[chottala.com] মাহমুদুর রহমান: তথ্য বিকৃতি, উসকানি সাংবাদিকতার নামে
তথ্য বিকৃতি, উসকানি সাংবাদিকতার নামে নিজস্ব প্রতিবেদক
পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ পরিবর্তনের ছবি ব্যবহার করে মিথ্যা খবর ছাপা থেকে শুরু করে স্কাইপ সংলাপসহ নানা কারণে মাহমুদুর রহমান এবং দৈনিক আমার দেশ বহুল আলোচিত-সমালোচিত দুটি নাম। সর্বশেষ শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে উসকানিমূলক, বিকৃত, কখনোবা মিথ্যা খবর ছেপে পত্রিকাটি সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ায়- রয়েছে এমন জোরালো অভিযোগও।
গত বছরের শেষ দিকে ব্রাসেলসভিত্তিক আইন বিশেষজ্ঞ আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রধান নিজামুল হকের কথিত স্কাইপ কথোপকথন প্রকাশ করে ব্যাপক আলোচনায় আসে দৈনিক আমার দেশ ও মাহমুদুর রহমান। ব্যক্তিগত কথোপকথনের এ ঘটনা প্রকাশের কারণে গত ১৪ ডিসেম্বর যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর শাহীনুর রহমান তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলার আসামি হিসেবেই গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয় মাহমুদুর রহমানকে। এর আগেও ২০১০ সালে একটি প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মাহমুদুর রহমান।
বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে ধর্মীয় উসকানি দিয়ে উন্মাদনা সৃষ্টির অভিযোগে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে আসছিল। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে শাহবাগে আন্দোলন শুরুর পর থেকেই 'উসকানিমূলক' নানা প্রতিবেদন প্রকাশ শুরু করে আমার দেশ। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি টাইমস অব ইন্ডিয়া একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। খবরের সূচনাতে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে 'স্ট্রংগেস্ট সাপোর্ট' শব্দ ব্যবহার করা হয়, যার আভিধানিক অর্থ হয় 'জোরালো সমর্থন'। এ সংবাদটিকেই বিকৃত করে দৈনিক আমার দেশ সংবাদ প্রকাশ করে 'ভারতের মদদে শাহবাগের আন্দোলন'।
আমার দেশ শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে প্রথম দিকে কিছুটা নীরব থাকলেও ৯ ফেব্রুয়ারি প্রধান শিরোনাম করে 'শাহবাগে ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি : গৃহযুদ্ধের উসকানি, বক্তাদের গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে বিষোদগার : আওয়ামী বুদ্ধিজীবীদের রণহুঙ্কার।' একই দিনের আরেকটি শিরোনাম ছিল 'ইসলাম প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার সময় এসেছে।' এরপর থেকেই একের পর এক গণজাগরণ মঞ্চকে আক্রমণ করে প্রকাশ করে আসছে দৈনিকটি। দেখা গেছে, আমার দেশের একেকটি বিভ্রান্তিকর খবরের লিংক জামায়াত-শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন সাইটে শেয়ার করে। এরপর সেই মিথ্যা খবরটি ছড়িয়ে পড়ে লাখো মানুষের পিসি, ল্যাপটপ কিংবা মোবাইলের পর্দায়।
শাহবাগ আন্দোলন চলাকালে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার নিহত হওয়ার পর ঢালাওভাবে আন্দোলনকারীদের 'নাস্তিক' আখ্যায়িত করে প্রতিবেদন প্রকাশ শুরু করে। ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রধান শিরোনাম করে, 'ভয়ংকর ইসলামবিদ্বেষী ব্লগারচক্র'। প্রতিবেদনে বলা হয়, 'ধর্মদ্রোহী ও নাস্তিক যুবগোষ্ঠী মহান আল্লাহ, পবিত্র গ্রন্থ কোরআন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.), ঈদ, নামাজ, রোজা ও হজ সম্পর্কে জঘন্য ভাষায় বিষোদগার করে মুসলমানদের ইমান-আকীদায় আঘাত হানছে। তাদের কুৎসিত ও অশ্লীল লেখা পড়লে যেকোনো মুসলমানের স্থির থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। ...ধর্মদ্রোহী ব্লগারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শুক্রবার রাতে মিরপুরে খুন হওয়া শাহবাগ আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা আহমেদ রাজীব হায়দার ওরফে থাবা বাবা।' রাজীব হায়দার খুনের ঘটনাকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করে এরপর বিভিন্ন সময়ে প্রতিবেদন ছাপে পত্রিকাটি।
