শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৩, ১১ ফাল্গুন ১৪১৯
প্রজন্ম চত্বরে ॥ অবস্থানের ১৮ দিনে ॥ ফের উত্তাল শাহবাগ- গগনবিদারী স্লোগান জয় বাংলা
জামায়াতী সন্ত্রাসের খবরে মুহূর্তেই হাজারো মানুষের ঢল প্রজন্ম চত্বরে
স্টাফ রিপোর্টার ॥ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসিসহ জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার দাবিতে ফের উত্তাল শাহবাগ। শুক্রবার দুপুরে জামায়াত-শিবির ও সমমনা উগ্রপন্থীদের দেশব্যাপী তা-বের খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রজন্ম চত্বরে এসে জড়ো হয় হাজার হাজার প্রতিবাদী জনতা। এরপর পরই মিছিল আর সেøাগানে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজপথ। ক্ষোভে-বিক্ষোভে উত্তাল প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলন নিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমার দেশ সম্পাদককে গ্রেফতারের দাবি ওঠে মঞ্চ থেকে। এ ছাড়া সাংবাদিকদের ওপর জামায়াত-শিবিরের হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানান প্রজন্মযোদ্ধারা। শাহবাগ থেকে কাঁটাবন পর্যন্ত দফায় দফায় লাঠি জামায়াতের তা-বের প্রতিবাদে সন্ধ্যা সাতটায় গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বানে তাৎক্ষণিকভাবে সারাদেশে বিক্ষোভে শরিক হয় প্রতিবাদী জনতা। এদিকে আন্দোলনের ১৮তম দিনে সারাদেশে গণস্বাক্ষর ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। তবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদ সকাল থেকে দখল করে আন্দোলনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় জামায়াত-শিবিরসহ মৌলবাদী গোষ্ঠী। সন্ধ্যার পর শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ থেকে সবাইকে রাজপথে নেমে স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীকে প্রতিহত করার ডাক দেন প্রজন্মযোদ্ধারা। তারা বলেন, যুদ্ধাপরাপধীদের বিচার ও জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না।
সন্ধ্যার পর নতুন কর্মসূচী ঠিক করতে বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারী নেতারা। রাত নয়টা পর্যন্ত বৈঠক চলছিল। তবে বৈঠক থেকে শাহবাগের আন্দোলন ২৪ ঘণ্টা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে। সন্ধ্যার পর শাহবাগের মূল মঞ্চে আন্দোলন শুরু হয়। ফলে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। স্বরূপে ফিরে আসে শাহবাগ। বৃহস্পতিবার রাতে ২৪ ঘণ্টার আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। মহাসমাবেশ থেকে ঘোষণা করা হয় নতুন কর্মসূচী। নতুন কর্মসূচী অনুযায়ী আজ বিকেল তিনটায় রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে সমাবেশ হওয়ার কথা। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এই কর্মসূচী পরিবর্তনও হতে পারে। বৈঠক শুরুর আগে আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার প্রজন্ম চত্বরে এসে বলেন, এখন থেকে আমরা ২৪ ঘণ্টা রাজপথে থাকব। আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
আবারও উত্তাল শাহবাগ ॥ শুক্রবার ছিল প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনের ১৮তম দিন। এ দিন দেশব্যাপী ছিল নানা কর্মসূচী। শাহবাগে বিকেল তিনটায় ছিল সাংস্কৃতিক কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সমাবেশ। কিন্তু সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের উপস্থিতি ছিল প্রজন্ম চত্বরে। কিছু মানুষ সকালে বিক্ষোভ করে। দুপুরের পর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জামায়াত-শিবিরের নাশকতা, দেশের বিভিন্ন জেলায় গণজাগরণ মঞ্চে হামলা, অগ্নিসংযোগ, শহীদ মিনার ভাংচুরসহ শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর দখলের চেষ্টার খবর ছড়িয়ে পড়লে খ- খ- মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে আসতে থাকে প্রতিবাদী মানুষ। বিকেল তিনটার মধ্যে জড়ো হয় হাজারো প্রতিবাদী মানুষ। জাদুঘরের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নামে জনতার ঢল। সন্ধ্যার আগে আন্দোলনকারীরা জাদুঘরের সামনে থেকে উঠে শাহবাগ চত্বরে আগের অবস্থানে ফিরে আসে। