শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৩, ৪ ফাল্গুন ১৪১৯
রাজশাহীতে শিবিরের নির্বিচার ককটেল বিস্ফোরণ, গুলিপুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ ॥ ৪ গুলিবিদ্ধ, আহত অর্ধশত নগরে উত্তেজনা
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীতে ফের তা-ব চালিয়েছে সংঘবদ্ধ শিবিরের ক্যাডাররা। শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর তালাইমারী বালুঘাট এলাকায় শিবির ক্যাডাররা লাঠিসোটা হাতে জঙ্গী মিছিল বের করলে পুলিশ পেছন থেকে তাদের বাধা দেয়। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। এ ঘটনায় অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। নগরীর আলুপট্টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সেখানে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। লোকজন দিগি¦দিক ছুটাছুটি শুরু করে। এদিকে তালাইমারী এলাকায়ও পুলিশের সঙ্গে শিবিরের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ায় ঘটনায় ওই এলাকা রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। শিবিরের ছোড়া ইট পাটকেল ও বৃষ্টির মতো ককটেল বিস্ফোরণের জবাবে পুলিশও পাল্টা টিয়ারশেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। সাদ্দাম হোসেন নামে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, সন্ধ্যায় তালাইমারী বালুঘাটে থেকে শিবির কর্মীরা জঙ্গী মিছিল নিয়ে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় শিবিরের সংঘবদ্ধ ক্যাডাররা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল, বোমা ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ ফাঁকা গুলি, টিয়ারশেল ও রবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে চারজন বুলেটবিদ্ধ হয়েছে বলে তাৎক্ষণিক জানা গেছে। এ ঘটনায় সেখানকার সকল দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কে যানবাহন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ জানায়, তালাইমারী এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় শুক্রবার জুমার নামাজের পর পুলিশের সঙ্গে শিবিরের আবারও সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ৯ জনকে আটক করে। অপরদিকে নগরীর নাকিকেল বাড়িয়ায় গোপন বৈঠক চলার সময় আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
মহানগরীর রাজারহাতা শাহী জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে শিবিরকর্মীরা সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদের ব্যানারে সুকৌশলে লাঠিসোটা হাতে ঝটিকা মিছিল বের করে। মিছিলটি অনুরাগ কমিউনিটি সেন্টারের সামনে পৌঁছলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নারিকেলবাড়িয়া ক্যাম্পাস (কৃষি অনুষদ) এলাকা থেকে শুক্রবার তিন শিবির কর্মীকে আটক করেছে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ। থানা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে ৩০ থেকে ৪০ জন শিবির কর্মী ক্যাম্পাস থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে নারিকেলবাড়িয়া ক্যাম্পাসে গোপন বৈঠক করতে একত্রিত হয়। এক পর্যায়ে তারা পালিয়ে যায়। তিন শিবির কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার পুলিশের ওপর শিবির কর্মীদের হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রাতে দুটি মামলা দায়ের করেছে। এর মধ্যে কাটাখালি পৌর মেয়র মাজেদুর রহমান, ছাত্রশিবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আশরাফুল আলম ইমন, সেক্রেটারি সাইফুদ্দিন ইয়াহহিয়া, শিবির ক্যাডার বিপ্লব ও জনিসহ ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১২-১৫শ' জনকে আসামি করে নগরীর মতিহার থানায় দায়ের করা হয়েছে একটি মামলা। নগরীর রাজপাড়া থানায় অজ্ঞাত ৬০ জনকে আসামি করে দায়ের করা হয়েছে অপর মামলাটি। মতিহার থানার ওসি বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক আইনে জামায়াত-শিবিরের ১২ থেকে ১৫শ' নেতাকর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে। এএসআই আব্দুস সালাম বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। তবে মামলার আসামিরা সকলেই পলাতক রয়েছে। রাজপাড়া থানার ওসি জানান, পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক আইনে শিবিরের অজ্ঞাত ৬০ নেতাকর্মীর নামে রাজপাড়া থানার এসআই মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, সন্ধ্যায় তালাইমারী বালুঘাটে থেকে শিবির কর্মীরা জঙ্গী মিছিল নিয়ে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় শিবিরের সংঘবদ্ধ ক্যাডাররা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল, বোমা ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ ফাঁকা গুলি, টিয়ারশেল ও রবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে চারজন বুলেটবিদ্ধ হয়েছে বলে তাৎক্ষণিক জানা গেছে। এ ঘটনায় সেখানকার সকল দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কে যানবাহন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ জানায়, তালাইমারী এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় শুক্রবার জুমার নামাজের পর পুলিশের সঙ্গে শিবিরের আবারও সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ৯ জনকে আটক করে। অপরদিকে নগরীর নাকিকেল বাড়িয়ায় গোপন বৈঠক চলার সময় আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
মহানগরীর রাজারহাতা শাহী জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে শিবিরকর্মীরা সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদের ব্যানারে সুকৌশলে লাঠিসোটা হাতে ঝটিকা মিছিল বের করে। মিছিলটি অনুরাগ কমিউনিটি সেন্টারের সামনে পৌঁছলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নারিকেলবাড়িয়া ক্যাম্পাস (কৃষি অনুষদ) এলাকা থেকে শুক্রবার তিন শিবির কর্মীকে আটক করেছে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ। থানা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে ৩০ থেকে ৪০ জন শিবির কর্মী ক্যাম্পাস থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে নারিকেলবাড়িয়া ক্যাম্পাসে গোপন বৈঠক করতে একত্রিত হয়। এক পর্যায়ে তারা পালিয়ে যায়। তিন শিবির কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার পুলিশের ওপর শিবির কর্মীদের হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রাতে দুটি মামলা দায়ের করেছে। এর মধ্যে কাটাখালি পৌর মেয়র মাজেদুর রহমান, ছাত্রশিবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আশরাফুল আলম ইমন, সেক্রেটারি সাইফুদ্দিন ইয়াহহিয়া, শিবির ক্যাডার বিপ্লব ও জনিসহ ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১২-১৫শ' জনকে আসামি করে নগরীর মতিহার থানায় দায়ের করা হয়েছে একটি মামলা। নগরীর রাজপাড়া থানায় অজ্ঞাত ৬০ জনকে আসামি করে দায়ের করা হয়েছে অপর মামলাটি। মতিহার থানার ওসি বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক আইনে জামায়াত-শিবিরের ১২ থেকে ১৫শ' নেতাকর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে। এএসআই আব্দুস সালাম বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। তবে মামলার আসামিরা সকলেই পলাতক রয়েছে। রাজপাড়া থানার ওসি জানান, পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক আইনে শিবিরের অজ্ঞাত ৬০ নেতাকর্মীর নামে রাজপাড়া থানার এসআই মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৩, ৪ ফাল্গুন ১৪১৯
রাজধানীতে শিবিরের ঝটিকা তাণ্ডব
নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ১২-০২-২০১৩
__._,_.___