'ব্লগারদের ইসলামবিদ্বেষী প্রচারণায় আলেমদের ক্ষোভ : নাস্তিকদের প্রতিরোধে সর্বাত্মক আন্দোলনের ঘোষণা'; 'ব্লগে নাস্তিকতার নামে কুৎসিত অসভ্যতা'; 'শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তির জন্য শাস্তি : রাসুল (সা.) অবমাননাকারীদের বাহবা!'; 'ধর্ম ও আদালত অবমাননা করছে ব্লগারচক্র'; 'রাসুল (সা.) অবমাননার প্রতিবাদে গণবিস্ফোরণ : পুলিশের নির্বিচারে আলেম হত্যা : স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল', 'শাহবাগী ইসলামবিদ্বেষী ব্লগারবন্দনা : কথিত আন্দোলনের পেছনে ভারতীয় মদদের আরো এক নজির' প্রভৃতি শিরোনামে একের পর এক উসকানিমূলক সংবাদ প্রকাশ করতে থাকে। এ নিয়ে সরকারের মধ্যেও অস্বস্তি তৈরি হয়। বিভিন্ন ঘটনায় তাঁর নামে হওয়া মামলায় যেকোনো সময় আটক হওয়ার শঙ্কায় তিনি পত্রিকা অফিস থেকে বের হতেন না। গত কয়েক মাস ধরে তিনি অফিসেই থাকতেন। তাঁকে নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হলেও তিনি তা পরোয়াই করছিলেন না। বারবার পত্রিকার শিরোনামও হতে থাকেন।
সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা না থাকা মাহমুদুর রহমান ২০০৮ সালে আমার দেশের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে পত্রিকাটির প্রথম পাতায় বিভিন্ন মন্তব্য প্রতিবেদন (কমেন্ট্রি) লিখে সমালোচিত হয়েছেন। সেসব লেখায় তাঁর বিভিন্ন বক্তব্য পত্রিকাটির সাংবাদিকতার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এসব লেখায় সূক্ষ্মভাবে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ানো হয়।
বিএনপি সরকারের শেষ দিকে জ্বালানি উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকালেও বিভিন্ন বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য বহুবার সংবাদপত্রের শিরোনাম হন মাহমুদুর রহমান। ২০০৬ সালের ২৪ নভেম্বর রাতে পুলিশসহ জনপ্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে নিয়ে বৈঠকে বসেন তিনি। খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে গেলে বৈঠকে যোগ দেওয়া কর্মকর্তারা মুখ ঢেকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। অভিযোগ ওঠে, নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত জোটকে আবারও ক্ষমতায় বসাতেই ওই গোপন বৈঠকের ব্যবস্থা করেন মাহমুদুর রহমান। ঘটনাটি সে সময় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
গত ৬ জানুয়ারি দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সপ্তম পৃষ্ঠায় 'আলেমদের নির্যাতনের প্রতিবাদে কাবার ইমামদের মানববন্ধন' শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ছবিতে কাবার খতিব কারী শাইখ আবদুর রহমান আল সুদাইসিসহ আরো বেশ কয়েকজন আলেমকে পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কাবা শরিফের গিলাফ পরিবর্তন অনুষ্ঠানে তোলা হয়েছিল ছবিটি। অথচ রিপোর্টে ওই ছবি সম্পর্কে বলা হয়েছে, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ বাংলাদেশের আলেমদের ওপর যে নির্যাতন চলছে তার প্রতিবাদে বাদ জুমা কাবার খতিবসহ বিখ্যাত আলেমরা মানববন্ধন করছেন। কেবল তাই নয়, মানববন্ধনের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে খতিবের বক্তব্যও ছাপানো হয় রিপোর্টে। রিপোর্টের সঙ্গে প্রকাশিত রঙিন ছবিটি আরবি একটি সাইটে ২০১২ সালের ১৭ অক্টোবর আপলোড করা হয়। কিন্তু আমার দেশের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। http://www.kalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=news&pub_no=1210&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=1
Related:
তথা কথিত সাংবাদিক নামধারী এই জঘন্য মাহমুদুর রহমানকে আরো আগেই গ্রেফতার করা উচিৎ ছিল !!!!!!
