একসময় কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা মনে করা হতো সেই এল কে আদভানিও পিছিয়ে গেছেন নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে অভ্যন্তরীণ ঠাণ্ডা লড়াইয়ে। তাকে এখন অনেক লিবারেল বলা হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদির পক্ষে বলা হচ্ছে ভারতের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, দুর্নীতি আর গতিহীন নেতৃত্বের কারণে ড. মনমোহন সিং সরকার জনগণকে কিছু দিতে পারেনি। কয়লা ব্লকগুলো ইজারাদান রাজনীতির ইস্যু।
নয়া দিল্লির অল ইন্ডিয়া প্রেসক্লাবের আড্ডায় বিভিন্ন সংবাদকর্মীর সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, ড. মনমোহন সিং উচ্চশিক্ষিত, সম্ভ্রান্ত ভদ্রলোক ও সৎ নেতা হিসেবে ভাবমূর্তি গড়লেও এখন জনপ্রিয়তায় তলানির দিকে। অন্যদিকে গুজরাটকে উন্নয়নের মডেল বানিয়ে নানা বিতর্কের পরও নরেন্দ্র মোদি উঠে আসছেন। নয়া দিলি্ল থেকে ব্যাঙ্গালুরু এসে হোটেল হায়াতে থাকাকালে সেখানকার তরুণ স্টাফ অর্জিতের সঙ্গে কথা হয়। কলকাতার হাওড়ায় বাড়ি অর্জিতের। জনাদশেক বাঙালি তরুণ এখানে কাজ করেন। অর্জিত বলছিলেন, ড. মনমোহন সিং স্থবির। ভারতকে সামনেও নিতে পারছেন না, পেছনেও না। নরেন্দ্র মোদি সামনের দিকে নিতে পারবেন। দিলি্লর সাংবাদিক জয়ন্ত চৌধুরী বললেন, নরেন্দ্র মোদি ঝড়ের গতিতে উঠে এলেও প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে পারবেন কি না এখনো নিশ্চিত নয়। কারণ ভোটের আগে হিন্দুত্ববাদের স্লোগানই নরেন্দ্র মোদির জন্য কাল হতে পারে। তাকে সামনে নিয়েই ফের ধর্মনিরপেক্ষ উদার গণতান্ত্রিক ভারতের স্লোগান নিয়ে ভোটারদের মন ঘুরিয়ে দিতে পারে কংগ্রেস। তবে দিলি্লর সাংবাদিকই হোক, সরকারি আমলাই হোক আর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলই হোক- সবাই লোকসভা নির্বাচনী ফলাফলের আগাম ভবিষ্যদ্বাণী দিয়ে বলছেন, বিজেপি ও কংগ্রেস কারও পক্ষেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের সুযোগ তো নেই-ই, এমনকি তাদের জোটেরও নেই। এখানে অনেকেই বলছেন, শেষ পর্যন্ত দিল্লির মসনদ কার- এই ভাগ্য নির্ধারণ করবেন বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের প্রধান ও ছোট ছোট রাজনৈতিক দলের নেতারা। তাদের ভাষায়- নরেন্দ্র মোদির নামে যতই আওয়াজ জোরদার হোক না কেন লোকসভার ৫৪৩টি আসনের লড়াইয়ে তিনি ও তার দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জায়গা থেকে অনেক দূরে। কংগ্রেসের বিপর্যয়ের আশঙ্কা তো দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। মোদির জনসভায় মানুষের অংশগ্রহণ ও স্বতঃস্ফূর্ততা যত বেশি কংগ্রেস জোট নেতাদের ততটা নয়। ১২০ কোটি মানুষের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ভারতে ৮০ কোটি ভোটার। রয়েছে ২৮টি রাজ্য। আঞ্চলিক দলগুলোর মধ্যে যাদের নাম ভোটযুদ্ধে ফ্যাক্টর হিসেবে উঠে আসছে পর্যবেক্ষকদের আলোচনায়, তাদের মধ্যে রয়েছেন উত্তর প্রদশের সমাজবাদী দলের নেতা মোলায়েম সিং যাদব, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূল কংগ্রেসের শেষ কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তামিলনাড়ুর জয়ললিতার নাম। বাম ফ্রন্ট তো রয়েছেই। সাম্প্রদায়িকতার উত্থান ঠেকাতে বামপন্থিরা হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে বাইরে থেকে কংগ্রেসকে সমর্থন দিয়ে আসছে। পশ্চিমবঙ্গের লোকসভার ৪২টি আসনের ৩৫টিরও বেশি পাবে মমতার তৃণমূল কংগ্রেস, এমন ধারণা পর্যবেক্ষকদের। কিন্তু নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না মমতার তরী শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকে। একসময় তিনি বিজেপির সঙ্গেও ঘর করেছিলেন। হয়েছিলেন রেলমন্ত্রী। