প্রজন্ম চত্বরে অবস্থানের ১৩ দিনে ॥ আমার সোনার বাংলা.
যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি ও জামায়াত নিষিদ্ধের দাবিতে সারাদেশ এক সঙ্গে গাইল জাতীয় সঙ্গীত,
উড়াল রক্তেভেজা জাতীয় পতাকা
স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঘড়ির কাঁটা ঠিক যখন ১০টা ছুঁই ছুঁই করছে ঠিক তখনই সারাদেশ যেন এক সঙ্গে গেয়ে উঠল আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি। প্রস্তুতি ছিল আগে থেকেই। শুধু অপেক্ষা কখন বাজবে সকাল দশটা। শুধু এই সময়ের জন্য সারা দেশের স্কুল-কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা একযোগে অধীর আগ্রহে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। সকাল ১০টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশে একযোগে উড়তে থাকে জাতীয় পতাকা। সমস্বরে সবাই গেয়ে ওঠে জাতীয় সঙ্গীত। পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই যেন নতুন করে শপথ নেয় দেশরক্ষার। দেশকে রাজাকারমুক্ত করার। নতুন চেতনায় উদ্ভাসিত হওয়ার আহ্বান ছিল। যে যেখানে ছিল সেখান থেকেই পতাকা উত্তোলন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে। কণ্ঠে একই দাবি যুদ্ধপরাধীদের ফাঁসি।
গত শুক্রবার শাহবাগের জাগরণ মঞ্চ থেকে রবিবার সারাদেশে একযোগে পতাকা উত্তোলন কর্মসূচীর ঘোষণা দেয়া হয়। যুদ্ধপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এ কর্মসূচী ঘোষণা দেয়া হয়। সকাল ১০টায় শাহবাগের জাগরণ মঞ্চে থেকে এক পতাকা উত্তোলন করে সঙ্গে গেয়ে ওঠে আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি। এ আহ্বানের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে একই সময়ে কর্মসূচী পালন করে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে মফস্বল পর্যন্ত প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নিজ উদোগে তারা এ কর্মসূচী পালন করে। শিশু- কিশোর থেকে শুরু করে শিক্ষক-ছাত্র একসঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পতাকা উত্তোলন করে। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী এ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে।
একাত্তর সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে একটি পতাকার জন্য সবাই যেমন একযোগে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল, ৪২ বছর পর্যন্ত সবাই যেন পতাকা উত্তোলনে নতুন করে দৃপ্ত শপথ নিয়েছে দেশ রক্ষার। শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর থেকে আগেই ঘোষণা দেয়া হয়েছিল সারাদেশের স্কুল-কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল প্রতিষ্ঠানে একযোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। তাদের এ কর্মসূচীর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে সারা দেশই যেন এক সঙ্গে গেয়ে উঠল আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি।
রাজধানীর শাহবাগে প্রতিবাদী তারুণ্য এ অভিনব কর্মসূচী পালনের মধ্য দিয়ে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে নিজেদের শান্তিপূর্ণ বলিষ্ঠ অবস্থানের কথা বিশ্বকে জানিয়ে দেয়। প্রজন্ম চত্বরের পূর্বঘোষিত এই কর্মসূচীর সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সকাল ১০টায় জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। হাজার হাজার তরুণ বৃষ্টি উপেক্ষ করে এ কর্মসূচী পালন করে। তাদের এ কর্মসূচীকে সমর্থন জানাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজ থেকে শিক্ষার্থরা যোগ দেয়।
পতাকা উত্তোলন কর্মসূচীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশেও উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এ পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানের প্রায় আড়াই শ' শিক্ষক এ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে। ভিসি আআমস আরেফিন সিদ্দিক বলেন, নতুন প্রজন্ম আজ দেশ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে তাদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন তিনি। একই সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেয়া হয়।
এছাড়া রাজধানীর অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। কর্মসূচী পালনের বাধ্যবাধকতা না থাকলে প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। পতাকা উত্তোলনের পর কোমলমতি শিশুদের কাছে এর কারণ ব্যাখ্যা করা হয়। এ সময় প্রায় সব স্কুলের শিশুরা একযোগে যুদ্ধপরাধীদের ফাঁসির আওয়াজ তোলে।