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। ক্ষোভে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। প্রতিবাদী কণ্ঠে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয় 'জামায়াত-শিবির রাজাকার-এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়। জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা ঘরে না ফেরার অঙ্গীকার করেন। আন্দোলনে অংশ নিয়ে অভিনেত্রী সুবর্না মুস্তাফা বলেন, যারা ধর্ম নিয়ে- ইসলাম নিয়ে রাজনীতি করে। ইসলামের নামে অপব্যাখ্যা দেয় তাদের আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। তাদের বিচার হবেই। মানুষ জেগে উঠেছে। জেগে ওঠেছে শাহবাগ। তারুণ্যের জয় হবেই। তিনি সবাইকে আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রজন্ম চত্বরে ২৪ ঘণ্টার কর্মসূচী প্রত্যাহার করা হয়। শাহবাগের রাস্তা দিয়ে চলাচল শুরু হয় সব ধরনের যানবাহন।
প্রজন্ম চত্বর দখলের চেষ্টা ॥ জুমার নামাজ শেষে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর দখলের চেষ্টা চালায় জামায়াত-শিবির গোষ্ঠী। পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে শাহবাগে রওনা হয় তারা। বায়তুল মোকাররমে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর কয়েক শ' জামায়াত-শিবির কর্মী শাহবাগের উদ্দেশে রওনা দেয়। তারা মৎসভবন পর্যন্ত এলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। এদিকে কাঁটাবন থেকে শাহবাগ দখলের উদ্দেশে রওনা দেয় জামায়াত-শিবির। পুলিশী বাধার মুখে এক পর্যায়ে তারা পিছু হটে। সঙ্গে সঙ্গে শাহবাগে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। শাহবাগের পুরো এলাকা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘিরে ফেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় শাহবাগের মিডিয়া সেন্টারে প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনের কর্মসূচী হিসেবে গণস্বাক্ষর কর্মসূচী চলছিল। বিকেল তিনটায় ছিল নির্ধারিত প্রতিবাদী গানের অনুষ্ঠান। তবে সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের ভিড় ছিল শাহবাগে।
পরিকল্পিত হামলার দাবি সাইবারযোদ্ধাদের ॥ গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের কর্মসূচী নস্যাত করতে পরিকল্পিতভাবেই জামায়াত-শিবির দেশের বিভিন্নস্থানে হামলা চালিয়েছে বলে মনে করেন শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের সাইবারযোদ্ধারা। গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক সাইবারযোদ্ধা ডা. ইমরান এইচ সরকার তাৎক্ষণিক বলেন, আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচী ছিল জুমার নামাজ শেষে বিশেষ দোয়া প্রার্থনা। সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করতে এই কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। এই কর্মসূচী যাতে সফল হতে না পারে সেজন্য নামাজ শেষের আগেই বিভিন্ন স্থানে তারা হামলা চালায়। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। সরকারকে কঠোর হস্তে এসব সন্ত্রাসী কর্মকা- দমন করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ইমরান বলেন, গণজাগরণে ভয় পেয়েই জামায়াত-শিবির এ নাশকতা চালিয়েছে। পূর্ব ঘোষিত সকল কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। সাইবারযোদ্ধা মারুফ রসুল এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, জামায়াত-শিবির '৭১এ যে কায়দায় ধর্মের নামে নারী নির্যাতন ও মানুষ হত্যা করেছে। একই কায়দায় আমাদের এই আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করা হচ্ছে। জামায়াত-শিবির কখনও ইসলামকে রক্ষা করেনি। এরা ইসলামের অপব্যবহার করে ইসলামের ক্ষতিই করেছে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের আহ্বান জানাই এদের প্রতিহত করার জন্য। শুক্রবার তারা প্রগতিশীল মিডিয়া কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এর মাধ্যমে তারা তাদের স্বরূপে ফিরেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে সন্ধ্যার পর জাগরণ মঞ্চে ইমরান বলেন, শুক্রবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। এ সময় তিনি শাহবাগের আন্দোলন ২৪ ঘণ্টা চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন। এর আগে তিনি পল্টনে জামায়াত-শিবিরের হামলা আহত সাংবাদিকদের দেখতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান।
