Banner Advertise

Monday, January 7, 2013

[chottala.com] RE: চেতনার আত্মহনন এবং হিন্দি পার্টির দৌরাত্ম্য



MINAR RASHID'S WRITING IS WICKEDLY STRAIGHT FORWARD. HE IS VERY CLEAN IN HIS HEART AND CHOOSES EXAMPLES AND SUBJECTS WHICH ARE NOTORIOUSLY VERY CLOSE TO THE HEART OF ORDINARY BANGLADESHIS.
I WISH I COULD DELIVER ALL HIS ARTICLES TO THE RURAL CITIES AND BAZARS OF BANGLADESH FOR PEOPLE TO PONDER WICKEDNESS OF HASINA'S BOLODS (MOST OF WHOM LIVES IN WELL, THAT ALSO BLIND FOLDED.
 
SHAHADAT SUHRAWARDY 

 

Date: Mon, 7 Jan 2013 09:34:07 -0800
From: zainul321@yahoo.com
Subject: Re: চেতনার আত্মহনন এবং হিন্দি পার্টির দৌরাত্ম্য
To: shahadathussaini@hotmail.com; bangladeshiamericans@googlegroups.com

Salam,

I liked the idea of citizen journalism.

Khoda Hafez,

Zainul Abedin


From: Shahadat Hussaini <shahadathussaini@hotmail.com>
To: bangladeshi googlesgroups <bangladeshiamericans@googlegroups.com>; khabor <khabor@yahoogroups.com>; alochona <alochona@yahoogroups.com>; mokto mona <mukto-mona@yahoogroups.com>; chottala yahoogroups <chottala@yahoogroups.com>
Sent: Sunday, January 6, 2013 3:22 PM
Subject: চেতনার আত্মহনন এবং হিন্দি পার্টির দৌরাত্ম্য

চেতনার আত্মহনন এবং হিন্দি পার্টির দৌরাত্ম্য

মিনার রশীদ
তারিখ: ৭ জানুয়ারি, ২০১৩
'কপাল ভিজিয়া গেল নয়নের জলে।' এখানে প্রকৃত শব্দটি ছিল কপোল যার অর্থ হলো গাল। কিন্তু ভুল করে পণ্ডিত মশায় লিখে ফেলেন 'কপাল'। নয়নের জল কখনই মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে অগ্রাহ্য করে কপালে উঠতে পারে না। অন্য দিকে আমাদের মহামান্য প্রেসিডেন্টের নেত্রীর মতো এই পণ্ডিত মশায় কখনো ভুল করতে পারেন না। কাজেই নিজের নির্ভুলতা এবং প্রকৃতির কানুনÑ এই দুইয়ের মধ্যে একটা সামঞ্জস্য টানার জন্য পণ্ডিত মশায় নিজেই নিম্নোক্ত পঙ্ক্তিটি রচনা করেন।
 
