জামায়াত-শিবিরের তা-বের মুখে : শাহবাগে ফের গণজমায়েত : সেস্নাগানে প্রকম্পিত গণজাগরণ মঞ্চ
বিশ্ববিদ্যালয় বার্তা পরিবেশক
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ফের গণজমায়েত শুরু হয় শাহবাগ চত্বর। সেস্নাগানে সেস্নাগানে প্রকম্পিত হচ্ছে প্রজন্ম চত্বর। এখানে আবারও অবিরাম আন্দোলন চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। গতকাল সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীরা গণজাগরণ মঞ্চে জড়ো হয়ে গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন এবং একই সময়ে সারাদেশে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করার ঘোষণা দেয়া হয়। মছিলের আগে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের আলটিমেটাম দেন তারা। গতকাল সারাদেশে জামায়াত-শিবিরের তা-বের প্রতিবাদে দুপুর থেকে হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ ছাত্র-যুবক ও নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ এখানে আবারও জড়ো হয়ে আন্দোলন শুরু করেন। প্রথমে তারা জাদুঘরের সামনে আন্দোলন করলেও সন্ধ্যার দিকে তারা শাহবাগ মোড়ে ঘনজাগরণ মঞ্চে এসে আন্দোলন শুরু করেন। এছাড়াও সারাদেশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয়ভাবে শাহবাগ জাদুঘরের সামনে পূর্ব ঘোষিত গণস্বাক্ষর কর্মসূচি চলছে।
এর আগে টানা ১৭ দিন শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শেষে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে অবিরাম অবস্থান কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছিল।
গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ডা. ইমরান এইচ সরকার শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গণজাগরণ মঞ্চে আন্দোলনকারীদের পক্ষে এ বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ও আলটিমেটাম দেন। সারাদেশে একযোগে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়ে তিনি সাধারণ মানুষকে আবার রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান।
ইমরান বলেন, মাহমুদুর রহমান আজকের হামলার জন্য উস্কানি দিয়েছে। তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেবে গণজাগরণ মঞ্চ।
দুপুরে কাঁটাবন মোড়ে জামায়াত সমর্থিত হেফাজতে ইসলাম নামের একটি সংগঠন পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এরপরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কয়েকটি মিছিল বের হয়। মিছিল শেষে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভে সাধারণ মানুষ যোগ দিতে শুরু করলে আস্তে আস্তে গণজাগরণ মঞ্চের বস্নগার, ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশন, জাসদ ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা শাহবাগ এলাকায় জমায়েত হন। রাজাকারদের ফাঁসির দাবির সঙ্গে উচ্চারিত হয়- 'জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ কর'। শুরুতে কয়েক ঘণ্টা উপস্থিতরা খালি মুখে সেস্নাগান দিতে থাকেন। পরে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মাইক নিয়ে আসেন আন্দোলনকারীরা। এরপরে আগের মতোই হাজার কণ্ঠে সেস্নাগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে শাহবাগ এলাকা।
সমাবেশ থেকে সারাদেশে জামায়াত-শিবিরের হামলার তীব্র নিন্দা এবং তাদের প্রতিহত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জাদুঘরের সামনে বাড়তে থাকে মানুষের অংশগ্রহণ।
জামায়াতের দেশব্যাপী তা-বের প্রতিবাদ জানাতে শহবাগে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পলাশ বলেন, আমরা কর্মসূচি অব্যাহত রেখে বৃহস্পতিবার রাতে শাহবাগ ছেড়ে বাসায় গিয়েছি মাত্র। জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে এটা করা হয়েছে। কিন্তু জামায়াত-শিবির এটাকে আমাদের দুর্বলতা হিসেবে নিয়েছে এবং সারাদেশে তা-ব চালিয়েছে। তাই আমরা তাদের প্রতিহত করতে আবারও এখানে এসেছি। তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও জানান এই আন্দোলনকারী।
শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি প্রবীর সাহা জানান, জামায়াত-শিবিরের তা-বের প্রতিবাদে আমরা আবারও আগের নিয়মে এখানে জমায়েত হয়েছি। এ গণজাগরণ মঞ্চ তাদের প্রতিহত করবে। নতুন কোন কর্মসূচি দেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা মহাসমাবেশ থেকে সারাদেশব্যাপী কর্মসূচি দিয়েছি। এছাড়া আজকের (শুক্রবার) তা-বের বিষয়ে আমরা সবাই মিলে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করব।
এদিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদ ও তার পরবর্তী সময়ে রাজাকার জামায়াত-শিবির চক্রের হাতে নিহত সব শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে প্রার্থর্না করা হয়েছে। বাদ জুমা মসজিদে এবং অন্য ধর্মাবলম্বীরা তাদের নিজ নিজ ধর্মী রীতিতে স্ব স্ব উপাসনালয়ে এ প্রার্থনা করেন।