রাজধানীর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সমস্ত স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল ঠিক ১০টায় এ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। বাদ পড়েনি কিন্ডারগার্টেন স্কুলও। যে যার অবস্থান থেকে এ কর্মসূচী পালন করে নতুন প্রজন্মের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে। রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত আমতলী স্টাফ ওয়েলফেয়ার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনায় অংশ নেয়। এ সময় শিশুদের কাছে মানবতাবিরোধী অপরাধ বলতে কি বোঝায় তাদের বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হয়। শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, জাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে সারাদেশের স্কুল-কলেজের লাখ লাখ শিক্ষার্থী।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায় প্রত্যাখ্যান করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে নতুন প্রজন্ম। রবিবার এ আন্দোলনের ১৩তম দিনে গড়িয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই লাখ লাখ জনতা এ আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে। এ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রবিবার পালন করা হয় সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া কর্মসূচী। ব্লগার ও অনলাইন এ্যাকটিভিস্ট নেটওয়ার্ক এ আন্দোলনের সুচনা করলে তা সারাদেশের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। শাহবাগ আন্দোলনের কর্মী স্থপতি আহমেদ রাজীব হায়দার খুন হওয়ার ঘটনায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ে। এ প্রেক্ষিতে আন্দোলনকারীরা যুদ্ধপরাীদের ফাঁসির দাবিসহ জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে অনড় রয়েছে।
ঢাকার শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে ঘোষিত কর্মসূচী চট্টগ্রাম খুলনা, রবিশাল, সিলেট রংপুর বিভাগীয় শহর ছাড়া প্রতিটি জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পালন করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে একই সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে ও স্লোগান দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা নিজ উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে দেন। ১০টা বাজার কয়েক মিনিট আগে উল্টো দিক থেকে কাউন্ট ডাউন শুরু করে। এ কাউন্টডাউনে শিক্ষার্থরা অংশগ্রহণ করে। কাউন্টডাউন শেষে যখন পতাকা উত্তোলন করা হয় তখন সমস্বরে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে ওঠে সবাই। তবে মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠানে পালন করা না হলেও আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করা হয়।
আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ আলাউদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আলী আশরাফ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সেকান্দর চৌধুরী, প্রক্টর সিরাজ উদ দৌল্লাহ প্রমুখ।
গত শুক্রবার শাহবাগের জাগরণ মঞ্চ থেকে রবিবার সারাদেশে একযোগে পতাকা উত্তোলন কর্মসূচীর ঘোষণা দেয়া হয়। যুদ্ধপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এ কর্মসূচী ঘোষণা দেয়া হয়। সকাল ১০টায় শাহবাগের জাগরণ মঞ্চে থেকে এক পতাকা উত্তোলন করে সঙ্গে গেয়ে ওঠে আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি। এ আহ্বানের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে একই সময়ে কর্মসূচী পালন করে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে মফস্বল পর্যন্ত প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নিজ উদোগে তারা এ কর্মসূচী পালন করে। শিশু- কিশোর থেকে শুরু করে শিক্ষক-ছাত্র একসঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পতাকা উত্তোলন করে। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী এ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে।
একাত্তর সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে একটি পতাকার জন্য সবাই যেমন একযোগে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল, ৪২ বছর পর্যন্ত সবাই যেন পতাকা উত্তোলনে নতুন করে দৃপ্ত শপথ নিয়েছে দেশ রক্ষার। শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর থেকে আগেই ঘোষণা দেয়া হয়েছিল সারাদেশের স্কুল-কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল প্রতিষ্ঠানে একযোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। তাদের এ কর্মসূচীর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে সারা দেশই যেন এক সঙ্গে গেয়ে উঠল আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি।