পাঠকদের মন্তব্য:
ইঞ্জিনিয়ার ডি , এম , মাহবুব-উল-মান্নাফ ( শুভ )
২০১৩.০৪.১১ ১১:২৭ এই প্রথম ধর্মীয় উম্মাদনাকারী একজনকে সরকার গ্রেফতার করল। এই মাহমুদুর রহমান দেশকে একটা দাঙ্গার দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন। তাকে আরও আগে গ্রেফতার করা দরকার ছিল। তিনি মুসলমানদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে দেশে একটা অরাজকতা তৈরি করতে চেয়েছিলেন।
২০১৩.০৪.১১ ১১:৩২ ইসলাম ও মহানবী (সঃ ) কে কটাক্ষ ও উস্কানিমূলক লেখা প্রকাশ করায় মাহমুদুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরো আগে গ্রেফতার করলে দেশ অনেক সহিংসতা থেকে রক্ষা পেত।
২০১৩.০৪.১১ ১১:৫১
ধর্ম অবমাননার সাংবিধানিক অাইন মাহমুদুরের প্রতি যর্থাথ ভাবেই প্রয়োগ করা যায় । কেননা ব্লগের একটা সংকীর্ন গন্ডি থেকে ,প্রিন্ট মিডিয়ার বিশাল এলাকায় ধর্মের অবমাননা সূচক প্রসংগকে নিয়ে এনেছেন এই লোক ,পুনমুদ্রনের মাধ্যমে । প্রতিটি ধর্মপ্রান মানুষের মনে তা বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টী করেছে ।
shawkat Ali
২০১৩.০৪.১১ ১২:২২ এই নষ্ট মানুষটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার উষ্কানির প্রধান নায়ক। পবিত্র ইসলামকে দলীয় স্বার্থে মিথ্যা ও বিকৃত করে প্রচার করেছে। একে ৬ ফেবুয়ারিতেই গ্রেফতার করা উচিত ছিল। তাহলে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হতো না। সরকারকে অভিনন্দন জানাই।
Sabuj
২০১৩.০৪.১১ ০৯:৫৩ এই বিশ্বাসঘাতক, দেশদ্রোহী, ধর্মের অবমাননাকারী, সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতা, উত্তরা ষড়যন্ত্রকারী এবং বাংলাদেশের নব্য রাজাকার, সাম্প্রতিককালের সহিংস ঘটনার অন্যতম মদদদাতা ও উস্কানিদাতাই কেবল নয় !! এই মাহমুদুর রহমান বাংলাদেশের সমস্ত সংবাদকর্মী ও সম্পাদকের কলঙ্ক। একে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হোক।
Md.Rashed Alam
২০১৩.০৪.১১ ০৯:৫৫ দেরিতে হলেও হয়েছে বলে সরকারকে ধন্যবাদ । মাহামুদুর রহমানকে কমকরে হলেও ১০০ দিন রিমান্ডে নিয়ে উচিৎ । ভুয়া ভুয়া সংবাদ দিয়ে দেশের সহজ-সরল মানুষদের উস্কে দিচ্ছিল ।
D M Arafat Munna
২০১৩.০৪.১১ ১২:৫১ এডিটর মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করায় সরকারকে অভিনন্দন...
ওনাকে গ্রেফতার করায় সাংবাদিক সমাজ থেকে একজন হলুদ সাংবাদিক দুর হলো...........