কপাল ভিজিয়া গেল নয়নের জলে
ঠ্যাং দু'টি বাঁধা ছিল গাছেরও ডালে।
 
আমাদের রাজনীতি ও বুদ্ধিবৃত্তিক জগতে এই ধরনের অনেক পণ্ডিত মশায় রয়েছেন। দরকার পড়লে নিজেদের পা বা ' ঠ্যাং' দু'টি গাছের ডালে বাঁধবেন। তবুও নিজের কৃত কোনো ভুল স্বীকার করবেন না। পণ্ডিত মশায় তবু প্রকৃতির অমোঘ কানুনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে কষ্ট করে আরেকটি লাইন যোগ করেছেন। আমাদের এই পণ্ডিতেরা তাও করেন না। এ জন্য দরকার পড়লে সব যুক্তি কিংবা নৈতিকতার 'ঠ্যাং' দু'টিও গাছের ডালে বেঁধে ফেলবেন। এরা চুরিতে রাম ধরা খেয়ে মন্ত্রিত্ব খোয়ান বা উজিরে খামাখা হন। তার পরও সর্বোচ্চ জায়গা থেকে প্রশংসা করে বলা হয়, পদত্যাগ করে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন বা দেশপ্রেমের সর্বোচ্চ নমুনা পেশ করেছেন।
হাসান-হোসেনেরা বানিয়েছে লুটপাটের কারবালা। দরবেশ বাবাজীরা শেয়ারবাজারে সৃষ্টি করেছে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প। হলমার্ক-হেনরিরা এনেছে চল্লিশ ফুট উঁচু সুনামি। কালো বিড়াল ও সমুদয় বাজিকরেরা ঘটিয়েছে পারমাণবিক রেডিয়েশন। কুইক রেন্টাল ধরিয়েছে আগুন। তার পরও অর্থমন্ত্রী নীরু তার সেই বাঁশিটিই আপন মনে বাজাচ্ছেন। জীবন যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ মানুষকে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির 'বুলশিট' গল্প শোনানো হচেছ। উন্নত বিশ্বের অর্থনীতির সাইজটি এমন যে তার সামান্য সঙ্কোচন আমাদের মতো গরিব দেশের অর্থনীতির সাকল্য সাইজের চেয়েও বড়। দরিদ্র দেশগুলো এমন তলানিতে থাকে যে এর চেয়ে আর নিচে নামার অবকাশ থাকে না। আতর আলীর আয় ৬ শতাংশ বাড়ার চেয়ে চৌধুরী সাবের আয় ২ ভাগ বাড়ার মধ্যে পার্থক্যটি স্পষ্ট। ৬ সংখ্যাটি ২-এর চেয়ে বড় ভেবে আতর আলীর গতরে আনন্দ ছিটকে পড়লে অসহায় দর্শকদের আর কিছুই করার থাকে না।
অর্থনীতির এই ভূমিকম্প ও সুনামি রাজনীতিতেও আঘাত হেনেছে। মায়ের পেটে অবস্থান করেও কারো কারো রাজবন্দী হওয়ার সুযোগ হয়েছে। জালিমের জুলুম সর্বোচ্চ পয়েন্টে পৌঁছে গেছে। মোনায়েম খান যেমন আওয়ামী লীগ ও বামপন্থীদের স্টার ও সুপারস্টার বানিয়েছিল। একাত্তরের আরেক খান জনাব মহিউদ্দীন খান তেমনিভাবে আজ জামায়াতে ইসলামী থেকে স্টার ও সুপারস্টার বানাচ্ছেন। সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তৃতীয় ও চতুর্থ রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টির কদর ও গুরুত্ব বেড়ে গেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ গন্ধম ফল হলো এই দু'টি দল বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামী। তাদের সঙ্গ বা সমর্থনটি অত্যন্ত উপাদেয়। এই নিষিদ্ধ ফল ভক্ষণের জন্য বিএনপিকে সর্বক্ষণ গালমন্দ করা হলেও বিশেষ চেতনাধারীরাও মাঝে মধ্যে এই গন্ধম ফলে কামড় দিয়ে বসেন।
