Banner Advertise

Sunday, February 17, 2013

[chottala.com] ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন: সরকারও আপিল করতে পারবে : জামায়াতেরও বিচার করা যাবে



ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন: সরকারও আপিল করতে পারবে  

৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি

জামায়াতেরও বিচার করা যাবে

বিশেষ প্রতিনিধি | তারিখ: ১৮-০২-২০১৩


একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ব্যক্তির পাশাপাশি সংগঠনেরও বিচার করা যাবে। অর্থাৎ রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামী ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোকেও বিচারের আওতায় আনা যাবে।
গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে এ-সংক্রান্ত বহুল আলোচিত আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) (সংশোধন) বিল-২০১৩ সংশোধিত আকারে সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে। ২০০৯ সালের ১৪ জুলাই থেকে আইনটি কার্যকর বলে গণ্য হবে।
আইনে সরকার ও বাদীপক্ষের আপিলের সমান সুযোগ রাখা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগকে ৬০ দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করতে হবে।
যোগাযোগ করা হলে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব সংগঠন মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে যেমন আলবদর, আলশামস, রাজাকার প্রভৃতি তাদের এ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা যাবে। যদি তদন্তে এ ধরনের তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়, জামায়াতে ইসলামীও মুক্তিযুদ্ধকালে বুদ্ধিজীবী হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, তবে এই সংগঠনও শাস্তি পাবে।
শাস্তি কী: বিচারে সংগঠন অপরাধী প্রমাণিত হলে শাস্তি কী হবে? এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, 'যাঁরা সংগঠন চালিয়েছেন, তাঁরা শাস্তি পাবেন। নুরেমবার্গ ট্রায়ালে দোষী প্রমাণিত হওয়া নাৎসি পার্টিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যদি ট্রাইব্যুনাল রায়ে তেমন কথা বলেন, তবে সে অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
ফৌজদারি আইনবিশেষজ্ঞ আনিসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, 'একাত্তরে জামায়াতে ইসলামী ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো ব্যাপক নৃশংসতা চালায়। এরপর তারা যথেষ্ট সময় পেলেও একাত্তরের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়নি বা ক্ষমা চায়নি। উপরন্তু এখন তারা গৃহযুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় আইন সংশোধন করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।'
আনিসুল হক আরও বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩ সংশোধন করে ব্যক্তির পাশাপাশি সংগঠনের বিচারের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। এখানে সংগঠন বলতে জামায়াতে ইসলামী ও আলবদর বাহিনীও বোঝাবে। কিন্তু বিচারে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অপরাধী সংগঠনের শাস্তি কী হবে—এ বিষয়ে আইনে কিছু বলা নেই। এ ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে হতে পারে।
আইন পাস: আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী শফিক আহমেদ বিলটি পাসের জন্য সংসদে উত্থাপন করেন। এ সময় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারি দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ও মন্ত্রীরা সংসদে উপস্থিত ছিলেন।
বিলে দুটি সংশোধনী আনেন রাশেদ খান মেনন। তিনি আইনের তিন ধারার এক উপধারায় ব্যক্তির পর 'অথবা সংগঠন' শব্দ সংযোজনের প্রস্তাব করেন। সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করে রাশেদ খান মেনন বলেন, 'ব্যক্তির পাশাপাশি সংগঠনকে বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন। বাচ্চু রাজাকারের রায়ে বলা হয়েছিল জামায়াত কীভাবে অপকর্মে যুক্ত ছিল। জামায়াত আজ পর্যন্ত একাত্তরের ভূমিকার জন্য দুঃখও প্রকাশ করেনি। বরং যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধে দলটি সহিংসতা করছে। তাই আইনে "ব্যক্তি"র পাশাপাশি "সংগঠনকে"ও যুক্ত করা প্রয়োজন।'
মেননের বক্তব্যের পর আইনমন্ত্রীকে বক্তব্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্পিকার আবদুল হামিদ বলেন, সংবিধানে ৪৭-এর ৩এ ধারায় সংগঠনের কথা বলা আছে। এখন আইনে সংগঠন শব্দটি সংযোজন করা প্রয়োজন কি না, তা দেখা প্রয়োজন। তিনি আইনমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, 'আপনি এ বিষয়ে ভালো বুঝবেন। আমি কেবল বিষয়টি মনে করিয়ে দিলাম।'