Orronno Alo
২০১৩.০৪.১১ ১১:৪৭ মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার বিষয়ে যারা কষ্ট পাচ্ছেন তাদের জন্য বলছি, আপনারা বাংলাদেশে না জন্মে পাকিস্তান বা অন্য কোন দেশে জন্ম নিলে ভাল করতেন। দেশের প্রতি বিন্দুমাত্র ভালবাসা থাকলে এই, প্রতারক, মিথ্যাবাদী, বিশ্বাসঘাতক, দেশদ্রোহী, ধর্মের অবমাননাকারী, সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতা, ষড়যন্ত্রকারী এবং বাংলাদেশের নব্য রাজাকার, সাম্প্রতিককালের সহিংস ঘটনার অন্যতম মদদদাতা (আরও খারাপ কিছু বলা উচিত, কিন্তু প্রথম আলো ছাপবে না তাই বললাম না) কে সরকারের উচিত ছিলো আরো আগেই খাঁচায় ভরে চিরিয়াখানায় বানরের খাঁচার পাশে রাখা উচিত ছিলো।
ANM Habib
২০১৩.০৪.১১ ০৯:৫৬ এই প্রথম ধর্মীয় উম্মাদনাকারী একজনকে সরকার গ্রেফতার করল। সরকারকে সাধুবাদ জানাই। এই মানুষটাকে একমাস আগে গ্রেফতার করলে ধর্ম নিয়ে এত বাড়াবাড়ি বাংলাদেশে তৈরি হত না। সাংবাদিকতার স্বাধীনতার নামে এই মানুষটা ভেদাভেদ তৈরির চেষ্টা করে গেছে সারাটা সময়। আশা করি, নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সরকার ধর্মীয় উসকানিদাতা হিসেবে এই মানুষটার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে পারবে।
সভ্য সমাজের জয় হোক। জয় হোক অসাম্প্রদায়িকতার। আলোর পথে আমাদের যাত্রা, এ যাত্রায় কোন সাম্প্রদায়িকতার ছোঁয়া আমরা রাখতে চাই না। জয়তু মানবজাতি।
SHAH AZHARUL ISLAM
২০১৩.০৪.১১ ০৯:৫৬ যেমন কর্ম তেমন ফল। এই মাহমুদুর রহমান দেশকে একটা দাঙ্গার দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন। তাকে আরও আগে গ্রেফতার করা দরকার ছিল। তিনি মুসলমানদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে দেশে একটা অরাজকতা তৈরি করতে চেয়েছিলেন। আজ দেশে কত জন ব্লগ পড়েন? কিন্তু পত্রিকা অনেকেই পড়েন। আর তিনি সেই পত্রিকাই আমাদের নবী নিয়ে আপত্তিকর তথ্য প্রকাশ করেছেন। যদি এই তথ্যগুলো প্রকাশ না হত তবে অনেকেই এই লেখা গুলো পড়ত না। তিনি এই আপত্তিকর তথ্যগুলো প্রচার করেছেন। তাই তাকে আগে শাস্তি দেওয়া দরকার। আমি মানি যারা এই ধরনের লেখা লিখছে তারা অনেক বড় অন্যায় করেছে। কিন্তু তাদেরকে তু অন্যভাবে প্রকাশ করা যেত। তিনি কেন তাদের লেখাগুলো প্রকাশ করলেন। তিনি তাদের নাম প্রকাশ করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেন নি। তাই আমরা তার শাস্তি দাবী করছি।
Mohiuddin Maswood
২০১৩.০৪.১১ ১০:০১ অনেক আগেই তাকে গ্রেফতার করা প্রয়োজ ছিলো। এই একটি মানুষের কারণে অনেক জান-মালের ক্ষতি হয়েছে। ২০১৩.০৪.১১ ১০:০১ ইসলাম বিরোধী লেখা সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য হেফাজতকারীরা এর শাস্তি দাবী করবেনা?
