ক্ষমতায় যেতে লাশের জন্য খালেদা উন্মাদ হয়ে গেছেন
ধ্বংসযজ্ঞের মূল হোতা তিনি ও শফীর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা দাবি ১৪ দলের
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ হেফাজতকে ব্যবহার করে নাশকতার মাধ্যমে খালেদা জিয়া বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছিল বলে অভিযোগ করেছে ১৪ দল। জোটের সিনিয়র নেতারা বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতায় যেতে লাশ ও রক্তপাতের জন্য খালেদা জিয়া উচ্ছেদ হয়ে গেছেন। এ জন্য একের পর এক ষড়যন্ত্র করে মানুষ হত্যা অব্যাহত রেখেছেন। হেফাজতের ঢাকা অবরোধ ও সমাবেশ ঘিরে যে ভয়াল ধ্বংসযজ্ঞ ও নাশকতা চালানো হয়েছে তার মূল হোতা ছিলেন খালেদা জিয়া। নৈরাজ্য ও সহিংসতার জন্য খালেদা জিয়া এবং হেফাজতের আমির আহমাদ শফীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তাঁরা।
মঙ্গলবার দুপুরে ধানম-ির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে চৌদ্দ দলের নেতারা এ দাবি জানান।
বিনা রক্তপাতে হেফাজত কর্মীদের মতিঝিল থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে দাবি করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপি কথায় কথায় একাত্তরের গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করার মাধ্যমে একাত্তরের গণহত্যাকে ছোট করতে চায়। মতিঝিলের ঘটনাকেও তারা গণহত্যা বলে মিথ্যাচার করছেন। যে দেশের মিডিয়া এত শক্তিশালী সেখানে এ ধরনের মিথ্যাচার করে পার পাওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, তথাকথিত হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে খালেদা জিয়া হঠাৎ করে সমাবেশের কর্মসূচী দিয়ে অরাজকতা সৃষ্টির মাধ্যমে গোটা রাজধানী তছনছ করতে চেয়েছিলেন। বিএনপি চেয়েছিল হেফাজতকে ৫ মে মাঠে রেখে ৬ মে থেকে বিএনপি-জামায়াত একত্রে মাঠে নেমে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করবে। খালেদা জিয়ার ঘোষণার পর বায়তুল মোকাররম এলাকায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ হয়। তিনি বলেন, যে এমকে আনোয়ার ১৯৬৯ সালের ২০ ও ২৪ জানুয়ারি ঢাকার জেলা প্রশাসক থাকা অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ওপর গুলির নির্দেশ দিতে পারেন, তাঁর মুখে এ ধরনের গণহত্যার মতো মিথ্যাচার অপ্রত্যাশিত নয়।
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, গত ৫ মে হেফাজতের ঢাকা অবরোধ ও সমাবেশ ঘিরে যে নাশকতা হয়েছে তার মূল হোতা হলেন বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া। হেফাজতকে ব্যবহার করে নাশকতা করে খালেদা জিয়া ওই দিন গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সঠিক নির্দেশনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষ ভূমিকার কারণে তাদের সমস্ত ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে।
নৈরাজ্য ও সহিংসতার জন্য খালেদা জিয়া এবং হেফাজতে ইসলামের আমির আহমাদ শফীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। খালেদা জিয়ার আল্টিমেটাম ও হেফাজতের অবরোধ একই সূত্রে গাঁথা। অবৈধভাবে ক্ষমতায় যেতে লাশ ও রক্তপাতের জন্য খালেদা জিয়া উš§াদ হয়ে গেছেন। এ জন্য একের পর এক ষড়যন্ত্র করে মানুষ হত্যা অব্যাহত রেখেছেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া হলেন নিষ্ঠুর নেত্রী। এসএসসির রেজাল্টের দিনেও তিনি হরতাল দিয়েছেন। এর আগে সাভার ট্র্যাজেডির সময়ও হরতাল দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয়া হেফাজত কর্মীদের সরাতে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির যে যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়েছে তাতে কারও প্রাণহানি ঘটেনি। অথচ এ অভিযানে শত শত মানুষ মারা গেছে বলে বক্তব্য দিয়ে খালেদা জিয়া ও তাঁর দল বিএনপি শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মিথ্যাচার করেছে। তিনি বলেন, ৫ মে সমাবেশ শেষ করার পরও রাজধানীর শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয়া হেফাজত কর্মীদের সরাতে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির যে যৌথ অভিযান পরিচালিত হয় সেটা সকলের কাছে প্রশংসনীয়। কোন ধরনের প্রাণহানি ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে হেফাজত কর্মীদের ঢাকা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। আর এই যৌথ অভিযানের মাধ্যমে নগরবাসী আতঙ্কমুক্ত হয়। জনমনে ফিরে আসে স্বস্তি।
সাবেক এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জীবন দিয়েও নগরবাসীকে রক্ষা করেছে। সহিংসতার সব কিছুর মূল মদদদাতা হলেন খালেদা জিয়া। হেফাজতের নৈরাজ্যের কর্মসূচীর পাশে বিএনপি নেতাদের দাঁড়াতে বলে খালেদা জিয়া সহিংসতাকে উস্কে দিয়েছেন। তথাকথিত হেফাজত কর্মীরা মাদ্রাসার ছাত্র ও শিশুদের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে এসেছিল। এসব ছাত্র-শিশুদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। এটা একটা প্রতারণা। তিনি বলেন, যারা কোরান শরীফ পুড়িয়েছে, তাদের শাস্তির আওতায় আনতেই হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, হেফাজতের সমাবেশকে ঘিরে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তার দায় খালেদা জিয়া ও আহমাদ শফীকে নিতে হবে। শত শত মানুষ হত্যা ও গুমের বিএনপি ও হেফাজতের দাবিকে হাস্যকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, মতিঝিলের সমাবেশে কোন আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার হয়নি। শুধু রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছে। জাতিকে বিভ্রান্ত করতেই এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