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ফের গণজমায়েত শুরু হয় শাহবাগ চত্বর। সেস্নাগানে সেস্নাগানে প্রকম্পিত হচ্ছে প্রজন্ম চত্বর। এখানে আবারও অবিরাম আন্দোলন চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। গতকাল সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীরা গণজাগরণ মঞ্চে জড়ো হয়ে গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন এবং একই সময়ে সারাদেশে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করার ঘোষণা দেয়া হয়। মছিলের আগে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের আলটিমেটাম দেন তারা। গতকাল সারাদেশে জামায়াত-শিবিরের তা-বের প্রতিবাদে দুপুর থেকে হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ ছাত্র-যুবক ও নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ এখানে আবারও জড়ো হয়ে আন্দোলন শুরু করেন। প্রথমে তারা জাদুঘরের সামনে আন্দোলন করলেও সন্ধ্যার দিকে তারা শাহবাগ মোড়ে ঘনজাগরণ মঞ্চে এসে আন্দোলন শুরু করেন। এছাড়াও সারাদেশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয়ভাবে শাহবাগ জাদুঘরের সামনে পূর্ব ঘোষিত গণস্বাক্ষর কর্মসূচি চলছে।
এর আগে টানা ১৭ দিন শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শেষে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে অবিরাম অবস্থান কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছিল।
গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ডা. ইমরান এইচ সরকার শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গণজাগরণ মঞ্চে আন্দোলনকারীদের পক্ষে এ বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ও আলটিমেটাম দেন। সারাদেশে একযোগে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়ে তিনি সাধারণ মানুষকে আবার রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান।
ইমরান বলেন, মাহমুদুর রহমান আজকের হামলার জন্য উস্কানি দিয়েছে। তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেবে গণজাগরণ মঞ্চ।
দুপুরে কাঁটাবন মোড়ে জামায়াত সমর্থিত হেফাজতে ইসলাম নামের একটি সংগঠন পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এরপরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কয়েকটি মিছিল বের হয়। মিছিল শেষে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভে সাধারণ মানুষ যোগ দিতে শুরু করলে আস্তে আস্তে গণজাগরণ মঞ্চের বস্নগার, ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশন, জাসদ ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা শাহবাগ এলাকায় জমায়েত হন। রাজাকারদের ফাঁসির দাবির সঙ্গে উচ্চারিত হয়- 'জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ কর'। শুরুতে কয়েক ঘণ্টা উপস্থিতরা খালি মুখে সেস্নাগান দিতে থাকেন। পরে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মাইক নিয়ে আসেন আন্দোলনকারীরা। এরপরে আগের মতোই হাজার কণ্ঠে সেস্নাগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে শাহবাগ এলাকা।
সমাবেশ থেকে সারাদেশে জামায়াত-শিবিরের হামলার তীব্র নিন্দা এবং তাদের প্রতিহত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জাদুঘরের সামনে বাড়তে থাকে মানুষের অংশগ্রহণ।
জামায়াতের দেশব্যাপী তা-বের প্রতিবাদ জানাতে শহবাগে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পলাশ বলেন, আমরা কর্মসূচি অব্যাহত রেখে বৃহস্পতিবার রাতে শাহবাগ ছেড়ে বাসায় গিয়েছি মাত্র। জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে এটা করা হয়েছে। কিন্তু জামায়াত-শিবির এটাকে আমাদের দুর্বলতা হিসেবে নিয়েছে এবং সারাদেশে তা-ব চালিয়েছে। তাই আমরা তাদের প্রতিহত করতে আবারও এখানে এসেছি। তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও জানান এই আন্দোলনকারী।
শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি প্রবীর সাহা জানান, জামায়াত-শিবিরের তা-বের প্রতিবাদে আমরা আবারও আগের নিয়মে এখানে জমায়েত হয়েছি। এ গণজাগরণ মঞ্চ তাদের প্রতিহত করবে। নতুন কোন কর্মসূচি দেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা মহাসমাবেশ থেকে সারাদেশব্যাপী কর্মসূচি দিয়েছি। এছাড়া আজকের (শুক্রবার) তা-বের বিষয়ে আমরা সবাই মিলে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করব।
এদিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদ ও তার পরবর্তী সময়ে রাজাকার জামায়াত-শিবির চক্রের হাতে নিহত সব শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে প্রার্থর্না করা হয়েছে। বাদ জুমা মসজিদে এবং অন্য ধর্মাবলম্বীরা তাদের নিজ নিজ ধর্মী রীতিতে স্ব স্ব উপাসনালয়ে এ প্রার্থনা করেন।
__._,_.___