সরাসরি ফাঁসি দাবি বিচার বিভাগের প্রতি অবজ্ঞা
খন্দকার মাহবুব হোসেন
মতলু মল্লিক
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, 'যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে শাহবাগে যারা আন্দোলন করছেন তাদের আবেগের সঙ্গে আমি একমত। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমিও চাই। তবে, সরাসরি ফাঁসি দাবি করাটা বিচার বিভাগের প্রতি অবজ্ঞা করা। কারণ, স্লোগানের ভিত্তিতে যদি রায় হয়, তাহলে আইনের শাসন বলে কিছু থাকে না। এ অবস্থায় আগামীতে কাউকে ফাঁসি দেওয়া হলে এটা মনে করাই স্বাভাবিক হবে যে, আন্দোলন-স্লোগানের ভিত্তিতেই রায় হয়েছে। তাই সবার উচিত বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা রেখেই আবেগ প্রকাশ বা আন্দোলন ও স্লোগান দেওয়া।'
শাহবাগের আন্দোলন, আপিলে উভয়পক্ষের সমান সুযোগ রেখে আইনের সংশোধনী পাস ও যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচারসহ সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারে আপিলের সমান সুযোগ রেখে সংসদে পাস করা আইনের ভিত্তিতে আপিল বিভাগ কারও সাজা বৃদ্ধি করতেই পারেন। কিন্তু, কোনো আন্দোলন বা স্লোগানের ভিত্তিতে রায় হলে, তা হবে আইনের শাসনের পরিপন্থী। খন্দকার মাহবুব হোসেন আরও বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আইনের অধীনে চিহ্নিত ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তখনকার প্রেক্ষাপটে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তাদের ক্ষমাও করেছিল। পাকসেনাদের সহযোগিতার অপরাধে বিচারের জন্য আরেকটি আইন ছিল 'দালাল আইন'। এ আইনে বিচার কার্যক্রম শুরু হলেও বিচারকালে এমনও ঘটনা সামনে এসেছে যে, ছেলে মুক্তিযোদ্ধা আর পিতা পিস কমিটির চেয়ারম্যান। তখন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চারটি গুরুতর অপরাধ খুন, ধর্ষণ, অগি্নসংযোগ ও রাষ্ট্রদ্রোহের ক্ষেত্রে শাস্তির বিধান রেখে বাকি সব অপরাধ মাফ করেছিলেন। এ জন্য ওই আইনের দুইবার সংশোধনী আনা হয়। এরপর ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ওই আইনটি পুরোপুরি বাতিল করেন। কারণ গুরুতর ওই চারটি অপরাধের বিচার প্রচলিত ফৌজদারি আইনেও করা সম্ভব। খন্দকার মাহবুব বলেন, সরকার চাইলে আগে থেকেই স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আইনানুগভাবে বিচার প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে পারত। কিন্তু, তা না করে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি, হলমার্কের অর্থ আত্দসাৎ, রেলের অর্থ কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির ঘটনা আড়াল করতে যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। তাই, তরুণ প্রজন্মকে উসকে দেওয়া হচ্ছে। এটা দেশের জন্য শুভ হতে পারে না।
শাহবাগের আন্দোলন, আপিলে উভয়পক্ষের সমান সুযোগ রেখে আইনের সংশোধনী পাস ও যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচারসহ সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারে আপিলের সমান সুযোগ রেখে সংসদে পাস করা আইনের ভিত্তিতে আপিল বিভাগ কারও সাজা বৃদ্ধি করতেই পারেন। কিন্তু, কোনো আন্দোলন বা স্লোগানের ভিত্তিতে রায় হলে, তা হবে আইনের শাসনের পরিপন্থী। খন্দকার মাহবুব হোসেন আরও বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আইনের অধীনে চিহ্নিত ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তখনকার প্রেক্ষাপটে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তাদের ক্ষমাও করেছিল। পাকসেনাদের সহযোগিতার অপরাধে বিচারের জন্য আরেকটি আইন ছিল 'দালাল আইন'। এ আইনে বিচার কার্যক্রম শুরু হলেও বিচারকালে এমনও ঘটনা সামনে এসেছে যে, ছেলে মুক্তিযোদ্ধা আর পিতা পিস কমিটির চেয়ারম্যান। তখন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চারটি গুরুতর অপরাধ খুন, ধর্ষণ, অগি্নসংযোগ ও রাষ্ট্রদ্রোহের ক্ষেত্রে শাস্তির বিধান রেখে বাকি সব অপরাধ মাফ করেছিলেন। এ জন্য ওই আইনের দুইবার সংশোধনী আনা হয়। এরপর ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ওই আইনটি পুরোপুরি বাতিল করেন। কারণ গুরুতর ওই চারটি অপরাধের বিচার প্রচলিত ফৌজদারি আইনেও করা সম্ভব। খন্দকার মাহবুব বলেন, সরকার চাইলে আগে থেকেই স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আইনানুগভাবে বিচার প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে পারত। কিন্তু, তা না করে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি, হলমার্কের অর্থ আত্দসাৎ, রেলের অর্থ কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির ঘটনা আড়াল করতে যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। তাই, তরুণ প্রজন্মকে উসকে দেওয়া হচ্ছে। এটা দেশের জন্য শুভ হতে পারে না।
__._,_.___