এ ধরনের গোপন কামড়ের প্রমাণ হিসেবে বেগম খালেদা জিয়া আরো একটা ছবি জাতির গোচরে এনেছেন। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও মতিউর রহমান নিজামী একটি অনুষ্ঠানে করমর্দন করছেন। এ ধরনের লৌকিকতা সভ্য সমাজে অত্যন্ত স্বাভাবিক। কিন্তু এই স্বাভাবিক আচরণটিই এই ইনুরা অস্বাভাবিক বানিয়ে রেখেছেন। উঁচু বর্ণের ব্রাহ্মণেরা যেমন নিচু বর্ণের মানুষের স্পর্শ এড়িয়ে চলেন। বাংলাদেশের রাজনীতির এই ব্রাহ্মণগণ কথিত নমশুদ্রদের স্পর্শ তেমনিভাবে এড়িয়ে চলেন। কাজেই ছবিটি প্রদর্শন করে খালেদা জিয়া হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছেন। ছবির চেয়েও ভয়ঙ্কর হলো এটি নিয়ে ইনুর ব্যাখ্যা, 'নিজামী আমার পায়ে ধরে মাফ চাইতে এসেছিল। আমি তাকে হাতে ধরে ওঠাতে চেয়েছিলাম।'
ইনুর ব্যাখ্যা ও ছবিটি দেখে সেই একই প্রশ্ন জাগে, নয়নের জল কপালে উঠল কিভাবে? তা মিলাতে গেলে পণ্ডিত মশায়ের মতো ইনুর ঠ্যাং দু'টি গাছের ডালে বাঁধা ছাড়া অন্য উপায় দেখা যাচ্ছে না।
কারণ মতিউর রহমান নিজামী বসে আছেন। ইনু কিছুটা নুইয়ে নিজামীর সাথে করমর্দন করছেন। নিজামীর মুখে কিছুটা উচ্ছ্বাসের ভাব থাকলেও তিনি উঠে দাঁড়াননি। বোঝা যাচ্ছে, সময়টিতে নিজামীর বৃহস্পতি ছিল তুঙ্গে। খুব সম্ভব নিজামী তখন মন্ত্রী এবং ইনু ছোট দলের বড় নেতা। খালি কলসি, তবে আওয়াজটি বরাবরের মতোই একটু বেশি। আওয়ামী লীগের বাঘা বাঘা নেতারা সংস্কারবাদী হয়ে বাদ পড়বেন এবং ৬০০ ভোটের দিলীপ বড়–য়া-ইনুদের ভাগ্য এমনভাবে খুলে যাবে বিষয়টি তখনো ঠাহর করা যায়নি। কাজেই কোন অনুষ্ঠানে সবার সামনে ইনুর পায়ে ধরতে চাইবেন মতিউর রহমান নিজামীÑ অতিরিক্ত মাত্রায় রাশিয়ান ভদকা পান না করলে এ গল্পটি বিশ্বাস করা কঠিন।
এ ধরনের গল্প, ফিকশন ও বাঘ ভাল্লুক মারতে গিয়ে দেশের রাজনীতিকে যারপরনাই কেদাক্ত করা হয়েছে। অথচ সিঙ্গেল ইউনিটের চমৎকার একটি জাতি রাষ্ট্র ছিল আমাদের এই প্রিয় বাংলাদেশ। এখানে পটুয়াখালীর যে কোনো ছেলের সাথে দিনাজপুরের যেকোনো মেয়ের বিয়ে হতে পারে। নিজামী ও ইনু সরাসরি বেয়াই না হলেও নিজামীর কোনো ভাাগিনার সাথে ইনুর কোনো ভাইঝির বিয়ে হতে পারে। এ রকম কোনো অনুষ্ঠানে দু'জনের দেখা হয়ে যেতে পারে। দুই জ্ঞাতি বেয়াই হ্যান্ডশেকও করতে পারেন। এতে কারো জাত যাবে না। এ জন্য ইনুকে কেউ একঘরে করে রাখত না। কারণ এ দেশের স্থপতি নিজেই ১৯৭৪ সালে রাজাকার শিরোমণি সবচেয়ে বড় কালপ্রিট ভুট্টোর সাথে হ্যান্ডশেক, মোলাকাত সব সেরে ফেলেছিলেন। সবুর খান ও ফজলুল কাদের চৌধুরীদের খবরাখবর নিতেন। তবে সূর্যের চেয়ে বালুর তেজ সব সময় একটু বেশিই হয়।
এ ধরনের জাত-বিজাতের প্রশ্ন আমাদের মাঝে ছিল না। কিন্তু শ্রেণীহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার মন্ত্রে উজ্জীবিত জাত-বিজাতের ব্যাপারটি আমদানির চেষ্টা করছেন। জাহাজ থেকে ছুটিতে বাড়ি এসে একদিন টিভিতে দেখি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট অস্তগামী সূর্যের পানে হাত রেখে শপথ করছেন, 'আমরা রাজাকারের ছেলের কাছে মেয়ে বিয়ে দেবো না। কোনো রাজাকারের মেয়েকে নিজের ছেলের বউ করে আনব না।' এই শপথের সময়টি কখন ছিল, তা স্পষ্ট মনে নেই। তবে শপথটি পুতুলের বিয়ের আগে হয়েছিল, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তাদের এই প্রচারণা সমাজের মানুষের মনে কেমন দাগ ফেলেছিল, পুতুলের বিয়েই তার বড় প্রমাণ। নিন্দুকেরা বলেন, ধর্ষণে সেঞ্চুরিয়ানদের সহচরদের চেয়ে রাজাকারের ছেলেরা নাকি মেয়ের জামাই হিসেবে অধিকতর ভালো হয়।