রাজধানীর শাহবাগে প্রতিবাদী তারুণ্য এ অভিনব কর্মসূচী পালনের মধ্য দিয়ে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে নিজেদের শান্তিপূর্ণ বলিষ্ঠ অবস্থানের কথা বিশ্বকে জানিয়ে দেয়। প্রজন্ম চত্বরের পূর্বঘোষিত এই কর্মসূচীর সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সকাল ১০টায় জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। হাজার হাজার তরুণ বৃষ্টি উপেক্ষ করে এ কর্মসূচী পালন করে। তাদের এ কর্মসূচীকে সমর্থন জানাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজ থেকে শিক্ষার্থরা যোগ দেয়।
পতাকা উত্তোলন কর্মসূচীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশেও উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এ পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানের প্রায় আড়াই শ' শিক্ষক এ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে। ভিসি আআমস আরেফিন সিদ্দিক বলেন, নতুন প্রজন্ম আজ দেশ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে তাদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন তিনি। একই সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেয়া হয়।
এছাড়া রাজধানীর অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। কর্মসূচী পালনের বাধ্যবাধকতা না থাকলে প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। পতাকা উত্তোলনের পর কোমলমতি শিশুদের কাছে এর কারণ ব্যাখ্যা করা হয়। এ সময় প্রায় সব স্কুলের শিশুরা একযোগে যুদ্ধপরাধীদের ফাঁসির আওয়াজ তোলে।
রাজধানীর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সমস্ত স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল ঠিক ১০টায় এ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। বাদ পড়েনি কিন্ডারগার্টেন স্কুলও। যে যার অবস্থান থেকে এ কর্মসূচী পালন করে নতুন প্রজন্মের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে। রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত আমতলী স্টাফ ওয়েলফেয়ার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনায় অংশ নেয়। এ সময় শিশুদের কাছে মানবতাবিরোধী অপরাধ বলতে কি বোঝায় তাদের বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হয়। শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, জাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে সারাদেশের স্কুল-কলেজের লাখ লাখ শিক্ষার্থী।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায় প্রত্যাখ্যান করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে নতুন প্রজন্ম। রবিবার এ আন্দোলনের ১৩তম দিনে গড়িয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই লাখ লাখ জনতা এ আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে। এ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রবিবার পালন করা হয় সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া কর্মসূচী। ব্লগার ও অনলাইন এ্যাকটিভিস্ট নেটওয়ার্ক এ আন্দোলনের সুচনা করলে তা সারাদেশের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। শাহবাগ আন্দোলনের কর্মী স্থপতি আহমেদ রাজীব হায়দার খুন হওয়ার ঘটনায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ে। এ প্রেক্ষিতে আন্দোলনকারীরা যুদ্ধপরাীদের ফাঁসির দাবিসহ জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে অনড় রয়েছে।
ঢাকার শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে ঘোষিত কর্মসূচী চট্টগ্রাম খুলনা, রবিশাল, সিলেট রংপুর বিভাগীয় শহর ছাড়া প্রতিটি জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পালন করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে একই সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে ও স্লোগান দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা নিজ উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে দেন। ১০টা বাজার কয়েক মিনিট আগে উল্টো দিক থেকে কাউন্ট ডাউন শুরু করে। এ কাউন্টডাউনে শিক্ষার্থরা অংশগ্রহণ করে। কাউন্টডাউন শেষে যখন পতাকা উত্তোলন করা হয় তখন সমস্বরে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে ওঠে সবাই। তবে মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠানে পালন করা না হলেও আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করা হয়।
আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ আলাউদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আলী আশরাফ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সেকান্দর চৌধুরী, প্রক্টর সিরাজ উদ দৌল্লাহ প্রমুখ।
__._,_.___