অরিত্র
২০১৩.০৪.১১ ১০:১৮ বাংলাদেশের মানুষের রক্ত ঘাম করা জনগণের পয়সায় পরিচালিত বুয়েট থেকে পাস করা অথচ একজন কুলাঙ্গার । সাবেক সরকারের জ্বালানী খাতের সীমাহীন দুর্নীতির অন্যতম দুর্নীতিবাজ, সকল অভিযোগ থেকে বাঁচার জন্য একটি পত্রিকার সম্পাদক সাজা, ধর্মের নামে সাধারণ ধর্মভীরু মানুষকে উত্তেজিত করে একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম দাঙ্গা বাঁধানোর অন্যতম নায়ক, ভণ্ড রাজনীতিবিদ, যুদ্ধাপরাধিদের বিচার নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রকারী, রাজাকারদের হালাল করার জন্য নব্য রাজাকার মাহমুদুর রহমানকে দেরিতে হলেও গ্রেফতার করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে ধন্যবাদ।
Nahid Waliul
২০১৩.০৪.১১ ১০:৪৩ সীমা লংঘন কারীকে আল্লাহ্ পছন্দ করেন না । আর মাহ্মুদুর রহমান চুরান্ত সীমাও লংঘন করেছেন । তার কারনেই অসংখ্য প্রানহানী ঘটেছে । আল্লাহ্ র ইচ্ছাতেই সে গ্রেফতার হয়েছে , আল্লার ঘর কাবা শরীফ নিয়ে মিথ্যাচার যে করেছে আল্লাহই তাকে শাস্তি দিবেন - জনগন ও সরকার তো অসিলা মাত্র ।
Fahim
২০১৩.০৪.১১ ১০:৪৪ মাহমুদুরকে গ্রেফতারের জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানাই। তবে কেবল গ্রেফতার করে কাজ শেষ ভাবলে হবে না। লাখো মানুষকে নাস্তিক বলে মানহানি করার সাথে সাথে, মক্কার ঈমামদের নিয়ে মিথ্যাচার, সমাজে ঝগড়া-ফ্যাসাদ লাগিয়ে মাউলানাদের উসকে দেয়া, ১৫০ জন গ্রামবাসীকে পুলিশের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়া থেকে শুরু করে যুদ্ধাপরাধিদের বিচার বানচালে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অপরাধে তার কঠো্র শাস্তি দাবী করছি।
২০১৩.০৪.১১ ১০:৫৬ পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ নিয়ে মিথ্যা রটনা কারী মাহামুদুর রহমান গেরেফতার!
imam
২০১৩.০৪.১১ ১০:৫৭ এই কাজটা আরো আগে করার দরকার ছিল ২০১৩.০৪.১১ ১০:৫৮ কেন মাহমুদুরের গ্রেফতার সাপোর্ট করবো?
১.ধারাবাহিকভাবে ভুয়া সংবাদ প্রচার
২.সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দেয়া
৩.উস্কে দেয়া সাম্প্রদায়কতায় শত শত মানুষের প্রানহানি
৪.উস্কে দেয়া সাম্প্রদায়িকতায় হরতালসহ নানান দুর্ভোগ
৫.গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র(thanks to Bangla-leaks)
৬.ধর্ম সম্পর্কে অসত্য-অর্ধসত্য বক্তব্য দিয়ে ও অন্যের নামে লেখা ধর্মবিদ্বেষী ভুয়া কথাবার্তা(নুরানিচাপা) তার নামে চালিয়ে দিয়ে ধর্মের অবমাননা করা
৭.ব্যক্তিগত স্কাইপের তথ্য পেপারে ফ্লাশ করে ব্যক্তির প্রাইভেসি লঙ্ঘন করা
কেন মাহমুদুরের গ্রেফতার সাপোর্ট করবো না?
১.এই দেশ গণতান্ত্রিক দেশ।
২.এর মানে যা ইচ্ছা তাই বলা যাবে,এতে যদি পুরো দেশ জাহান্নামে যায়ও তাহলেও বলা যাবে।
Ashraful Alam
২০১৩.০৪.১১ ১০:৫৮ আমি খুশি হয়েছি। এ ধরনের অপেশাদার লোক যেন ভবিষ্যতে পত্রিকার সম্পাদক হতে না পারেন। এরা দেশের জন্য ক্ষতিকর। উনি অনেক ক্ষতি করেছেন। সরকার সঠিক তদন্ত করে তার উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করবেন এমন প্রত্যাশা করছি।
Prodip
২০১৩.০৪.১১ ১১:০৭ ভালই হয়েছে, অনেক অাগেই গ্রেপ্তার করা উচিত ছিলো । রাষ্ট্রের সংহতি , শান্তি এবং মানুষের পরস্পরিক সৌহার্দ্য বিনষ্ট কারীর জন্য কোন গনতন্ত্র নয় । তার পত্রিকাটাও নিষিদ্ধ করা হোক ।
Fahim
২০১৩.০৪.১১ ১১:০৭ ১৯৭১ এর পর বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দেশদ্রোহী এবং সর্বোচ্চ সংখ্যক বার ইসলামের অবমাননাকারী মাহমুদুরকে গ্রেফতারের জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানাই। আলহামদুলিল্লাহ! তবে কেবল গ্রেফতার করে কাজ শেষ ভাবলে হবে না। লাখো মানুষকে নাস্তিক বলে মানহানি করার সাথে সাথে, মক্কার ঈমামদের নিয়ে মিথ্যাচার, সমাজে ঝগড়া-ফ্যাসাদ লাগিয়ে মাউলানাদের উসকে দেয়া থেকে শুরু করে যুদ্ধাপরাধিদের বিচার বানচালে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অপরাধে তার কঠো্র শাস্তি দাবী করছি।
Aminul Ahesan
২০১৩.০৪.১১ ১১:১৫ Better late than never.