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রায় দেউলিয়া হলেও এই 'জাতে বাম তালে ঠিক'দের বুদ্ধির প্রভাব থেকে আমাদের সমাজ পুরো মুক্ত থাকতে পারছে না। আমাদের ইতিহাসে যদি একাত্তর সৃষ্টি না হতো তবুও এরা শ্রেণী শত্রু খতমের নামে হিংসা-বিদ্বেষ-ঘৃণা ছড়াতে একটুও পিছপা হতো না। স্বাধীনতার ঘোষক ও তপ্ত রণাঙ্গনের সর্বোচ্চ মুক্তিযোদ্ধাকেও এরা রাজাকার হিসেবে চিত্রিত করতে চায়। দেশের মানুষের বোধ-বিশ্বাস ও নাড়ির সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও বিভিন্ন বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক আউটলেট গুলিতে এরা জেঁকে বসে আছে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ আদম ও ঈভকে তাদের আদি পিতা-মাতা গণ্য করলেও এরা মনে করে জঙ্গলের কোনো বানর-বানরী ছিল তাদের আদি পিতা-মাতা। কাজেই এক বানরের জেনারেশন অন্য বানরের জেনারেশনের কাছে শ্রেণিশত্রু বিবেচিত হওয়াই স্বাভাবিক। তবে এক আদমের সন্তানদের মধ্যে শ্রেণিবিদ্বেষ থাকতে পারে না। এরা তাদের আদি পিতা বানরদের স্মরণ করতে পারবে, কিন্তু অন্যরা তাদের আদি পিতা আদমকে স্মরণ করতে পারবে না।
এখন বিএনপি-জামায়াতকে তাদের শ্রেণিশত্রু গণ্য করলেও ১৯৭২-৭৫ সালে শ্রেণিশত্রু ছিল আওয়ামী লীগ। সদ্য স্বাধীন দেশটিকে ও তার নেতাকে অস্থির করে রেখেছিল ইনুদের এই জাসদ। বামপন্থীদের এক দল সেজেছিল সাপ আর অন্যদল সাজে ওঝা। এক দলের যন্ত্রণায় ও অন্য দলের মন্ত্রণায় আজীবন গণতন্ত্রের পূজারি নেতা গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেন। তবে এই ভুলের মাশুলটি সেই নেতাকে একাই বহন করতে হয়েছিল।
দেশের মরাল ব্রিগেড বা ছি-ছি-ছি পার্টিটি গঠিত হয়েছে মূলত বাম ঘরানার সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সমন্বয়ে। এত বড় ক্ষতি করার পরও আওয়ামী লীগ তাই এই বামদের ছাড়তে পারছে না। জামায়াত বা জাতীয় পার্টি যখন আওয়ামী লীগের পক্ষ হয়ে কাজ করে, তখন এই ছি-ছি-ছি পার্টির আওয়াজটি ছোট হয়ে যায় কিংবা একেবারে নীরব হয়ে পড়ে। কিন্তু এই দল দু'টি বা একটি যখন বিএনপির সাথে থাকে, তখন এই 'ছি-ছি-ছি' পার্টির আওয়াজ সর্বোচ্চ মার্গে পৌঁছে যায়। এরশাদের অনেক কুকীর্তি আমরা ভুলে গেছি এরশাদ আওয়ামী লীগের পক্ষে অবস্থান করছেন বলে। কামরুল হাসানের 'বিশ্ব বেহায়া' চিত্রটি এখন কোথাও দেখা যায় না। তা নিয়ে কোথাও আলোচনা হয় না। এরশাদ বিএনপির পক্ষে থাকলে কিংবা আওয়ামী লীগ থেকে পৃথক থাকলে দেশের সুশীলসমাজ এ ছাড়টি কখনই দিত না।