সংবিধানের ৪৭ (৩)এ বলা হয়েছে, 'এই সংবিধানে যাহা বলা হইয়াছে, তাহা সত্ত্বেও গণহত্যাজনিত অপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীন অন্যান্য অপরাধের জন্য কোনো সশস্ত্র বাহিনী বা প্রতিরক্ষা বাহিনী বা সহায়ক বাহিনীর সদস্য বা অন্য কোনো ব্যক্তি, ব্যক্তি সমষ্টি বা সংগঠন কিংবা যুদ্ধবন্দীকে আটক, ফৌজদারীতে সোপর্দ কিংবা দণ্ডদান করিবার বিধান-সংবলিত কোনো আইন বা আইনের বিধান এই সংবিধানের কোনো বিধানের সহিত অসামঞ্জস্য বা তাহার পরিপন্থী, এই কারণে বাতিল বা বেআইনি বলিয়া গণ্য হইবে না কিংবা কখনো বাতিল বা বেআইনি হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না।'
পরে রাশেদ খান মেননের সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করে আইনমন্ত্রী বলেন, 'দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর নাৎসি পার্টিকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিল। একই সঙ্গে নাৎসি পার্টির সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত ছিল, তাদের বিচারের আওতায় আনা হয়।'
এরপর বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করা হলে বিপুল করতালির মধ্যে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
সংশোধিত এই আইনের ২১(২) উপধারায় বলা হয়েছে, সরকার বা অভিযোগকারী বা এজাহারকারী রায়ের বা শাস্তির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করতে পারবে। সংশোধিত আইনের ২১(৩) উপধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের ২১(১) ও ২১(২) উপধারা অনুযায়ী, দণ্ডাদেশের বা খালাসের বিরুদ্ধে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করা যাবে। এই সময়ের পর কোনো আপিল করা যাবে না।
২১(৫) উপধারায় বলা হয়েছে, আপিলকারী যেসব নথির ওপর নির্ভর করতে চান, আপিল দাখিলের সময় তা সংযুক্ত করতে হবে।
১৩ ফেব্রুয়ারি বিলটি সংসদে উত্থাপিত হয়। সেদিনই এক দিনের মধ্যে বিলটি যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
উত্থাপিত বিলে ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ বা দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির পাশাপাশি যেকোনো 'সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিও' আপিল করতে পারবে বলা হয়েছিল। এতে জটিলতা সৃষ্টি হবে বলে কমিটি 'সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি' কথাটি বাদ দেয়।
কেউ নোটিশ দেননি: বিলটি জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর জন্য কেউ কোনো নোটিশ দেননি। সংসদে অনুপস্থিত থাকলেও অন্যান্য আইন পাসের ক্ষেত্রে বিএনপির সাংসদেরা জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে বিল পাঠানোর জন্য নোটিশ দিয়ে থাকেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালস সংশোধন বিলের ক্ষেত্রে তাঁরা কোনো নোটিশ দেননি। 
এটা এই আইনের প্রতি সমর্থন কি না, জানতে চাইলে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, 'যেহেতু আমরা সংসদে নেই, তাই নোটিশ দেইনি।' অন্যান্য আইনের ক্ষেত্রে সংসদে অনুপস্থিত থাকলেও নোটিশ দেওয়ার বিষয়টি মনে করিয়ে দিলে তিনি বলেন, 'আমাদের কেন্দ্রীয় ও জেলা সম্মেলন চলছে। সাংসদেরা এলাকায়। তাই তাঁরা নোটিশ দিতে পারেননি।'
যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াতের নেতা আবদুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন রায়ের পর ক্ষোভে ফেটে পড়ে তরুণ প্রজন্ম। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে টানা ১৩ দিন ধরে শাহবাগ চত্বরসহ সারা দেশে আন্দোলন করছে তারা। তরুণ প্রজন্মের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আইনটি সংশোধন করা হলো

http://prothom-alo.com/detail/date/2013-02-18/news/330087


PS:    
ছাত্রশিবির আবার পরিকল্পিত বুদ্ধিজীবী হত্যা শুরু করেছে | 
[Jamaat's Al-bodor Model]

আলবদর বাহিনী প্রধানত জামায়াতের কর্মী দ্বারাই গঠিত হয়েছিল

ইসলামী ছাত্র সংঘ' নাম পাল্টিয়ে 'বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির'

নামে যাত্রা শুরু করে |

শান্তি কমিটি আলবদর রাজাকারের সিংহভাগই ছিল জামায়াতী !
বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে 'জামায়াতি দুর্বৃত্তরাই'
রাজাকার-আলবদর বাহিনী গড়ার হোতা গোলাম আযম




__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___