projonmoekattur
২০১৩.০৪.১১ ১১:১৫ সরকারকে ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমানকে দেরিতে হলেও গ্রেফতার করার জন্য; আমাদের দাবি থাকবে তাকে এমন শাস্তি দেয়া হোক যাতে ভবিষ্যতে কেউ দেশে সাম্প্রদায়িক দাংগা বাধাঁনোর উস্কানি দিতে সাহস না পায়; তার প্রতিটি অপকর্মের দৃস্টান্তমূলক বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
moazzem hossen
২০১৩.০৪.১১ ১১:১৬ যারা সংবাদ পত্রের মিথ্যাচার কত খানি মারাত্মক সেটা জানেনা তারা ব্যতীত আর কেউ মাহামুদুর রহমান কে সাধুবাদ দেবেনা। একটা সংবাদ পত্রের মিথ্যাচার একটা জাতিকে কত খানি ডুবাতে পারে তা আমরা দেখে ফেলেছি। এই মাহামুদুর রহমানের পত্রিকায় ধর্মকে নিয়ে উম্মাদনা সৃষ্টির সব ছেয়ে বেশী প্রয়াস চালানো হয়েছে। অনেক টা সে সফল ও হয়েছে রাষ্ট্রের ক্ষতি সাধন করে। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র দ্রোহ মামলা দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হোক অথবা সে স্বেচ্ছায় নির্বাসিত হতে চাইলে তাকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া হোক। ৭১ এর পর এযাবৎ কালে রাজনৈতিক কারণে দেশের যে ক্ষতি সাধন হয়েছে সেটা ৭৫% মাহামুদুর রহমানের অপপ্রচারের কারণে। আমি একজন বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে দাবী করব তার সমস্ত শিক্ষা সনদ বাতিল করে তাকে অশিক্ষিত ঘোষণা করা হোক।
Shaheen_Raozan_Chittagong
২০১৩.০৪.১১ ১১:২৫ যেমন কর্ম তেমন ফল। এই মাহমুদুর রহমান দেশকে একটা দাঙ্গার দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন। তাকে আরও আগে গ্রেফতার করা দরকার ছিল। তিনি মুসলমানদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে দেশে একটা অরাজকতা তৈরি করতে চেয়েছিলেন।
Aminul Ahesan
২০১৩.০৪.১১ ১১:৩২ বাংলাদেশে সাপ্রদায়িক সম্প্রীতি বিনস্টের অন্যতম হোতা। ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে বড় অবমাননাকারী।উত্তরা ষড়যন্ত্রের খলনায়ক, জাগতিক দলীয় স্বার্থে পবিত্র ইসলাম ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে । দেশের অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে পরস্পরের প্রতি বিষোদগারে লিপ্ত করে সারা দেশময় অশান্তির বিষ বাষ্প ছড়িয়েছে। আমি তার জাগতিক শাস্তির পাশাপাশি তওবা নসীব হওয়ার জন্য দোয়া করছি। Ref:
মাহমুদুর রহমান ১৩ দিনের রিমান্ডে (ভিডিও)
নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ১১-০৪-২০১৩
__._,_.___
[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.
* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]
__,_._,___