মাঝখানে কিছু দিন দূরে থাকলেও এই বামরা আবারো দলবদ্ধভাবে ভর করেছে আওয়ামী লীগের ওপর। ফলে এ দেশের ঐতিহ্যবাহী সবচেয়ে পুরনো দলটির গা থেকে বাকশালের কড়া গন্ধ বের হচ্ছে।
হাইকোর্টের রায়ের দোহাই দিয়ে সেই রায় বের হওয়ার আগেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতিটি বাতিল করা হয়েছে। যে মইয়ের মাধ্যমে ক্ষমতায় আরোহণ করেছে, সেই মই ভেঙে ফেলার 'চিকনা বুদ্ধি'টি এসেছে এই বামদের রাজনৈতিক দর্শন থেকে। বিরোধী রাজনৈতিক দলকে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী না ভেবে শত্রু জ্ঞান করার 'চিকনা বুদ্ধিটি এসেছে এই তাত্ত্বিকদের মাথা থেকেই। কুরআন-হাদিসের বইয়ের সাথে এ দেশের জনগণ অনেক আগে থেকেই পরিচিত ছিল। বাংলার প্রতিটি ঘরেই এ-জাতীয় বইপুস্তক রয়েছে। জিহাদ সম্পর্কেও তাদের স্পষ্ট ধারণা রয়েছে। সেসব বইপুস্তককে এক শিরোনামে 'জিহাদি বই' বলে প্রচারণা চালানোর আক্রোশটি সংক্রমিত হয়েছে এই বামদের অন্তর ও মগজ থেকেই। এসব কাজের দরুন তারা জনগণ থেকে বিতাড়িত ও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এখন দেশের সবচেয়ে পুরনো দল আওয়ামী লীগের বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টির বন্দোবস্ত পাকা করে ফেলেছে।
দাউদ হায়দারকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল শেখ মুজিবের শাসন আমলেই। তখন জামায়াত-শিবিরের কোনো অস্তিত্ব ছিল না। কাজেই শাজাহান খানকে বায়তুল মোকাররমে জুতা নিক্ষেপ করার যে ঘটনা ঘটেছে, তাকে শুধু জামায়াত-শিবিরের চক্রান্ত ভাবলে সরকার ভুল করবে। যে মন্ত্রী অন্য আরেক সাবেক মন্ত্রীর চোখ তুলে ফেলার হুমকি দিয়েছেন, সেই জাঁদরেল মন্ত্রীকে প্রকাশ্যে জুতা নিক্ষেপের সাহস জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা দেখাতে পারবেন বলে আমার মনে হয় না। এগুলো ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক কারণে হতাশ জনগণের হতাশার চূড়ান্ত প্রকাশ। এটি হলো সমস্যার টেল টেইল হোল (Tell Tale Hole); অর্থাৎ যে হোল বা ছিদ্র সমস্যার আগমন বার্তাটি তুলে ধরে এটি হলো সেই হোল।
এ দেশের কমিউনিস্টরা পুঁজিবাদের অনুগ্রহে শরীরে মেদ জমিয়ে সুশীল হয়ে গেছেন। গণতন্ত্র সম্পর্কে এদের শেষ কথা হলোÑ একটি বিশেষ মহল যদি ক্ষমতায় থাকতে না পারে, তবে এই গণতন্ত্রের কোনো দরকার নেই। এক-এগারোর সবচেয়ে বড় বেনিফিশিয়ারি এই গোষ্ঠী। এক-এগারোর পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছে বাম দিকে আরো বেশি কাত করিয়ে।
সমাজে সাহসী ও স্পষ্টবাদী মানুষের স্বল্পতা ছিল এদের মূল পুঁজি। দেশের ষোলো কোটি মানুষ একসাথে কথা বলতে পারে না। তাদের হয়ে কথা বলেন গুটিকয় মানুষ। এই গুটিকয় মানুষের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারলেই পুরো দেশকে কব্জা করা যায়। এসব ব্রাহ্মণ বাছাইয়ের পুরো নিয়ন্ত্রণটি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তাদেরই হাতে ছিল।