প্রার্থনা ॥ যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবির চক্রের হাতে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বাদ জুমা প্রতিটি মসজিদে বিশেষ দোয়াসহ প্রতিটি মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় এবং অন্য ধর্মাবলম্বীদের উপসনালয়ে নিজ নিজ ধর্মীয় রীতিতে প্রার্থনা কর্মসূচী ঘোষণা করা হয় বৃহস্পতিবারের প্রজন্ম চত্বরের মহা-সমাবেশ থেকে।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে শাহবাগের কর্মসূচীকে সমর্থন করে দোয়ার আয়োজন করা হলেও সকাল থেকেই জামায়াত-শিবির গোষ্ঠী মসজিদ দখল করে। সংক্ষিপ্ত দোয়া অনুষ্ঠিত হলেও খবর সংগ্রহে সাংবাদিকরা মসজিদে প্রবেশ করতে চাইলে জামায়াত-শিবির তাদের ওপর হামলা চালায়। এ ছাড়া রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে দোয়া কর্মসূচী ভ-ুল করতে সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদ দখল করে জামায়াত-শিবির চক্র। শাহবাগের চলমান আন্দোলনের বিরুদ্ধে তারা বক্তব্য দেয়।
রাজধানীর খিলগাঁও বৌদ্ধ মন্দিরে গণজাগরণ মঞ্চের ঘোষণা অনুযায়ী প্রার্থনা হয়। যোগ দেয় সব বয়সের মানুষ। শহীদদের আত্মার শান্তি জন্য, সুশাসন আর দারিদ্র্যমুক্ত দেশের জন্য একাগ্রচিত্তে প্রার্থনা করে তারা। এ যেন এক অন্য রকম প্রার্থনা। যা বিশেষ কোন ধর্মের বা গোত্রের জন্য নয়। এ প্রার্থনা শুধু বাংলার জন্য। বাঙালীর জন্য। বৌদ্ধ মন্দিরের চার ভিক্ষু এ প্রার্থনা পরিচালনা করেন। এরা হলেন- আনন্দ মিত্র তোর, করুনা ভিক্ষু, তিরোসাতু ভিক্ষু ও ধর্মানান্দা ভিক্ষু।
করুনা ভিক্ষু প্রার্থনা শেষে বলেন, অন্যান্য দিনের মতো এদিন সকালে আমাদের প্রার্থনা শুরু হলেও আজকের প্রার্থনায় আমরা গণজাগরণ মঞ্চের ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ও ভাষা আন্দোলনে শহীদ এবং সাম্প্রদায়িকতার কারণে যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের আত্মার শান্তি চেয়ে প্রার্থনা করেছি। শুক্রবার সকালে তেজগাঁওয়ের হলি রোজারিও গীর্জা, আসাদ গেটের সেন্ট ক্রিস্টিনা চার্চসহ রাজধানীর বিভিন্ন গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মন্দিরে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
২২ সন্দেহভাজন আটক ॥ শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ ও এর আশপাশের এলাকা থেকে ২২ সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত সময়ে তাদের আটক করা হয়। প্রাথমিকভাবে তাদের জামায়াত-শিবিরের কর্মী বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল জলিল এ তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে।
৬ দফা দাবিতে গণস্বাক্ষর ॥ ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে ৬ দফা দাবির প্রতি একাত্মতা জানানো মানুষের গণস্বাক্ষর কর্মসূচী শুরু হয় সকাল থেকেই। কেন্দ্রীয়ভাবে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে মিডিয়া সেন্টারে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। স্পীকারের কাছে লেখা ৬ দাবির নিচে নিজের নাম ও পাশে স্বাক্ষর করেন সর্বস্তরের মানুষ। দিনভর চলে গণস্বাক্ষর। সন্ধ্যা পর্যন্ত স্বাক্ষর জমা হয় হাজারের বেশি। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ আন্দোলনের প্রতি একাত্ম হয়ে কর্মসূচীর প্রতি সমর্থন জানান। এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থাগে জাগরণ মঞ্চসহ অফিস, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ স্ব-স্ব অবস্থান থেকে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2013-02-23&ni=126591শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৩, ১১ ফাল্গুন ১৪১৯
Related:
জামায়াতী মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করায় মসজিদে মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিত
স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ শুক্রবার জুমার নামাজের সময় জামায়াতে ইসলামীর বয়ান ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করায় শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের চৌধুরী। ময়মনসিংহ শহরের চকবাজার বড় মসজিদে ঘটেছে এই ঘটনা। ময়মনসিংহ রেলওয়ে শ্রমিক লীগ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের চৌধুরী অভিযোগ করে জানান, জুমার নামাজ পড়ার জন্য শুক্রবার স্থানীয় বড় মসিজদে যান। নামাজের আগে জামায়াত ইসলামী নেতারা নাস্তিক আখ্যা দিয়ে ঢাকার শাহবাগ আন্দোলনে জড়িতসহ নানাজনের নামে মিথ্যাচারমূলক বক্তব্য দিলে প্রতিবাদ করেন তিনি। এসময় মসজিদের . . .
__._,_.___