সংসদ উপনেতা ও চৌদ্দ দলের সমন্বয়ক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদল এমপি, সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, দফতর সম্পাদক প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান ও উপ-দফতর সম্পাদক এ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস।
মঙ্গলবার দুপুরে ধানম-ির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে চৌদ্দ দলের নেতারা এ দাবি জানান।
বিনা রক্তপাতে হেফাজত কর্মীদের মতিঝিল থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে দাবি করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপি কথায় কথায় একাত্তরের গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করার মাধ্যমে একাত্তরের গণহত্যাকে ছোট করতে চায়। মতিঝিলের ঘটনাকেও তারা গণহত্যা বলে মিথ্যাচার করছেন। যে দেশের মিডিয়া এত শক্তিশালী সেখানে এ ধরনের মিথ্যাচার করে পার পাওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, তথাকথিত হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে খালেদা জিয়া হঠাৎ করে সমাবেশের কর্মসূচী দিয়ে অরাজকতা সৃষ্টির মাধ্যমে গোটা রাজধানী তছনছ করতে চেয়েছিলেন। বিএনপি চেয়েছিল হেফাজতকে ৫ মে মাঠে রেখে ৬ মে থেকে বিএনপি-জামায়াত একত্রে মাঠে নেমে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করবে। খালেদা জিয়ার ঘোষণার পর বায়তুল মোকাররম এলাকায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ হয়। তিনি বলেন, যে এমকে আনোয়ার ১৯৬৯ সালের ২০ ও ২৪ জানুয়ারি ঢাকার জেলা প্রশাসক থাকা অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ওপর গুলির নির্দেশ দিতে পারেন, তাঁর মুখে এ ধরনের গণহত্যার মতো মিথ্যাচার অপ্রত্যাশিত নয়।
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, গত ৫ মে হেফাজতের ঢাকা অবরোধ ও সমাবেশ ঘিরে যে নাশকতা হয়েছে তার মূল হোতা হলেন বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া। হেফাজতকে ব্যবহার করে নাশকতা করে খালেদা জিয়া ওই দিন গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সঠিক নির্দেশনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষ ভূমিকার কারণে তাদের সমস্ত ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে।
নৈরাজ্য ও সহিংসতার জন্য খালেদা জিয়া এবং হেফাজতে ইসলামের আমির আহমাদ শফীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। খালেদা জিয়ার আল্টিমেটাম ও হেফাজতের অবরোধ একই সূত্রে গাঁথা। অবৈধভাবে ক্ষমতায় যেতে লাশ ও রক্তপাতের জন্য খালেদা জিয়া উš§াদ হয়ে গেছেন। এ জন্য একের পর এক ষড়যন্ত্র করে মানুষ হত্যা অব্যাহত রেখেছেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া হলেন নিষ্ঠুর নেত্রী। এসএসসির রেজাল্টের দিনেও তিনি হরতাল দিয়েছেন। এর আগে সাভার ট্র্যাজেডির সময়ও হরতাল দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয়া হেফাজত কর্মীদের সরাতে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির যে যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়েছে তাতে কারও প্রাণহানি ঘটেনি। অথচ এ অভিযানে শত শত মানুষ মারা গেছে বলে বক্তব্য দিয়ে খালেদা জিয়া ও তাঁর দল বিএনপি শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মিথ্যাচার করেছে। তিনি বলেন, ৫ মে সমাবেশ শেষ করার পরও রাজধানীর শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয়া হেফাজত কর্মীদের সরাতে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির যে যৌথ অভিযান পরিচালিত হয় সেটা সকলের কাছে প্রশংসনীয়। কোন ধরনের প্রাণহানি ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে হেফাজত কর্মীদের ঢাকা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। আর এই যৌথ অভিযানের মাধ্যমে নগরবাসী আতঙ্কমুক্ত হয়। জনমনে ফিরে আসে স্বস্তি।
সাবেক এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জীবন দিয়েও নগরবাসীকে রক্ষা করেছে। সহিংসতার সব কিছুর মূল মদদদাতা হলেন খালেদা জিয়া। হেফাজতের নৈরাজ্যের কর্মসূচীর পাশে বিএনপি নেতাদের দাঁড়াতে বলে খালেদা জিয়া সহিংসতাকে উস্কে দিয়েছেন। তথাকথিত হেফাজত কর্মীরা মাদ্রাসার ছাত্র ও শিশুদের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে এসেছিল। এসব ছাত্র-শিশুদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। এটা একটা প্রতারণা। তিনি বলেন, যারা কোরান শরীফ পুড়িয়েছে, তাদের শাস্তির আওতায় আনতেই হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, হেফাজতের সমাবেশকে ঘিরে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তার দায় খালেদা জিয়া ও আহমাদ শফীকে নিতে হবে। শত শত মানুষ হত্যা ও গুমের বিএনপি ও হেফাজতের দাবিকে হাস্যকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, মতিঝিলের সমাবেশে কোন আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার হয়নি। শুধু রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছে। জাতিকে বিভ্রান্ত করতেই এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
সংসদ উপনেতা ও চৌদ্দ দলের সমন্বয়ক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদল এমপি, সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, দফতর সম্পাদক প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান ও উপ-দফতর সম্পাদক এ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস।
__._,_.___