কাজেই অনেক সত্য ও সাহসী কথা বলে যারা একটু অন্যভাবে পরিচিতি পেয়েছেন তাদেরও এ দরবারে মাঝে মধ্যে কিছু নজরানা পাঠাতে হয়। তরুণসমাজের আদর্শ হিসেবে মাঝে মধ্যে স্নেহার্দ্রীদের তুলে ধরতে হয়। কাজেই চিত্তটি এখানে ভয়শূন্য হতে পারে না। কোথা থেকে যেন এখনো টেনে ধরে।
এদের সম্মুখে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য কেউ ছিল না। কিন্তু এখন তারা নেচারাল প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। এই সিন্ডিকেটকে অকার্যকর করে ফেলেছে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমগুলো। এদের ওপর পুঁজি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করতে পারে না। কাজেই ইন্টারনেট, ফেসবুক, টুইটার, মোবাইল, এসএমএস দাঁড়িয়ে গেছে। হাতে হাতে চলে আসা মোবাইল ফোনে ক্যামেরা যোগ হওয়ায় সিটিজেন জার্নালিজম ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছে গেছে। ইয়েলো জার্নালিজম করতে গেলে এর বিরুদ্ধে ভিডিও প্রমাণ হাজির হয়ে পড়ে। বিরোধীদলীয় হুইপের হাতের মোবাইলটিকে বাসের দিকে তাক করা পাথরখণ্ড হিসেবে চালিয়ে দিয়েছিল দেশের বহুল প্রচারিত একটি পত্রিকা। কিন্তু তার হাতের সেই মোবাইল কিভাবে পাথর হয়ে গেল, সেই মাজেজা ঠিকভাবে তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে সাধারণ জার্নালিজমের পাশাপাশি সিটিজেন জার্নালিজম সক্রিয় হওয়ায়। অতি সম্প্রতি স্কাইপ সংলাপ ফাঁসের ঘটনাটিও মনে হচ্ছে যে সিটিজেন জার্নালিজমেরই এক অবদান। দেশের বাইরে ইকোনমিস্ট বা দেশের ভেতরে আমার দেশ তাই শাসকের রক্তচুকে কোনোরূপ ভয় পাচ্ছে না। ইনু-নিজামীর এ ছবির নিউজ ভ্যালুটি ঠিকই আঁচ করেছিল সেখানে উপস্থিত জনৈক সিটিজেন জার্নালিস্ট। সাইবার ক্রাইমের আবরণে এ ধরনের সিটিজেন জার্নালিজমের প্রসারকে ঠেকানো কখনই সম্ভব হবে না। কারণ অভিযুক্তদের বিচার করবে যে জনতা, সেই জনতাকে জাগানোর হুইসেলটি বোধ হয় এত দিনে ঠিকঠাক তৈরি হয়ে গেছে।
minarrashid@yahoo.com
--
--
* Disclaimer: You received this message because you had subscribed to the Google Groups "Bangladeshi-Americans Living in New England". Any posting to this group is solely the opinion of the author of the messages to BangladeshiAmericans@googlegroups.com who is responsible for the accuracy of his/her information and the conformance of his/her material with applicable copyright and other laws where applicable. The act of posting to the group indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator(s). To post to this group, send email to BangladeshiAmericans@googlegroups.com.
To unsubscribe from this group, send email to BangladeshiAmericans-unsubscribe@googlegroups.com
For more options, visit this group at http://groups-beta.google.com/group/BangladeshiAmericans?hl=en ].
 
 
 




__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___