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটে ছিলেন। এখন বাইরে। তাকে জোটে ভেড়ানোর গোপন যোগাযোগ করছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদও ভারত সফরকালে বাংলাদেশের সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় বৈঠকে বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে এখন তাদের সম্পর্ক অনেক ভালো। মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মোলায়েম সিং যাদবের ছেলে অখিলেশ যাদব। বাইরে থেকে তারাও কংগ্রেসকে সমর্থন দিয়ে আসছেন। সাম্প্রতিককালে সেখানকার মুজাফফরনগরে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ঘটে গেছে, এর নেপথ্যে ভোটের রাজনীতির অঙ্ক কাজ করেছে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা। উসকানিদাতারা পরিষ্কার করেছেন, যারা মধ্যপ্রদেশ বা কেন্দ্রের ক্ষমতায় তারা সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিরাপত্তাদানে ব্যর্থ। যদি নিরাপত্তা চাও তবে বিরোধী দলের হাতে ক্ষমতা দাও। কংগ্রেস জোটনেত্রী সোনিয়া গান্ধী, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও রাহুল গান্ধী মানবিক হৃদয় নিয়ে মুজাফফরনগর সফর করেছেন। সেখানে সংঘর্ষ বাধিয়ে ৪০ হাজারের বেশি মানুষকে গৃহহীন করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশ সরকার নিহত ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর সদস্যদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলেও মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব সেখানে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। দিলি্ল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনে এবার বিজেপি সমর্থিত ছাত্র সংগঠন বিজয়ী হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা পণ্ডিত জওহর লাল নেহেরুর নামে যে বিশ্ববিদ্যালয়টি সেখানেও ছাত্র সংসদ নির্বাচন আসন্ন। ছাত্রছাত্রীদের কারও কারও সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, একসময় বাম সমর্থকদের বিজয় ঘটলেও এবার বিজেপি সমর্থক ছাত্র সংগঠনের জয়লাভের সম্ভাবনা প্রবল। পর্যবেক্ষকদের কেউ কেউ এমনটিও বলছেন, নরেন্দ্র মোদি যত জোরেই হাঁটুন না কেন তার হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি বা সাম্প্রদায়িকতার নবউত্থানকে মহাত্মা গান্ধীর ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ভারতের মানুষ মানবে না- এটিই শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস জোটের নির্বাচনী তুরুপের তাস হয়ে দেখা দিতে পারে। তবে সব কথার শেষ কথা এক সুরে সবাই বলছেন, কেউ জোরে হাঁটুন আর কেউ ধীরে হাঁটুন লোকসভার ভোটের লড়াইয়ে আঞ্চলিক ও ছোট দলগুলোর দিকেই হাত বাড়াতে হবে উভয়কে। তারাই হবেন দিল্লির মসনদের নিয়ামক শক্তি। তেলেগুদেশম পার্টি এখনো কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটে আছে। কিন্তু এ পার্টির নেতা বলেছেন, শীঘ্রই তিনি বিরোধী দল বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। রাজনৈতিক আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যমতে লোকসভা নির্বাচনের আগে অনেক নাটকীয়তা ও মেরুকরণ ঘটবে দিল্লির রাজনীতিতে। জোটের রাজনীতিতে। ভোটের রাজনীতিতে।

- See more at: http://www.bd-pratidin.com/2013/09/24/17932#sthash.zk34Kige.dpuf






__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___